দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১২ টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা মোকামে দাম বাড়ার কথা বললেও খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, স্থানীয় কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে অধিক মুনাফা নিচ্ছেন।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কয়েকটি পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রকার ভেদে ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা কেজি দরে। আড়তে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত থাকলেও শনিবার সকাল থেকে কেজিতে ১০-১২ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করেছেন ৫৫-৫৭ টাকা কেজি দরে। এতে খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়েছে।
খুচরা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আসাদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি কালবেলাকে বলেন, এক দিন আগেও পেঁয়াজ কিনেছি ৪৮ টাকা কেজি দরে। একই পেঁয়াজ আজ কিনতে হচ্ছে ১০-১২ টাকা বেশি দিয়ে। এভাবে বাজার অস্থির হয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। সব কিছু নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতা হারুন উর রশীদ বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ালে খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়ে এবং দাম বেড়ে যায়। এখানে খুচরা ব্যবসায়ীদের কোনো হাত নেই। স্থানীয় কয়েকজন পাইকারি আড়তদার প্রতিনিয়ত সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে মুনাফা লুটছে। আড়তে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত থাকার পরও আড়তদাররা পেঁয়াজ খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি না করে আরও দাম বাড়ানোর জন্য মজুত রাখছে।
পেঁয়াজের পাইকারি আড়তদার বিধান চন্দ্র বলেন, পাইকারি আড়তে কোনো সিন্ডিকেট নেই। মোকামে দাম বাড়লে আড়তে এমনিতেই দাম বেড়ে যায়। এখানে আড়তদারদের কোনো হাত নেই। তা ছাড়া আড়তদারদের কাছে পেঁয়াজ মজুদ না থাকায় দাম একটু বেড়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মাদ জাফর আরিফ চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার তদারকি করা হচ্ছে। তবে পাইকারি বাজারে যদি কেউ সিন্ডিকেট করে কোনো পণ্যের দাম বাড়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন