দাড়ি ইস্যুতে শত বছরের প্রথা ভাঙল ব্রিটিশ সেনাবাহিনী
শত বছরের প্রথা ভেঙে সৈন্যদের দাড়ি রাখার অনুমতি দিল ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। এখন থেকে বাহিনীটির যে কোনো স্তরের সেনা ও কর্মকর্তা দাড়ি রাখতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, যারা দাড়ি রাখবেন তারা শর্ত প্রতিপালন করছেন কি না, তা কঠোরভাবে নজরদারি করা হবে। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে সিদ্ধান্তের পর দাড়ির বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজা তৃতীয় চার্লস অনুমোদন দিয়েছেন। ফলে এর পর থেকেই বাহিনীতে ‘ক্লিন শেভ’ করার কঠোর নীতি বাতিল হয়। এর আগে ২০১৯ সালে ব্রিটিশ বিমানবাহিনী সৈন্যদের দাড়ি রাখার অনুমতি দেয়। এর আগে থেকেই দেশটির নৌবাহিনীতে দাড়ি রাখার প্রচলন ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী এ ইস্যুতে কঠোর ছিল। কেবল স্বাস্থ্যগত, ধর্মীয় ও বাহিনীর অভিযানিক স্বার্থে নির্দিষ্ট কিছুসংখ্যক সেনা দাড়ি রাখতে পারতেন। এদিকে নতুন প্রজন্মের অনেকে দাড়ি রাখার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করতে থাকেন। এতে নীতিনির্ধারকদের ওপর চাপ বাড়ে। গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সেনাবাহিনীতে দাড়ি নিষিদ্ধ করা হাস্যকর। দাড়ি আধুনিকায়নের অংশ।’ এমন চাপের ফলে দাড়ি রাখার প্রভাব নিয়ে বছরব্যাপী পর্যবেক্ষণ করা হয়। এরপর এ সিদ্ধান্ত এলো। চার মিনিটের এক ভিডিও বার্তায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বয়োজ্যেষ্ঠ নন-কমিশনড ওয়ারেন্ট অফিসার পল কার্নি নতুন নিয়মের ঘোষণা দেন। সেনাদের জানানো হয়, দাড়ি-গোঁফ যেনতেনভাবে রাখলেই হবে না। এটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুবিন্যস্ত রাখতে হবে। এ ছাড়া এবড়োখেবড়ো বা ‘যখন ইচ্ছে তখন রেখে দিলাম’ এ মনোভাবেও দাড়ি রাখা যাবে না। দাড়ি পূর্বপরিকল্পনা করে রাখতে হবে। শুধু মুখভর্তি দাড়ি এ অনুমোদনের আওতায় পড়বে। এর দৈর্ঘ্য হবে ২ দশমিক ৫ থেকে ২৫ দশমিক ৫ মিলিমিটারের মধ্যে। সেইসঙ্গে কোনো রং-ও ব্যবহার করা যাবে না।
৩১ মার্চ, ২০২৪

দাড়ি ইস্যুতে শত বছরের প্রথা ভাঙল ব্রিটিশ সেনাবাহিনী
শত বছরের প্রথা ভেঙে সৈন্যদের দাড়ি রাখার অনুমতি দিল ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। এখন থেকে বাহিনীটির যে কোনো স্তরের সেনা ও কর্মকর্তা দাড়ি রাখতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, যারা দাড়ি রাখবেন তারা শর্ত প্রতিপালন করছেন কি না তা কঠোরভাবে নজরদারি করা হবে। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে সিদ্ধান্তের পর দাড়ির বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজা তৃতীয় চার্লস অনুমোদন দিয়েছেন। ফলে এরপর থেকেই বাহিনীতে ‘ক্লিন শেভ’ করার কঠোর নীতি বাতিল হয়। এর আগে ২০১৯ সালে ব্রিটিশ বিমানবাহিনী সৈন্যদের দাড়ি রাখার অনুমতি দেয়। এর আগে থেকেই দেশটির নৌবাহিনীতে দাড়ি রাখার প্রচলন ছিল।  কিন্তু সেনাবাহিনী এ ইস্যুতে কঠোর ছিল। কেবল স্বাস্থ্যগত, ধর্মীয় ও বাহিনীর আভিযানিক স্বার্থে নির্দিষ্ট কিছুসংখ্যক সেনা দাড়ি রাখতে পারতেন।  এদিকে নতুন প্রজন্মের অনেকে দাড়ি রাখার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করতে থাকে। এতে নীতিনির্ধারকদের ওপর চাপ বাড়ে। গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সেনাবাহিনীতে দাড়ি নিষিদ্ধ করা হাস্যকর। দাড়ি আধুনিকায়নের অংশ।’ এমন চাপের ফলে দাড়ি রাখার প্রভাব নিয়ে বছরব্যাপী পর্যবেক্ষণ করা হয়। এরপর এ সিদ্ধান্ত এলো। চার মিনিটের এক ভিডিও বার্তায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বয়োজ্যেষ্ঠ নন-কমিশনড ওয়ারেন্ট অফিসার পল কার্নি নতুন নিয়মের ঘোষণা দেন।  সেনাদের জানানো হয়, দাড়ি-গোঁফ যেনতেনভাবে রাখলেই হবে না। এটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুবিন্যস্ত রাখতে হবে। এ ছাড়া এবড়োখেবড়ো বা ‘যখন ইচ্ছে তখন রেখে দিলাম’ এ মনোভাবেও দাড়ি রাখা যাবে না। দাড়ি পূর্বপরিকল্পনা করে রাখতে হবে। শুধু মুখভর্তি দাড়ি এ অনুমোদনের আওতায় পড়বে। এর দৈর্ঘ্য হবে ২ দশমিক ৫ থেকে ২৫ দশমিক ৫ মিলিমিটারের মধ্যে। সে সঙ্গে কোনো রং-ও ব্যবহার করা যাবে না।
৩০ মার্চ, ২০২৪

ক্যান্টিন মালিকের দাড়ি ছেঁড়া সেই ছাত্রলীগ নেতা হল থেকেও বহিষ্কার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হল ক্যান্টিনের বকেয়া টাকা চাওয়ায় এর মালিককে মারধর করে দাড়ি ছিঁড়ে ফেলা ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত হোসেন অভিকে এবার হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাকির হোসেন ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ক্যান্টিনের মালিককে মারধরের ঘটনা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়া আরাফাতের ছাত্রত্ব না থাকায় অবৈধভাবে অবস্থান করায় আজকের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হলের ক্যান্টিনে খাওয়ার পর ক্যান্টিন মালিক ফাহিম হোসাইন সেদিনের বিল ও বকেয়া চাইলে ওই ছাত্রলীগ নেতা তাকে ও তার ম্যানেজারকে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় ক্যান্টিন মালিকের মুখ থেকে দাড়ি ও পরনের শার্ট-গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলেন। এরপর ভুক্তভোগী হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে হল প্রশাসন। এ ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারি হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে আরাফাতকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

দাড়ি ছিঁড়ে ফেলা সেই ছাত্রলীগ নেতাকে এবার হল থেকে বহিষ্কার 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ক্যান্টিনে খাওয়ার পর পাওনা টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন মালিককে মারধর করে দাড়ি ছিঁড়ে ফেলা সেই ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত হোসেন অভিকে এবার বহিষ্কার করেছে হল প্রশাসন।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতির মাধ্যমে এই বহিষ্কারাদেশ জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এতদ্বারা আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে আনুমানিক দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে আপনি ক্যান্টিনে গিয়ে দুপুরের খাবার নিয়ে চলে যাওয়ার সময় বাকি খাতায় লিখে রাখতে বলেন। এ সময় ক্যান্টিনের ক্যাটারার জন্য মো. ফাহিম আপনার নিকট পূর্বের বাকি ২ হাজার ৬৫০ টাকা চাওয়ায় আপনি পরে পরিশোধ করবেন বলে জানান। ক্যান্টিনের ক্যাটারার তার ম্যানেজারকে বলে পরবর্তীতে আপনাকে আর বাকি খাবার না দিতে। এতে আপনি মেজাজ হারিয়ে ফাহিমের কলার চেপে ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং চর-থাপ্পড় দেন। একপর্যায়ে, আপনি ফাহিমের শার্টের কলার এবং দাড়ি ছিঁড়ে ফেলেন। ছাত্ররা আপনাদের দুজনকে আলাদা করে দিলে আপনি পরবর্তীতে ফাহিমকে ডেকে নিয়ে শাসান এবং এই ঘটনা নিয়ে কোনোরূপ বাড়াবাড়ি না করতে বলেন।’ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘উপরোক্ত ঘটনায় ক্যান্টিন ক্যাটারারের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রদত্ত রিপোর্টে ও সকল সাক্ষ্য-প্রমাণ, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদির ভিত্তিতে আপনি দোষী হিসেবে প্রমাণিত। এ ছাড়া গত ২০২১ সালের বিএ (সম্মান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় এবং এমএ শ্রেণিতে ভর্তি না হওয়ায় বর্তমানে আপনার ছাত্রত্বও নেই, তথাপি আপনি হলে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন।’ অতি দ্রুত হল ত্যাগের নির্দেশ প্রদান করে এতে বলা হয়, ‘এ ধরনের ঘটনা ঘটানো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি লঙ্ঘন, মর্যাদা ও আইনের পরিপন্থি। উল্লিখিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার (বিশেষ দ্বৈতাবাসিক কক্ষ নং- ১৭৯) বরাদ্দকৃত সিট বাতিলসহ আগামী ২৩-০২-২০২৪ তারিখের মধ্যে আপনাকে হল ত্যাগের নির্দেশ প্রদান করা হলো। ভবিষ্যতে আপনাকে হলে অবস্থান করতে দেখা গেলে আপনার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হলের ক্যান্টিনে খাওয়ার পর ক্যান্টিন মালিক মো. ফাহিম হোসাইন (৩৫) এদিনের খাবার বিলসহ পূর্বের বকেয়া বিল (২৬৫০ টাকা) চাইলে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং এই ছাত্রলীগ নেতা তার (ক্যান্টিন মালিক) এবং ক্যান্টিন ম্যানেজারের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় ক্যান্টিন মালিকের মুখ থেকে এক মুষ্টি দাড়ি ও পরনের শার্ট-গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলেন। এরপর ভুক্তভোগী ফাহিম হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিলে তা আমলে নিয়ে তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান।  অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী ফাহিম উল্লেখ করেছিলেন, ‘দুপুরে ক্যান্টিন চলাবস্থায় আমি ক্যাশে বসা ছিলাম। এমন সময় মো. আরাফাত হোসেন অভি এসে আমার কাছে খাবার চায়, আমি খাবার দিলাম এবং আগের বাকি টাকা ২ হাজার ৬৫০ টাকা তার কাছে চাওয়াতে তিনি আমার উপরে উত্ত্যক্ত হয়ে অতর্কিত হামলা করে বসে। এ সময়ে তিনি আমার গায়ে হাত তুলে এবং আমাকেসহ আমার ম্যানেজারকে দুই দফা মারধর করে। এ সময়ে তিনি আমার দাড়ি, শার্ট, লুঙ্গি, গেঞ্জি টেনে ছিঁড়ে ফেলে। আমি নিরুপায় হয়ে ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে যাই এবং হলের ছাত্রদের কাছে আশ্রয় নেই। অভিযোগের বিষয়ে আরাফাত হোসাইন অভি ঘটনার দিন বলেছিলেন, আমি দুপুরে খাবার খেতে গেলে ক্যান্টিন মালিক বকেয়া টাকা চাইলে আমি বললাম আমার বিকাশে সমস্যা টাকা তুলতে পারছি না। আমি প্রমাণও দেখাইলাম। পরে আমি সেখান থেকে বের হওয়ার সময় তিনি ম্যানেজারকে বললেন আমাকে যেন নেক্সট টাইম খাবার না দেয়। এটা শুনে আমি ক্যান্টিন মালিককে বললাম আপনি এটা কেমন কথা বললেন, সমস্যা তো থাকতে পারে। এরপর হঠাৎ করে তিনি আমাকে ধাক্কা মারেন, আমিও তার কলার টেনে ধরি। তারপর ধাক্কাধাক্কির মধ্যে তার দাঁড়িতে আমার হাত লেগে ছিঁড়ে যায়। তিনি আমাকে প্রথম ধাক্কা দেয়। আমি কোনো মারধর করিনি। উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত স্বাক্ষরিত এক বিবৃতির মাধ্যমে সূর্যসেন হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

দাড়ি ছিঁড়ে ফেলা সেই ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার 
ক্যান্টিনে খাওয়ার পর পাওনা টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন মালিককে মারধর করে দাড়ি ছিঁড়ে ফেলা ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত হোসেন অভিকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত স্বাক্ষরিত এক বিবৃতির মাধ্যমে এই বহিষ্কারাদেশ জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে আরাফাত হোসেন অভি (সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মাস্টারদা সূর্যসেন হল শাখা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) কে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো। এর আগে গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সূর্যসেন হলের ক্যান্টিনে খাওয়ার পর ক্যান্টিন মালিক মো. ফাহিম হোসাইন (৩৫) এদিনের খাবার বিলসহ পূর্বের বকেয়া বিল (২৬৫০ টাকা) চাইলে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং এই ছাত্রলীগ নেতা তার (ক্যান্টিন মালিক) এবং ক্যান্টিন ম্যানেজারের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় ক্যান্টিন মালিকের মুখ থেকে এক মুষ্টি দাঁড়ি ও পরনের শার্ট-গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলেন। এরপর ভুক্তভোগী ফাহিম হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিলে তা আমলে নিয়ে তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান।  অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী ফাহিম উল্লেখ করেন, আজ (সোমবার) দুপুরে ক্যান্টিন চলাবস্থায় আমি ক্যাশে বসা ছিলাম। এমন সময় মো. আরাফাত হোসেন অভি এসে আমার কাছে খাবার চায়, আমি খাবার দিলাম এবং আগের বাকি টাকা ২৬৫০ টাকা তার কাছে চাওয়াতে তিনি আমার উপরে উত্ত্যক্ত হয়ে অতর্কিত হামলা করে বসে। এ সময়ে তিনি আমার গায়ে হাত তুলে এবং আমাকেসহ আমার ম্যানেজারকে দুই দফা মারধর করে। এ সময়ে তিনি আমার দাড়ি, শার্ট, লুঙ্গি, গেঞ্জি টেনে ছিঁড়ে ফেলে। আমি নিরুপায় হয়ে ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে যাই এবং হলের ছাত্রদের কাছে আশ্রয় নেই। উল্লেখ্য, এর আগে তিনবার তার কাছ হতে টাকা চাওয়াতে তিনি আমাকে রুমে ডেকে নিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। অভিযোগের বিষয়ে আরাফাত হোসাইন অভি ঘটনার দিন বলেছিলেন, আমি দুপুরে খাবার খেতে গেলে ক্যান্টিন মালিক বকেয়া টাকা চাইলে আমি বললাম আমার বিকাশে সমস্যা টাকা তুলতে পারছি না। আমি প্রমাণও দেখাইলাম। পরে আমি সেখান থেকে বের হওয়ার সময় তিনি ম্যানেজারকে বললেন আমাকে যেন নেক্সট টাইম খাবার না দেয়। এটা শুনে আমি ক্যান্টিন মালিককে বললাম আপনি এটা কেমন কথা বললেন, সমস্যা তো থাকতে পারে। এরপর হঠাৎ করে তিনি আমাকে ধাক্কা মারেন, আমিও তার কলার টেনে ধরি। তারপর ধাক্কাধাক্কির মধ্যে তার দাঁড়িতে আমার হাত লেগে ছিঁড়ে যায়। তিনি আমাকে প্রথম ধাক্কা দেয়। আমি কোনো মারধর করিনি। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূইয়া কালবেলাকে বলেন, তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পাওনা টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন মালিকের দাড়ি ছিঁড়ল ছাত্রলীগ নেতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সূর্যসেন হলের ক্যান্টিনে খাওয়ার পর বাকি টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন মালিককে মারধর করে দাড়ি ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে হলের এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সূর্যসেন হলের ক্যান্টিনের কাউন্টারের সামনে দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। এসময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ক্যান্টিন মালিকের শার্ট ও গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলে এবং ক্যান্টিন ম্যানেজারকেও মারধর করে। ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম আরাফাত হোসাইন অভি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এ ছাড়া, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, ভুক্তভোগী ক্যান্টিন মালিকের নাম মো. ফাহিম হোসেন (৩৫)। তার বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ প্রদানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। ঘটনার বর্ণনায় ক্যান্টিন মালিক ফাহিম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ নেতা অভি আজকে খাবার খেতে আসছে। কালকে আসেনি। এর আগে পরশু দিন আবার খাবার নিয়ে গেছে, বিল দেয়নি। পরশু দিন একবার বলছি, ভাই আমার আগের কয়ডা টাকা আছে, আর আজকের বিলটা। ওইদিন কইছে, তোমাকে পরে দিব। আজ আবার খাইতে আসছে। তখন কইলাম, ভাই বিলটা দেন। এর আগেরও কিছু বিল আছে। এরপর সে কইতাছে, পরে দিমু তোমারে, লিখা রাখ। পরে আমি কইছি, আচ্ছা লিখা রাখতেছি। এরপর তার সঙ্গে আমার কথা শেষ। এটা ম্যানেজারকে লিখতে বলতেছি, ৬টা খানার সঙ্গে এই বিলটা লেখ। পরে উনি আর বাকি খাইব না। তিনি আরও বলেন, এরপর দুই-তিন মিনিট চইলা গেছে। তখন ঘুইরা আইসা বলতাছে, এই ফাহিম এদিকে আয়। পরে গেছি। যাওয়ার পর কইতাছে, কার লগে কীভাবে কী কইতে হয় জানস না? তখন আমি বললাম, আমি কী কইছি ভাই? আমি তো বিলটা চাইলাম খালি। আমি কইছি না, বিল পরে দিমু? এটা বলেই সে আমার দাঁড়ি ধইরা এক মুষ্টি দাড়ি ছিঁড়ে ফেলছে। তখন যা মুখে আসছে তাই বলে গালি দিছে আর আমাকে ও ম্যানেজারকে কিল, ঘুষি, লাথি দেওয়া শুরু করল। এসময় আমার শার্ট এবং গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলে সে। আমি এই ব্যাপারে সূর্যসেন হল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিব। অভিযোগের বিষয়ে আরাফাত হোসাইন অভি বলেন, আমি দুপুরে খাবার খেতে গেলে ক্যান্টিন মালিক বকেয়া টাকা চাইলে আমি বললাম- আমার বিকাশে সমস্যা, টাকা তুলতে পারছি না। আমি প্রমাণও দেখাইলাম। পরে আমি সেখান থেকে বের হওয়ার সময় তিনি ম্যানেজারকে বললেন, আমাকে যেন নেক্সট টাইম খাবার না দেয়। এটা শুনে আমি ক্যান্টিন মালিককে বললাম, আপনি এটা কেমন কথা বললেন, সমস্যা তো থাকতে পারে। এরপর হঠাৎ করে তিনি আমাকে ধাক্কা মারেন, আমিও তার কলার টেনে ধরি। তারপর ধাক্কাধাক্কির মধ্যে তার দাঁড়িতে আমার হাত লেগে ছিঁড়ে যায়। তিনি আমাকে প্রথম ধাক্কা দেয়। আমি কোনো মারধর করিনি। এ প্রসঙ্গে তানভীর হাসান সৈকত বলেন, অভি নামের কাউকে চিনি বলে মনে হচ্ছে না। সে যদি আমার অনুসারীই হয়ে থাকে তাহলে অভিযোগ আসলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ধরনের ঘটনা তো মানা যায় না। এটা দুঃখজনক। ছাত্রলীগের যে কোনো নেতাকর্মী কোনো অপরাধ করে থাকলে, তা আমাদের কানে আসলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব। এ বিষয়ে সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টা আমি জেনেছি। ক্যান্টিন মালিককে একটি অভিযোগ দিতে বলেছি। এরপর অভিযোগপত্র পেলে তদন্ত কমিটি গঠন পূর্বক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নারীদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ দাড়ি নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড
সম্প্রতি নারীদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ দাড়ি নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন এক মার্কিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মার্কিন ওই নারীর নাম এরিন হানিকাট। বয়স ৩৮ বছর।  গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দেওয়া তথ্যানুসারে, এরিন হানিকাটের দাড়ির বর্তমান দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ দশমিক ৮ ইঞ্চি বা ৩০ সেন্টিমিটার। গিনেস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম নামে একটি রোগের কারণেই এরিনের দাড়ি এত বড়।  জানা যায়, মূলত পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম নামে একটি রোগের কারণেই এরিনের দাড়ি এত বড়। অবশ্য তিনি প্রতিদিন তিনবার দাড়ি কামাতেন। কিন্তু বিগত কয়েক দিন ধরেই তিনি দাড়ি কামানো বাদ দিয়ে তার দাড়ি লম্বা করেছেন।  হানিকাট জানান, মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকেই হানিকাটের মুখে দাড়ি গজাতে থাকে। এর পর থেকে তিনি নানাভাবেই দাড়ি ছাড়া থাকার চেষ্টা করেছেন। শেভ করা, ওয়্যাক্সিং, হেয়ার রিমুভাল—এমন কোনো উপায় নেই যা এরিন হানিকাট ব্যবহার করেননি। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। হানিকাট বলেন, ‘এমন একটা সময় ছিল—যখন আমি দিনে তিনবার শেভ করতাম।’  গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি এরিন হানিকাটের দাড়িকে নারীদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ দাড়ি বলে স্বীকৃতি দেয়। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ভিভিয়ান হুইলার নামের এক নারীর। তার দাড়ির দৈর্ঘ্য ছিল সাড়ে ২৫ সেন্টিমিটার।
১২ আগস্ট, ২০২৩
X