Wed, 15 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
বিএনপির ৫২ নেতা বহিষ্কার
কিছুক্ষণ আগে
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিচ্ছে ওয়ান ব্যাংক, পদসংখ্যা ১০০
৩৬ মিনিট আগে
গত বছর ঢাকাবাসীকে রোগমুক্ত রাখতে পেরেছি : তাপস
৫৯ মিনিট আগে
চূড়ান্ত রায়ের আগে কনডেম সেলে নয়, হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত
১ ঘণ্টা আগে
গরমে বেড়েছে তালের শাঁসের চাহিদা
১ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১৫ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
ধূমপান করে ভাইরাল সেই নারী ইউপি সদস্য কারাগারে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সংরক্ষিত এক ইউপি সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। কারাগারে যাওয়া ফাতেমা আক্তার লিপি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম ফারুক তাকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে ফাতেমা আক্তার লিপির ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে উন্মুক্ত ধূমপানের ভিডিও দৈনিক কালবেলায় প্রকাশ হলে দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী নাজমুল হাসান বলেন, ফাতেমা আক্তার লিপি ২০২৩ সালের ৯ জুলাই মাধবপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়ে নিজ ফেসবুক আইডি থেকে মানহানিকর ও আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেয়। তিনি বলেন, পরদিন একই আইডি থেকে আবারও আপত্তিকর মন্তব্য করে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। তাকে এসব পোস্ট ও ভিডিও প্রচার বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলে তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। পরে তার বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলী বেগ বাদী হয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। তিনি আরও বলেন, মামলাটি এয়ারপোর্ট থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত বিবাদীর বিরুদ্ধে সমন জারি করে। বৃহস্পতিবার ফাতেমা আক্তার ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান বেঞ্চ সহকারী।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪
ইডেনে ধূমপান করে বিতর্কে কিং খান
শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আইপিল। আসরের দ্বিতীয় দিনেই মাঠে নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ম্যাচটিতে দুবারের শিরোপাজয়ীরা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপেক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় পেলেও উপরি পাওনা হিসেবে পেয়েছে নানা বিতর্ক। মাঠে অসংযত আচরণের জন্য শাস্তি পেতে হয়েছে কলকাতার শেষ ওভারের নায়ক হর্ষিত রানাকে। কেকেআরের তরুণ পেস বোলারের সঙ্গে সমালোচনার মুখে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক শাহরুখ খানও। ইডেন গার্ডেনসের বিশেষ বক্সে বলিউড বাদশাকে ধূমপান করতে দেখা গিয়েছে শনিবার (২৩ মার্চ) কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মধ্যে ম্যাচ চলার সময়। এই ঘটনাতেও সামাজিক মাধ্যমে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছে। #ShahRukhKhan is smoking in the stadium and Hakla is an inspiration (Irony) pic.twitter.com/MqukSRF9AY — Prince (@purohit_pr78001) March 23, 2024 আইপিএলের ২০২৪ সালের আসরে কেকেআরের প্রথম ম্যাচ দেখতে শনিবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় কলকাতায় আসেন শাহরুখ। বিমানবন্দর থেকে স্টেডিয়ামে চলে যাওয়া কিং খানকে ঘিরে ভক্তদের উন্মাদনা ছিল সর্বত্র। উচ্ছ্বসিত জনতার দিকে হাত নাড়তে বা চুমু ছুড়ে দিতেও কার্পণ্য করেননি শাহরুখ। দল জেতার পর মাঠে নেমে গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন সমর্থনের জন্য। তবু বিতর্কে জড়িয়েছেন কেকেআরের অন্যতম কর্ণধার। ম্যাচ চলাকালীন ইডেনের স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে শাহরুখের ধূমপানের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যেই। শাহরুখ ইডেনের বস্কের ভেতরে ধূমপান করলেও তা ধরা পড়ে যায় টেলিভিশনের ক্যামেরায়। খেলার মাঠে তার ধূমপান ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। শুরু হয়েছে সমালোচনা। কেকেআর সমর্থকদের মন জিতেও সমালোচিত হতে হল শাহরুখকে। কড়া নিরাপত্তার জন্য সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরা দেশলাই, লাইটার, ছাতা, পানির বোতলসহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে ইডেনে ঢুকতে পারেন না। তা হলে তারকা বলেই কি ছাড় পেয়েছেন শাহরুখ? এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে ইডেনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। ক্রিকেট মাঠে ধূমপানের ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। অতীতে শেন ওয়ার্নের মতো ক্রিকেটারকেও মাঠে ধূমপান করতে দেখা গিয়েছিল। কয়েক দিন আগে পাকিস্তান সুপার লিগের ফাইনালে অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিমকে সাজঘরের মধ্যে ধূমপান করতে দেখা যায়।
২৪ মার্চ, ২০২৪
সেহরির পর ধূমপান করলে রোজা হবে কি?
পবিত্র রমজান মাস চলছে। এ সময় সব মুসলমানের চেষ্টা থাকে সঠিক নিয়মে রোজা পালন করা। এখানেই সমস্যায় পড়ে অনেকে। এক্ষেত্রে যারা ধূমপান তরে থাকে তাদের সমস্যা একটু বেশি। রোজায় ধূমপান করতে গিয়ে রোজার কোনো ক্ষতি হচ্ছে কি না তা নিয়ে সংসয়ে পড়ে যায় অনেকে। এমন সংসয় থাকা স্বাভাবিক। কারণ ধূমপান করা এমনিতেই ঠিক না। ইসলামেও এটা নিষেধ করা হয়েছে। রোজা থাকা অবস্থায় ধূমপান করলে রোজা ভঙ্গ হয়। তাই রমজানে দিনের বেলায় বিশ্বাসী মুমিন রোজাদার ব্যক্তি ধূমপান করেন না। এখন প্রশ্ন হলো সেহরিতে বা ইফতারের পর ধূমপান করলে রোজার ক্ষতি হয় কি না? একটি বেসরকারি টেলিভিশন অনুষ্ঠান চলাকালে বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহর কাছে এমন একটি প্রশ্ন করা হয়। যার জবাবে তিনি বলেন- যেটা হারাম, সেটা হারামই হবে। যেটা খারাপ, সেটা খারাপই। সুতরাং, এটা পরিহার করার জন্য চেষ্টা করুন। সেহেতু আপনি আল্লাহর বান্দা হিসেবে সিয়াম পালন করতে পারছেন, এই দীর্ঘ সময় আপনি ধূমপান ছাড়া থাকতে পারছেন, তাহলে বোঝা গেল আপনি এটা অবশ্যই পরিহার করতে পারবেন। আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্য সিয়াম পালন করছেন। হারাম কাজের মধ্যে নিজেকে জড়িত করে আপনি যতই সামনে দৌড়ান না কেন, আপনি সামনে যেতে পারবেন না। তিনি আরও বলেন, হারাম কাজ আপনাকে পেছনে নিয়ে যাবে। যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা, মিথ্যাচার এবং যে গর্হিত বিষয় আছে, সেগুলো পরিহার করতে পারল না, তার সিয়াম শুধু লোক দেখানো হবে। এই সিয়ামের মাধ্যমে আপনি আল্লাহর মূল উদ্দেশ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবেন না।
১৩ মার্চ, ২০২৪
শিশুদের সামনে ধূমপান করলেই দেড় লাখ টাকা জরিমানা
ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়ে অজানা নয় কারোর। প্রতিবছর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষের ধূমপানের কারণে মৃত্যু হয়। কেবল ধূমপানকারী নিজে নয়, এর দ্বারা অন্যরাও প্রভাবিত হন। এবার ধূমপানের বিরুদ্ধে কঠোর আইন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশুদের সুরক্ষা দিতে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে আমিরাত সরকার। দেশটির শিশু অধিকারসংক্রান্ত ওয়াদিমা আইনানুসারে শিশুদের সামনে ধূমপান বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে। আইনানুসারে, দেশটিতে পাবলিক বা প্রাইভেট গাড়িতে বা আবদ্ধ জায়গায় ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামনে ধূমপানকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারের এ আইন অমান্য করলে ৫ হাজার দিরহাম জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় দেড় লাখ টাকা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, কোনো ব্যক্তি নিজে ধূমপান না করলেও ধূমপানকারীর সংস্পর্শে আসার কারণে তার স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ে। ফলে শিশুদের সামনে ধূমপানের কারণে তাদেরও স্বাস্থ্যগত ক্ষতি হতে পারে। এ ক্ষতি এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, শিশুদের সামনে ধূমপান নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে নিকোটিন বা তামাকজাতীয় পণ্যও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ আইন অমান্য করলে ১৫ হাজার দিরহাম জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার কাছাকাছি। আইনানুসারে জরিমানা না দিলে তিন মাসের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
‘আমি রাস্তায় ধূমপান করতে পারি না, তাই অফিসে করি’
ঝালকাঠিতে নলছিটি উপজেলার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আহসান কবীর বলেছেন, ‘আমি তো রাস্তায় বা বাইরে ধূমপান করতে পারি না তাই অফিস টাইমের পর অফিসে বসে করেছি।’ সরকারি অফিসে নিজ কার্যালয়ে বসে ধূমপানের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। সেবাগ্রহীতারা তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন। সম্প্রতি তিনি তার কর্মস্থল নলছিটি উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে বসে প্রকাশ্যে ধূমপান করেন। এমন ঘটনার ২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, চেয়ারে বসে প্রকাশ্যে ধূমপান করছেন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আহসান কবীর। এ সময় তার সামনে এক ব্যক্তি বসা ছিলেন ও ফাইল নিয়ে দুই ব্যক্তিকে দাঁড়ানো দেখা গেছে। আর তিনি এক হাতে কম্পিউটারের কিবোর্ড চাপছেন অন্য হাতে সিগারেট টানছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিজ কার্যালয়ে বসেই নিয়মিত ধূমপান করেন তিনি। প্রায় সময় তার এক হাতে থাকে সিগারেট, অন্য হাতে সেবা গ্রহীতাদের ফাইলে সই করেন। অফিসের কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না। এদিকে অফিসে বসে প্রকাশ্যে ধূমপানের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেবাগ্রহীতা ও সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে সচেতন মহলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেবাগ্রহীতা বলেন, আমাদের প্রায়ই উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কক্ষে যেতে হয়। অফিসে বসেই একের পর এক সিগারেট ধরান তিনি। দুর্গন্ধে তার কক্ষে যাওয়া কষ্টকর হয়। অফিসে যত লোকই থাকুক, তিনি সবার সামনেই ধূমপান করেন। এটা তার নিত্যদিনের অভ্যাস। এ বিষয়ে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আহসান হাবীব বলেন, অফিসে বসে ধূমপান করাটা আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি আমার ডিপার্টমেন্টকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে বরিশাল ডেপুটি ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টস মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অফিস কক্ষে প্রকাশ্যে ধূমপান করার ঘটনায় তাকে লিখিতভাবে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
স্বাস্থ্য /
ধূমপান থেকে চোখের রোগ
ধূমপান শুধু ফুসফুসের নয়, চোখেরও ক্ষতি করে। ধূমপান চোখের রেটিনা, লেন্স ও ম্যাকুলারের মতো অংশ—যেগুলো দৃষ্টিশক্তি সুস্থ রাখতে জরুরি, সে অংশের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। তামাকের ধোঁয়ায় প্রায় ছয় হাজারের বেশি রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। মূলত এগুলোই এ ক্ষতির জন্য দায়ী। ধূমপানের ফলে চোখের যে প্রধান সমস্যা দেখা যায় সেগুলো হলো— ছানি: অতিরিক্ত ধূমপানে ছানি দেখা দেয়। এ রোগে রোগীর দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে। ছানিজনিত সমস্যা হলে চোখের লেন্সের স্বচ্ছতা কমে যায়, চোখের আলো সহ্য করার ক্ষমতাও কমতে থাকে। এতে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হতে শুরু করে। গ্লুকোমা: সারা বিশ্বে ছানির পর গ্লুকোমা অন্ধত্বের দ্বিতীয় কারণ। এটি চোখের এমন এক রোগ যাতে অপটিক স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও রোগী অন্ধ হয়ে যায়। ধূমপানের ফলে গ্লুকোমা হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে বেড়ে যায়। চোখ শুকিয়ে যাওয়া: সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক চোখের জলীয় পদার্থ শুষে নেয়। ফলে চোখ ধীরে ধীরে শুষ্ক হয়ে পড়ে। সাধারণত লাল ভাব, জ্বালা করা, চোখে অস্বস্তি এসব চোখ শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণ। দীর্ঘদিন এমনভাবে চলতে থাকলে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। বয়সজনিত ম্যাকুলার ক্ষয়: ম্যাকুলা হলো রেটিনার কেন্দ্রীয় অংশ, যা দেখার জন্য দায়ী। যারা কখনো ধূমপান করেননি তাদের চেয়ে ধূমপায়ীদের বয়সজনিত ম্যাকুলার ক্ষয়ের ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এ সমস্যার ফলে গাড়ি চালাতে, বই পড়তে ও রং চিনতে অসুবিধা হয়ে থাকে। যদি সঠিক চিকিৎসা না হয়, তবে এ রোগে অন্ধত্বও দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিসজনিত রেটিনা সমস্যা: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপান এই রোগের ঝুঁকি প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। এই রোগের কারণে আংশিক অন্ধত্বের আশঙ্কা থাকে। ইউভিয়াইটিস: চোখের তিনটি স্তর রয়েছে। মাঝের স্তরকে বলা হয় ইউভিয়া এবং চোখের এই মাঝের স্তরের প্রদাহকে ইউভিয়াইটিস বলে। ইউভিয়াইটিসের ফলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা, আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা, চোখের লাল ভাব, ব্যথা, এমনকি দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হতে পারে। ইউভিয়াইটিস প্রায়ই ২০-৫০ বছর বয়সে ঘটে থাকে। ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটে। থাইরয়েডের সমস্যাজনিত চোখের রোগ: গ্রেভস রোগ এমন একটি অবস্থা যেখানে থাইরয়েড গ্রন্থি অতিরিক্ত হরমোন তৈরি করে। গ্রেভস রোগে আক্রান্তদের প্রায় চতুর্থাংশের থাইরয়েড চোখের রোগ হয়। অধিক ধূমপায়ীদের মধ্যে থাইরয়েড চোখের রোগ হওয়ার আশঙ্কা অধূমপায়ীদের তুলনায় চারগুণ বেড়ে যায়। শিশুর চোখে সমস্যা: যেসব নারী গর্ভাবস্থায় ধূমপান করেন তাদের অপরিণত (প্রিম্যাচিউর) শিশুর জন্ম দেওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। অপরিণত জন্ম নেওয়া শিশুদের চোখের সমস্যার ঝুঁকিও বেশি। প্রতিকার n প্রথমত ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সেটা ছাড়তে হবে। n অতিবেগুনি রশ্মি ও প্রখর সূর্যালোক প্রতিরোধে উন্নতমানের রোদ চশমা ব্যবহার করতে হবে। n বারবার চোখে পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার রাখার অভ্যাস করতে হবে। n দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনে দৃষ্টি রেখে কাজ করতে হলে কিছু সময় পরপর চোখকে বিশ্রাম দিন। n নিয়মিত চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিন। লেখক: কনসালট্যান্ট (চক্ষু), দীন মোহাম্মদ আই হসপিটাল, সোবহানবাগ, ঢাকা।
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪
পরোক্ষ ধূমপান থেকে রেহাই নেই অধূমপায়ীর
অধূমপায়ীদের সুরক্ষায় পাবলিক প্লেসে ধূমপায়ীদের জন্য নির্ধারিত এলাকা (ডেজিগনেটেড স্মোকিং এরিয়া-ডিএসএ) স্থাপন বাধ্যতামূলক করা আছে। ধূমপায়ীদের কারণে যেন অধূমপায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে জন্য প্রচলিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে ডিএসএ বাধ্যতামূলক করা হয়। বাস্তবতা হচ্ছে বিধানটি প্রায় শতভাগ অকার্যকর। আইনের বিধান মেনে রাজধানীসহ দেশের কোথাও স্থাপন করা হয়নি ডিএসএ। এতে ব্যাপকভাবে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন অধূমপায়ীরা। জনস্বাস্থ্যবিদরা জানিয়েছেন, কানাডা, স্পেন, নেপালসহ বিশ্বের ৬৯ দেশে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করে আইন রয়েছে। অথচ দেশের আইনে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকা, চার দেয়ালে আবদ্ধ এক কক্ষবিশিষ্ট নয় এমন রেস্টুরেন্ট, একাধিক কক্ষবিশিষ্ট গণপরিবহনে (ট্রেন, লঞ্চ) ও অযান্ত্রিক পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের স্থান রাখা যাবে। দেশের প্রেক্ষাপটে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকা (ডিএসএ) কোনোভাবেই অধূমপায়ীদের পরোক্ষ ধূমপানের ছোবল থেকে সুরক্ষা করতে পারে না। বরং বিষয়টি অধূমপায়ীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হুমকি। এমনকি এই বিধান চালু রেখে ধূমপানমুক্ত আইন বা নীতির সুফল পাওয়া সম্ভব নয়। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা ৭ সংশোধন করে সব ধরনের পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করা, ধূমপানসহ যে কোনো ধরনের তামাক ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে। আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে রেস্টুরেন্টগুলোতে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট স্থান রাখার বিধান বাতিল করলে জনস্বাস্থ্যের জন্য তা অশেষ উপকারী হবে বলেও মত তাদের। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫ অনুযায়ী চতুর্দিকে দেয়াল দিয়ে আবদ্ধ রেস্টুরেন্টসহ অধিকাংশ আচ্ছাদিত পাবলিক প্লেস এবং কর্মক্ষেত্রে ধূমপান নিষিদ্ধ। তবে, মাত্র কয়েকটি স্থান ছাড়া বেশিরভাগ পাবলিক প্লেস এবং একাধিক কামরাবিশিষ্ট গণপরিবহনে (ট্রেন, স্টিমার) ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান রাখার সুযোগ আছে। ফলে, অধূমপায়ীদের পাশাপাশি এসব স্থানের সেবাদান করা কর্মীরাও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বা ডিএসএ বাতিল করা গেলে পাবলিক প্লেস ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবহারকারীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৮৫ শতাংশ কমতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপানের নির্ধারিত এলাকাগুলোতে পরিপূর্ণ আইন মানা হয় না। ঢাকা শহরের ১১৮টি আবাসিক হোটেল ও ৩৫৫টি রেস্টুরেন্ট এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ৫৩টি ট্রেনের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মোট ৫২৬টি গবেষিত ভেন্যুর মধ্যে মাত্র ৪১টিতে (আট ভাগ) ডিএসএ পাওয়া গেছে, যার একটিতেও পরিপূর্ণভাবে আইন মেনে ডিএসএ রাখা হয়নি। জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ এবং গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) যৌথভাবে প্রিভিলেন্স অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স অব ডেজিগনেটেড স্মোকিং এরিয়াস (ডিএসএ) ইন হসপিটালিটি ভেন্যুস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন ইন ঢাকা, বাংলাদেশ শীর্ষক এ গবেষণা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ১১৮টি আবাসিক হোটেলের মধ্যে মাত্র ১৮টিতে ডিএসএ পাওয়া গেছে। সাতটি হোটেলের ডিএসএ ধূমপানমুক্ত এলাকা থেকে আলাদা নয় এবং সাতটিতে সেবাদানের জন্য কর্মীদের ডিএসএ অতিক্রম করতে হয়। উল্লেখ্য, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকাকে ধূমপানমুক্ত এলাকা থেকে পৃথক রাখার বিধান আছে। আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও ১৭টি হোটেলের ডিএসএতে সতর্কতামূলক নোটিশ প্রদর্শন করা হয়নি। গবেষণায় ৫৩টি ট্রেনের ২১টিতে ডিএসএ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে সাতটিতে বিভিন্ন খাবার এবং পানীয় বিক্রি হওয়ায় অধূমপায়ীদের পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হওয়ার সুযোগ আছে। ডিএসএ থাকা ২১টি ট্রেনের কোনোটিতেই ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকা বা ডিএসএ-সংক্রান্ত কোনো নোটিশ দেখা যায়নি। অর্থাৎ একটি ট্রেনেও পরিপূর্ণভাবে আইন মেনে ডিএসএ রাখা হয়নি। ৩৫৫টি রেস্টুরেন্টের মধ্যে মাত্র দুটিতে ডিএসএ পাওয়া গেছে এবং কোনোটিতেই এ-সংক্রান্ত আইন পরিপূর্ণভাবে মানা হয়নি। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির হিসাবমতে, বাংলাদেশে ৫০ হাজারেরও বেশি রেস্তোরাঁ আছে। আর গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) ২০১৭-এর তথ্য মতে, ৫০ শতাংশ মানুষ রেস্তোরাঁয় পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। এ ছাড়া, হসপিটালিটি সেক্টরের অন্যান্য ক্ষেত্রেও অধূমপায়ীরা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। অন্যদিকে, তামাক কোম্পানি বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, হোটেল, রিসোর্টে প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন করছে। হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, পরোক্ষ ধূমপানের অন্যতম কারণ হলো স্মোকিং জোন। বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে ডিএসএ রাখা আমাদের জন্য ভুল ছিল। তখন চিন্তা করা হয়েছিল ডিএসএ বাস্তবায়ন হলে অধূমপায়ীদের সুরক্ষা দেওয়া যাবে। বাস্তবতা ভিন্ন। তামাক কোম্পানির অর্থায়নে ডিএসএ এমনভাবে তৈরি করা হয় যেখানে তরুণদের আকৃষ্ট করে। তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার বলেন, বিদ্যমান আইনে ডিএসএ রাখার বিধান থাকায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ডিএসএ বাতিল করার জন্য বিভিন্ন সচেতন মহলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩
ধূমপান করতে নিষেধ করায় ছাত্রলীগ নেতাকে ছুরিকাঘাত
ফেনীতে তুচ্ছ ঘটনায় একজন ছাত্রলীগ নেতা ছুরিকাহত হয়েছেন। তার নাম প্রসেনজিত ভৌমিক প্রকাশ রূপম (২৭)। তিনি ফেনী পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক। শহরের ডাক্তার পাড়ায় পরিবারের সাথে থাকেন। পৈতৃক বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর। অপরজন আহত জাহিদ হোসেন। তাকেও হামলাকারীরা পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে। তিনি ১০নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে সে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ফেনী শহরের ডাক্তার পাড়ায় নুরুজ্জামান উকিল সড়ক এলাকায় তার তলপেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। প্রথমে তাকে ফেনী সদর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ জানায়, তারা একজনকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনার কথা শুনেছে। তবে বিস্তারিত জানাতে পারেননি। থানায় কোনো অভিযোগও করা হয়নি। আহত রূপমের বন্ধু মো. রিয়াজ জানায়, অতি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়েরা রূপমকে ছুরিকাহত করেছে। দুপুরে সিনিয়রদের সামনে জুনিয়রদের সিগারেট খেতে নিষেধ করেছিলেন রূপমের সাথে থাকা অন্য একজন। এ নিয়ে একটু কথাকাটাকাটি হয়। তখন তারা চলে যায়। দুপুরের পর আরও কয়েকজনকে সাথে নিয়ে আসে এবং রূপমকে একা পেয়ে ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহম্মদ জানান, তিনি নির্বাচনসংক্রান্ত কাজে শহরের বাইরে রয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে খবর নিয়ে জানাবেন। ফেনী সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান জানান, পুলিশ ওই ঘটনা শুনেছেন। তবে কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
প্রকাশ্যে ধূমপান চলছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে (যবিপ্রবি) ধূমপানমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হলেও তা শুধু ঘোষণাতেই আবদ্ধ, বাস্তবচিত্রে ক্যাম্পাসে প্রতিনিয়ত চলছে প্রকাশ্যে ধূমপান। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের নেই কোনো ধরনের তৎপরতা। ধূমপানসামগ্রী সহজলভ্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ‘স্পটে’ অবাধে ধূমপান করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। যবিপ্রবি প্রাঙ্গণকে সম্পূর্ণভাবে ধূমপান ও মাদকমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হলেও নজরদারির অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রকাশ্যে ধূমপান বেড়েই চলছে। সরজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাডেমিক ভবনের পেছনে, খেলার মাঠের পাশে কদমতলা, কড়ই গাছতলা, শেখ রাসেল জিমনেসিয়ামের পেছনে, শিক্ষার্থী ছাউনি, ক্যাফেটেরিয়ার সামনে বসার স্থান ও দ্বিতীয় তলায় ও প্রধান ফটকের সামনে প্রকাশ্যে চলছে ধূমপান। মূলত যবিপ্রবির প্রধান ফটক ও শেখ রাসেল জিমনেসিয়ামের পেছনে অঘোষিত ধূমপানের স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে অবাধে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল ধূমপায়ীকে প্রকাশ্যে ধূমপান করতে দেখা যায়। অবাধে ও প্রকাশ্যে ধূমপানে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে নারী ও অধূমপায়ী সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও মাঝে মধ্যে বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে বিভিন্ন দোকানে ধূমপানের সময় সিগারেটের ধোঁয়ার মুখে পড়তে হয় নারী শিক্ষার্থীদের। অপরদিকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ধূমপান কিছু ‘স্পটে’ সীমাবদ্ধ থাকলেও সীমানা নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। তারা একাডেমিক ভবনের বিভিন্ন সিঁড়ির পাশে দাঁড়িয়ে প্রকাশেই ধূমপান চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধূমপায়ী এক ছাত্র বলেন, আমি নবম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় ‘স্মোকিং’ শুরু করি। প্রথমে বন্ধুদের সঙ্গে এক-দু টান দিলেও এখন এটা ছাড়া চলা যায় না। দৈনিক ৬০-৮০ টাকা ব্যয় হয় সিগারেটের পেছনে। জনসম্মুখে ধূমপান করার বিষয়ে এই ছাত্র বলেন, আমি জানি জনসম্মুখে ধূমপান করা উচিত না, এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু পুলিশও তো প্রকাশ্যে ধূমপান করে তাদের তো কেউ কিছু বলে না। অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পূর্বে সে কখনও সিগারেট খাইনি, বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর বন্ধুদের সঙ্গে প্রথম বর্ষে থাকা অবস্থায় ধূমপান করা শিখেছি। এখন এটা ছাড়া আর ভালো লাগে না। কেন খায়, সেটাও নিজে জানে না। তবে প্রতিদিন তার ৮০ থেকে ৯০ টাকা সিগারেটের পেছনে বাড়তি খরচ হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, ক্যাম্পাসের ভেতরে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও আমাদের ক্যাম্পাসের ভেতরে, চলাচলের রাস্তায়, গেটের সামনে, আশপাশের দোকানে দাঁড়িয়ে অনেকেই ধূমপান করেন। এতে আমাদের অস্বস্তি হলেও এসবের ধার ধারেন না ধূমপায়ীরা। প্রশাসনের উচিত এ বিষয়টাকে তীক্ষ্ণ নজরদারিতে রাখা ও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া। এই বিষয়ে অরেকজন ছাত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের অভ্যন্তরে ক্যাফেটেরিয়ার সামনে, কদমতলা, শহীদ মিনারের পাশে, জিমনেসিয়ামের পেছনে জনসম্মুখে সিগারেট খেতে দেখা খুবই বিরক্তিকর। সিনিয়র হোক বা জুনিয়র, কোনো শিক্ষার্থীরই উচিত না ক্যাম্পাসের গণ্ডির ভেতর এমন কাজ করা। বিশেষ করে কিছু ছেলে আছে যারা মেয়েদের দেখেও ধোঁয়া ছাড়ার যে ব্যাপারটা, খুবই অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করে। এমন অনেক মেয়ে আছে যাদের ধূমপানের ধোঁয়ায় অ্যাজমার সমস্যা হয়, কিন্তু ধূমপায়ীরা সিনিয়র বলে তারা কিছু বলতে পারে না। আমি মনে করি, ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরে ধূমপান সবার জন্য নিষিদ্ধ করা উচিত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে যবিপ্রবির প্রক্টর ড. হাসান মোহাম্মদ আল ইমরান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ধূমপানের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ক্যাম্পাসকে ধূমপান ও মাদকমুক্ত রাখতে প্রতিবছরই প্রক্টর দপ্তর থেকে মাদকবিরোধী সেমিনার করা হয়। ক্যাম্পাসকে ধূমপানমুক্ত রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা যেতে পারে। যদি এমন কোনো কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গঠন করা হয় তাহলে ওই কমিটিকে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়কে ধূমপানমুক্ত রাখতে যদি কোনো আইনি সংস্থা ক্যাম্পেইন বা সতর্কতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে চায় তাহলে তাদের আমরা স্বাগত জানাব।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
আরও
X