বড়াইগ্রামে সংরক্ষিত নারী এমপি মুক্তির গণসংবর্ধনা
নাটোরের বড়াইগ্রামে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তিকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার বনপাড়া বাজারে বড়াইগ্রাম উপজেলা ও বনপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন ও বড়াইগ্রাম পৌর মেয়র মাজেদুল বারী নয়ন, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ শোভন, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আতাউর রহমান আতা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আরিফ উদ্দিন সরকার, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান ও নিলুফার ইয়াসমিন ডালু প্রমুখ।
১১ মার্চ, ২০২৪

‘বাবা-চাচা রাজাকার নারী এমপি হচ্ছেন দিলোয়ারা’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ
দৈনিক কালবেলার প্রথম পৃষ্ঠায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ‘বাবা-চাচা রাজাকার নারী এমপি হচ্ছেন দিলোয়ারা’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দিলোয়ারা ইউসুফ। প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় দিলোয়ারা ইউসুফের বাবা নূর আহমেদ কেরানি ও চাচা আলী আহমদ টিকে রাজাকার ছিলেন উল্লেখ করে অসত্য সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। আলী আহমদ টিকে নামে তার (দিলোয়ারা) কোনো চাচা নেই। এ ছাড়া বাবা নূর আহমেদ কেরানি কোনো অবস্থাতেই রাজাকার ছিলেন না। এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই বলে চ্যালেঞ্জ করেন দিলোয়ারা ইউসুফ। দিলোয়ারা বলেন, ‘রাজাকার আলী আহমেদ টিকে আমার চাচা প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। জনৈক হাফেজ কামালকে উদ্ধৃত করে যে কথা লেখা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অসত্য। বরং মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নূর আহমেদ মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা ও অসহায় মানুষকে আশ্রয় দিয়ে পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।’ দিলোয়ারা ইউসুফের বড় ভাই শ ম নজরুল একজন প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ছিলেন। তার স্বামী মোহাম্মদ ইউসুফ সিকদার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিবাদ মিছিল করে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ কারাবরণ করেন। দিলোয়ারা ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পরই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু মহিলা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সংগঠক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করার পর ২০১১ সাল থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে কাজ করেন এবং ২০১৩ সালের সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে দুবার সদস্য নির্বাচিত হয়ে পরবর্তী সময়ে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘বাবা-চাচা রাজাকার নারী এমপি হচ্ছেন দিলোয়ারা’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ
দৈনিক কালবেলার প্রথম পৃষ্ঠায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ‘বাবা-চাচা রাজাকার নারী এমপি হচ্ছেন দিলোয়ারা’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দিলোয়ারা ইউসুফ।  প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় দিলোয়ারা ইউসুফের বাবা নূর আহমেদ কেরানি ও চাচা আলী আহমদ টিকে রাজাকার ছিলেন উল্লেখ করে অসত্য সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। আলী আহমদ টিকে নামে তার (দিলোয়ারার) কোনো চাচা নেই। এ ছাড়া বাবা নূর আহমেদ কেরানি কোনো অবস্থাতেই রাজাকার ছিলেন না। এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই বলে চ্যালেঞ্জ করেন দিলোয়ারা ইউসুফ। দিলোয়ারা বলেন, ‘রাজাকার আলী আহমেদ টিকে আমার চাচা প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। জনৈক হাফেজ কামালকে উদ্ধৃত করে যে কথা লেখা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অসত্য। বরং মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নূর আহমেদ মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা ও অসহায় মানুষকে আশ্রয় দিয়ে পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।’   দিলোয়ারা ইউসুফের বড় ভাই  শ ম নজরুল একজন প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ছিলেন। তার স্বামী মোহাম্মদ ইউসুফ সিকদার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিবাদ মিছিল করে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ কারাবরণ করেন। দিলোয়ারা ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পরই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। পরে সময়ে বঙ্গবন্ধু মহিলা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সংগঠক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করার পর ২০১১ সাল থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে কাজ করেন এবং ২০১৩ সালের সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে দুবার সদস্য নির্বাচিত হয়ে পরবর্তী সময়ে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।   
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বাবা-চাচা ‘রাজাকার’ নারী এমপি হচ্ছেন দিলোয়ারা
চট্টগ্রাম থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দিলোয়ারা ইউসুফ। দুই যুগের অধিক সময় থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। এক দশকের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তবুও যেন অতীত পিছু ছাড়ছে না তার। অভিযোগ রয়েছে, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় দিলোয়ারা ইউসুফের বাবা নূর আহমেদ কেরানী ও চাচা আলী আহমেদ টি কে ছিলেন চিহ্নিত এবং সক্রিয় রাজাকার। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল আওয়ামী লীগ থেকে সংরক্ষিত আসনে দিলোয়ারার মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। বাবা-চাচা মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার হিসেবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার পরও দিলোয়ারা কীভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন—তাদের প্রশ্ন। গত বুধবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম থেকে তিন নারীকে সংরক্ষিত আসনের জন্য মনোনীত করা হয়। তাদের একজন দিলোয়ারা ইউসুফ। তাকে মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকেই চট্টগ্রামের রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে চাপা ক্ষোভ ও মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। স্থানীয়দের ভাষ্য—ফতেপুরের রাজাকার আলী আহমদ যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের ধরিয়ে দেওয়া, নারীদের পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে তাদের সন্তুষ্ট করে পেয়েছিলেন ‘টি কে’ পদবি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দলিল অনুযায়ী, ‘টি কে’ অর্থ ‘তকমায়ে খেদমত’। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আনুগত্যের নিদর্শন হিসেবে দেওয়া হতো বিশেষ এই উপাধি। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মতে, আলী আহমদ এতই দুর্ধর্ষ ছিলেন যে, স্বাধীনতার পরপরই ক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধারা উপর্যুপরি পাথরের আঘাতে তার মাথা থেতলে হত্যা করেছিলেন। দিলোয়ারা ইউসুফের বাবা নূর আহমেদকেও এলাকা ছাড়া করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফেজ কামাল কালবেলাকে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় আলী আহমেদ রাজাকার হিসেবে পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করেই এই ‘টি কে’ উপাধি পেয়েছিলেন। দিলোয়ারা ইউসুফের বাবাও ছিলেন রাজাকার। আমি একদিন বাসে করে যাচ্ছিলাম। এ সময় একই বাসে নূর আহমেদও ছিলেন। তিনি আমাকে হাটহাজারী থানায় ধরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি। তিনি রাজাকার না হলে মুক্তিযোদ্ধাকে কেউ পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিতে চায়? সেই পরিবারের মেয়ে হয়ে দিলোয়ারা ইউসুফ কীভাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান?” এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দিলোয়ারার স্বামী ইউসুফ সিকদার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম কলেজে মিছিল থেকে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবরণ করেন। ১৯৯৪ সালের অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নির্বাচনে মহিলা কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সংগঠক হিসেবে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন দিলোয়ারা ইউসুফ। সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম কালবেলাকে বলেন, ‘এই জেলা থেকে অনেকেই মনোনয়ন চেয়েও পাননি। তাই হয়তো কারও কারও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।’ তবে দিলোয়ারা ইউসুফের চাচা মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার ছিলেন, সেটা স্বীকার করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন কালবেলাকে বলেন, ‘তিনি (দিলোয়ারা) দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এতদিন তো তার ব্যাপারে কেউ আপত্তি তোলেনি, এখন কেন?’ তিনি আরও বলেন, ‘দিলোয়ারা ইউসুফ দলবিরোধী ভূমিকা রেখেছেন কি না, দলের জন্য দুঃসময়ে তার অবদান কী ছিল, সেই বিবেচনায় নারী আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।’ এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলোয়ারা ইউসুফ কালবেলাকে বলেন, ‘রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিহিংসা থাকে। চট্টগ্রাম থেকে অনেকেই দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছিলেন, কিন্তু পাননি। তাই হয়তো কেউ কেউ আমার বিষয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যেসব বিষয়ে তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই, সব ভুয়া। আমি তো বহু বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এগুলো ঈর্ষাকাতরতা ছাড়া কিছু নয়।’
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সাংবাদিক সেজে টাকা আদায়, টার্গেট নারী এমপি প্রার্থী
সাংবাদিক সেজে এমপি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন নামধারী ইউটিউবাররা। যাদের গলায় রয়েছে প্রেস খচিত আইডি কার্ড। সাক্ষাৎকার নেওয়ার নামে প্রার্থীদের ঘিরে রেখে টাকা আদায় করেন তারা। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। এ সময় একই প্রতিষ্ঠানের কার্ডধারী আরও তিনজনকে দেখা গেছে টাকা নিতে। যার নেতৃত্বে ছিলেন এক নারী। এ ধরনের বেশকিছু চিত্র ধরা পড়েছে কালবেলার চোখে। মূলত এ সময় সেখানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম চলছিল। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় এই ফরম বিক্রি। এ সময় সাংবাদিক সেজে সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের থেকে টাকা নেওয়ার ঘটনা নজরে আসে সাংবাদিকদের। তখন এগিয়ে যান সাংবাদিকরা। তবে সাংবাদিকদের দেখেই দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন টাকা আদায়কারী। সাথে থাকা বাকি তিনজন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে চারজনের ওই চক্রের নেত্রী সাংবাদিকদের হুমকিও দেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র নিতে আসা প্রার্থীদের শুরু থেকেই টার্গেটে রাখেন সাংবাদিক নামধারী ওইসব ইউটিউবাররা। মনোনয়ন কিনতে আসা কিংবা কেনা শেষে বের হওয়ার সময় প্রার্থীদের কাছে গিয়ে সাক্ষাৎকারের জন্য ধরনা দেন তারা। সাক্ষাৎকার শেষ হলেই চা, পান কিংবা নাস্তার কথা বলে দাবি করেন টাকা। যাতে কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েন মনোনয়ন প্রার্থীরা। জোরাজুরির একপর্যায়ে টাকা দিতে বাধ্য হন তারা। এদিকে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন ফরম কিনতে সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ কার্যালয়ে একে একে আসতে থাকেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বাড়তে থাকে ভিড়। তবে প্রার্থীদের চেয়ে সেখানে সংবাদকর্মী আর ইউটিউবারদের সংখ্যাই ছিল বেশি।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

চট্টগ্রামে একমাত্র নারী এমপি সনি
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের একমাত্র নারী সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচার শুরুর পর নেতাকর্মী-সমর্থকদের নিয়ে চষে বেড়িয়েছেন পাড়া-মহল্লা ও গ্রাম। নির্বাচনের শেষ দিকে এসে গুঞ্জন উঠে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন হারাচ্ছেন সনি। হতাশ হননি, কটূক্তি ও সমালোচনা শুনলেও সামাল দিয়েছেন নিজেকে। যার ফলও মিলেছে নির্বাচনের দিন। লক্ষাধিক ভোট পেয়ে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে একমাত্র নারী সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সামনের সময়টাতে কাজ করতে চান অনুন্নত এলাকায়। বাবার ভালোবাসার ফটিকছড়িকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান ভিন্ন উচ্চতায়। অগ্রাধিকার পাবে পিছিয়ে থাকা নারীর জীবনমান উন্নয়নে। এজন্য চেয়েছেন সবার সহযোগিতাও। জানা যায়, ১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী। এরপর ১৯৭৯, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে নির্বাচিত হন এল কে সিদ্দিকী। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফের অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে আসনটিতে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রফিকুল আনোয়ার। ২০০১ সালেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভূমিধস জয় পান এ নেতা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সেই আসন দখল করে নেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হয়ে এ আসন দখলে নেন সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে লক্ষাধিক ভোটে জয়লাভ করেন সাবেক এমপি রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। দলীয় কোন্দল ও ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করার কথা উল্লেখ করে এমপি সনি কালবেলাকে বলেন, সবার সঙ্গে আলাপ করে একসঙ্গে কাজ করব। ফটিকছড়ির সিনিয়র নেতারা আছেন। উনাদের পরামর্শ নিয়ে আমার কর্মপরিকল্পনা তৈরি করব। সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত ফটিকছড়ি গড়তে চাই। নিরাপদ ফটিকছড়ি বিনির্মাণের জন্য যা যা করা দরকার, সবাইকে নিয়ে করব। তিনি বলেন, নির্বাচনে জিতে আসা চ্যালেঞ্জ ছিল। এখন এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ। কারণ, রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে হিসেবে আমার ওপর মানুষের প্রত্যাশা অনেক। মানুষ আমার ওপর আস্থা রেখেছে, আস্থাটা যাতে আমি ধরে রাখতে পারি, সেই চেষ্টা থাকবে। জানা গেছে, তপশিল ঘোষণার পর অনেকেই চেষ্টা করেছিল ফটিকছড়ি আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আস্থা রেখেছেন সাবেক এমপি রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে সনির ওপর। বিএনপি অংশগ্রহণ না করলেও স্বতন্ত্রসহ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন দলের ৯ প্রার্থী। প্রচার শুরুর পর নৌকা নিয়ে নির্বাচনের মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সনি। দিয়েছেন প্রতিশ্রুতি, কাজ করবেন ফটিকছড়ি আসনের উন্নয়ন কম হওয়া এলাকাগুলোতে। পাশাপাশি এগিয়ে নেবেন নারী, অবহেলিত শ্রেণিপেশার মানুষকে। এই নেত্রীর পক্ষে ভোটের মাঠে রায় দেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৫ ভোটার। ১৪২ কেন্দ্রের সবকটিতে নৌকায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করায় বিপুল ভোটে জয় পান সনি। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র আবু তৈয়ব (তরমুজ) পান ৩৬ হাজার ৫৬৬ ভোট। সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ (একতারা) পান ৩ হাজার ১৫১ ভোট। নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (ফুলের মালা) ২৩১ ভোট। শফিউল আজম চৌধুরী (লাঙ্গল) ২৫১ ভোট। মীর মু. ফেরদৌস আলম (চেয়ার) ৫২৬ ভোট। মু. হামিদ উল্লাহ (মোমবাতি) ১৫৩৮ ভোট। মো. শাহজাহান (ঈগল) ২২৬১ ভোট। রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী (ফুলকপি) ৩১১ ভোট।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

মার্কিন প্রাক নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল / গণমাধ্যম, নারী এমপি ও সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক
গণমাধ্যম, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের কাছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ভোটের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে পৃথক বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হয়। আজ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে সফরের তৃতীয় দিন শুরু করে মার্কিন প্রাক নির্বাচনী পরিবেশ মূল্যায়ন দল। দুপুরের পর তারা বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রথমে বৈঠক করেন। এতে অংশ নেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান সম্পাদক জাফর সোবহান এবং বিজনেস স্ট্যান্ডারের সম্পাদক ইনাম আহমেদ। বৈঠকের পর সোহবার হাসান সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল আমাদের কাছে নির্বাচনের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। আমরা আমাদের মতো নির্বাচনের পরিবেশ সম্পর্কে জানিয়েছি। আমরা বলেছি, নির্বাচন নিয়ে দুই পক্ষের (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) দুই অবস্থান। দুই পক্ষ আলোচনায় না বসলে এই সমস্যার সমাধান হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমাদের মিডিয়ার স্বাধীনতার প্রসঙ্গে কথা হয়েছে। মিডিয়ার স্বাধীনতা, দেশের নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। আমরা জানিয়েছি মাঠে যা দেখছি, যা শুনছি তা বলার চেষ্টার করেছি। যে বাধা আছে তা অতিক্রম করার চেষ্টা আছে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুদের। জাফর সোবহান বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিরা বলেছেন, তারা বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন চান। সুষ্ঠু নির্বাচন চান, সেটা কীভাবে হতে পারে সেজন্য রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে তারা বসেছেন। এরই অংশ হিসেবে গণমাধ্যমের সঙ্গেও কিছু কথা বলছেন। তারা আমাদের আইডিয়া জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি আমরাও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা তাদেরকে প্রস্তাব দিয়েছি ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দল একসঙ্গে বসে সংলাপের মাধ্যমে যদি তারা ঐক্যমতে আসেন তাহলে আমাদের সবার জন্য ভালো হয়। এছাড়াও স্বাধীনভাবে রিপোর্ট প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। এরপর মার্কিন প্রতিনিধি দল সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এতে অংশ নেন সরকার দলীয় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার ও সেলিমা আহমাদ, বিএনপি’র নিলোফার চৌধুরী মনি, জাতীয় পার্টির শেরীফা কাদের এবং জাসদের সহসভাপতি আফরোজা হক রীনা। বৈঠকের পর নিলোফার চৌধুরী মনি জানান, প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল নির্বাচনী সহিংসতার শঙ্কা নিয়ে জানতে চেয়েছেন। তবে সরকারি দলের সংসদ সদস্য বলেন, এমন কোন শঙ্কা প্রকাশ করা হয়নি। সন্ধ্যার পর মার্কিন প্রতিনিধিরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ও সংখ্যালঘু বিষয়ক গবেষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি অধ্যাপক নিমচন্দ্র ভৌমিক ও ব্রতী’র নির্বাহী পরিচালক শারমিন মুরশিদ। বৈঠকের পর নিমচন্দ্র ভৌমিক জানান, তারা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের উদ্বেগের ইস্যুগুলো জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, সংখ্যালঘু নির্যাতন নতুন ইস্যু না। ২০০১ সালেও ছিল। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়েও ছিল। তবে সহিংসতামুক্ত নির্বাচন হলে সংখ্যালঘুরা নিরাপদে থাকবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন পর্যবেক্ষক দল বুধবার (১১ অক্টোবর) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।  এছাড়াও সফরকালে তাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ভোটের পরিবেশ ও পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে গত ৭ অক্টোবর ঢাকায় এসেছে মার্কিন এই প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ মিশনটি যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা-ইউএসএআইডি’র সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে। পর্যবেক্ষক দলে রয়েছেন সাবেক দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ. এন্ডারফার্থ, সাবেক ডেপুটি ইউএসএআইডি প্রশাসক বনি গ্লিক, মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাবেক সহযোগী কাউন্সেল জামিল জাফর, এনডিআই এশিয়া-প্যাসিফিক বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ ও আইআরআইয়ের এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের সিনিয়র ডিরেক্টর জোহানা কাও। তারা ১৩ অক্টোবর সফর শেষে ঢাকা ছাড়বেন। প্রতিনিধি দলটি সফর শেষে একটি বিবৃতির মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে তাদের উদ্বেগ থাকলে তা জানাবে এবং বাস্তবসম্মত সুপারিশ তুলে ধরবে।
১০ অক্টোবর, ২০২৩

নারী এমপি ও নেতার হাতাহাতির তদন্তে কমিটি
দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় জামালপুরে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হোসনে আরা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। গত শুক্রবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ ফরিদুল হক খান দুলাল এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। তদন্ত কমিটিতে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, মজিবুর রহমান শাহজাহান ও ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক সরকার এবং সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান। তাদের পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে জামালপুর-শেরপুর সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম হোসনে আরা গত শুক্রবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। সভাপতি অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ অভিযোগটি গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, নারী সংসদ সদস্যের অভিযোগ বিষয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের তদন্ত কমিটির বিষয়ে কিছুই জানি না। সাংসদ হোসনে আরা বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো অনুষ্ঠানেই আমাকে দাওয়াত দেওয়া হয় না। ঘটনার রাতে আলোচনা সভায় গিয়ে এ কথা সবার উদ্দেশে বললে হঠাৎ করেই শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উত্তেজিত হয়ে তর্ক শুরু করেন। একপর্যায়ে ওই নেতা আমাকে লাঞ্ছিত করেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এমপি হোসনে আরাই প্রথমে আমাকে ধাক্কা দিয়েছেন।
২০ আগস্ট, ২০২৩

ওমানে বাংলাদেশের নারী এমপি গ্রেপ্তার, সঠিক তথ্য কী?
ওমানে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন বাংলাদেশের এক নারী এমপি। তিনি সংরক্ষিত মহিলা আসনের (চট্টগ্রাম) এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। সেখানে রাজনৈতিক মিটিং করতে গিয়ে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সফরসঙ্গীসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ওমানের রাজধানীতে হাফ্ফা হাউস মাস্কাট হোটেলে রাজনৈতিক বৈঠকে বসেছিলেন এমপি সনি। কিন্তু সেখানে রাজনৈতিক সমাবেশের অনুমতি ছিল না। এ জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  বুধবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশের গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনির সঙ্গে বুধবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যার ৭টার দিকে কথা হয় কালবেলার। এ সময় গ্রেপ্তারের খবর সত্য নয় বলে নিশ্চিত করেন তিনি। খাদিজাতুল আনোয়ার সনি জানান, গত ৩১ জুলাই তিনি একটি পারিবারিক সফরে ওমানে গিয়েছেন। সঙ্গে মেয়েসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা রয়েছে। তার আগমন উপলক্ষে সেখানে ওমান আওয়ামী লীগ, ওমান যুবলীগ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বিপুল মানুষ উপস্থিত হয়। তবে এ ধরনের সভা করতে আয়োজকরা পূর্বে অনুমতি নেননি। ফলে পুলিশ গিয়ে সভা বন্ধ করে দেয়। এতে গ্রেপ্তারের কোনো ঘটনা ঘটেনি।  এ বিষয়ে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাটি শুনেছেন বলে জানান।   অন্যদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও মিটিং ভন্ডুলের বিষয়টি জানেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর গ্রামের কবির আহমেদ সওদাগর বাড়ির সন্তান। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য।
০২ আগস্ট, ২০২৩
X