দৈনিক কালবেলার প্রথম পৃষ্ঠায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ‘বাবা-চাচা রাজাকার নারী এমপি হচ্ছেন দিলোয়ারা’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দিলোয়ারা ইউসুফ।
প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় দিলোয়ারা ইউসুফের বাবা নূর আহমেদ কেরানি ও চাচা আলী আহমদ টিকে রাজাকার ছিলেন উল্লেখ করে অসত্য সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। আলী আহমদ টিকে নামে তার (দিলোয়ারার) কোনো চাচা নেই। এ ছাড়া বাবা নূর আহমেদ কেরানি কোনো অবস্থাতেই রাজাকার ছিলেন না। এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই বলে চ্যালেঞ্জ করেন দিলোয়ারা ইউসুফ।
দিলোয়ারা বলেন, ‘রাজাকার আলী আহমেদ টিকে আমার চাচা প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। জনৈক হাফেজ কামালকে উদ্ধৃত করে যে কথা লেখা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অসত্য। বরং মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নূর আহমেদ মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা ও অসহায় মানুষকে আশ্রয় দিয়ে পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।’ দিলোয়ারা ইউসুফের বড় ভাই শ ম নজরুল একজন প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ছিলেন। তার স্বামী মোহাম্মদ ইউসুফ সিকদার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিবাদ মিছিল করে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ কারাবরণ করেন। দিলোয়ারা ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পরই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। পরে সময়ে বঙ্গবন্ধু মহিলা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সংগঠক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করার পর ২০১১ সাল থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে কাজ করেন এবং ২০১৩ সালের সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে দুবার সদস্য নির্বাচিত হয়ে পরবর্তী সময়ে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
মন্তব্য করুন