পুলিৎজার পেল ওয়াশিংটন পোস্ট নিউইয়র্ক টাইমস রয়টার্স
এ বছর সাংবাদিকতার ‘নোবেল’ হিসেবে খ্যাত পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স, মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট। গত সোমবার পুলিৎজার পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়। বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। এ বছর দুটি বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে রয়টার্স। একটি গাজায় চলমান সংঘাতের ভয়াবহ চিত্র ছবিতে তুলে ধরায়। অন্যটি ইলন মাস্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করায়। তিনটি করে পুরস্কার পেয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ও দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। ওয়াশিংটন পোস্ট ন্যাশনাল রিপোর্টিং বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এআর-১৫ রাইফেল এবং দেশটিতে বিভিন্ন বন্দুক হামলায় এ অস্ত্রের ভূমিকা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল সংবাদমাধ্যমটি। এ ছাড়া এডিটোরিয়াল রাইটিং (সম্পাদকীয়) ও কমেন্টারি (মতামত) বিভাগেও পুরস্কার জিতেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। নিউইয়র্ক টাইমস যে তিনটি বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে, সেগুলো হলো অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, আন্তর্জাতিক বিষয়ে প্রতিবেদন ও ফিচার রাইটিং। ইসরায়েলে হামাসের হামলা, ইসরায়েলের গোয়েন্দা ব্যর্থতা ও ইসরায়েলের পাল্টা হামলা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ইন্টারন্যাশনাল বিভাগে সেরা হয়েছে তারা। পাবলিক সার্ভিস (জনসেবা) অ্যাওয়ার্ড নিজেদের দখলে রেখেছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে কাজ করা নিউইয়র্কভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা প্রোপাবলিকা। আর ‘ব্রেকিং নিউজ’ বিভাগে পুরস্কার ঘরে তুলেছে ‘লুকআউট সান্তা ক্লজ’ নিউজ পোর্টাল। অভিবাসীদের নিয়ে ছবি প্রকাশ করে ‘ফিচার ফটোগ্রাফি’ বিভাগে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। এক্সপ্লেনেটরি রিপোর্টিং (বিষদ ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন) ও ইলাস্ট্রেটেড রিপোর্টিং অ্যান্ড কমেন্টারি বিভাগে পুরস্কার জিতেছেন দ্য নিউইয়র্কের সাংবাদিকরা। আর ক্রিটিসিজম (সমালোচনা) বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে দ্য লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস। ১৯১৭ সাল থেকে পুলিৎজার পুরস্কার দেওয়া হয়। সাংবাদিকতা ছাড়াও সাহিত্য, সংগীত ও নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একটি বোর্ড প্রতি বছর এ পুরস্কার ঘোষণা করে।
০৮ মে, ২০২৪

কোডার্সট্রাস্ট ও নিউইয়র্ক সিটি কলেজের মাঝে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা
বৈশ্বিক ডিজিটাল-প্রকৌশল ভিত্তিক দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কোডার্সট্রাস্ট নিউ ইয়র্কের ঐতিহ্যবাহী সিটি কলেজের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতার অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে। ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সিটি কলেজ অব নিউইয়র্ক সিটি ইউনিভারসিটি অফ নিউইয়র্কের একটি মূল অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। এ সহযোগিতার আওতায় শিক্ষার্থীদেরকে চাকরির বাজারের প্রয়োজনীয় চাহিদা মোতাবেক দক্ষতা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরির জন্য প্রস্তত করে তুলবে এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে শিক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি ও শিক্ষার্থী বিনিময়ের মাধ্যমে সিটি কলেজের সম্প্রসারণ ঘটবে। এ উদ্যোগের ফলে ২০হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এবং সদ্য পাশ করা স্নাতকদের উপকারে আসবে। দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) এর মহাসচিব রাষ্ট্রদূত গোলাম সারওয়ার এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। কোডার্সট্রাস্টের চেয়ারম্যান আজিজ আহমদ এবং সিটি কলেজের ইন্টারডিসিপ্লিনারি স্টাডিজ বিভাগের  ডিন অধ্যাপক ড. জুয়ান কার্লোস মেরকাডো নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক (কিউনি) এর এশিয়ান আমেরিকান/এশিয়ান রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর নির্বাহী পরিচালক ড. জয়েস ময়, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক শিক্ষা সচিব এনআই খান, জাতিসংঘের একটি চুক্তিবদ্ধ সংগঠন ইউনিভার্সিটি ফর পিসের বিশেষ উপদেষ্টা অধ্যাপক মেলিসা ওয়াইলড এবং কোডার্সট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুল হক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সিটি কলেজ ও কোডার্সট্রাস্টকে অভিনন্দন জানিয়ে সার্কের মহাসচিব রাষ্ট্রদূত গোলাম সারওয়ার বলেন, এ অংশীদারিত্ব উভয় প্রতিষ্ঠানের মহতি লক্ষ্যসমূহকে আরও শক্তিশালী করবে ও তা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করবে। তিনি বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাপী বেকার, ছদ্মবেকার বা অর্ধবেকার যুব সমাজকে বিশেষ করে বেকার নারীদের দক্ষ কর্মীশক্তিতে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে কোডার্সট্রাস্টের নিরলস ভূমিকা ও প্রয়াস সমূহের প্রশংসা করেন। কিউনির ইন্টারডিসিপ্লিনারি স্টাডিজ বিভাগের ডিন ড. জুয়ান মেরকাডো কোডার্সট্রাস্টকে অবহেলিত, বেকার, অর্ধবেকার বা ছদ্মবেকার ও পিছিয়ে পড়া যুবক এবং মহিলাদের দক্ষতা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দ্রুত পরিবর্তনশীল চাকরির বাজারে দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখা ও নিবেদিত থাকার জন্য প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘কোডার্সট্রাস্টের সঙ্গে এ চুক্তি আমাদের, বিশেষ করে সিটি কলেজের কন্টিনিউিং অ্যান্ড প্রফেশনাল স্টাডিজ বিভাগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের আজকের চাকরির বাজারের জন্য ক্রমবর্ধমান চাহিদাধীন ক্ষেত্রগুলিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেবে, বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী চাকরির বাজারে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে তাদেরকে সহায়তা করবে। কোডার্সট্রাস্টের চেয়ারম্যান আজিজ আহমদ বলেন, সিটি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে এ অংশীদারিত্ব তার জন্য ব্যক্তিগতভাবে বিশেষ অর্থ বহন করে এবং তিনি সিটি কলেজের কর্তৃপক্ষের নিকট এ সুযোগ পাওয়ার জন্য কৃতজ্ঞ। এ সুযোগ তাকে বেকার, অর্ধবেকার বা ছদ্ম বেকার যুব সমাজকে দক্ষ কর্মী হিসেবে রুপান্তর করার অংশীদারিত্বমূলক দায়িত্ব পালন করার পথ তৈরি করে দিয়েছে। এর ফলে তিনি নিউইয়র্ক ও বাংলাদেশ যৌথ বাসিন্দা হিসেবে উভয় স্থানের অর্থনীতিতে অবদান রাখার সুযোগ পাবেন। জাতিসংঘ শান্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক মেলিসা ওয়াইল্ড বলেন, চলমান বিশ্ব অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে এমন অত্যাবশ্যকীয় উপাদান যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগড্যাটা বা বড় উপাত্ত ইত্যাদি যুবসমাজের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিবেচনায় নিয়ে দক্ষতা উন্নয়নের কর্মে লাগানো এখন সময়ের দাবি এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এগুলো অত্যন্ত প্রাসংগিক ও অত্যাবশ্যক। বিশেষ অতিথি ড. জয়েস ময় বলেন, আজিজ আহমদ একজন স্বপ্নদ্রষ্টা এবং একজন নীরব সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব। জনকল্যাণ মূলক কর্মে নিবেদিত প্রাণ আজিজ আহমদ যে কাজ শুরু করেছেন সেখানেই তিনি সার্থকতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন তার আন্তরিকতা, একাগ্রতা ও নিষ্ঠার জন্য।  কিউনি ও কোডার্সট্রাস্টের মাঝে সদ্য সৃষ্ট অংশিদারীত্বের বিষয়ে ড. জয়েস ময় বলেন, এ অংশিদারীত্বের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল যুবসমাজের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ যেখানে বিশাল সম্ভাবনা লুকায়িত রয়েছে যার উপর নির্ভর করে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি। তিনি আরও বলেন, মানুষের মনে তার জীবন ও জীবিকার মান উন্নয়নের আশার বাণী জাগ্রত করে সৃজনশীল কর্ম প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করে দিলে মানুষ অসাধ্য সাধন করতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা সুযোগ এবং সম্পদ ভাগাভাগি করে নিয়ে যৌথ সম্পর্ক তৈরির মাধমে পৃথিবীকে আমাদের মতো করে চলার কথা আরও বেশি করে চিন্তা করতে পারি এবং এ সহযোগিতার আওতায় প্রাথমিকভাবে আধুনিক ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য কারিগরি এবং ব্যবসায়িক দক্ষতার পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), বিগ ডেটা, সাইবার সিকিউরিটি, ক্লাউড এবং ব্লকচেইন এর মতো প্রায় ২৫ এর বেশী দক্ষতা অর্জনের ও শিক্ষা অর্জনের নতুন পথ খুলে দেয়া সম্ভব হবে। কোডার্সট্রাস্ট সম্পর্কে তথ্য : কোডার্সট্রাস্ট একটি বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল প্রকৌশলে প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী গড়ার প্রতিষ্ঠান। শিক্ষামূলক প্রকৌশলের উপর ভিত্তি করে ও তার সহায়তায় কোডার্সট্রাস্টের লক্ষ্য হলো পিছিয়ে থাকা, সুবিধা বঞ্চিত এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে - বিশেষ করে যুবক ও নারীসমাজের জন্য - চলমান ডিজিটাল যুগের জন্য দক্ষ করে দিয়ে প্রস্তত করা এবং  বৈশ্বিক পরিসরে আর্থিক স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য কর্মের সুযোগের সাথে সংযুক্ত করা। কোডার্সট্রাস্ট বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি তরুণকে দক্ষতা-ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য একটি টেকসই ও প্রসারযোগ্য বাজারভিত্তিক মডেল গড়ে তুলেছে, যাতে করব যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থান, আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি এবং দীর্ঘস্থায়ী সামাজিক প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত হয়। নিউইয়র্কের সিটি কলেজ সম্পর্কে তথ্য : নিউইয়র্কের সিটি কলেজ হল নিউইয়র্কের সিটি বিশ্ববিদ্যালয় (সিটি ইউনিভার্সিটি অফ নিউইয়র্ক - কিউনি) ব্যবস্থার অধীনস্থ একটি সরকারি গবেষণা মূলক বিশ্ববিদ্যালয় যা সংক্ষেপে সিটি কলেজ অব নিউইয়র্ক বা সিসিএনওয়াই নামেও পরিচিত)। ১৮৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সিটি কলেজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বিনামূল্যে সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। এটি সিটি ইউনিভার্সিটির ২৫টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো এবং এটি তাদের প্রধান প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হয়।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

লন্ডন ও নিউইয়র্ক থেকে ড. হারুনের নতুন গ্রন্থ প্রকাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাবেক অধ্যাপক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বর্তমানে বঙ্গবন্ধু চেয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. হারুন-অর-রশিদের নতুন গ্রন্থ ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ পলিটিক্স: স্ট্র্যাগেলস, অ্যাচিভমেন্ট এবং চ্যালেঞ্জেস’ একযোগে অতি সম্প্রতি (মার্চ ২০২৪) লন্ডন ও নিউ ইয়র্ক থেকে ইংরেজি ভাষায় হার্ড ও পেপারব্যাক উভয় ভার্সনে প্রকাশ হয়েছে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘রাউটলেজ’ (টেইলর এন্ড ফ্রান্সিস গ্রুপ) এর প্রকাশক। ২২৪ পৃষ্ঠার এ গ্রন্থে অন্যান্যের মধ্যে ভূমিকা, উপসংহার ছাড়া ৫টি অধ্যায় রয়েছে। অধ্যায়সমূহ হচ্ছে- স্বাধীনতা-উত্তর বঙ্গবন্ধু সরকারের শাসনকাল, অবিকশিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাংবিধানিক উন্নয়ন/পরিবর্তনে বিচার বিভাগের ভূমিকা, শেখ হাসিনা সরকারের অর্জন ও চ্যালেঞ্জসমূহ, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ও বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটির স্বরূপ ও অবস্থান। সংক্ষেপে গ্রন্থের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, স্বাধীনতা-উত্তর গত ৫০ বছরের বাংলাদেশের রাজনীতির গতি-প্রকৃতি, ক্রমান্বয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের গণতন্ত্র সংকোচনের কারণ ও সবক্ষেত্রে তখনকার বিরোধীদল বা শিবিরের ভূমিকা, বাংলাদেশের শাসনতান্ত্রিক বা সাংবিধানিক উন্নয়ন পরিবর্তনে বিচার বিভাগের ভূমিকা, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও তার সরকারের সম্মুখে চ্যালেঞ্জসমূহ, ব্রিটিশ পাকিস্তান আমল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত নির্বাচনসমূহের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ক মূল্যায়ন, বাংলাদেশের তথাকথিত সিভিল সোসাইটি কীভাবে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে স্বকীয়তা বা স্বতন্ত্রসত্তা হারিয়েছে। এ ছাড়াও সরকার ও প্রধান বিরোধীদলের মধ্যে চরম অসহিষ্ণু সম্পর্কের কারণ, অন্যকথায় বাংলাদেশের রাজনীতির পরস্পরবিরোধী দ্বি-ধারায় বিভাজন এবং কেন তা সাংঘর্ষিক রূপ পরিগ্রহ করছে ইত্যাদি। গ্রন্থের অধিকাংশ লেখকের ২০২১-২০২২ সময়ে জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু প্রফেসরিয়াল ফেলো হিসেবে সম্পন্ন গবেষণা-কর্মের ওপর ভিত্তি করে প্রণীত।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে বাংলাদেশির জয়
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিউইয়র্কের প্রাইমারির ভোটে বাংলাদেশি মনজুর চৌধুরী ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশন ডেলিগেট হিসেবে ডিস্ট্রিক্ট-১৩ থেকে বিপুল ভোটে জললাভ করেছেন। এতে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ব্যাপক আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে। জানা যায়, গত ২ এপ্রিল নিউইয়র্ক সিটিতে প্রাইমারির ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর নিউইয়র্ক সিটি থেকে কেবল ডেলিগেট হিসেবে একজন প্রার্থী হয়েছেন। তিনি হচ্ছেন মৌলভীবাজারের মনজুর চৌধুরী। ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনে তিনি কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্ট-১৩ থেকে তিনি ৯ হাজার ৯৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আগামী আগস্ট মাসে নিউইয়র্ক স্টেট থেকে বাংলাদেশিদের মধ্যে মনজুর চৌধুরী জগলুল শিকাগোতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশন অনুষ্ঠানে প্রথম বাঙালি হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। নিউইয়র্কে মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশিদের মধ্যে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী অন্যতম রাজনীতিক মনজুর চৌধুরী। তিনি এর আগে নিউইয়র্ক সিটি প্রাইমারি নির্বাচনে কুইন্স কাউন্টির জুডিশিয়াল ডেলিগেট হিসেবে দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন। কুইন্সের মধ্যে অন্যতম প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাটিক ক্লাব নিউভিশন ডেমোক্র্যাটিক ক্লাবে ইতিহাস সৃষ্টি করে বোর্ড অব ডিরেক্টর হিসেবে নির্বাচিত মনজুর প্রায় দুই যুগ ধরে ডেমোক্র্যাট ক্লাবের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন। কর্মজীবনে মনজুর ডোমিনিকান প্রোভিন্স অব সেন্ট জোসেফ এর প্রধান কার্যালয়ে কন্ট্রোলার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কামালপুর এলাকার কৃতি সন্তান। মনজুর চৌধুরী বলেন, নিউইয়র্ক স্টেটের প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাইমারি নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনাল ডেলিগেট হিসেবে আমাকে কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক-১৩ থেকে নির্বাচিত করায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার জন্য নানাভাবে যারা সাহায্য সহোযোগিতা করেছেন, আপনাদের এই ঋণ শোধ করার মতো নয়। আগামীতে নিউইয়র্ক স্টেট থেকে বাংলাদেশি আমেরিকানদের মধ্যে আামি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনে আগস্ট মাসে শিকাগোতে যোগদান করব। এটি বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য বড় জয়। আমি আশাবাদী আপনারা বিগত দিনের মতো আমার পাশে থাকবেন।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

নিউইয়র্ক পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতে তদন্ত হচ্ছে
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় সম্প্রতি পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণের নিহতের ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল শনিবার রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের দলীয় নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। হাছান মাহমুদ বলেন, নিহত বাংলাদেশি যুবক উইন রোজারিওর বাসায় গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রতীয়মান হয় যে, পুলিশের গুলি করার প্রয়োজন ছিল না। এর তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে পুলিশের দোষ প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার ও এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজকে মুক্ত করার জন্য যোগাযোগ চলছে। খুব সহসাই সমাধান হবে আশা করি। নাবিক সবাই কেবিনে ভালো আছেন, তাদের ওপর জলদস্যুরা কোনো নির্যাতন করছে না। আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের মেজর, ক্যাপ্টেন ও সার্জেন্ট র্যাঙ্কের তিন সামরিক সদস্য নতুন করে অনুপ্রবেশ করেছেন। এই তিনজনসহ আগে ঢুকে পড়া মিয়ানমারের সব সামরিক সদস্যকে শিগগির নৌপথে ফেরত পাঠানো হবে।
৩১ মার্চ, ২০২৪

নিউইয়র্ক পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের তদন্ত হচ্ছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী 
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণের নিজ বাসায় নিহতের ঘটনার তদন্ত হচ্ছে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠক শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক উইন রোজারিওর বাসায় গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রতীয়মান হয়, পুলিশের গুলি করার প্রয়োজন ছিল না। এট অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছি এবং এর তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে পুলিশের ‘ওভার-রি এ্যাকশন’ বা দোষ প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলে আমরা আশা করি। এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার ও এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজকে মুক্ত করার জন্য সোমালীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। খুব সহসাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে আশা করি। বাংলাদেশি নাবিকরা সবাই কেবিনে আছেন, ভালো আছেন, তাদের ওপর জলদস্যুরা কোনো নির্যাতন করছে না।  আশ্রয় নিতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া মিয়ানমারের সামরিক সদস্যদের ফেরত পাঠানো নিয়ে প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের মেজর, ক্যাপ্টেন ও সার্জেন্ট র‍্যাংকের তিন সামরিক সদস্য নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির হেফাজতে আছে। এই তিনজনসহ বাংলাদেশে আগে ঢুকে পড়া মিয়ানমারের সব সামরিক সদস্যকে খুব শিগগিরই নৌপথে ফেরত পাঠানো হবে।
৩০ মার্চ, ২০২৪

সড়ক দুর্ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি দম্পতি নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি দম্পতি নিহত হয়েছেন। তারা হলেন চাঁদপুরের হাফিজ আহমেদ এঞ্জেল ও সাথী আহমেদ। দেশটির স্থানীয় সময় শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিন হ্যাম্পটন থেকে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) আমেরিকার নিউইয়র্কে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নিহতদের স্বজন চাঁদপুরের ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির। নিনি বলেন, ঘটনার রাতে এঞ্জেল-সাথী দম্পতির ১১ বছরের মেয়ে রাইদাকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িযোগে বের হন। এ সময় পেছন থেকে বেপরোয়া গতির আরেকটি গাড়ি তাদের ধাক্কা দেয়। এতে শিশু রাইদা বেঁচে গেলেও ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান এঞ্জেল (৫৫) ও তার সহধর্মিণী সাথী (৩৫)। নিউইয়র্ক স্টেট পুলিশ জানিয়েছে, নিউইয়র্কের অরেঞ্জ কাউন্টিতে একটি অপরাধীর গাড়ির ধাওয়া করছিল পুলিশ। এ সময় দুষ্কৃতকারীদের গাড়ির সঙ্গে হাফিজ দম্পতির গাড়ির ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুজন।   ময়নাতদন্ত শেষে তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বইছে শোকের ছায়া। উল্লেখ্য, এঞ্জেলের বাবা শামছুল হক মুন্সি ১৯৯১ সালে ডিভি লটারি পেয়ে আমেরিকা যান। পরে ১৯৯৬ সালে পরিবারের সদস্যদের সবাইকে সেখানে নিয়ে যান তিনি। তাদের পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের সাচনমেঘ গ্রামে। 
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে ন্যাটো থেকে বেরিয়ে আসবে যুক্তরাষ্ট্র : নিউইয়র্ক টাইমস
আগামী বছরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রে ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ট্রাম্প নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ন্যাটো থেকে বের করে আনবেন তিনি। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অসংখ্য কূটনীতিক এবং ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর আশঙ্কা, ট্রাম্প নির্বাচিত হলে তিনি কেবল ইউক্রেনকে পরিত্যাগই করবেন না, বরং তিনি ইউরোপ মহাদেশ ও ন্যাটো থেকেও যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনবেন।  অবসরপ্রাপ্ত নৌ অ্যাডমিরাল জেমস স্ট্যাভরিডিস নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ট্রাম্পকে নিয়ে ইউরোপে বড় আতঙ্ক রয়েছে। তিনি আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ন্যাটো থেকে বের করে আনবেন। এটি হলে তা মার্কিনিদের জন্য কৌশলগত এবং ঐতিহাসিক ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।   ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জনপ্রিয়তায় ৪ শতাংশ এগিয়ে রয়েছেন। যেখানে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা রয়েছে ৪৭ শতাংশ আর বাইডেনের জনপ্রিয়তা ৪২ শতাংশ। মার্কিন ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাবেক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জরিপে এগিয়ে রয়েছেন।  জরিপে দেখা গেছে, এ দুই প্রার্থীর চেয়ে বাকিরা আরও অনেক পিছিয়ে রয়েছেন। এ জরিপে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে যেমন রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র ৩৭ থেকে ৩১ শতাংশের মধ্যে।  জরিপে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতির মধ্যে আলোচিত বিষয় হলো- মধ্যপ্রাচ্য নীতি ও ইউক্রেনকে সমর্থন। তবে বেশকিছু ক্ষেত্রে তার সমর্থন কমতে শুরু করেছে। যেখানে মাত্র ২৩ শতাংশ লোক বলছেন বাইডেনের নীতি তাদের সাহায্য করেছে। অন্যদিকে ৫৩ শতাংশ লোক বলছেন বাইডেনের নীতির কারণে তারা আহত হয়েছেন।  জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক বলছেন যে, ওভাল অফিসে থাকার সময় চার বছরে ট্রাম্পের নীতি তাদের অনেক সাহায্য করেছে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ক্ষেত্রে এই হার ৩৭ শতাংশ। যেখানে ট্রাম্পের হার ছিল ৬১ শতাংশ।   
১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

জাতিসংঘ অধিবেশন / প্রধানমন্ত্রী আজ নিউইয়র্ক যাচ্ছেন
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে আজ রোববার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৭ দিনের সফর শেষে তিনি ৪ অক্টোবর দেশে ফিরবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট আজ সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে। ফ্লাইটটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে ৪ ঘণ্টা যাত্রাবিরতি দিয়ে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হবে। ইউএনজিএর এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘বিশ্বাস পুনর্গঠন ও বিশ্ব সংহতির পুনরুদ্ধার: ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নে ত্বরান্বিত পদক্ষেপ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং সবার জন্য স্থায়িত্বের দিকে।’ ১৭-২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ইউএনজিএর প্রথম দিনের বিতর্কে যোগ দেবেন এবং ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুরে ভাষণ দেবেন। ১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেবেন তিনি। সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থসহ বেশ কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় ও সৌজন্যমূলক বৈঠকে অংশ নেবেন। ১৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের রকফেলার সেন্টারে ইউএনআইডিও ও ডেলয়েট আয়োজিত ‘খাদ্যের জন্য চিন্তা—খাদ্য সরবরাহ চেইন উদ্ভাবনের জন্য এসডিজিকে ত্বরান্বিত করার জন্য সহযোগিতা’ শীর্ষক একটি উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মূল বক্তব্য দেবেন। একই দিনে তিনি ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে ‘এসডিজি সামিট-লিডার্স’ ডায়ালগ ৪ (এসডিজি অর্জনের জন্য সমন্বিত নীতি ও পাবলিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা) শীর্ষক আরেকটি সম্মেলনে ভাষণ দেবেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিবের বৈশ্বিক শিক্ষাবিষয়ক বিশেষ দূত ও বিশ্ব স্বাস্থ্য অর্থায়নের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রাষ্ট্রদূত গর্ডন ব্রাউন ও নিউইয়র্কের লেক্সিংটন ভেন্যুতে গ্লোবাল বিজনেস কোয়ালিশন ফর এডুকেশনের এক্সিকিউটিভ চেয়ার সারাহ ব্রাউন আয়োজিত জাতিসংঘের ২০২৩ সালের এসডিজি শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে একটি উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিগত নৈশভোজে যোগ দেবেন। ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সিআর-১৬-এ স্পেনের প্রধানমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় কাউন্সিল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সভাপতি কর্তৃক ‘টুওয়ার্ডস এ ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে ভাষণ দেবেন। একই দিন তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, ভুটান, চীন, মালয়েশিয়া, চ্যাথাম হাউস এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের সহ-আয়োজিত চিকিৎসা পরিষেবাভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিকের একটি উচ্চপর্যায়ের সাইড ইভেন্টে যোগ দেবেন। পরদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য আন্তর্জাতিক পাবলিক ফাইন্যান্সিং বৃদ্ধি এবং দক্ষতা নিশ্চিতকরণ’ শিরোনামে উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন (এফএফডি) বিষয়ে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে একটি উচ্চপর্যায়ের বিতর্কে প্রধান বক্তা হিসেবে ভাষণ দেবেন। একই দিনে তিনি মহাসচিবের ক্লাইমেট অ্যামবিশন সামিট, মহামারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া-সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, নারী নেতাদের ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্মের বার্ষিক সভা, ক্লাইমেট অ্যামবিশনবিষয়ক সম্মেলনের পাশাপাশি ন্যাশনাল জুরিসডিকশনের বাইরের এলাকার সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য আইনের ওপর জাতিসংঘের কনভেনশনে যোগ দেবেন। ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের সাইড ইভেন্টে প্রধানমন্ত্রীর যোগদানের পাশাপাশি ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সৃষ্ট হুমকি মোকাবিলা’ শীর্ষক ব্রেকফাস্ট সামিট এবং ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সভায় যোগ দেবেন। সফরকালে জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার, জাতিসংঘ মহাসচিবের জেনোসাইড উপদেষ্টা, আইওএম মহাপরিচালক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন। যেখানে তিনি ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবেন। সেখান থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং পরদিন লন্ডন পৌঁছাবেন। প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন এবং ৪ অক্টোবর দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, অংশ নেবেন বাইডেনের নৈশভোজেও
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে আগামীকাল রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল পৌনে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে যাবে। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে চার ঘণ্টা যাত্রা বিরতির পর ফ্লাইটটি ১৭ সেপ্টেম্বর (নিউইয়র্ক সময়) রাত ১০টা ৫০ মিনিটে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। সে সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। ১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অবস্থানকালে ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে তিনি ভাষণ দেবেন। এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত নৈশভোজেও প্রধানমন্ত্রী যোগ দিবেন। খবর বাসসের।  এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), সার্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় ও সৌজন্যমূলক বৈঠকে অংশ নেবেন। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘বিশ্বাস পুনর্গঠন ও বিশ্ব সংহতির পুনরুদ্ধার : ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নে ত্বরান্বিত পদক্ষেপ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে  শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং সবার জন্য স্থায়িত্বের দিকে। ’ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘সাধারণ বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন অগ্রগতি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও স্বাস্থ্য খাতে সাফল্যের পাশাপাশি বিশ্ব-শান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু ও ন্যায়বিচারের মতো বিষয়গুলো তুলে ধরবেন।’ ১৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের রকফেলার সেন্টারে ইউএনআইডিও ও ডেলয়েট দ্বারা আয়োজিত ‘খাদ্যের জন্য চিন্তা- খাদ্য সরবরাহ চেইন উদ্ভাবনের জন্য এসডিজিকে ত্বরান্বিত করার জন্য সহযোগিতা’ শীর্ষক একটি উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মূল বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। একই দিনে তিনি ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে ‘এসডিজি সামিট-লিডার্স’ ডায়ালগ ৪ (এসডিজি অর্জনের জন্য সমন্বিত নীতি ও পাবলিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা) শীর্ষক আরেকটি সম্মেলনেও ভাষণ দেবেন। সন্ধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিবের বৈশ্বিক শিক্ষাবিষয়ক বিশেষ দূত ও বিশ্ব স্বাস্থ্য অর্থায়নের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রাষ্ট্রদূত গর্ডন ব্রাউন ও নিউইয়র্কের লেক্সিংটন ভেন্যুতে গ্লোবাল বিজনেস কোয়ালিশন ফর এডুকেশনের এক্সিকিউটিভ চেয়ার সারাহ ব্রাউন আয়োজিত জাতিসংঘের ২০২৩ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে একটি উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিগত নৈশভোজে যোগ দিতে পারেন। ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সিআর-১৬-এ স্পেনের প্রধানমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় কাউন্সিল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সভাপতি কর্তৃক ‘টুওয়ার্ডস এ ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার’ শীর্ষক একটি উচ্চপর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকেও ভাষণ দেবেন। ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য আন্তর্জাতিক পাবলিক ফাইন্যান্সিং বৃদ্ধি এবং দক্ষতা নিশ্চিতকরণ’ শিরোনামে উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন (এফএফডি) বিষয়ে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে একটি উচ্চপর্যায়ের বিতর্কে প্রধান বক্তা হিসেবে ভাষণ দেবেন। একই দিনে তিনি মহাসচিবের ক্লাইমেট অ্যামবিশন সামিট, মহামারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, নারী নেতাদের ইউএনজিএ প্লাটফর্মের বার্ষিক সভা, ক্লাইমেট অ্যামবিশন উচ্চস্তরের জলবায়ু উচ্চ স্তরের বিষয়ভিত্তিক সম্মেলনের পাশাপাশি ন্যাশনাল জুরিসডিকশনের বাইরের এলাকার সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য আইনের ওপর জাতিসংঘের কনভেনশনে যোগ দেবেন। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের দ্বিপাক্ষিক বুথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।   ২৯ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (বিএ-২৯২) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে (ওয়াশিংটন সময়) লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। এরপর ৩ অক্টোবর রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি ২০৮) একটি ফ্লাইটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন সরকারপ্রধান। পরের দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় (বাংলাদেশ সময়) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X