কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে ন্যাটো থেকে বেরিয়ে আসবে যুক্তরাষ্ট্র : নিউইয়র্ক টাইমস

ন্যাটো মহাসচিবের সাথে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : এপি
ন্যাটো মহাসচিবের সাথে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : এপি

আগামী বছরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রে ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ট্রাম্প নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ন্যাটো থেকে বের করে আনবেন তিনি। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অসংখ্য কূটনীতিক এবং ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর আশঙ্কা, ট্রাম্প নির্বাচিত হলে তিনি কেবল ইউক্রেনকে পরিত্যাগই করবেন না, বরং তিনি ইউরোপ মহাদেশ ও ন্যাটো থেকেও যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনবেন।

অবসরপ্রাপ্ত নৌ অ্যাডমিরাল জেমস স্ট্যাভরিডিস নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ট্রাম্পকে নিয়ে ইউরোপে বড় আতঙ্ক রয়েছে। তিনি আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ন্যাটো থেকে বের করে আনবেন। এটি হলে তা মার্কিনিদের জন্য কৌশলগত এবং ঐতিহাসিক ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জনপ্রিয়তায় ৪ শতাংশ এগিয়ে রয়েছেন। যেখানে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা রয়েছে ৪৭ শতাংশ আর বাইডেনের জনপ্রিয়তা ৪২ শতাংশ। মার্কিন ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাবেক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জরিপে এগিয়ে রয়েছেন।

জরিপে দেখা গেছে, এ দুই প্রার্থীর চেয়ে বাকিরা আরও অনেক পিছিয়ে রয়েছেন। এ জরিপে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে যেমন রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র ৩৭ থেকে ৩১ শতাংশের মধ্যে।

জরিপে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতির মধ্যে আলোচিত বিষয় হলো- মধ্যপ্রাচ্য নীতি ও ইউক্রেনকে সমর্থন। তবে বেশকিছু ক্ষেত্রে তার সমর্থন কমতে শুরু করেছে। যেখানে মাত্র ২৩ শতাংশ লোক বলছেন বাইডেনের নীতি তাদের সাহায্য করেছে। অন্যদিকে ৫৩ শতাংশ লোক বলছেন বাইডেনের নীতির কারণে তারা আহত হয়েছেন।

জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক বলছেন যে, ওভাল অফিসে থাকার সময় চার বছরে ট্রাম্পের নীতি তাদের অনেক সাহায্য করেছে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ক্ষেত্রে এই হার ৩৭ শতাংশ। যেখানে ট্রাম্পের হার ছিল ৬১ শতাংশ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাতারাতি বেড়ে গেল কাঁচামরিচের দাম

হামলার আগে ১ লাখ নতুন সিমকার্ডধারী ঢাকায় ঢোকে : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

কারফিউতে অবসর সময় কীভাবে কাটাবেন

বাংলাদেশি সেলিমের মৃত্যুদণ্ড মালদ্বীপের হাইকোর্টে বহাল

শিক্ষার্থীদের কোনো হয়রানি করা হবে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রাশিয়ার পরে নরেন্দ্র মোদি এবার ইউক্রেন সফরে

লালাখাল ধ্বংস করে অবাধে চলে বালু উত্তোলন

ইউক্রেনের সমরাস্ত্রের গোপন ডিপোতে রুশ হানা

পাক হানাদার বাহিনীর দোসররাই এ হামলা চালিয়েছে : মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী

কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

১০

ভিপিএন ব্যবহারে যেসব ক্ষতি হতে পারে

১১

শাফিন আহমেদের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

১২

অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়া বলে পরিচয় করায় ‘ফুঁসছে’ দক্ষিণ কোরিয়া

১৩

ঠাকুরগাঁওয়ে জ্বালানি তেলের সংকট

১৪

একদফা আন্দোলনের আহ্বান ছাত্রদলের

১৫

ডেমরার ডিএনডি খালে পড়ে থাকে কুকুর-বিড়ালের মৃতদেহ

১৬

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় আপত্তি নেই যুক্তরাজ্যের

১৭

সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে পারে ইন্টারনেটের ধীরগতি

১৮

আলভারেজের দাম বেঁধে দিল ম্যানসিটি

১৯

জোট বেঁধে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় রাশিয়া-চীনের যুদ্ধবিমানের হানা

২০
X