রাইসির জন্য দোয়ার আহ্বান
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে ঘিরে দুশ্চিন্তার ডালপালা বাড়ছে। এখনো পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ খবরে দেশটির ফারস নিউজ এজেন্সি প্রেসিডেন্টের জন্য দোয়ার আহ্বান জানিয়েছে। খবর আলজাজিরা। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববারের (১৯ মে) এ দুর্ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় বর্ণনায় ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ বলা হচ্ছে। কিন্তু এতে হেলিকপ্টারটির অবস্থা কী হয়েছে তা বলা হয়নি। ওই হেলিকপ্টারে রাইসি ছিলেন কিনা তা নিয়েও ধোঁয়াশা ছিল। একটি সূত্র বলছে, রাইসি ওই সময় গাড়িতে ছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণের ব্যবধানে স্থানীয় কয়েকটি ‍সূত্র তার হেলিকপ্টারে থাকার বিষয়টিতে জোর দেয়। পরে রয়টার্স, আলজাজিরাসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যগুলো ওই হেলিকপ্টারে রাইসির থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের খবরে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর জানা গেছে সেটি থেকে আসা একটি জরুরি ফোনকলে। হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারাই ওই ফোনকল করেছিলেন। এদিকে এ ঘটনায় সন্ধান অভিযানে অন্তত ৪০টি অনুসন্ধান দল মোতায়েন করা হয়েছে। এতে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার কাছে একটি তামার খনি আছে বলে জানা যাচ্ছে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া এবং এলাকার দুর্গমতা অনুসন্ধান অভিযানকে কঠিন করে তুলেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ওয়াহিদি ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে।
১৯ মে, ২০২৪

ইরানের প্রেসিডেন্টের সন্ধানে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, সাহায্য করতে চায় ইরাক
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানসহ অন্যদের এখনো খোঁজ মেলেনি। জানা যায়নি হেলিকপ্টারটির কী হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সর্ব শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সহযোগিতার প্রস্তাব এসেছে ইরাকের কাছ থেকে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি এক নির্দেশ জারি করেছেন। তিনি সেনাবাহিনী, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) এবং আইন প্রয়োগকারী অন্যান্য বাহিনীকে হেলিকপ্টারটি খুঁজে বের করার জন্য সব সরঞ্জাম এবং সক্ষমতা ব্যবহার করতে বলেছেন। হেলিকপ্টারটিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেম এবং আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি রাইসির সঙ্গে হেলিকপ্টারে ছিলেন। বাগেরি তাসনিম নিউজ এজেন্সিকে বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী, সেনাবাহিনী, আইআরজিসি এবং পুলিশ কমান্ডোদের তাৎক্ষণিক ওই এলাকায় যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ এদিকে সন্ধান অভিযানে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে ইরাক। ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, রেড ক্রিসেন্ট এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সংস্থাকে ইরাক বলেছে, তারা প্রতিবেশীকে সাহায্য করতে চায়। প্রেসিডেন্ট রাইসির নিখোঁজ হেলিকপ্টারের সন্ধানে কাজ করতে চায়। ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। জরুরিভিত্তিতে সেটি ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ওই অঞ্চলে একটি বাঁধের উদ্বোধন শেষে রাইসি ফিরছিলেন। সন্ধান অভিযানে অন্তত ৪০টি অনুসন্ধান দল মোতায়েন করা হয়েছে। এতে ৮টি অ্যাম্বুলেন্স ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া এবং এলাকার দুর্গমতা অনুসন্ধান অভিযানকে কঠিন করে তুলেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইরনা বলছে, দুর্ঘটনায় হতাহত বা মৃত্যুর বিষয়টি এখনই বলা যাবে না। বিস্তারিত জানতে হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
১৯ মে, ২০২৪

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা / ইরানের প্রেসিডেন্টের ভাগ্যে কী ঘটেছে?
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে ঘিরে দুশ্চিন্তার ডালপালা বাড়ছে। কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে কোনো তথ্য জানাতে না পারায় এ নিয়ে খোদ ইরানে গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববারের (১৯ মে) এ দুর্ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় বর্ণনায় ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ বলা হচ্ছে। কিন্তু এতে হেলিকপ্টারটির অবস্থা কী হয়েছে তা বলা হয়নি। এ পরিভাষায় কী বোঝানো হয়েছে তাও স্পষ্ট নয়। ওই হেলিকপ্টারে রাইসি ছিলেন কি না তা নিয়েও ধোঁয়াশা ছিল। একটি সূত্র বলছে, রাইসি ওই সময় গাড়িতে ছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণের ব্যবধানে স্থানীয় কয়েকটি ‍সূত্র তার হেলিকপ্টারে থাকার বিষয়টিতে জোর দেয়। পরে রয়টার্স, আল জাজিরাসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যগুলো ওই হেলিকপ্টারে রাইসির থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন নিয়েও দুই রকম তথ্য পাওয়া গেছে। দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে সেটি স্থাপন হয়েছে কি না তা জানা যায়নি। তবে ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের খবরে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর জানা গেছে সেটি থেকে আসা একটি জরুরি ফোনকলে। হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারাই ওই ফোনকল করেছিলেন।  কিন্তু এরপরও নিখোঁজ থাকার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আলজাজিরার স্থানীয় প্রতিনিধি। তিনি বলেন, বড় প্রশ্ন হলো- রাষ্ট্রপতির জরুরি অবস্থার জন্য স্যাটেলাইট ফোন ছিল কি না। সাধারণত তা থাকার কথা। অথচ আমরা এখন যা জানি তা হলো, রাষ্ট্রপতি নিখোঁজ এবং সবাই তাকে খুঁজছে। এ সন্ধান অভিযানে অন্তত ৪০টি অনুসন্ধান দল মোতায়েন করা হয়েছে। এতে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার কাছে একটি তামার খনি আছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া এবং এলাকার দুর্গমতা অনুসন্ধান অভিযানকে কঠিন করে তুলেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ওয়াহিদি ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দলটি শিগগিরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আরও তথ্য জানাবে। এদিকে মাশহাদ শহরে লোকজন জড়ো হয়ে ইবরাহিম রাইসির জন্য প্রার্থনা করছেন। তারা রাইসি ও তার সফর সঙ্গীদের সুস্থভাবে খুঁজে পাওয়া যাবে কি না তা দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব অধ্যয়নের অধ্যাপক ফুয়াদ ইজাদির মতে, দলগুলো হেলিকপ্টারে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। হতে পারে দুর্ঘটনাটি খুব খারাপ ছিল। অথবা এলাকাটিতে নেটওয়ার্ক নাও থাকতে পারে। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে।
১৯ মে, ২০২৪

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনার নিখোঁজ
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার নিখোঁজ হয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পর গত ৩ দিন তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এমনকি তার মোবাইল ফোন ও অন্যন্য যোগাযোগমাধ্যমগুলোও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় তার পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন।  রোববার (১৯ মে) সকালে ঢাকায় অবস্থানরত এই সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, কলকাতায় চিকিৎসার জন্য গেলেও পৌঁছানোর একদিন পর বন্ধুর বাড়ি থেকে লাগেজ ছাড়া বের হন আনোয়ারুল আজিম। দুদিন পর ম্যাসেজ পাঠান তিনি জরুরি কাজে দিল্লি রয়েছেন। সর্বশেষ তার মিসড কলের অবস্থান বাংলাদেশ-ভারত বর্ডারের বেনাপোল দেখায়। তাহলে তিনি কোথায় -এ প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। বাড়ছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। রউফ আরও জানান, গত ১২ মে তিনি চিকিৎসার জন্য সড়কপথে একাই ভারতে যান। তিনি ভারতের কলকাতার নিউটাউন এলাকায় গোপাল নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। পর দিন তিনি বাইরে থেকে আসছি বলে বন্ধুর বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। দুদিন পর অর্থাৎ ১৫ মে বন্ধু গোপালের কাছে ম্যাসেজ পাঠান তিনি জরুরি কাজে দিল্লি এসেছেন চিন্তার কারণ নেই। এরপর ১৬ মে সকালে তার মোবাইলে এমপি আনারের বাংলাদেশের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর থেকে একটি মিসড কল আসে এবং তারপর থেকে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। যখন মিসড কলটি আসে তখন এমপির অবস্থান ছিল বেনাপোল এলাকায়। যেটি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন। এ ছাড়াও অন্যান্য সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাকে পাওয়া যায়নি। এভাবে তিন দিন পার হলেও পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি বলে জানা গেছে।  বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে, জানান তিনি। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, তার পরিবার থেকে আজকেই বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপু বিষয়টি জেনেছেন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীর পিএসের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান জানান, তিনি বিষয়টি দুদিন আগে জেনেছেন এবং এমপির পিএস আব্দুর রউফের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ ছাড়া পুলিশ সুপারসহ পুলিশ হেড কোয়ার্টারসে জানানো হয়েছে। এ মুহূর্তে পুলিশ বিষয়টি পর্যেবেক্ষণ করছে।  তিনি বলেন, একজন সংসদ সদস্য দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য একলা যাওয়ার কথা নয়। তাহলে কেউ তার সঙ্গে গেছে কি না বিষয়টি জানা দরকার। দুএকদিনের মধ্যে ভালো কোনো সংবাদ না পেলে বড় ধরনের তদন্ত শুরু হবে। সর্বশেষ সংবাদ পাওয়া পর্যন্ত নিখোঁজ এমপি আনারের মেয়ে তার বাবার নিখোঁজের বিষয়টি অবহিত করতে ডিবি অফিসে গেছেন।
১৯ মে, ২০২৪

কর্ণফুলী নদীতে ভাসছিল নিখোঁজ জেলের লাশ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী থেকে মো. শফি নামে এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। শুক্রবার (১৭ মে) সকালে নগরীর বাংলাবাজার ঘাট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  মো. শফি কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোহছেন আলী পাড়ার বাসিন্দা। সদরঘাট নৌ থানার ওসি একরাম উল্লাহ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার (১৫ মে) দুপুরে কর্ণফুলী নদীতে এফভি মায়া-৩ নামে একটি ফিশিং ট্রলার থেকে নৌকায় মাছ নামাচ্ছিলেন শফি। পরে অসতর্কতাবশত নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলেও তাৎক্ষণিক কোনো সন্ধান মেলেনি।  তিনি বলেন, ৪৮ ঘণ্টা পর বুধবার সকালে কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার ঘাটে লাশটি ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা নৌ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। তার শরীরের বাইরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ ময়নাদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৭ মে, ২০২৪

নিখোঁজ বাবাকে খুঁজতে লিফলেট নিয়ে ঘুরছেন মেয়েরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় নিখোঁজ অসুস্থ বাবা সুদন মিয়াকে খুঁজতে লিফলেট নিয়ে  শহরের অলিতে গলিতে ঘুরছেন কলেজপড়ুয়া মেয়ে মুন্নী আক্তারসহ তার দুই বোন। বাবাকে ফিরে পেতে যাকে দেখছেন তাকেই লিফলেট দিচ্ছেন আর মিনতি জানাচ্ছেন তারা।  জানা যায়, তিন সপ্তাহ আগে টাঙ্গাইল জেলার সখীপুরের গোয়ালী গ্রামে স্ত্রীর সঙ্গে বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের চকচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত সবদর আলীর ছেলে সুদন মিয়া (৫৪)। ১৪ মে মেয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরতে ঢাকার বিমানবন্দর রেলস্টেশনে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন তিনি।  প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে স্টেশনের টয়লেটে যান। কিছুটা দূরে তার অপেক্ষায় স্ত্রী দাঁড়িয়ে থাকলেও টয়লেট থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান সুদন মিয়া। তাকে দেখতে না পেয়ে স্ত্রী সন্তানরা এদিক-সেদিক খুঁজতে থাকেন। কিন্তু কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজতে সকল আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে লোক পাঠানো হলেও তার সন্ধান মেলেনি। নিরুপায় হয়ে স্ত্রী ও কলেজপড়ুয়া মেয়ে রাস্তায় রাস্তায় লিফলেট বিতরণ করে তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। প্রিয়জন হারানোর বেদনায় নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে স্ত্রী তার স্বামীকে ও সন্তান তাদের বাবাকে ফিরে পাবার আশায় অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। নিখোঁজ সুদন মিয়াকে ফিরে পেতে দেশের হৃদয়বান মানুষদের সহযোগিতা কামনা করছেন পরিবার ও স্বজনরা।  সুদন মিয়ার কলেজপড়ুয়া মেয়ে মুন্নি আক্তার বলেন, বাবা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে কিছুই ভালো লাগে না। কবে বাবাকে ফিরে পাব তাও জানি না। বাবা ছাড়া আমাদের পরিবারে শান্তি নেই। আমরা আমাদের পরিচিত সকল জায়গায় খুঁজেছি। কোথাও না পেয়ে এখন লিফলেট নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। কসবা থানার ওসি রাজু আহমেদ বলেন, নিখোঁজের ব্যাপারে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
১৭ মে, ২০২৪

নিখোঁজ মোহাম্মদ আলীর সন্ধান চায় পরিবার
রাজধানীর চকবাজার থেকে নিখোঁজ হওয়া মোহাম্মদ আলীর সন্ধান চায় পরিবার। গত ৮ মে থেকে বাসা থেকে বের হওয়ার পর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ মোহাম্মদ আলীর বয়স ৪০ বছর। ঠিকানা-৪৭/৭ এ পূর্ব ইসলামবাগ, গ্রাম-পূর্ব ইসলামবাগ, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড-২৯ ইসলামবাগ, থানা-চকবাজার, জেলা-ঢাকা। পরিবার ও স্বজনরা সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে গত ১১ মে চকবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তার স্ত্রী। জিডিতে বলা হয়েছে- ৮ মে ভোর ৪টার দিকে চকবাজার থানাধীন ২৯নং ওয়ার্ড ইসলামবাগ ইউনিয়ন/ওয়ার্ড এর পূর্ব ইসলামবাগ এলাকা থেকে আমার স্বামী নিখোঁজ হয়েছেন। সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায় নাই। খোঁজাখুঁজি অব্যাহত আছে। মোহাম্মদ আলীর গায়ের রং কালো, উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি, মুখের আকৃতি গোলাকার। তার কেউ সন্ধান পেয়ে থাকলে চকবাজার থানায় কিংবা উপরের ঠিকানায় যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
১৪ মে, ২০২৪

চিত্রা নদীতে গোসলে নেমে কিশোর নিখোঁজ
নড়াইলে চিত্রা নদীতে গোসল করতে নেমে রায়হান শিকদার নামে এক কিশোর নিখোঁজ হয়েছেন। শনিবার (১১ মে) দুপুরে দিকে সদর উপজেলার ধোন্দায় এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ রায়হান শিকদার একই উপজেলার নাকশী গ্রামের সাইফুল শিকদারের ছেলে। নিখোঁজের মামা মো. মামুন বলেন, শনিবার দুপুরের দিকে মাদ্রাসা থেকে মামা বাড়ি ধোন্দায় বেড়াতে এসেছিল রায়হান। খেলাধুলা পছন্দ করায় আমার গেঞ্জি পরে স্থানীয় তরুণদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে নামে। খেলা শেষে রায়হানসহ তারা চিত্রা নদীতে গোসল করতে যায়। তবে সে ভালো সাঁতার জানত না। সে একটি কলা গাছের অংশ বুকে নিয়ে ভেসে ভেসে গোসল করছিল। হঠাৎ তার সঙ্গে থাকা তরুণরা দেখতে পায় রায়হান তাদের আশপাশে নাই। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও তার কোনো সন্ধান মেলেনি। পরে ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। নড়াইল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা কালবেলাকে বলেন, খুলনা বিভাগে একটি মাত্র ডুবুরি ইউনিট। তারা বাগেরহাটের রামপালে পশুর নদীতে ছিল। সেখান থেকে রওনা দিয়েছে। তাদের আসতে অনেক রাত হওয়ায় গতকাল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা যায়নি। রোববার (১২ মে) সকালে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
১২ মে, ২০২৪

মালয়েশিয়ায় গিয়ে নিখোঁজ আলমগীর
কাজের সন্ধানে মালয়েশিয়া গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন জামালপুরের আলমগীর আকন্দ (২৮)। তিনি মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের মোসলেমাবাদ আইগেনিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় আড়াই  মাস হয়ে গেলেও আলমগীরের খোঁজ পাচ্ছে না তার পরিবার।  পরিবারের বড় ছেলের নিখোঁজের খবর জানার পর থেকেই দিশেহারা আলমগীরের বাবা জামির আলী আকন্দ ও মা আনোয়ারা বেগম। সন্তানের জন্য আলমগীরের মা আনোয়ারা বেগম মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে গেছেন।  জানা গেছে, ৬ বছর আগে ২০১৮ সালে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান আলমগীর। সেখানে প্রথমে পামওয়েল কোম্পানিতে কাজ করলেও ১ বছর পর একটি কৃষি খামারের ট্রাক্টর চালাতেন। কথা ছিল চলতি ঈদুল আজহার পর এ বছর ছুটিতে এসে বিয়ে করবেন।   সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, আলমগীরের মা আনোয়ারা বেগম ছেলের নিখোঁজের সংবাদ শোনার পর কান্না করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার বাবা জামির আলী আকন্দ কান্নাকণ্ঠে কালবেলাকে বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছি, কিন্তু কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। সে কোথায় আছে, কী অবস্থায় আছে বা নেই তা জানতে চাই। ছেলের সন্ধান দিতে আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাই।   গুনারীতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সাজু বলেন, শুনেছি আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা আলমগীর আকন্দ মালয়েশিয়ায় গিয়ে ২ মাস ধরে নিখোঁজ ধরে। আমি মিডিয়ার মাধ্যমে নিখোঁজ আলমগীরের সন্ধান দাবি করছি।
০৯ মে, ২০২৪

টঙ্গী থেকে ১২ দিনেও খোঁজ মেলেনি মিহাজের
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় বাসা থেকে বের হয়ে এশার নামাজ পড়তে গিয়ে ১২ দিনেও বাসায় ফেরেননি মিহাজের রহমান খান ফাহিম (২২) নামের এক তরুণ। এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে ওই যুবকের পরিবার। নিখোঁজ মিহাজ স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি করেন। তিনি টঙ্গী কলেজ রোড এলাকায় ভাড়াবাসায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী সদরের গোবিন্দপুর এলাকার ছিলোনিয়া পাঠানবাড়ি এলাকায় বলে জানা গেছে। ফাহিমের বড় ভাই মিজানুর রহমান ফাহাদ সাংবাদিকদের জানান, গত ২৬ এপ্রিল রাতে টঙ্গী কলেজ রোড কাঁচাবাজার রাস্তার মোড় এলাকায় এশার নামাজ পড়ার জন্য বাসা থেকে বের হন ফাহিম। এরপর আর ফিরে আসেননি। ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার ফাহিমের পরনে ছিল কালো জিন্স প্যান্ট আর গায়ে নীল টি-শার্ট। গায়ের রঙ শ্যামলা, মাথার চুল ছোট। এ ব্যাপারে ২৯ এপ্রিল টঙ্গী পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, নিখোঁজ ফাহিম নিজের মোবাইল রেখে বাড়ি থেকে রাগারাগি করে বের হন। এখনো তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার  নিখোঁজের ব্যাপারে পুলিশ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখছে।  
০৮ মে, ২০২৪
X