

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানসহ অন্যদের এখনো খোঁজ মেলেনি। জানা যায়নি হেলিকপ্টারটির কী হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সর্ব শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সহযোগিতার প্রস্তাব এসেছে ইরাকের কাছ থেকে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি এক নির্দেশ জারি করেছেন। তিনি সেনাবাহিনী, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) এবং আইন প্রয়োগকারী অন্যান্য বাহিনীকে হেলিকপ্টারটি খুঁজে বের করার জন্য সব সরঞ্জাম এবং সক্ষমতা ব্যবহার করতে বলেছেন।
হেলিকপ্টারটিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেম এবং আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি রাইসির সঙ্গে হেলিকপ্টারে ছিলেন।
বাগেরি তাসনিম নিউজ এজেন্সিকে বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী, সেনাবাহিনী, আইআরজিসি এবং পুলিশ কমান্ডোদের তাৎক্ষণিক ওই এলাকায় যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে সন্ধান অভিযানে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে ইরাক। ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, রেড ক্রিসেন্ট এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সংস্থাকে ইরাক বলেছে, তারা প্রতিবেশীকে সাহায্য করতে চায়। প্রেসিডেন্ট রাইসির নিখোঁজ হেলিকপ্টারের সন্ধানে কাজ করতে চায়।
ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। জরুরিভিত্তিতে সেটি ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ওই অঞ্চলে একটি বাঁধের উদ্বোধন শেষে রাইসি ফিরছিলেন।
সন্ধান অভিযানে অন্তত ৪০টি অনুসন্ধান দল মোতায়েন করা হয়েছে। এতে ৮টি অ্যাম্বুলেন্স ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া এবং এলাকার দুর্গমতা অনুসন্ধান অভিযানকে কঠিন করে তুলেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইরনা বলছে, দুর্ঘটনায় হতাহত বা মৃত্যুর বিষয়টি এখনই বলা যাবে না। বিস্তারিত জানতে হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন