দেশ এখন বহুমুখী সংকটে : ভিপি নুর
বাংলাদেশ এখন বহুমুখী সংকটে পতিত বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।  আজ শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। নুরুল হক নুর বলেন, সরকারের নৈতিক ভিত্তি না থাকায় অন্য দেশগুলো পাত্তা দিচ্ছে না, বরং তাদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, ১৫ বছর টানা ক্ষমতায় থাকার পর এখন প্রধানমন্ত্রীও বলছেন, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা কারা করছে? সরকারি দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় প্রশাসন। মাদক যুবসমাজকে গ্রাস করছে। ১৫-২৫ বছরের ৪১% তরুণ পড়াশোনা বা চাকরিতে নেই। অর্থনৈতিক সংকট থেকে দেশকে উত্তরণ, ইউরোপ-আমেরিকার পোশাকের ক্রেতা কমছে, নতুন বাজার খোঁজা, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি- এগুলো নিয়ে সংসদে আলোচনা হয় না। জনগণকে নিয়ে তাদের ভাবনা নেই। তারা সবাই টাকা-পয়সা কামানোর ধান্দায়। দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, আজকাল সরকার জনগণকে কথায় কথায় হাইকোর্ট দেখায়। কিন্তু হাইকোর্ট দেখিয়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যাবে না। সবকিছুর শেষ আছে, আপনাদেরও বিদায় নিতে হবে।  গণঅধিকার পরিষদের (নুর) উদ্যোগে গণতন্ত্র-ভোটাধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভিন দেশি আধিপত্য ও আগ্রাসনবিরোধী এই সমাবেশ হয়। সমাবেশে শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড়, ফকিরাপুল, বিএনপির দলীয় কার্যালয়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে শেষ হয়। গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, যুবঅধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আলাদা আন্দোলনে সরকার পতন হবে না : ভিপি নুর
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, অনেকেই নির্বাচনে না গিয়ে আলাদাভাবে আন্দোলন করছেন। তাদের বলব, একসাথে নামুন। আলাদাভাবে আন্দোলন করে সরকার পতন করা যাবে না। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীতে গণঅধিকার পরিষদের কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বাধা পরবর্তী সমাবেশে এ কথা বলেন নুর। ৭ জানুয়ারি ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনের প্রতিবাদে বিকেল ৪টায় বিজয়নগর আল রাজি ভবনের সামনে থেকে সংসদ অভিমুখে কালো পতাকা মিছিল শুরু করে গণঅধিকার পরিষদ। নেতারা অভিযোগ করেন, কালো পতাকা মিছিলে পুলিশ শুরুতে বাধা দেয়, পরে লাঠিচার্জ করে। তারা আরও বলেন, মিছিল শুরু করলে পুলিশ ব্যানার কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে এবং নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়। গণঅধিকার পরিষদের নেতারা জানান, কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জে দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতিমা তাসনিম, জসিম উদ্দিন আকাশ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারজানা কিবরিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নুসরাত কেয়া, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুনসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন।  পুলিশের বাধা পরবর্তী সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি, কিন্তু পুলিশ-আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে হামলা করছে। আজকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ হামলা করেছে, অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আমরা চাইলে পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি করে মিছিল করতে পারি, এতে আমাদের হয়তো কয়েকজনকে আটক করবে। কিন্তু এতে লাভ কার? ২৮ অক্টোবর একজন পুলিশ মারা গেলে এতিম হলো তার সন্তান, বিধবা হলো তার স্ত্রী, লাভ হলো সরকারের। আজকে একটা অবৈধ সংসদের অধিবেশন বসেছে। এই সংসদে কেউ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। এরা অবৈধভাবে সংসদে বসেছে। আজকে এই সরকার দৈত্য-দানবের মতো জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আজকে ড. ইউনূসের মতো সম্মানী লোককে কোর্টের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে।   তিনি বলেন, যারা আমাদের ওপর হামলা করছে, তাদের কিন্তু বিচার হবে। আমরা মরে গেলেও আমাদের সন্তানরা বেঁচে থাকবে, আমাদের নেতাকর্মীরা বেঁচে থাকবে- তারা একদিন বিচার করবে। অনেকেই নির্বাচনে না গিয়ে আন্দোলন করছেন আলাদা আলাদাভাবে। তাদের বলব, একসাথে নামুন। আলাদাভাবে নেমে সরকার পতন করা যাবে না। আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বলব, ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন না। ’৭১-এর পর জনগণ যেমন বাকশাল মেনে নেয়নি, এবারও জনগণ একতরফা নির্বাচন, একদলীয় শাসন মেনে নেয়নি। তারা সময় ও সুযোগের অপেক্ষায় আছে। প্রেক্ষাপট তৈরি হলে, জনগণ রাজপথে নেমে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগকে গদি থেকে নামাবে। দলের এই অংশের সাধারণ সম্পাদক মো রাশেদ খান বলেন, সংসদ অভিমুখে আমাদের কালো পতাকা মিছিল ছিল, পুলিশ আমাদের মিছিল পণ্ড করে দিয়েছে। আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। পুলিশের দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। সেখানে পুলিশ উল্টো অবৈধ ক্ষমতা রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। আমাদের আন্দোলন তো পুলিশের বিরুদ্ধে না। আজকে অবৈধ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছে, আমরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনেই প্রতিবাদ করছি। কিন্তু এই অবৈধ সরকার কোনো রীত-নীতির ধার ধারে না। এই সরকারের কাছে ক্ষমতাই মুখ্য বিষয়। জনগণকে বলব, রাজপথে নেমে আসুন, সরকারের পতন অনিবার্য। গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন-দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন।  কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আব্দুজ জাহের, ফাতিমা তাসনিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জাল হোসেন, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি ডা. জাফর মাহমুদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদসহ নেতাকর্মীরা।
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

জনগণ সার্কাসের নির্বাচনে অংশ নেবে না : ভিপি নুর
৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে সরকার একটা নির্বাচন নির্বাচন খেলার আয়োজন করেছে- যেখানে পক্ষ দল, বিপক্ষ দল, খেলোয়াড়, অ্যাম্পায়ার সবই তারা। এটাকে নির্বাচন বলে না, এটাকে সার্কাস বলে। জনগণ এই সার্কাসের নির্বাচনে অংশ নেবে না। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন নুর। নুরুল হক নুর বলেন, আমরা যখন একেবারে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ঠিক সে সময়ে বেছে বেছে জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করা হয়েছে। পাকিস্তানিরা তো তখন এক প্রকার কোণঠাসা, তারা আত্মসমর্পণ করবে। ঠিক সে সময়টাতে কারা জাতিকে মেধাশূন্য করার এই নীলনকশা করলো? এগুলো নিয়ে বিস্তর গবেষণা হওয়া দরকার। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমরা মুক্তিযুদ্ধের একটা নির্মোহ ইতিহাস তুলে ধরতে পারিনি। শহীদের সঠিক তালিকা করতে পারিনি, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করতে পারনি। রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে ইতিহাসও বদলেছে। এটা দুঃখজনক। তিনি বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভিন্নমতের রাজনীতি করার কারণে মানুষকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করছে, ক্রসফায়ারে হত্যা করছে, মিথ্যা মামলায় জেলে ভরছে। এগুলো স্পষ্টতই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী। এই বাংলাদেশ দেখার জন্য দেশের কৃষক-শ্রমিক আপামর জনসাধারণ মুক্তিযুদ্ধ করেনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি মুক্তিযুদ্ধের পরিপন্থি কাজ করছে।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল জ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আব্দুজ জাহের, সহ সভাপতি জাফর মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ  রবিউল ইসলাম, জিলু খান, ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া, পেশাজীবীবিষয়ক সম্পাদক রেজওয়ান প্রমুখ। এ ছাড়া যুবঅধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসানের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানায় যুব অধিকার পরিষদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম,  অর্থ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান,  সহ সভাপতি হোসাইন নুর, ফখরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা হক, রবিউল আলম, আলম খান, সহদপ্তর সম্পাদক সবুজ সেরনিয়াবাত, সহপ্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রুহি, কার্যকরী সদস্য  স্বপন ইসলাম, বনি আমিনসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাদের। ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীবের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সহসভাপতি নেওয়াজ খান বাপ্পী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদসহ নেতাকর্মীরা।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলেই প্রতারিত হবেন : গণঅধিকার পরিষদ
‘একতরফা’ তপশিল বাতিল এবং সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলসমূহের ডাকা দেশব্যাপী অষ্টম দফার অবরোধের সমর্থনে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ।  বুধবার (২৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুরানা পল্টন সংলগ্ন আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে পল্টন মোড়, নাইটিঙ্গেল মোড় বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে বিজয়নগর পানিরট্যাংকির মোড়ে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের এই অংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ‘বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বছরখানেক আগে বলেছিলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি- ’১৮ সালে জনগণ ভোট দিতে পারেনি।’ এই কারণে দেখেন এইবার তার আসনেও নৌকার নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। যারা সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, তাদের প্রত্যেককেও এই পরিণতি ভোগ করতে হবে। আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করে অনেকে নির্বাচনে যাচ্ছে, কিন্তু গতকালই দেখেছেন তৃণমূল বিএনপির এক নেতার বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। মিডিয়ার উপস্থিতিতে কোনো একজনের সাথে কথা বলছেন। তাকে যে আসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেই আসন আর দেওয়া হচ্ছে না। যারাই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন, তারাই আওয়ামী লীগের দ্বারা প্রতারিত হবেন। আমাদেরকেও নানা চাপ দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু গণঅধিকার পরিষদ জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে নির্বাচনে যাবে না।  দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করছে।  তিনি বলেন, ৩০ নভেম্বরের পর থেকে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল একতরফা নির্বাচনকে প্রতিহত করতে রাজপথে থাকবে। গণঅধিকার পরিষদের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের একই দাবিতে রাজপথে থাকার আহ্বান জানাই। মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন- গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, আব্দুজ জাহের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, জিলু খান,আনিসুর রহমান, যুব পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি ডা.জাফর মাহমুদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, গণঅধিকার পরিষদ উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমসহ নেতাকর্মীরা।
২৯ নভেম্বর, ২০২৩

দেশে অঘোষিত বাকশাল চলছে : ভিপি নুর
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আমরা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই, আমরা আমাদের ভোটের অধিকার চাই। আমাদের এই চাওয়া তো অন্যায় না। তাহলে সরকার কেন আমাদের দাবি মানছে না? কারণ, তারা দেশে ’৭৫ এর মতো একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করতে চায়। দেশে এখন অঘোষিত বাকশাল চলছে বলে দাবি করেন তিনি। আজ সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে একদফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত পদযাত্রাপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন নুর। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এই সরকার র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা এনে দিয়েছে। এই সরকারের অপকর্মের জন্য আমেরিকা ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় থাকা অবস্থায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা এই সরকারের ওপর চপেটাঘাত। কিছুদিন আগে সেলফি তুলে এই সরকার খুব হাসি-ঠাট্টা করেছে আর এখন ভিসা নিষেধাজ্ঞায় চোখের পানি ঝরছে। এই ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের যত চোখের পানি ঝরিয়েছে, আওয়ামী সরকারকে তার দ্বিগুণ পানি ফেলতে হবে। তিনি বলেন, এই সরকার উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে। এই লুটেরা সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম। একদফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু হয়েছে। সরকারের অনেক রথি-মহারথিরা এই নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন।  তিনি বলেন, জনগণ এই ব্যর্থ সরকারের পদত্যাগ চায়। এ জন্য জনগণের গণআন্দোলন শুরু হয়েছে। গণআন্দোলনের মাধ্যমেই এই ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন হবে। গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাড. নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক তোজাজ্জল হোসেন, মহানগর দক্ষিণের সৈয়দ মিল্টন, নজরুল ইসলাম মিলন, গাজী ইউনুছ, নাজিমুদ্দিন, মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারজানা কিবরিয়া প্রমুখ। পরে পল্টন মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে মতিঝিল শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

দুর্ভিক্ষ ডেকে আনছে সরকার- নুরুল হক নুর
সরকার দেশে দুর্ভিক্ষ ডেকে আনছে বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তিনি। এর আগে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতার প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে মশারি মিছিল কর্মসূচি পালন করেন দলটির নেতাকর্মীরা। নুর বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমারা বার বার অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে। সরকার যদি সুষ্ঠু নির্বাচন না করে, বিদেশিরা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে করে দিতে পারে। গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সুহেল রানার সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, সোহরাব হোসেন প্রমুখ।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X