বাংলাদেশ এখন বহুমুখী সংকটে পতিত বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
আজ শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নুরুল হক নুর বলেন, সরকারের নৈতিক ভিত্তি না থাকায় অন্য দেশগুলো পাত্তা দিচ্ছে না, বরং তাদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, ১৫ বছর টানা ক্ষমতায় থাকার পর এখন প্রধানমন্ত্রীও বলছেন, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা কারা করছে? সরকারি দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় প্রশাসন। মাদক যুবসমাজকে গ্রাস করছে। ১৫-২৫ বছরের ৪১% তরুণ পড়াশোনা বা চাকরিতে নেই। অর্থনৈতিক সংকট থেকে দেশকে উত্তরণ, ইউরোপ-আমেরিকার পোশাকের ক্রেতা কমছে, নতুন বাজার খোঁজা, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি- এগুলো নিয়ে সংসদে আলোচনা হয় না। জনগণকে নিয়ে তাদের ভাবনা নেই। তারা সবাই টাকা-পয়সা কামানোর ধান্দায়।
দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, আজকাল সরকার জনগণকে কথায় কথায় হাইকোর্ট দেখায়। কিন্তু হাইকোর্ট দেখিয়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যাবে না। সবকিছুর শেষ আছে, আপনাদেরও বিদায় নিতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের (নুর) উদ্যোগে গণতন্ত্র-ভোটাধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভিন দেশি আধিপত্য ও আগ্রাসনবিরোধী এই সমাবেশ হয়। সমাবেশে শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড়, ফকিরাপুল, বিএনপির দলীয় কার্যালয়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে শেষ হয়।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, যুবঅধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন