মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
নোটিশ ছাড়া পরীক্ষা স্থগিত, ঢাকায় পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ করেই মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক এবং ডে কেয়ার ইনচার্জ পদের বাছাই পরীক্ষা স্থগিত করায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে পরীক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। এ জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পরীক্ষা দিতে আসেন পরীক্ষার্থীরা। এসে জানতে পারেন তাদের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। তারা জানান, কেন্দ্রে এসে তারা জানতে পারেন, পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থোকে পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পরেছেন। পরীক্ষার্থীরা বলেন, সকাল ১১টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল, টাঙানো হয়েছিল সিটপ্লান। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে জানানো হয় পরীক্ষা স্থগিতের কথা।
১৩ অক্টোবর, ২০২৩

প্রবেশপত্রে অতিরিক্ত টাকা আদায়, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
পটুয়াখালী দশমিনা সরকারি আব্দুর রসিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র পেতে ১২০০ টাকা দাবি করায় অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার (১৩ আগস্ট) বিক্ষোভ মিছিল করেছেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার্থীরা জানান, এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র আনতে আজ কলেজে যান। এ সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে ১২০০ টাকা দাবি করে। এ ঘটনায় তারা কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল শেষে তারা অধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও করে। এ সময় পরীক্ষার্থীরা দাবি করা টাকা দিতে অস্বীকার করলে একপর্যায়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। জানা গেছে, এ বছর কলেজটি থেকে মানবিক বিভাগে ৪৭০, বিজ্ঞান বিভাগে ৭৮, বাণিজ্য বিভাগে ৫৯ এবং ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বিভাগে ৪০৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। কলেজের মানবিক বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থী উম্মে মারিয়া বলেন, প্রবেশপত্রের জন্য টাকা নেওয়ার বিধান না থাকলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ ১২০০ টাকা দাবি করছে। আরেক পরীক্ষার্থী সজিব হোসেন বলেন, ‘কলেজ কর্তৃপক্ষ ১২০০ টাকা দাবি করছে কিন্তু আমার পরিবারের পক্ষে এত টাকা দিয়ে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করা সম্ভব নয়।’ সজিব আরও অভিযোগ করে বলেন, পরীক্ষার ব্যবহারিক খাতার জন্যও কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কিনে নিতে হয়। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রাকিব হোসাইন বলেন, শুধু প্রবেশপত্র নয় কলেজটি দুর্নীতির আতুর ঘরে পরিণত হয়েছে। কলেজে দশমিনা উপজেলার হতদরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করেন, কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। এসব ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একাধিকবার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মাহামুদুল্লাহ দাবি করেন, এইচএসসি পরীক্ষায় প্রায় সাত লাখ টাকা খরচ হয়। এসব খরচ মেটাতে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে। অতি দরিদ্র পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে বিশেষ বিবেচনা করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা নাজ নীরা বলেন, ‘কলেজে অতিরিক্ত টাকা দাবির বিষয়টি পরীক্ষার্থীরা আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৩ আগস্ট, ২০২৩
X