সাংবাদিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি মামলা
সাংবাদিক মো. জসিম উদ্দিন সিকদার ও তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. তৌফিকুজ্জামান তনুসহ আটজনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পচাকোড়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালতের বিচারক মো. আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গেছে, তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া এক তরুণীর বিরুদ্ধে মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে গত ১২ এপ্রিল তালতলী থানার পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার প্রধান স্বাক্ষী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পচাকোড়ালিযা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারেরও নগ্ন অবস্থায় একই তরুণীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ গত ১৮ এপ্রিল রাতে ভাইরাল হয়। ৪৫ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় চেয়ারম্যান রাজ্জাক একেবারে আপত্তিকর অবস্থায় মোবাইল নিয়ে বিছানায় শুইয়ে আছেন। ৫২ সেকেন্ড ও ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়। এমন ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। চেয়ারম্যানের এমন ঘটনা দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এতে ক্ষুদ্ধ হন চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার পচাকোড়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান তনুকে প্রধান আসামি করে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মো. আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা ডিবি পুলিশের ওসিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন তারিকুজ্জামান তারেক, মো. আরিফ হোসেন, যুগান্তর পত্রিকার স্টা ফ রিপোর্টার জসিম উদ্দিন সিকদার, শফিকুল ইসলাম ইমন, মিলন গাজী, ফারুক, তশরিফ আহম্মেদ জুয়েল।  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোটার জসিম উদ্দিন সিকদার বলেন, চেয়ারম্যান রাজ্জাকের নগ্ন ভিডিও ভাইরালের ছবি যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় আমাকে হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।  মামলার প্রধান আসামি তালতলী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মো. তৌফিকুজ্জামান তনু বলেন, নিজের অপরাধ ঢাকতে চেয়ারম্যান রাজ্জাক হাওলাদার আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।  বরগুনা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি মো. বশির আলম বলেন, এখনো মামলার নথি পাইনি। নথি পেলে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

‘শিশুসাহিত্যিক পরিচয়ের আড়ালে পর্নোগ্রাফি বানাতেন টিপু কিবরিয়া’ 
শিশুসাহিত্যিক, আলোকচিত্রী পরিচয়ের আড়ালে পর্নোগ্রাফি তৈরি করার অভিযোগে চক্রের মূল হোতা টিপু কিবরিয়া ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, শিশুসাহিত্যিক হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে টিপু কিবরিয়ার। আলোকচিত্রী হিসেবেও তার সুনাম রয়েছে। কিন্তু সুন্দর এই পরিচয়ের আড়ালে তার আরেকটি কুৎসিত চেহারা রয়েছে। তিনি আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফি চক্রের মূল হোতা। পথশিশুদের নিয়ে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও সরবরাহ করে ২০১৪  সালে সিআইডি কর্তৃক গ্রেপ্তার হন। সেই টি আই এম ফখরুজ্জামান ওরফে টিপু কিবরিয়া এবার একই অপরাধে সহযোগী মো. কামরুল ইসলাম ওরফে সাগরসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে প্রায় ২৫ হাজার পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত টি আই এম ফকরুজ্জামান এক সময়কার জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক। তিনি টিপু কিবরিয়া নামে পরিচিত। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ সালে বাংলায় স্নাতক এবং ১৯৮৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯১ সালে সেবা প্রকাশনীর মাসিক ‘কিশোর পত্রিকা’য় সহকারী সম্পাদক পদে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। তিনি ফ্রিল্যান্স আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি শিশুসাহিত্য রচনা করতেন। তিনি বলেন, ২০০৫ সাল থেকে শিশু পর্নোগ্রাফির সাথে জড়িত হন টিপু কিবরিয়া। ২০১৪ সালে সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হন এবং তার নামে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়। ২০২১ সালে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পুনরায় সাহিত্য নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু সাহিত্য চর্চার আড়ালে পুনরায় শিশু পর্নোগ্রাফির সেই পুরোনো পথেই হাঁটতে শুরু করেন টিপু কিবরিয়া। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, টিপু কিবরিয়া গুলিস্তান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাংবাদিক পরিচয়ে ছিন্নমূল ছেলে শিশুদের অর্থের লোভ দেখিয়ে কাছে আনেন। নিজের বাসা ছাড়াও বিভিন্ন পার্কের নির্জন স্থানে শিশুদের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। তার কয়েকজন সহযোগীও রয়েছে। যাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো থেকে প্রায় ২০ জন পথশিশু শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, অশ্লীল ছবিগুলো পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইটে আপলোড করলে টিপু কিবরিয়ার সঙ্গে অনেকে যোগাযোগ করে। টিপু কিবরিয়া অর্থের বিনিময়ে ছিন্নমূল পথশিশুদের ব্যবহার করে তাদের ভিডিও কনটেন্ট সরবরাহ করত। তিনি আরও বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর খিলগাঁওয়ে অভিযান চালিয়ে টিপু কিবরিয়া ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় টিপুর বাসায় তার ব্যবহৃত ডেস্কটপ পরীক্ষা করে দেখা যায়, দুটি এনক্রিপ্টেড অ্যাপের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এ পর্যন্ত ইতালি, অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানির নাগরিকসহ প্রায় ২০-২৫টি আইডি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। যারা এসব আইডি দিয়ে টিপু কিবরিয়ার সঙ্গে শিশু পর্নোগ্রাফির বিভিন্ন কনটেন্টের জন্য যোগাযোগ করত। এ ছাড়া তার ক্যামেরা, পিসি ও ক্লাউড স্টোরেজ থেকে প্রাথমিকভাবে প্রায় ২৫০০ স্থিরচিত্র ও প্রায় ১০০০ ভিডিও কনটেন্ট পাওয়া গেছে। 
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

গ্রামে পর্নোগ্রাফি দেখার প্রবণতা বাড়ছে
দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারের দিক থেকে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ছিল বিস্তর বৈষম্য। তবে দিন দিন সেই বৈষম্য দূর হচ্ছে। বর্তমানে শহরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রামেও বাড়ছে মোবাইল-ইন্টারনেটের ব্যবহার। এমনকি বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় এখন গ্রামে অনেক বেশি। শুধু তাই নয়, বর্তমানে শহরে কমছে মোবাইল ফোন ব্যবহারের হার। তবে, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারে শহর-গ্রামের বৈষম্য কমলেও, আছে দুসংবাদ। গ্রামে অনলাইন জুয়া এবং পর্নোগ্রাফিতে আসক্তির প্রবণতাও দিন দিন বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিসম্প্রতি গ্রামে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ার পেছনে রয়েছে অনলাইন জুয়া ও পর্নোগ্রাফি। অনলাইনে জুয়া খেলার হার সবচেয়ে বেশি।  সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মোবাইল ব্যবহারকারীর হার মোট জনসংখ্যার ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২২ সালে এই হার ছিল ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এই হার শহরে ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং গ্রামে ৭১ দশমিক ৬ শতাংশ। এই হিসাবে এখনো শহরে মোবাইলের ব্যবহার বেশি। তবে বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি। ২০২০ সালে গ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর হার ছিল ৬৯ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২৩ সালে সেটা বেড়ে হয়েছে ৭১ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ তিন বছরের ব্যবধানে প্রায় দুই শতাংশ বেড়েছে ব্যবহারকারী। আর ২০২২ সালে ছিল ৭১ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে, ২০২২ সালে শহরে মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ছিল ৮৩ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। আর ২০২০ সালে শহরে ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী ছিল। চার বছরে বেড়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ চার বছরের ব্যবধানে শহরের চেয়ে গ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। শহরের সঙ্গে গ্রামেও বাড়ছে ইন্টারনেটের ব্যবহার। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে গ্রামে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ছিল ৪১ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৪৬ দশমিক ১ শতাংশ। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে গ্রামে ৫ শতাংশ হারে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। শহরে এই সময়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দিক থেকেও বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ কালবেলাকে বলেন, গ্রামের অনেকে প্রবাসে থাকে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইলের ব্যবহার বাড়ছে। একই সঙ্গে মানুষের সক্ষমতাও আগের থেকে বেড়েছে। তবে গ্রামে মোবাইল ব্যবহারকারী বাড়ার পেছনে বর্তমানে অন্যতম কারণ অনলাইন জুয়া ও পর্নোগ্রাফি। এ কারণে ইন্টারনেটের ব্যবহারও বেড়েছে। তিনি বলেন, গ্রামের কিশোর-তরুণরা অনলাইনে জুয়ায় আসক্ত হচ্ছে। এ ছাড়া পর্নোগ্রাফি দেখার প্রবণতাও রয়েছে। পাশাপাশি অনেকে মোবাইলে গেম খেলে। এসব কারণে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ছে। শহরে কমার বিষয়ে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের বিভিন্ন ডিভাইসের সহজলভ্যতা এবং বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে শহরে মোবাইলের ব্যবহার কম। মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শহরের সঙ্গে গ্রামেও ব্যবহারকারী বাড়াটা ভালো খবর। তবে গ্রাম পর্যায়ে এটার নেতিবাচক প্রভাব বেশি পড়ছে। এখান থেকে উত্তরণে বিটিআরসিকে আমরা বারবার অনুরোধ জানিয়েছিলাম, কিন্তু তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না।
৩০ মার্চ, ২০২৪

জামালপুরে পর্নোগ্রাফি মামলায় শিক্ষক গ্রেপ্তার
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পর্নোগ্রাফি মামলায় আব্দুর রহমান (২৪) নামে এক যুবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত আব্দুর রহমান ময়মনসিংহের মহিষদিয়া মুক্তাগাছা এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে। তিনি সরিষাবাড়ী কলেজ রোড সংলগ্ন একটেল কোচিং সেন্টারের ধর্মীয় শিক্ষক। জানা যায়, সরিষাবাড়ী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষার্থী এবারের এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পূর্বে একটেল কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ওই কোচিং সেন্টারের ধর্মীয় শিক্ষক আব্দুর রহমান তার সঙ্গে সম্পর্ক করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তার মোবাইল নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর নিয়ে তারা কথা বলা শুরু করে এবং পরীক্ষায় পাস করে দেওয়াসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার অশ্লীল ভিডিওচিত্র ধারণ করে।  পরবর্তীতে মেয়েটি যখন তার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। তখন তিনি ওই সকল ভিডিওচিত্র ও ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করে দিবে বলে হুমকি দেন। এমতাবস্থায় মেয়েটি নিরুপায় হয়ে তার অভিভাবককে জানালে তারা শুক্রবার সকালে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে ওই অভিযুক্ত যুবককে সরিষাবাড়ী থানার এসআই শিব্বির আহমেদ গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তার আসামি আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে জামালপুর জেল হাজতে সোপর্দ করা হয়।  জানা যায়, সরিষাবাড়ী পৌরসভার সিমলাপল্লী পূর্ব পাড়া গ্রামের মৃত আরমান আলী মন্ডলের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে এ মামলা রুজু করেন।  এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, পর্নোগ্রাফি অভিযোগ পেয়ে আব্দুর রহমান নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা রুজু করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

লক্ষ্মীপুরে পর্নোগ্রাফি মামলায় যুবকের ৫ বছরের কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে পর্নোগ্রাফি মামলায় মো. মনির হোসেন নামে এক যুবককে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।   দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মনির হোসেন (৩১) জেলার কমলনগর উপজেলার চরলরেঞ্চ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চরলরেঞ্চ গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে। সে ওই এলাকার চৌধুরী বাজারের টেলিকম ব্যবসায়ী।  মামলার বাদি এক প্রবাসীর স্ত্রী। সে একই উপজেলার চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।   মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদী একজন গৃহবধূ। তার স্বামী প্রবাসে থাকে। উপজেলার চরলরেঞ্চ ইউনিয়নের চৌধুরী বাজারে আসামি মনির হোসেনের টেলিকম দোকান রয়েছে। গৃহবধূ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন মেরামতের জন্য মনিরের কাছে নিয়ে যায়। এ সুযোগে মনির ওই মোবাইল ফোন থেকে গৃহবধূ ও তার স্বামীর অন্তরঙ্গ চিত্র তার কম্পিউটারে নিয়ে নেয়। পরে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গৃহবধূকে ভয়ভীতি দেখায়। এটাকে পুঁজি করে গৃহবধূর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে মনির। পরে সেগুলোও মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে এবং গৃহবধূকে ব্লাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। মনির ২০২২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি অন্তরঙ্গ ভিডিও ফুটেজ তার ব্যবহৃত ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার এবং আরও দুটি ফেসবুক আইডি থেকে গৃহবধূর স্বামী এবং তার বোনের ম্যাসেঞ্জারে পাঠায়।  এ ঘটনায় ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে মনিরের বিরুদ্ধে কমলনগর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। ২০ ফেব্রুয়ারি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।  মামলাটি তদন্ত করে ৪ জুলাই আসামিরর বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন কমলনগর থানার এসআই মো. সফিকুল ইসলাম।  আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামি মনির হোসেনের বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন।
১৭ আগস্ট, ২০২৩
X