মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরানি ওষুধের বিশ্বজয়
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পাহাড় পেরিয়ে দিন দিন সাফল্যের শিখরে উঠছে ইরান। বিশেষ করে সামরিক খাতে দেশটির সাফল্য যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ পশ্চিমাঘেঁষা সুন্নি মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি বিজ্ঞান ও চিকিৎসা খাতেও নজরকাড়া সাফল্য দেখিয়ে আসছে তেহরান। সম্প্রতি ইরানের ওষুধ রপ্তানি বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। যা দেশটির প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিতও বহন করে। এমন তথ্য জানিয়েছেন ইরানে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান হায়দার মোহাম্মদি। দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়। সম্প্রতি তেহরানে আয়োজিত ইরান ফার্মা এক্সপো ২০২৩-এর অবসরে দেওয়া এক বক্তব্যে হায়দার মোহাম্মদি জানান, বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের উপস্থিতি এবারের ফার্মা এক্সপোকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ৪০টি দেশে ইরানের তৈরি ওষুধ রপ্তানি করা হচ্ছে।  তিন দিনব্যাপী পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের বৃহত্তম এই ফার্মা এক্সপো শনিবার শেষ হয়েছে। এবারের এক্সপোতে ৪২৭টি ইরানি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। পাশাপাশি ৩৩টি দেশের ২৮২টি বিদেশি কোম্পানিও এতে অংশ নিয়েছে বলে জানান হায়দার মোহাম্মদি। তিনি জানান, দেশের ওষুধ ও চিকিৎসাখাতের সক্ষমতা দেখানোর জন্য ফার্মা এক্সপো একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম। ইরান জানায়, গ্রুপ অব ফাইভের বৈঠকে ইরানের তৈরি এসব ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী আঞ্চলিক দেশগুলোর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার সুযোগ তৈরি হবে। ২০০৫ সালের জুনে ‘যৌথ স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের জন্য যৌথ কাজ’ স্লোগান ধারণ করে আফগানিস্তান, ইরাক, পাকিস্তান এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমন্বয়ে এই জোট গঠন করা হয়। পরে তাজিকিস্তানও এই জোটের সদস্যপদ অর্জন করে। তেহরান বলছে, এসব অঞ্চলে জনগণের স্বাস্থ্যগত সমস্যাগুলোর মধ্যে মিল রয়েছে। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দেশটির ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর আয়োজনে প্রতিবছর সেপ্টেম্বরে ফার্মা এক্সপো অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন ধরনের ফার্মাসিউটিক্যালস, চিকিৎসাবিষয়ক যন্ত্রপাতি, ফার্মাসিউটিক্যাল প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, রিকম্বিন্যান্ট ওষুধ, ভেষজ ওষুধ, খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক কোম্পানিগুলো অংশ নিয়ে থাকে।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়াকে সামরিক প্রযুক্তি দিচ্ছে চীন
পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়াকে চীন সামরিক প্রযুক্তি সরবরাহ করছে বলে দাবি যুক্তরাষ্ট্রের। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রাশিয়াকে সমরাস্ত্র দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে চীন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) প্রকাশিত মার্কিন এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের কার্যালয়ের (ওডিএনআই) তৈরিকৃত এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের গোয়েন্দাবিষয়ক স্থায়ী কমিটি। ওডিএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য মস্কোকে দুইবার ব্যবহার করা যায় এমন সামরিক প্রযুক্তি সরবরাহ করছে চীন। কাস্টমসের তথ্য থেকে দেখা যায়, চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলো রাশিয়ান প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোকে ন্যাভিগেশন সরঞ্জাম, জ্যামিং প্রযুক্তি ও যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ করছে। এমনকি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর হওয়ার পর চীন রাশিয়ার আরও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠেছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। আরও পড়ুন : এবার রাশিয়াকে ‘অস্ত্র’ দিচ্ছে চীন এর আগে গত সপ্তাহে চীন রাশিয়াকে সামরিক সরঞ্জাম দিচ্ছে বলে দাবি করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর শীর্ষ কূটনৈতিক উপদেষ্টা ইমানুয়েল বোন। তবে সামরিক সরঞ্জাম দিলেও সেগুলো বড় আকারে নয় বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। রাশিয়ায় চীনের এমন প্রযুক্তি সরবরাহ করা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন কর্মকর্তা বলে আসছেন, ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে চীন লিথাল সহায়তা করছে এমন প্রমাণ তারা এখনো পাননি।
২৮ জুলাই, ২০২৩
X