পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পাহাড় পেরিয়ে দিন দিন সাফল্যের শিখরে উঠছে ইরান। বিশেষ করে সামরিক খাতে দেশটির সাফল্য যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ পশ্চিমাঘেঁষা সুন্নি মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি বিজ্ঞান ও চিকিৎসা খাতেও নজরকাড়া সাফল্য দেখিয়ে আসছে তেহরান।
সম্প্রতি ইরানের ওষুধ রপ্তানি বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। যা দেশটির প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিতও বহন করে। এমন তথ্য জানিয়েছেন ইরানে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান হায়দার মোহাম্মদি। দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
সম্প্রতি তেহরানে আয়োজিত ইরান ফার্মা এক্সপো ২০২৩-এর অবসরে দেওয়া এক বক্তব্যে হায়দার মোহাম্মদি জানান, বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের উপস্থিতি এবারের ফার্মা এক্সপোকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ৪০টি দেশে ইরানের তৈরি ওষুধ রপ্তানি করা হচ্ছে।
তিন দিনব্যাপী পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের বৃহত্তম এই ফার্মা এক্সপো শনিবার শেষ হয়েছে। এবারের এক্সপোতে ৪২৭টি ইরানি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। পাশাপাশি ৩৩টি দেশের ২৮২টি বিদেশি কোম্পানিও এতে অংশ নিয়েছে বলে জানান হায়দার মোহাম্মদি। তিনি জানান, দেশের ওষুধ ও চিকিৎসাখাতের সক্ষমতা দেখানোর জন্য ফার্মা এক্সপো একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম।
ইরান জানায়, গ্রুপ অব ফাইভের বৈঠকে ইরানের তৈরি এসব ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী আঞ্চলিক দেশগুলোর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার সুযোগ তৈরি হবে। ২০০৫ সালের জুনে ‘যৌথ স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের জন্য যৌথ কাজ’ স্লোগান ধারণ করে আফগানিস্তান, ইরাক, পাকিস্তান এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমন্বয়ে এই জোট গঠন করা হয়। পরে তাজিকিস্তানও এই জোটের সদস্যপদ অর্জন করে। তেহরান বলছে, এসব অঞ্চলে জনগণের স্বাস্থ্যগত সমস্যাগুলোর মধ্যে মিল রয়েছে।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দেশটির ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর আয়োজনে প্রতিবছর সেপ্টেম্বরে ফার্মা এক্সপো অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন ধরনের ফার্মাসিউটিক্যালস, চিকিৎসাবিষয়ক যন্ত্রপাতি, ফার্মাসিউটিক্যাল প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, রিকম্বিন্যান্ট ওষুধ, ভেষজ ওষুধ, খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক কোম্পানিগুলো অংশ নিয়ে থাকে।
মন্তব্য করুন