Sat, 18 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
চাকরির সুযোগ দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক, থাকছে না বয়সসীমা
৭ মিনিট আগে
হাইকোর্টের আদেশ সত্ত্বেও যুদ্ধাপরাধীর নামে স্কুলের নাম বহাল
২৯ মিনিট আগে
কলার কাঁদি নিয়ে ঝগড়ায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
৩৪ মিনিট আগে
৩৪ জনকে নিয়োগ দেবে বিআরটিসি, আবেদন অনলাইনে
৩৯ মিনিট আগে
হঠাৎ বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরে পেল বীজতলা
৪৪ মিনিট আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১৮ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও হননি ভর্তি, স্বপ্নপূরণ করেন পাইলট হয়ে
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমানঘাঁটি থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই আগুন ধরে যায় বিমানটিতে। কর্ণফুলী নদীতে ভূপাতিত হওয়ার আগেই বিমানে থাকা বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ প্যারাসুট দিয়ে নদীতে নামলেন। সোহান প্রাণে বাঁচলেও বাঁচানো যায়নি আসিমকে। ছয় বছর বয়সী মেয়ে, এক বছর বয়সী ছেলে, স্ত্রী ও পিতা-মাতাকে রেখে তিনি পাড়ি জমালেন পরলোকে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ রিফাতের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। বাবা মোহাম্মদ আমানউল্লাহ পেশায় চিকিৎসক এবং মা নিলুফার খানম সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। বাবা-মায়ের কাজের সুবাদে ছোটবেলায় দেশের বিভিন্ন স্থানে থেকেছেন আসিম। সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে ২০১০ সালে তিনি যোগ দেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে। জানা যায়, রিফাতের (আসিম জাওয়াদ) বাবা-মায়ের ইচ্ছে ছিল ছেলে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই রিফাতের স্বপ্ন ছিল পাইলট হবে, বিমানবাহিনীতে যোগ দেবে। সরকারি মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েও ভর্তি হয়নি। স্বপ্নপূরণ করেছে পাইলট হয়ে। শেষে বিমান দুর্ঘটনাতেই তার মৃত্যু হলো। আসিমের মামা সুরুয খান বলেন, ছোটবেলা থেকেই বিমানবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল রিফাতের। সে স্বপ্ন পূরণও হয় তার। কিন্তু সেই বিমানেই প্রাণ গেল তার।
১১ মে, ২০২৪
মিরপুরে আসিম জাওয়াদের স্মরণে এক মিনিটের নীরবতা
লম্বা সময় পর মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজে চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ বাংলাদেশ দল খেলেবে নিজেদের হোম অব ক্রিকেটে। সিরিজের ৪র্থ এবং মিরপুরের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে এরইমধ্যে টস হেরে ব্যাটিং করছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে টাইগাররা ব্যাটিংয়ে নামার আগে মিরপুরের মাঠ জুড়ে ছিল শোকের আবহ। বৃহস্পতিবার (১০ মে) চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হওয়া পাইলট আসিম জাওয়াদের স্মরণে এক মিনিটের নীরবতা পালন করে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে ম্যাচের আগেই বিষয়টি নিশ্চিত করে পোস্ট দেয়। বিসিবির দেওয়া অফিসিয়াল সেই বার্তায় বলা হয়, গতকাল চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ আসিম জাওয়াদের বিমান দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যুতে শহীদ এই বীরের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে, মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে বিসিবি এক মিনিটের নীরবতা পালন করবে। উল্লেখ্য, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি ‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে’ দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনার পর ওই দুজনকে উদ্ধার করে জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে দুই ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ। আহত অপর বৈমানিক উইং কমান্ডার সুহান চিকিৎসাধীন সেখানে। এদিকে শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৩টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের সেওতা কবরস্থানে নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। নিহত আসিম জাওয়াদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ডা. মোহাম্মদ আমানউল্লার ছেলে। তার মায়ের নাম নিলুফা খানম। মা ছিলেন সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। নিহত পাইলট আসিম মৃত্যুকালে স্ত্রী, ছয় বছর বয়সী কন্যা আইজা ও এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।
১০ মে, ২০২৪
মানিকগঞ্জে চিরনিদ্রায় শায়িত পাইলট রিফাত
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদ রিফাতের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) দুপুর মানিকগঞ্জ শহরের সেওতা কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে তাকে বহনকারী বিমানবাহিনীর-২১৯ হেলিকপ্টারটি মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। বৈমানিক আসিম জাওয়াদ রিফাতের লাশের সঙ্গে তার বাবা ডা. আমানউল্লা, স্ত্রী অন্তরা আক্তার ও দুই সন্তান হেলিকপ্টারে আসেন। নিহত ছেলের বহনকারী হেলিকপ্টার দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা নিলুফা খানমসহ স্বজনরা। জানা গেছে, সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক শিক্ষক নিলুফা আক্তার খানম ও চিকিৎসক আমানুল্লাহর একমাত্র সন্তান ছিলেন আসিম জাওয়াদ রিফাত। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে কান্না করতে করতে মূর্ছা যাচ্ছেন মা নিলুফা। নিহত পাইলটের মামা সুরুয খান জানান, আসিম জাওয়াদ খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। তিনি পরিবারের একমাত্র সন্তান । তার মৃত্যুর খবরে আমার বোন নিলুফা পাগলপ্রায়। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জাওয়াদের খালাতো ভাই মশিউর রহমান শিমুল জানান, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স একাডেমিতে (বাফা) যোগদান করে ২০১১ সালে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন জাওয়াদ। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে আসিম চট্টগ্রাম বিমানবাহিনীর ঘাঁটি জহরুল হকের অফিসার্স আবাসিক এলাকার নীলিমাতে বসবাস করতেন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান ইয়াক-১৩০ বিধ্বস্ত হয়। বেলা পৌনে ১১টার দিকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) পাইলট জাওয়াদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
১০ মে, ২০২৪
মানিকগঞ্জে পৌঁছেছে পাইলট রিফাতের লাশ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত পাইলট অসিম জাওয়াদ রিফাতের লাশ মানিকগঞ্জে পৌঁছেছে। শুক্রবার (১০ মে) দুপুর ১২টার দিকে তাকে বহনকারী বিমানবাহিনীর-২১৯ হেলিকপ্টারটি মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে নামে। এর আগে নিরাপদে হেলিকপ্টারটি মাটিতে নামার জন্য সকল প্রস্তুতি নেয় বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা। বৈমানিক অসিম জাওয়াদ রিফাতের লাশের সঙ্গে তার বাবা ডা. আমানউল্লা, স্ত্রী অন্তরা আক্তার ও দুই সন্তান হেলিকপ্টারে আসেন। নিহত ছেলের বহনকারী হেলিকপ্টার দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা নিলুফা খানমসহ স্বজনরা। নিহত পাইলটের মামা সুরুয খান জানান, অসিম জাওয়াদ খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। তিনি পরিবারের একমাত্র সন্তান । তার মৃত্যুর খবরে আমার বোন নিলুফা পাগলপ্রায়। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্টেডিয়াম মাঠে জানাজা শেষে তাকে শহরের সেওতা কবরস্থানে দাফন করা হবে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) পাইলট জাওয়াদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
১০ মে, ২০২৪
মানিকগঞ্জে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন পাইলট আসিম জাওয়াদ
চট্টগ্রামে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদ ওরফে রিফাতকে মানিকগঞ্জে দাফন করা হবে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে নিহতের পারিবারিক সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। কর্ণফুলী নদীতে ভূপাতিত হওয়ার আগেই বিমানে থাকা বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ প্যারাসুট দিয়ে নদীতে নামলেও দুজন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা বিএনএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিমানের উইং কমান্ডার সোহান জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল স্কোয়াড্রনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে বিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় বৈমানিক আসিম জাওয়াদ বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবর শোনে কান্না থামছে না মা নিলুফা খানমের। ছেলে হারিয়ে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি। স্বজনরা তার মাকে নানা কথা বলে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ছেলের এমন মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। নিহত আসিম জাওয়াদ মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ডা. মোহাম্মদ আমানউল্লার ছেলে। তার মায়ের নাম নিলুফা খানম। নিহত পাইলট রিফাত মৃত্যুকালে স্ত্রী, ছয় বছর বয়সী কন্যা আইজা ও এক পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন। আসিম জাওয়াদের মামা মানিকগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিক সুরুয খান বলেন, ছোটবেলা থেকেই বিমানবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল রিফাত। তার স্ত্রী, ছয় বছরের মেয়ে আয়জা ও এক বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। আসিম জাওয়াদ তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে চট্টগ্রাম বিমানবাহিনীর ঘাঁটি জহরুল হকের অফিসার্স আবাসিক এলাকার নীলিমাতে থাকতেন। আর মা-বাবা মানিকগঞ্জ পৌর শহরের দাশড়া এলাকায় থাকেন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তার মা এখন পাগল প্রায়। তাকে হারিয়ে পরিবার শোকে বিহ্বল। আসিম জাওয়াদের খালাত ভাই দেওয়ান রাজীব মাহমুদ বলেন, আসিম জাওয়াদ রিফাতের মরদেহ আনতে তার বাবা ডা. মোহাম্মদ আমানউল্লাহ চট্টগ্রামে গেছেন। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ শুক্রবার (১০ মে) তার মরদেহ মানিকগঞ্জ এসে পৌঁছালে তাকে সেওতা কবরস্থানে দাফন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৯৯২ সালের ২০ মার্চ আসিম জাওয়াদ জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৭ সালে তিনি ঢাকার সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি এবং ২০০৯ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার প্রাপ্তিসহ জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন। চাকরিকালীন তিনি দেশ-বিদেশে পেশাগত বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণ করে সফলতার সঙ্গে তা সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে এভিয়েশন ইন্সট্রাক্টর্স পোস্টগ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি চীন থেকে ফাইটার পাইলটস ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স, ভারত থেকে অপারেশনাল ট্রেনিং ইন এভিয়েশন মেডিসিন ফর ফাইটার পাইলটস কোর্স, বেসিক এয়ার স্টাফ কোর্স ও কোয়ালিফায়েড ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর্স কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি পেশাদারি দক্ষতা ও সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মফিজ ট্রফি’, ‘বিমানবাহিনী প্রধান ট্রফি’ ও বিমানবাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র লাভ করেন। এ ছাড়া ভারতীয় বিমানবাহিনীতে কোর্সে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ইন্ডিয়ান এয়ার অর্জন করেন।
১০ মে, ২০২৪
চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত পাইলট নিহত
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কর্ণফুলীর জুলধা মাতব্বর ঘাটসংলগ্ন এইচএম স্টিল কারখানার পাশে কর্ণফুলী নদী থেকে বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ আসিম জাওয়াদ নিহত হন। আহত হয়েছেন উইং কমান্ডার সোহান হাসান খান। তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। বিমান বিধ্বস্তের সেই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল এলাকার আকাশে উড়ছিল ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমানটি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই বিমানের পেছনে জ্বলে ওঠে আগুন। মুহূর্তেই বিধ্বস্ত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে যায় বিমানটি। পতেঙ্গা থানার ওসি কবীরুল ইসলাম বলেন, বিমানে আগুন লাগার পর দুজন পাইলট প্যারাস্যুট দিয়ে নেমে আসেন। এ সময় কর্ণফুলী নদী থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বিমানবাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার সময় কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। দুর্ঘটনার পর দুই বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ প্যারাস্যুট দিয়ে নদীতে অবতরণ করেন। পরে তাদের উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে আসিম জাওয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দুই ঘণ্টা পর তিনি মারা যান। আহত অন্য বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান চিকিৎসাধীন। জাওয়াদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। আইএসপিআর জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় পতিত বিমানটি উদ্ধারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিমানটিতে আগুন ধরে যাওয়ার পর বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে বৈমানিকরা অত্যন্ত সাহসিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে বিমানটিকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যেতে সক্ষম হন। নিহত আসিম জাওয়াদ মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার গোপালপুর গ্রামের ড. আমান উল্লাহ ও নীলুফা আক্তারের একমাত্র ছেলে। তিনি ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স একাডেমিতে যোগদান করেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে। এ সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাস্যুট দিয়ে নেমে আসেন। এদিকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বিধ্বস্ত বিমানটি শনাক্ত করা হয়। উদ্ধারে কাজ করেছে নৌবাহিনীর জাহাজ বলবান। মানিকগঞ্জে আসিমের বাড়িতে মাতম: বিমান দুর্ঘটনায় নিহত আসিম জাওয়াদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। গতকাল বিকেলে জাওয়াদের জেলা শহরের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, একমাত্র সন্তানের মৃত্যুর খবরে আহাজারি করছেন মা নিলুফা। বিলাপ করে তিনি বলছিলেন, ‘আমার ছেলে প্রতিদিন ফোন করে আমাকে খাবারের কথা মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু আজ এখন পর্যন্ত কোনো ফোন করেনি। কখন আসবে জাওয়াদের ফোন।’ তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন স্বজনরা। ছেলে শোকে তিনি বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। সাংবাদিকদের দেখে তার প্রশ্ন, ‘বাড়িতে এত সাংবাদিক এসেছে কেন। আমার ছেলে কই, আমি আছি আমার ছেলে তো নেই।’ জাওয়াদের মামা সাংবাদিক সুরুয খান বলেন, মেধাবী জাওয়াদের ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়ার। আজ তাকে হরিয়ে পরিবারের মাথায় বাজ পড়েছে। তিনি জানান, আজ শুক্রবার জাওয়াদের লাশ মানিকগঞ্জে আসবে। এরপর তাকে শহরের সেওতা কবরস্থানে দাফন করা হবে।
১০ মে, ২০২৪
ত্রুটি থেকে বিমানে আগুন /
বেঁচেও বাঁচল না পাইলট
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা, চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল এলাকার আকাশে উড়ছিল বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ইয়াক-১৩০। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই সেই বিমানের পেছনে জ্বলে ওঠে আগুন। মুহূর্তেই বিধ্বস্ত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে যায় বিমানটি। বোট ক্লাবসহ আশপাশে শোনা যায় বিকট শব্দ। আতঙ্কে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। দুর্ঘটনা যেখানে ঘটে তার পার্শ্ববর্তী বোট ক্লাব থেকে ভিডিওটি করা হয়েছে বলে ধারণ করা হচ্ছে। ভিডিওটিতে দেখা গেছে, প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নের পর মাঝ আকাশে কয়েকটা চক্কর দেয়। এর কিছুক্ষণ পরই আগুন ধরে যায় বিমানটির পেছনের অংশে। এরপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে খাড়াভাবে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বোট ক্লাবে উপস্থিত সবাই। কয়েকজনকে বলতে শোনা যায়, হায় হায়রে, বিমানটিতে আগুন ধরে গেছে। আগুন ধরে গেছে। এরই মধ্যে ভিডিওটিতে ধরা পড়ে ভিন্ন দৃশ্য, দুর্ঘটনার সামান্য আগে প্যারাশুট দিয়ে নিরপদে নেমে যান বিমানের পাইলট ও কো-পাইলট। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি ‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে’ দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনার পর ওই দুজনকে উদ্ধার করে জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে দুই ঘণ্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ। আহত অপর বৈমানিক উইং কমান্ডার সুহান চিকিৎসাধীন সেখানে। বেঁচেও বাঁচল না আসিম জাওয়াদ বিমান বিধ্বস্তের আগে নিরাপদেই প্যারাশুট দিয়ে নেমে পড়েন পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ। কিন্তু সাহসী এই বীরকে বাঁচানো যায়নি। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে। এ সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাশুট দিয়ে নেমে আসেন। পতেঙ্গা থানার ওসি কবীরুল ইসলাম বলেন, প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজে আগুন লাগার পর দুজন বৈমানিক প্যারাশুট দিয়ে নেমে আসেন। এ সময় কর্ণফুলী নদী থেকে তাদের উদ্ধার করে বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের মৃত্যু হয়। জানা যায়, স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার গোপালপুর গ্রামের ড. আমান উল্লাহ ও নীলুফা আক্তারের ছেলে। তিনি সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০০৭ সালে এসএসসি ও ২০০৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স একাডেমিতে যোগদান করেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। আসিম জাওয়াদ নিজের ট্রেনিং জীবনে সব বিষয়ের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পেয়েছেন গৌরবমণ্ডিত ‘সোর্ড অফ অনার’। সাভার ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এখন পর্যন্ত তিনিই একমাত্র ‘সোর্ড অফ অনার’ বিজয়ী। ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস কোর্সে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পেয়েছেন ‘মফিজ ট্রফি’। এ ছাড়া তার দায়িত্বশীলতা ও কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার জন্য প্রশংসা পেয়েছেন চিফ অফ এয়ার স্টাফ থেকে। তিনি PT-6 , L-39ZA , F-7MB, F-BG1 ইত্যাদি বিমান চালিয়েছেন। তিনি F-7MG1- এর অপারেশনাল পাইলট ও এলিমেন্ট লিডার ছিলেন। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে জাতিসংঘের মিশনে তিনি নিয়োজিত ছিলেন। বিভিন্ন কোর্সের তাগিদে ভ্রমণ করেছেন চীন, ভারত, তুরস্ক ও পাকিস্তানে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিয়োজিত ছিলেন ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টর’স স্কুল অব বিএএফ-এ স্টাফ ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা ও স্বজনদের ধৈর্য ধারণ করার তওফিক দিন আল্লাহ তায়ালা। বাংলাদেশে এর আগে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় এবং একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারের মহেশখালীতে বিধ্বস্থ হয়েছিল বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। এলাকায় আতঙ্ক, উদ্ধারে কাজ চলমান সকালে সন্তান, স্বামীসহ বোট ক্লাবে ঘুরতে এসেছিল সাহানা আফরিন নামে এক নারী। তিনি কালবেলাকে বলেন, চোখের সামনে এত বড় দুর্ঘটনা দেখে আতকে উঠেছিলাম। কিছু বোঝার আগেই হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়ে তা পানিতে ডুবে যায়। কাজী হুমায়ূন কবির বলেন, এই ঘটনা সারাজীন স্মৃতি হয়ে থাকবে। এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি কখনোই হইনি। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বন্দর জোনের উপ-কমিশনার শাকিলা সোলতানা কালবেলাকে বলেন, জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ ট্রেনিং ফাইটার বিমানটি পতেঙ্গা এলাকায় বোট ক্লাবের ওপর দিয়ে উড্ডয়নরত অবস্থায় হঠাৎ পেছনের দিকে আগুন দেখা যায়। এরপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে পানিতে পড়ে। সেটি খুঁজতে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর টাগবোটসহ ডুবুরি, ফায়ার ফাইটার, পুলিশ, বন্দরে অবস্থানরত জাহাজের নাবিকরা কাজ করছেন। নৌ-বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করছি বিধ্বস্ত বিমানটি উদ্ধার করতে। এদিকে বিধ্বস্ত বিমানটি উদ্ধারে কর্ণফুলীতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুকও। তিনি বলেন, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে। বন্দর কর্তৃপক্ষও প্রয়োজনীয় নৌযান প্রস্তুত রেখেছে, যাতে দ্রুত সহযোগিতা করা যায়। দুর্ঘটনার কারণে বন্দরে জাহাজ চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। বিমান বিদ্ধস্তের ঘটনা এবারই নতুন নয় এর আগে ২০১৫ সালের জুনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ যুদ্ধবিমান বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক থেকে উড্ডয়নের পর সাগরে বিধ্বস্ত হয়। নিখোঁজ পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহমিদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মুনতাসিন বিমান থেকে বের হতে পারেন। ২০১০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পতেঙ্গা বোট ক্লাবের কাছে একটি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হয়। পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট আহমেদ সানজিদ বেঁচে যান।
০৯ মে, ২০২৪
বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের এক পাইলট নিহত
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এক পাইলট নিহত হয়েছেন। তার নাম অসীম জাওয়াদ। তিনি প্রশিক্ষণ বিমান—YAK130’র পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার। এ ঘটনায় আহত হওয়া অপরজন উইং কমান্ডার সোহানের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টার মাথায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা। তিনি বলেন, বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার ও কো-পাইলট উইং কমান্ডার প্যারাসুট দিয়ে নেমে এলে তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অসীম জাওয়াদ নামে একজনের মৃত্যু হয়। আহত অপরজন উইং কমান্ডার সোহানের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমানবাহিনীর ওয়াইএকে-১৩০ নামক যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নকালে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ সময় বিমানটির পেছন দিকে আগুন লেগে যায়। বিমানে থাকা দুজন আরোহী প্যারাশুট দিয়ে নেমে যান। পরে বিমানটি চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের অদূরে কর্ণফুলী নদীতে আছড়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নৌবাহিনী ও পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা উদ্ধারকাজ চালান। আইএসপিআর থেকে প্রেরিত এক বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি YAK 130 প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। বিমানের দুজন পাইলটকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে নৌবাহিনীর পাশাপাশি কোস্টগার্ডও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। এ সময় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয় জাহাজ চলাচল।
০৯ মে, ২০২৪
১৫৩ যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশে ঘুমিয়ে পড়েন পাইলট
ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণপূর্ব সুলাওয়েসি রাজ্যের কেন্দারি থেকে রাজধানী জাকার্তা যাওয়ার সময় বাটিক এয়ারের একটি ফ্লাইটে ঘুমিয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে দুই পাইলটের বিরুদ্ধে। এ সময় বিমানটিতে চার ক্রু ও ১৫৩ যাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় তদন্তে নেমেছে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়। বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এম ক্রিস্টি এনদাহ মুরনিকে উদ্ধৃত করে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনতারা এ তথ্য জানিয়েছে। ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট সেফটি কমিটির (কেএনকেটি) প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৫ জানুয়ারি উড়োজাহাজটির পাইলট এবং কো পাইলট দুজনই ফ্লাইট চলাকালীন প্রায় ২৮ মিনিট ঘুমিয়ে থাকেন। এর ফলে উড়োজাহাজটি তার নির্দিষ্ট যাত্রাপথে থাকতে ব্যর্থ হয়। অবশ্য এ ঘটনায় ফ্লাইটের চার ক্রু ও ১৫৩ যাত্রীর কেউই আহত হননি। উড়োজাহাজেরও কোনো ক্ষতি হয়নি। বাটিক এয়ারের ফ্লাইট বিটিকে ৬৭২৩ প্রায় দুই ঘণ্টা ৩৫ মিনিট উড়াল শেষে সফলভাবেই জাকার্তায় অবতরণ করে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফার্স্ট অফিসার ক্যাপ্টেনকে ফ্লাইটের আগে জানিয়েছিলেন তিনি পর্যাপ্ত বিশ্রাম না করেই ফ্লাইটে এসেছেন। কেন্দারি থেকে ফ্লাইটটি আকাশে ওড়ার পর ফার্স্ট অফিসার ৩০ মিনিটের জন্য ঘুমান। পরে নির্দিষ্ট উচ্চতায় যাওয়ার পর ক্যাপ্টেন ফ্লাইট অফিসারকে উড়োজাহাজের দায়িত্ব দিয়ে বিশ্রাম নেন। ৯০মিনিট ওড়ার পর ফার্স্ট অফিসার অসচেতনভাবে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় জাকার্তা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ প্রায় ১২মিনিট উড়োজাহাজটির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেনি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সবশেষ যোগাযোগের প্রায় ২৮ মিনিট পর ফ্লাইট ক্যাপ্টেনের ঘুম ভাঙে এবং তিনি বুঝতে পারেন যে এটি তার নির্দিষ্ট যাত্রাপথে নেই। এ পর্যায়ে তিনি ফার্স্ট অফিসারকে ঘুম থেকে তোলেন এবং নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফ্লাইট ক্যাপ্টেন নিয়ন্ত্রণকক্ষের কাছে দাবি করেন উড়োজাহাজটির রেডিও সিগন্যাল ব্যবস্থায় ত্রুটি দেখা গেছে। প্রতিবেদনে পাইলটদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে বলা হয়েছে দুজনই ইন্দোনেশিয়ান। ক্যাপ্টেনের বয়স ৩২ আর ফার্স্ট অফিসারের ২৮। সেই ফার্স্ট অফিসারের দুটি যমজ শিশু আছে এবং তাদের যত্ন নিতে স্ত্রীকে সহযোগিতার জন্য রাতে তাকে বেশ কয়েকবার ঘুম থেকে উঠতে হয়েছিল। ফ্লাইট বিটিকে ৬৭২৩ এর সব ক্রুকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রাউন্ডেড করা হয়েছে।
১১ মার্চ, ২০২৪
বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট পরিচালনার সকল বিভাগের দায়িত্বে নারীরা
বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে প্রথমবারের মতো ব্যতিক্রম এক আয়োজন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এয়ারলাইন্সের একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনায় পাইলট থেকে শুরু করে গ্রাউন্ড স্টাফ সবাই ছিলেন নারী। শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর ২টায় ঢাকা-দাম্মাম রুটে এ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানায়, নারী ক্রুদের (ককপিট ও কেবিন ক্রু) সমন্বয়ে ফ্লাইট বিজি-৩৪৯ পরিচালনা করা হয়েছে। ফ্লাইটের ক্রুদের ব্রিফিং, চেক-ইন কাউন্টার, ফ্লাইট কভারেজ, কেবিন ক্রু এবং ককপিট ক্রু সবাই ছিলেন নারী। এছাড়া পাইলট হিসেবে ফ্লাইট পরিচালনা করেন বিমানের সিনিয়র নারী ক্যাপ্টেন আলিয়া মান্নান ও ফার্স্ট অফিসার ফারিহা তাবাসসুম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে একটি স্মার্ট এয়ারলাইন্স হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পুরুষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায় সমানভাবে কাজ করে চলছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নারীরা। দক্ষতা আর পেশাদারত্বের অসামান্য অবদান রাখা বিমানের নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বিশ্ব নারী দিবসে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিমের নির্দেশনায় নেওয়া হয় এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক প্রশাসন একজন নারী। এছাড়া মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা, মহাব্যবস্থাপক গ্রাহক সেবা নারী। বিমানে রয়েছে ১৫ জন অভিজ্ঞ নারী পাইলট, যা পুরুষ ও নারী পাইলটদের আন্তর্জাতিক গড় ৬ শতাংশের প্রায় দ্বিগুণ (১০ দশমিক ৪)। বিমানে রয়েছে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ ৩৪৫ জন নারী কেবিন ক্রু। এছাড়া গ্রাউন্ড স্টাফ, নারী প্রকৌশলী, নারী প্রকৌশল ইন্সট্রাক্টরসহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সব শাখায় রয়েছে নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বিমানের নারী পাইলট, কেবিন ক্রু, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সমাজের সব নারীদের অনুপ্রেরণা জোগায়, সত্য প্রমাণ করে এ বছরের নারী দিবসের প্রতিপাদ্যকে।
০৮ মার্চ, ২০২৪
আরও
X