বৃষ্টির পানি নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২১
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে পূর্বশত্রুতার জেরে সাবেক ও বর্তমান দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২১ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত বর্তমান ইউপি সদস্যসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ মে ) সকালে উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের পোলভাতুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে হরিণাকুন্ডু থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  আহতরা হলেন পোলভাতুড়িয়া গ্রামের হাশেম কাজী, তার ভাই হাশর কাজী, একই বাড়ির করিম, পানু, আব্দুল লতিফ, রাহুল, আব্দুল গণি, বজলু, রেশমাসহ আরও ১২ জন। আহতদের মধ্যে নয়জনকে উদ্ধার করে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও আহত হাসেম কাজীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার (১১ মে) উপজেলার পোলভাতুড়িয়া গ্রামের আজিবর রহমানের বাড়ির বৃষ্টির পানি প্রতিবেশি সাবেক মেম্বার মশিউর কাজীর উঠান দিয়ে খালে বের করা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয়পক্ষের ৭ জন আহত হন। এ ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছে। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিষয়টি মীমাংসা করে।  এর জের ধরে আজ শনিবার সকালে সাবেক মেম্বার মশিউর কাজী ও তার ভাইয়েরা বাড়ির পার্শ্ববর্তী মাঠ এলাকায় অবস্থান করে। পরে প্রতিপক্ষ আজিবর রহমানের পক্ষের লোক একই এলাকার বাসিন্দা বর্তমান ইউপি সদস্য কুরবান মেম্বারের নেতৃত্বে তার দুই ভাইসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাবেক মেম্বারের লোকজনের ওপর হামলা করে। এ সময় সাবেক মেম্বারের সমর্থক কয়েকজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে এতে ২১ আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরাফত দৌলা ঝন্টু বলেন, বেশকিছু দিন আগে বৃষ্টির পানি বের করাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশির মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই ঘটনা নিয়ে শনিবার সকালে দুপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে অনেকে আহত হয়েছেন। সবাইকে উদ্ধার করে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি জিয়াউর রহমান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপক্ষের সংঘর্ষে অনেকে আহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউপি সদস্যসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১৮ মে, ২০২৪

পানি নিয়ে দ্বন্দ্বে ভাইকে পিটিয়ে মারলেন ভাই
ময়মনসিংহের ফুলপুরে বাড়ির পুকুরে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের বেধড়ক মারধরে উপজেলার গোয়াতলা রঘুরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ মে) সকালে উপজেলার বওলা ইউনিয়নের পুরাননগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফুলপুর থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানান, সকালে ১০টার দিকে বাড়ির পুকুরে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাই জাকারিয়ার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কামাল উদ্দিনকে মারধর করা হয়।  এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক নিহতের খবর পেয়ে ফুলপুরের সার্কেল এএসপি মো. আতাহারুল ইসলাম তালুকদার ও আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের চাচাতো ভাই জাকারিয়া, মুহিবুল্লাহ ও তাদের মাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।  তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
১৭ মে, ২০২৪

গরম পানি ঢেলে স্ত্রীর শরীর ঝলসে দিলেন স্বামী
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রহিমা আক্তার নামে এক গৃবধূর শরীরে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দিয়েছেন স্বামী জীবন মিয়া। এ ঘটনায় জীবন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৫ মে) দুপুরে উপজেলা শহরে সুরভি পাড়া আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রহিমা আক্তার ও জীবন মিয়া সুরভি পাড়া আবাসিক এলাকায় বসবাস করতেন। জানা গেছে, বিছানায় শুয়ে ছিলেন রহিমা আক্তার। হঠাৎ তার স্বামী গরম পানি ঢেলে দেয়। এতে শরীরের বিভিন্ন জায়গা ঝলসে যায়। তার চিৎকারে শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। শ্রীমঙ্গল থানার ওসি বিনয় ভূষণ রায় কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গরম পানিয়ে গৃহবধূর শরীর ঝলসে দেওয়ার খবর পেয়ে অভিযান চালিয় তাকে আটক করেছি। জীবন মিয়া পুলিশের কাছে প্রাথমিক পর্যায়ে অপরাধ স্বীকার করেছে। আহত গৃহবধূ চিকিৎসাধীন আছেন। আটক জীবন মিয়ার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৬ মে, ২০২৪

হাউসে কাউসারের পানি কেমন হবে, কারা পাবে, কারা পাবে না
মৃত্যুর পর সৃষ্টিকর্তা যখন সবাইকে পুনরুত্থিত করবেন, তখন প্রচণ্ড পিপাসায় কাতর থাকবে মানুষ। ভয়ানক বিচ্ছৃঙ্খল সেই পরিবেশে তৃষ্ণা মেটানোর দায়িত্ব পাবেন শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এরপর বিশ্বাসীদের পিপাসা মেটানোর জন্য হাউসে কাওসার থেকে শীতল আর সুস্বাদু পানি পান করানো হবে।  হাউসে কাউসার হলো জান্নাতের একটি ঝর্ণা বা সুশীতল কোনো জলাধার। এর পানি হবে পৃথিবীর যে কোনো বিশুদ্ধ পানির তুলনায় সুমিষ্ট ও তৃপ্তিদায়ক। আর মিশকের মতো সুগন্ধি ছড়াবে এই পানি। হাউসে কাউসারের দুই ধারে থাকবে মুক্তার গম্বুজ। এই ঝরনাটি আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় হাবিব হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উপহার দেওয়ার ওয়াদা করেছেন। পবিত্র কোরআনে আল-কাউসার নামে একটি সুরায় এই ঝরনার সুসংবাদ রয়েছে। হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, একবার আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মজলিশে উপস্থিত ছিলাম। হঠাৎ তাঁর ওপর অচৈতন্যভাব চেপে বসল। অতঃপর তিনি মুচকি হেসে মাথা তুললেন। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার হাসির কারণ কী? তিনি বলেন, এইমাত্র আমার ওপর একটি সুরা অবতীর্ণ হয়েছে। তখন তিনি সুরা আল-কাউসার পাঠ করলেন। আল্লাহ তায়ালা সব নবীর জন্যই হাউসে কাওসার তৈরি করেছেন। তবে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য আল্লাহ তায়ালা বিশেষ হাউস তৈরি করে রেখেছেন। যা অন্যান্য নবী-রাসুলদের হাউসের চেয়ে অনেক বড় ও এর পানি সর্বাধিক সুমিষ্ট হবে এবং হাশরের দিন এর পানকারী হবে সবার চেয়ে বেশি। হাদিস শরিফে মিরাজের ঘটনায় ইরশাদ হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি জান্নাতে ভ্রমণ করছিলাম, এমন সময় এক ঝরনার কাছে এলে দেখি যে তার দুই ধারে ফাঁপা মুক্তার গম্বুজ রয়েছে। আমি বললাম, হে জিবরিল! এটা কী? তিনি বলেন, এটা ওই কাউসার, যা আপনার প্রতিপালক আপনাকে দান করেছেন। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত এক হাদিসে হাউসের কাউসার কতটা বড়, তার ধারণা পাওয়া যায়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমার হাউসের প্রশস্ততা এক মাসের পথের দূরত্বের সমপরিমাণ। এর পানি দুধের চেয়েও সাদা, সুগন্ধি, মিশকে আম্বরের চেয়েও অধিক খোশবুদার। এর পেয়ালা আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্ররাজির তুল্য। যে একবার এর শরবত পান করবে সে কখনো আর পিপাসিত হবে না। হাদিসের বর্ণনায় আরও জানা যায়, দরিদ্র মুহাজিররা সর্বপ্রথম এর পানি পানের সৌভাগ্য লাভ করবে, যাদের মাথার চুল উষ্কখুষ্ক, পোশাক ধুলি মলিন, যারা ধনবান পরিবারের মেয়েদের বিবাহ করতে পারেনি এবং যাদের আপ্যায়নের জন্য ঘরের দরজাসমূহ খোলা হয়নি। হাউসে কাওসারের পানকারীর সংখ্যা বেশি হলেও সবার আগে তাদের ভাগ্যে জুটবে এই ঝরনার পানি। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি তোমাদের আগে হাউসের কাছে গিয়ে হাজির হব। আর তখন তোমাদের কিছু লোককে অবশ্যই আমার সামনে ওঠানো হবে। আবার আমার সামনে থেকে তাদের আলাদা করে নেওয়া হবে। তখন আমি বলব, হে প্রতিপালক! এরা তো আমার উম্মত। তখন বলা হবে, তোমার পরে এরা কী নতুন কাজ করেছে তা তো তুমি জানো না।  
১৫ মে, ২০২৪

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পে দুদকের হানা
সাতক্ষীরায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাজে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৪ মে) দুদকের খুলনা অফিস থেকে এসব অভিযান চালানো হয়। জানা গেছে, সাতক্ষীরা শহরের বীনেরপোতা এলাকায় ৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সুইস গেট নির্মাণ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমিন অ্যান্ড কোং। স্থানীয়দের বলছে, প্রয়োজন ছাড়াই সরকারি টাকা আত্মসাৎ করতে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পে যেসব সামগ্রী ব্যবহার করার কথা রয়েছে তা ঠিকমতো ব্যবহার করা হয়নি। দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শিট পাইল ব্যবহারে নানা অনিয়মের অভিযোগ পায় দুদক। অভিযোগের বিত্তিতে দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা ও সরেজমিন পর্যবেক্ষণে ওই প্রকল্পে ১৪০টি শিট পাইল স্থাপন করার তথ্য পাওয়া যায়। পরে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে দুটি শিট পাইল উত্তোলন করা হয়।  তিনি বলেন, সাতক্ষীরার এলজিইডির দুজন নিরপেক্ষ প্রকৌশলী দিয়ে পরিমাপ করে পাইলের দৈর্ঘ্য ছয় মিটারের স্থলে তিন মিটার অর্থাৎ স্পেসিফিকেশন হতে কম পাওয়া যায়। এ ছাড়া ঠিকাদারের প্রতিনিধি ও পাইল শ্রমিকদের বক্তব্য অনুসারে বাকি সব শিট পাইলের দৈর্ঘ্যও ছয় মিটারের স্থলে তিন মিটারের তথ্য পাওয়া যায়। অভিযানের সময় সংগৃহীত সব রেকর্ডপত্র যাচাই করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়া হবে। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডে-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আসিকুর রহমান বলেন, নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে দুদুকের এনফোর্সমেন্ট টিম কাজের সাইটে অভিধান পরিচালনা করে। আমরা সবকিছু পরিষ্কার করে দেখব, যেখানে সমস্যা মনে হবে সেখানে পুনরায় কাজ করবে। 
১৫ মে, ২০২৪

নিরাপদ পানি নিশ্চিতে ইপিআরসির সভা
পাইকগাছায় এনজিও সংস্থা এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড পপুলেশন রিসার্চ সেন্টার ইপিআরসি'র উদ্যোগে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসনে কমিউনিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সবার জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিতকরণবিষয়ক উপজেলা পর্যায়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীনের সভাপতিত্বে ও ইপিআরসি’র পাইকগাছা এরিয়া ম্যানেজার মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।  সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, ইউনিসেফ প্রতিনিধি নাহিদ মাহমুদ, প্রকল্প পরিচালক তোফায়েল আহম্মেদ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন, গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম, লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজান আলী শেখ, সমবায় কর্মকর্তা হুমায়ন কবির, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংবাদিক আসাদুল ইসলাম, ইউপি সদস্য পিজুস কান্তি মন্ডল, রফিকুল ইসলাম, নাছিমা বেগম, সকিনা বিবি, লতা বিশ্বাস, বিনতা রানী বিশ্বাস, অরুনা ঢালী, নবলোক প্রতিনিধি মাগফুরা খাতুন, ইউপি সচিব জাবেদ ইকবাল, ফারুক হোসেন, আরিফ বিল্লাহ, আব্দুল গনি গাজী, ইপিআরসি ম্যানেজার হাফিজুল্লাহ, সুপারভাইজর শহিদুজ্জামান, রেকসোনা পারভিন।  এভায়রনমেন্ট অ্যান্ড পপুলেশন রিসার্চ সেন্টার ইপিআরসি চলতি বছরের শুরু থেকে উপজেলার কপিলমুনি, লতা, লস্কর, সোলাদানা ইউনিয়নে নিরাপদ খাবার পানি ও স্যানিটেশন নিয়ে কমিউনিটি পর্যায়ে কাজ করছে।
১৪ মে, ২০২৪

টেকনাফ-উখিয়ায় পানি ও আবাসস্থল সংকটে বন্যপ্রাণীকূল
এক যুগ আগেও নানা প্রজাতির বৃহদাকার গাছ-গাছালিতে ঘন সন্নিবেশিত ছিল উখিয়া টেকনাফের বনাঞ্চল। সে সময় শুষ্ক মৌসুমেও বনের ছড়া, খাল ও জলাধারে পানি ছিল। কিন্তু অব্যাহতভাবে বন উজাড়, পাহাড় কাটা, অপরিকল্পিত গভীর নলকূপ ও শ্যালো দিয়ে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন এবং অনাবৃষ্টির ফলে দিন দিন পানির স্তর নিচে নামছে। বনের ঘনত্ব কমে যাওয়ায় আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পেয়েছে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল। শুষ্ক মৌসুমে বনের ছড়া ও খাল শুকিয়ে যাওয়ায় বন্যপ্রাণীর খাওয়ার পানি সংকট তীব্র হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও খাবারের জোগান না থাকার কারণে প্রাণীগুলো লোকালয়ে বেরিয়ে নানা সময়ে মৃত্যুমুখে পড়ছে। আর পাখিগুলো কিছু মানুষের খাবারে পরিণত হচ্ছে। সম্প্রতি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোডেকের এক সেমিনারে পাহাড়ি ছরা বিলুপ্ত হওয়ায় বন্যপ্রাণীর পানি সংকটের তীব্রতার চিত্র তুলে ধরেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. মোশাররফ হোসেন।  এ অবস্থায় টেকনাফে বনাঞ্চল রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জাননো হয় সেমিনারে। যদিও বরাবরের মতো বন বিভাগের পক্ষ থেকে বনাঞ্চল ধরে রাখতে কাজ করছে তারা। প্রফেসর ড. মোশাররফ জানান, টেকনাফে শুকিয়ে গেছে পাহাড়ি ছড়া-প্রাকৃতিক পানির উৎস। এতে ভোগান্তিতে পড়া বন্যপ্রাণী ও পানির উৎস নিয়ে গবেষণায় দেখা গেছে, উখিয়া-টেকনাফের এক পাশে বঙ্গোপসাগর, অন্য পাশে নাফ নদী। মধ্যখানে পাহাড়ি বনাঞ্চল। মিঠা পানির জন্য পাহাড়ের ছড়া, ভূ-গর্ভস্থল ও বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কিন্তু অতিমাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের কারণে পানির স্তর ক্রমে নিচে নামছে। ফলে বাড়ছে স্যালাইনের মাত্রা। আর অনাবৃষ্টি ও বন উজাড়ের কারণে বনের ছরা ও জলাধারগুলো অব্যাহতভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বন্যপ্রাণী তীব্র পানি সংকটে ভুগছে। অনেক প্রাণী ইতোমধ্যে মারা পড়ছে। অনেক প্রাণী অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয়েছে। খাবার পানি, খাদ্য সংকট আর আবাসস্থল হারিয়ে লোকালয়ে বেরিয়ে পড়ে হাতি, সাপসহ বিভিন্ন পশু-পাখি। শুধু তাই নয়, স্থানীয় অনেক পরিবার পানি সংকটের কারণে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে বসতি স্থানান্তর করেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দেশের দক্ষিণ সীমান্ত জেলার বনাঞ্চল প্রতিনিয়ত দখল হয়ে যাওয়ায় বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংকুচিত হয়েছে। বন উজাড়ের ফলে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে গাছপালা। পরিবেশ বিপর্যয়ে নষ্ট হচ্ছে বাস্তুসংস্থান। একইভাবে কমতে শুরু করেছে পশুপাখির খাদ্য। পরিবেশ-প্রতিবেশের প্রভাব, আবাসস্থল, খাদ্য ও পানির সংকটসহ নানা কারণে লোকালয়ে আসছে বন্যপ্রাণী। এদের শত্রু ভেবে লোকজন ধরছে এবং আঘাত করছে। মানবসৃষ্ট দুর্যোগে নানা প্রজাতির প্রাণী ও পাখি বিলুপ্ত হওয়ার পাশাপাশি হারাচ্ছে আপন নীড়। এ থেকে উত্তরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। টেকনাফের বাহার ছড়া শিলখালী এলাকার শফিউল আলম বলেন, দুই দশক আগেও শুকনো মৌসুমে বনের ছড়া ও খালে পানি থাকত। এখন পানি দূরে থাক ছরার চিহ্নও নেই। নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে এমনটা হচ্ছে। টেকনাফ শামলাপুরে বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করা শাহাজাহান বলেন, অব্যাহত বন উজাড় হওয়ায় খাদ্য ও পানি সংকটে নানা সময়ে অজগরসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাণী লোকালয়ে বেরিয়ে পড়ে। আমরা অনেক প্রাণী উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছি। বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা কোডেক’র ন্যাচার অ্যান্ড লাইফ প্রজেক্ট ডিরেক্টর ড. শীতল কুমার নাথ বলেন, টেকনাফ পানি সংকট দূর করতে সমন্বিত পদক্ষেপ খুবই জরুরি। কারণ এ সংকট বন্যপ্রাণী নয়, স্থানীয়দের জন্য তীব্রতর হচ্ছে দিন দিন। এজন্য বনায়নের পাশাপাশি পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে। আর বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ক্রমে পাকা ও আধা পাকা দালান তৈরি হওয়ায় পান ও ব্যবহারে ভূ-গর্ভস্থ পানির চাহিদা বেড়েছে। তাই দিন দিন সুপেয় পানি সংকট তৈরি হচ্ছে। এটি দূর করতে রেইন ওয়েটার হার্ভেস্টিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে জনস্বাস্থ্য। এ ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উখিয়া-টেকনাফকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে উখিয়ার পালংখালীতে ৬০০ একর জমি লিজের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে, বনের ভেতর প্রাকৃতিকভাবে পানি সংরক্ষণে খাল-ছড়া সচল করা জরুরি। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সরোয়ার আলম বলেন, রোহিঙ্গা আশ্রয়ে উখিয়া-টেকনাফে প্রায় ৮ হাজার হেক্টর বনভূমি জীববৈচিত্র্য হারিয়েছে। পাশাপাশি সচেতনতার অভাবে পাহাড়ের ওপর-নিচে সব অংশ থেকেই নির্বিচারে গাছ কেটে নিয়ে যায় গাছ চোরেরা। পাশের গাছ কেটে নেওয়ায়, ছড়াগুলো সব মারা যাচ্ছে। পাহাড়ের সব অনুষঙ্গ উজ্জীবিত রাখতে পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগানো শুরু করে তা অব্যাহত রয়েছে। গবেষণার সুপারিশ মতে, পূর্বে জারি থাকা ছড়ার উভয় পাশে ১৫ ফুট পর্যন্ত জায়গায় দ্রুত গাছ লাগানো প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বন কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে না এলে প্রকৃতি ও বন রক্ষা কঠিন হবে।
১১ মে, ২০২৪

দাবদাহে পানি ছিটানোর উদ্যোগ অসম্পূর্ণ : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
বায়ুদূষণ রোধ ও তীব্র তাপপ্রবাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে নগরীতে স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’র ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটির চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে এ ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’র ব্যবস্থা করা হয়। যদিও দাবদাহের সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে এ পানি ছিটানোর উদ্যোগ অসম্পূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। শনিবার (১১ মে) ঢাকার এফডিসিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি আয়োজিত ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিযোগিতার আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হিট অফিসার নিয়োগের কোনো পরিকল্পনা নেই। তীব্র দাবদাহে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে পানি ছিটানোর উদ্যোগ অসম্পূর্ণ। জল কামানে পানি ছিটানো যথেষ্ট নয়, এটি আরও সায়েন্টিফিক ওয়েতে করতে হবে। বিল্ডিং কোড না মেনে অপ্রয়োজনীয় কাচের ব্যবহার ভবনে অতি তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিরাও আইন না মেনে মনমতো ঘরবাড়ি তৈরি করে নিজের ঘরকে নিজেই মৃত্যু ফাঁদে পরিণত করছে। তাই আইন মানার জন্য প্রয়োজনে আরও কঠোর আইন করতে হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেছেন, সাম্প্রতিক দাবদাহকে দুর্যোগ হিসেবে পরিগণিত করা হয়েছে। যে কোনো দুর্যোগে মৃত্যু ও হতাহতের জন্য ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা অর্থসহায়তা প্রদান যথেষ্ট নয়, এটি বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। এবারে হিট স্ট্রোকে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা করা হচ্ছে। অতিমাত্রায় গরমের কারণে যারা কর্মহীন হয়েছে, তাদের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনা হচ্ছে। সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, চলতি বছর হিট স্ট্রোকে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সঠিক কোনো হিসাব সরকারের কাছে নেই। তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের ব্যাপারেও তেমন কোনো তথ্য নেই। বর্তমান বাস্তবতায় দুর্যোগজনিত কারণে মারা যাওয়া অসহায় ব্যক্তিদের পরিবারকে অন্তত ৩ লাখ টাকা প্রদান করা উচিত। প্রতি বছর অতি তাপমাত্রায় ২.৭ বিলিয়ন ডলারের উৎপাদনশীলতা নষ্ট হয়। অতিমাত্রার গরমের কারণে ২০৩০ সাল নাগাদ শুধু পোশাক খাতে ৬ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে পোশাক খাতসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানার কর্মীরা চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা আশা করব, চলতি বছর আর কোনো উচ্চ মাত্রার দাবদাহ তৈরি হলে সরকার তার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করবে, অতিমাত্রার দাবদাহের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে। ‘অসহনীয় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য অপরিকল্পিত নগরায়ণই দায়ী’ শীর্ষক ছায়া সংসদে সরকারি তিতুমীর কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকা কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক ইফতেখার মাহমুদ, ফালগুনী রশীদ, দিপক কুমার আচার্য ও আতিকুর রহমান। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
১১ মে, ২০২৪

জমজম কূপের পানি পান
পবিত্র মক্কার আঙিনায় ঐতিহাসিক জমজম কূপ থেকে যুগ যুগ ধরে উৎসারিত হচ্ছে অমূল্য অমৃতজল। আল্লাহর অপার কুদরতের বিস্ময়কর নিদর্শন। জান্নাতি ঝরনাধারার একটি। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়ার ফসল। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম পানি। হাজার হাজার বছর ধরে কোটি কোটি হাজির তৃষ্ণার্ত হৃদয়ের পিপাসা মিটিয়ে আসছে। পবিত্র কাবা থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরে অবস্থিত ৩০ মিটার গভীরের এ কূপের পানির ফজিলত অনেক। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘ভূপৃষ্ঠের শ্রেষ্ঠ পানি জমজম। এতে রয়েছে খাদ্যের বৈশিষ্ট্য ও রোগ থেকে মুক্তি।’ (আলমুজামুল কাবির: ১১১৬৭)। সাঈ করবেন যেভাবে জমজম থেকে রওনা হয়ে সাঈর জন্য সাফা পাহাড়ের দিকে অগ্রসর হওয়া। পাহাড়ের চিহ্নস্বরূপ উঁচু জায়গা রয়েছে। এখানে উঠলে কাবা শরিফ আপনার নজরে আসবে। এখন কাবা শরিফের দিকে মুখ করে স্বাভাবিকভাবে দোয়া করার সময় যেরূপ হাত ওঠানো হয় সেরূপ হাত উঠিয়ে তিনবার ‘আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলে অন্তরের আবেগ অনুযায়ী দোয়া করা। দোয়া শেষ করে স্বাভাবিক গতিতে মারওয়া পাহাড়ের দিকে অগ্রসর হওয়া। এ সময় আপনার সামনে সবুজ বাতি দেখতে পারবেন। সবুজ বাতির একটু আগে থেকেই দোয়া পড়তে পড়তে পরবর্তী সবুজ বাতির পর পর্যন্ত দ্রুতগতিতে চলা।
০৮ মে, ২০২৪

হেলিকপ্টার থেকে পানি দিয়েও থামানো যাচ্ছে না সুন্দরবনের আগুন 
সুন্দরবনে লাগা সামান্য আগুন ছড়িয়ে পড়েছে ৫ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে। আগুন লাগার ২৫ ঘণ্টা পেরোলেও এখনো নিয়ন্ত্রণ আসেনি আগুন। সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে বিমানবাহিনীর একটি দল। তারা হেলিকপ্টারে করে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বনভূমি এলাকায় আগুন নেভাতে পানি ছিটানো শুরু করেছে। এর আগে শনিবার (৪ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়িসংলগ্ন গহিন বনে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এদিকে রোববার (৫ মে) সকালে ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও বন বিভাগের সহযোগী সংগঠনের কর্মীদের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা। শুরুতে নৌবাহিনীর মোংলা ঘাটির কমান্ডার লেফটেন্যান্ট আরাফাতুল আরেফিনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি ফায়ার ফাইটিং টিম আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়ে। এ ছাড়া সকালে একটি হেলিকপ্টার নিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যদের বনে আগুন জ্বলতে থাকা এলাকার ওপর দিয়ে টহল দিতে দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাগেরহাটের উপপরিচালক মামসুন আহম্মেদ জানান, জেলার ফায়ার সাভিসের ৫টি ইউনিট সুন্দরবনে আগুন জ্বলতে থাকা এলাকায় নেওয়া হয়েছে। তবে ৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে। ২টি ইউনিট স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। তবে ভোলা নদী অনেক দূরে হওয়ায় পানি সংকটে আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে। তিনি জানান, কতটুকু এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে তা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। বনের মধ্যে শুকনো গাছ আর পাতা পড়ে থাকার কারণে আস্তে আস্তে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল কবির জানান, শনিবার (৪ মে) নানা প্রতিকূল অবস্থার কারণে আগুন নেভানোর কাজ পুরোপুরি শুরু করা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বন বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ফায়ার ফাইটার ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগ দিয়েছে। তবে কতটুকু এলাকাজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে এ বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। এদিকে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি অনুসন্ধানে বন বিভাগের পক্ষ থেকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জেরে রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেবকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন জিউধরা স্টেশন অফিসার ওবাদুর রহমান ও ধান সাগর স্টেশন অফিসার রবিউল ইসলাম।
০৫ মে, ২০২৪
X