পেট্রোল পাম্পে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের নির্দেশ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন এবং বিপণিবিতানে পাবলিক টয়লেট স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানে একটি হোটেলে গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। ঢাকার পাবলিক স্যানিটেশন বিষয়ে দক্ষিণ এশীয় অংশীজনকে নিয়ে এ গোলটেবিলের আয়োজন করে ওয়াটারএইড, অ্যাডমিনিস্টেটিভ স্টাফ কলেজ অব ইন্ডিয়া (এএসসিআই), বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং কিম্বারলি-ক্লার্ক।  আতিক বলেন, শহরে নাগরিকদের চাহিদার তুলনায় পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা খুবই কম। এতে চলতি পথে নারীরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন। ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকায় অনেক সিএনজি স্টেশন এবং পেট্রোল পাম্প রয়েছে। প্রতিটি পাম্প এবং স্টেশনে একটি করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করতে হবে। সেখানে নারী-পুরুষদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখতে হবে। তিনি বলেন, পেট্রোল পাম্প এবং সিএনজি স্টেশনে পাবলিক টয়লেট সংশ্লিষ্ট মালিকরা নিজ খরচে নির্মাণ করবেন। যে পাম্পে পাবলিক টয়লেট থাকবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আরও ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আকবর হোসেন, ওয়াটারএইড আঞ্চলিক পরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) ডা. খায়রুল ইসলাম, কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, সেন্টার ফর আরবান গভর্নেন্স, এনভায়রনমেন্ট, এনার্জি, অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্টের পরিচালক অধ্যাপক ভি শ্রীনিবাস চারি, এএসসিআই সহযোগী অধ্যাপক ড. এম স্নেহলতা প্রমুখ। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
২১ জুলাই, ২০২৩

পেট্রলপাম্প-শপিংমলে পাবলিক টয়লেট স্থাপনের নির্দেশ মেয়র আতিকের
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রত্যেকটি পেট্রলপাম্প ও শপিংমলে পাব্লিক টয়লেট রাখা বাধ্যতামূলক। আর তা নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই। টয়লেট রাখতে হবে এবং তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নও রাখতে হবে। এটা আমার আদেশ। যদি তা অমান্য হয় তাহলে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গুলশান লেকশোর হোটেলে ওয়াটারএইড আয়োজিত ঢাকায় পাবলিক স্যানিটেশন বিষয়ে ‘সাউথ এশিয়ান এক্সচেঞ্জ অন পাবলিক স্যানিটেশন' শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সকল নাগরিকদের ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপের মাধ্যমে যে কোনো অভিযোগ ও মন্তব্য প্রদানের আহ্বান জানান মেয়র। ওয়াটারএইড, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ স্টাফ কলেজ অব ইন্ডিয়া (এএসসিআই), বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং কিম্বারলি ক্লার্কের যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত সম্মানিত অতিথিরা ও অংশীজনরা পাবলিক স্যানিটেশন বিষয়ে সচেতনতা নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা ও ভাবনা তুলে ধরেন; পাশাপাশি, মতবিনিময়কালে তারা কোন বিষয়গুলোতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। অনুষ্ঠানে জনস্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত ও পাকিস্তানে স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যবিধি ও স্যানিটেশন সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বহুদিন ধরেই বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এসব দেশে স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যবিধি ও স্যানিটেশন সমস্যা নিয়ে সরকার, সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে; তবে, স্থানস্বল্পতা ও অপর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি দ্রুত নগরায়ণ এ-সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ধারাবাহিকভাবে প্রতিকূলতা তৈরি করছে, ফলে পাবলিক স্যানিটেশন নিয়ে সংকট ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। উল্লিখিত বিষয়ে আলোকপাত করে ওয়াটারএইডের দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয় ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ স্টাফ কলেজ অব ইন্ডিয়া এই গোলটেবিল বৈঠকের মাধ্যমে আঞ্চলিক পর্যায়ে গণশৌচাগার নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতের এই খাতের প্রতিনিধিরা এবং বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার বিভাগ, ঢাকা সিটি করপোরেশন ও কাঠমান্ডু মেট্রোপলিটান সিটি অফিসের প্রতিনিধিরাসহ অন্যান্য বক্তা নিজেদের মধ্যে মতামত, ধারণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। গোলটেবিল আলোচনা ও প্রদর্শনীতে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন প্রধান অতিথি আতিকুল ইসলাম, মাননীয় মেয়র, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন; মো. আকবর হোসেন, উপসচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাংলাদেশ : ডা. মো. খায়রুল ইসলাম, আঞ্চলিক পরিচালক, দক্ষিণ এশিয়া, ওয়াটারএইড; হাসিন জাহান, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ; প্রফেসর ভি. শ্রীনিবাস চারি, পরিচালক, সেন্টার ফর আরবান গভর্নেন্স, এনভায়রনমেন্ট, এনার্জি, অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট; ড. এম স্নেহলতা, সহযোগী অধ্যাপক, এএসসিআইসহ আরও অনেকে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত এই গোল টেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন। এ ছাড়াও আয়োজনে প্রদর্শনীর মাধ্যমে পাবলিক স্যানিটেশনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক বিভিন্ন উদ্ভাবন উপস্থাপন করা হয়। প্রদর্শনীতে ওএন্ডএম মডেলস (বাংলাদেশ), সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ (বাংলাদেশ), সোশ্যাল অডিট (ভারত), ইনোভেশন প্রজেক্টস (ভারত), এবং বাস ট্যুর অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন (নেপাল) তুলে ধরে হয়। এ সময় প্রতিনিধি এবং অংশীজনরা পাবলিক টয়লেট, কার্যক্রম এবং রক্ষণাবেক্ষণ এর ওপর বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেন।
২০ জুলাই, ২০২৩
X