মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ৫০ বছরের পুরোনো
২ ঘণ্টা আগে
ছেলের আত্মহত্যায় মায়ের বিষপান
৩ ঘণ্টা আগে
স্ত্রীর মরদেহ বিছানায়, ফ্যানে ঝুলছিলেন স্বামী
৩ ঘণ্টা আগে
শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে টেনিস বল গ্রাউন্ড নির্মাণকাজে অনিয়ম
৩ ঘণ্টা আগে
যাত্রীর ছুরিকাঘাতে অটোরিকশাচালক খুন
৪ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ২১ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
বৈষম্যমূলক সর্বজনীন পেনশন নয়, স্বতন্ত্র বেতনস্কেল চান পাবিপ্রবি শিক্ষকরা
বৈষম্যমূলক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে একতরফা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অন্তর্ভুক্তি এবং পেনশন স্কিম বাতিল করে স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষকরা। রোববার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে সর্বজনীন পেনশন স্কিমকে একতরফা, বৈষম্যমূলক ও চক্রান্তমূলক উল্লেখ করে অবিলম্বে এই প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানান তারা। এ সময় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফজলুল হক, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলাম মিরু, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. রাহিদুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. কামাল হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. নাজমুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুর রহিম, সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আওয়াল কবির জয়, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. গালিব হাসানসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত সর্বজনীন পেনশন বৈষম্যমূলক। আমরা দেখছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য যে সুবিধাগুলো ছিল তা ক্রমান্বয়ে হ্রাস করা হচ্ছে। আমরা সেটার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে আমাদের এই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি যদি মানা না হয় তাহলে আমরা সকল শিক্ষকেরা ক্লাসরুম ছেড়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হবো। তারা আরও বলেন, আমাদের শিক্ষক সমাজের যখন ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের মাঝে বা গবেষণা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা আমরা সেটা না করে এই তীব্র গরমের রাজপথে আমাদের দাবি আদায়ের জন্য নামতে বাধ্য হয়েছি। আমরা পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিতে এই বিষয়টি এলে এই প্রজ্ঞাপনটি বাতিল হবে।
১৯ মে, ২০২৪
প্রতিষ্ঠার ১৬ বছরেও সবুজায়ন হয়নি পাবিপ্রবি ক্যাম্পাস
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পার হতে চললেও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে সবুজায়ন করতে পারেনি প্রশাসন। ফলে ছায়া প্রদানকারী গাছ শূন্য ক্যাম্পাসের প্রখর রোদ আর তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে এখানকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ২০১৯ সালে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য এবং অপরিকল্পিতভাবে গাছ লাগানোর অভিযোগ তুলে বিভিন্ন সময়ে গাছ রক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যক্তিরা অনেক গাছ নিধন করেছেন। গাছ লাগানো নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থী মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় দ্রুত সবুজায়নের পরিকল্পনা নিয়ে ক্যাম্পাসে অধিক সংখ্যক গাছ লাগানোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, যখনই শিক্ষার্থীরা গাছ লাগানো প্রতিবাদ করে, প্রশাসন থেকে বলা হয় গাছ লাগানোর সিদ্ধান্তে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরক্ষণেই আমরা দেখি দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ তখন পার্ক সাজানোর মতো করে কয়েক ধাপে গাঁদা ফুল লাগান। যা কয়েকদিন পরেই মারা যায়। এগুলো স্রেফ লোক দেখানো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থের অপচয়। স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী তানজির হোসেন তনু কালবেলাকে জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শেষ হওয়ার পর ক্যাম্পাসে গাছ লাগানোর সিদ্ধান্তে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তারা স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের দিয়ে কয়েকটি নকশা করান। কিন্তু প্রায় ২ বছর হয়ে গেলেও তারা নকশা অনুযায়ী একটি গাছও লাগাননি।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, ‘প্রশাসনের অদূরদর্শিতার কারণেই এত বছরেও বিশ্ববিদ্যালয় সবুজায়ন হয়নি। শুরু থেকে ভালো পরিকল্পনা থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় এতদিনে সবুজে ভরে উঠতো।’ গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাজেন্দ্র চন্দ্র ভৌমিক কালবেলাকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রশাসনসহ অনেকেই অনেক গাছ লাগিয়েছে। রাস্তা প্রশস্ত করার সময় অনেকগুলো গাছ কাটা হয়েছে। ক্যাম্পাসকে সবুজায়ন করতে হলে আমাদের পরিকল্পনা নিতে হবে। আর গাছ লাগানোর পর কমপক্ষে ২ থেকে ৩ বছর নিয়মিত পানি ও সার দিয়ে গাছের যত্ন নিতে হবে। দুঃখের বিষয় সেটা কেউ করে না।’ তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গাছ পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা জানান, গত ২ বছর প্রকল্পের কাজের জন্য কোনো বড় গাছ লাগানো হচ্ছে না। পরিকল্পিতভাবে সবুজায়নের জন্য ইতোমধ্যে উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসের বালু মাটিতে শুধু গর্ত করে গাছ না লাগিয়ে এবার পরিকল্পনা করা হচ্ছে প্রথমে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি উপড়ে সেগুলোতে সার ও গোবর মিশিয়ে বৃষ্টি পর্যন্ত অপেক্ষা করা এবং বৃষ্টির মাঝ সময় থেকে গাছ লাগানো। এ বিষয়ে এস্টেট শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার জহরুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনায় মাস্টারপ্ল্যান করে বর্ষার মৌসুমে সবুজায়নের লক্ষ্যে গাছ লাগানো হবে। যাতে পরবর্তীতে কোনো প্রকল্পের কাজ হলে আর গাছ কাটা না পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন কালবেলাকে বলেন, ‘আমাদের প্রকল্পের কাজ চলছে। জুনের ৩০ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান প্রজেক্টের কাজ বুঝে পাওয়ার পর আমরা মাস্টারপ্ল্যান করে গাছ লাগানো শুরু করবো। আমরা বৃষ্টির মৌসুমকে সামনে রেখে গাছ লাগানোর চিন্তা করছি।’
১৯ মে, ২০২৪
পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার পর এবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী শারভিন সুলতানার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার পাবনার মুনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শারভিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১০ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি মেহেরপুরের সালদার আজিজুল ইসলামের মেয়ে। স্বামী আসিফ মোর্শেদ (২৬) বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। আসিফ মোর্শেদ জানান, রোববার বিকেল ৪টায় স্ত্রীর সঙ্গে শেষ কথা হয়। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বাসায় গিয়ে বাড়িওয়ালাকে সঙ্গে নিয়ে ফ্ল্যাটে গেলে দরজা বন্ধ পান। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে খবর দিলে তারা এসে দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় শারভিনকে উদ্ধার করে। নিহতের সহপাঠীরা জানান, বিয়ের পর কারও সঙ্গে তেমন কিছু শেয়ার করতেন না শারভিন। এটি হত্যা না আত্মহত্যা এর তদন্ত করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে এসেছি। পরে বিস্তারিত বলা যাবে। একই কথা বলেন পাবনা সদর থানার ওসি রওশন আলী।
২৬ মার্চ, ২০২৪
এবার ওড়না কেটে নামানো হলো পাবিপ্রবি ছাত্রীর মরদেহ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। সারভিন সুলতানা (২৬) বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ওই শিক্ষার্থী। সোমবার (২৫ মার্চ) মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার ৫ নাম্বার রোডের গ ব্লকের একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ওই ছাত্রী মেহেরপুরের জেলার গাংনী থানার সালদা গ্রামের আজিজুল ইসলামের কন্যা। বাড়ির মালিকের স্ত্রী মেরিনা ইসলাম কালবেলাকে জানান, ২ মাস আগে ওই ছাত্রীর স্বামী এই বাসাটি ভাড়া নেন। তবে তারা সেখানে নিয়মিত থাকতেন না। গতকাল রাতে নিহতের স্বামী বাসায় ছিলেন না, তিনি ঢাকায় ছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টায় তার স্বামী ঢাকা থেকে আসলে এক সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটে যান। ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। দরজা ধাক্কাধাক্কির পরেও না খুললে সবার সন্দেহ হয়। পরে পুলিশকে ফোন দিলে তারা ফায়ার সার্ভিসকে নিয়ে এসে দরজা ভাঙলে নিহতকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহতের স্বামীর নাম আসিফ মোর্শেদ (২৬) তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব এখলাসপুরের আবদুল মালেকের ছেলে। তিনি কালবেলাকে জানান, গতকাল বিকেল ৪টার সময় সারভিনের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ দেখাচ্ছিল। সেহরির সময় ফোন দিলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে আমি ঢাকা থেকে রওনা হই। বাসায় এসে বাড়ীওয়ালাকে সাথে নিয়ে ফ্ল্যাটে গেলে ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ দেখি। এরপর পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে খবর দিলে তারা এসে দরজা খুললে তাকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখি। নিহতের সহপাঠীরা জানান, নিহত ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের ৪০৯ নাম্বার রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী। বিয়ের পর থেকে সে কখনো হলে থাকতেন কখনো স্বামীর সঙ্গে মনসুরাবাদে থাকতেন। বিয়ের পর কারও সঙ্গে তেমন কিছু শেয়ার করতেন না। হঠাৎ এ ঘটনায় তারা বিস্মিত হয়েছেন। এই ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু প্রশাসনকে সেটি তদন্ত করে বের করার অনুরোধ জানান তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা বেলা ১১টায় খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। তখন দেখি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস চলে এসেছে। এরপর দরজা ভাঙলে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, আমরা খবর পেয়ে পুলিশ পাঠাই। সেখানে পুলিশ গিয়ে ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থা পাওয়া যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত বলা যাবে।
২৫ মার্চ, ২০২৪
প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন পাবিপ্রবি
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এক প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল ১০টায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর শহরের সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। এতে সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদ। ম্যাচে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৩৫ রানে জয় লাভ করে। পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ্ আজম মাঠে বসে খেলা উপভোগ করেন এবং নিজ নিজ খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেন। খেলা শেষে উপস্থিত থেকে পুরস্কার প্রদান করেন। এ সময় পাবিপ্রবির প্রক্টর ড. মো. কামাল হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. নাজমুল হোসেনসহ উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
০৭ মার্চ, ২০২৪
ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে পাবিপ্রবি কর্মকর্তাদের দুগ্রুপের হাতাহাতি
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে কর্মকর্তাদের দুগ্রুপে মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কেউ আহত না হলেও এক নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টায় প্রভাতফেরি শেষে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার শহীদ মিনারে ফুল দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও কর্মকর্তা পরিষদ ফুল দেওয়ার পর একে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো বিভাগ ও সংগঠনগুলো ফুল দেয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাদের আরেকটি সংগঠন পাস্ট ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) ফুল দিতে আসেন। এ সময় কর্মকর্তা পরিষদ ডুরাকে ফুল দিতে বাধা দেয়। প্রথমে দুই গ্রুপের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয় এবং একপর্যায়ে তা হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তিতে রূপ নেয়, যা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, কর্মকর্তা পরিষদের সদস্যরা তাদের ফুলের ডালার ব্যানার ছিড়ে নিয়ে যায় এবং এক নারী কর্মকর্তার গায়ে হাত তোলেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে কর্মকর্তা পরিষদের সদস্যরা বলেন, কোনো নারী কর্মকর্তার গায়ে হাত তোলা হয়নি বরং বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনকে ফুল দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা শহীদ মিনারে ফুল না দিয়ে শহীদ মিনার চত্বরে এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. হাবিবুল্লাহ, প্রক্টর ড. কামাল হোসেন, সহকারী প্রক্টর ড. মাসুদ রানা, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. নাজমুল হোসেন এসে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে তারা শহিদ মিনারে ফুল দেন। কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশিদ ডন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন থাকবে একটা। সেখানে প্রশাসনের সুযোগ সুবিধা লাভের জন্য নাম নিয়ে একটা সংগঠন সংগঠন খোলা হয়েছে। এই সংগঠনের কোনো বৈধতা নাই। যেহেতু এই সংগঠনের বৈধতা নাই সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই আমরা বাধা দিয়েছি। তবে এই কর্মকর্তাদের যেন ফুল দিতে দেওয়া না হয় আমরা এই বিষয়টি প্রশাসনকে আগেই অবগত করেছি। যদি প্রশাসন আগেই ব্যবস্থা নিত তাহলে আমরা তাদের বাধা দিতাম না। ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক জি এম শামসাদ ফখরুল বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের যে কোনো সংগঠন খোলার অধিকার আছে। কর্মকর্তা পরিষদ সংগঠনে নানা অনিয়মের কারণে আমরা সেখান থেকে বের হয়ে আসছি। আজকে আমরা ফুল দিতে গেলে তারা আমাদের ফুলের ডালার ব্যানার ছিড়ে নিয়ে যায় এবং এক নারী কর্মকর্তার গায়ে হাত তোলে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। প্রশাসনের যদি এর সুষ্ঠু বিচার না করে তাহলে আমরা শনিবার থেকে লাগাতার কর্মসূচি দিব। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা কর্মকর্তাদের দুটি সংগঠনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছি। উপাচার্যকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আশা করি, আগামীতে দুটি সংগঠন নিজেদের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখবেন।
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
পাবিপ্রবি প্রেস ক্লাবের কমিটি গঠন
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে দৈনিক কালের কণ্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে দৈনিক কালবেলার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন । সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে দুপুর ১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. কামাল হোসেন ফল ঘোষণা করেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনার ড. নাজমুল হোসেন, ফারুক হোসেন চৌধুরী ও উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। সাত সদস্যের কমিটিতে দপ্তর সম্পাদক পদে দৈনিক খোলা কাগজের নাজমুল হুদা শিথিল, কোষাধ্যক্ষ পদে দৈনিক সকালের সময়ের মিন শাহরিয়ার নিলয়, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে স্বদেশ বার্তার সাব্বির ইফতেখার সাকিব জয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া কার্যকরী সম্পাদক পদে দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিনের এমরান হোসেন তানিম ও দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের মোজাহিদ হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
শীতকালীন ছুটিতে পাবিপ্রবি
শীতকালীন অবকাশযাপন ও মহান বিজয় দিবসসহ অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন উপলক্ষে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ১৮ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্লাসসমূহ এবং ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আফিস সমূহ বন্ধ থাকবে। তবে ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খোলা থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, ২৫ ডিসেম্বর যীশু খ্রিষ্টের জন্মদিন (বড় দিন) এবং ১৭ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর শীতকালীন অবকাশ উপলক্ষে ক্লাসসমূহ বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর শীতকালীন অবকাশ উপলক্ষে অফিস সমূহ বন্ধ থাকবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রহরীরা এবং আনসাররা উপরোক্ত ছুটিতে যথারীতি নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন। বিজ্ঞপ্তিতে আবাসিক হলগুলো খোলা বা বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা উল্লেখ না থাকলেও হল প্রাধ্যক্ষদের থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে যে সরকারি ও শীতকালীন অবকাশের ছুটির মধ্যেও আবাসিক হলসমূহ খোলা থাকবে।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
পাবিপ্রবি কর্মচারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) কর্মরত কর্মচারীর বিরুদ্ধে অন্য এক কর্মচারীর স্ত্রীকে যৌন হয়রানি এবং ইভটিজিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত আহসান হাবীব রুমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খাদেম রাসেল আহম্মেদ। অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, গত ১২ অক্টোবর তিনি এবং তার পরিবারসহ আনুমানিক বেলা ৩ টায় সময় পাবনা জেলা পরিষদের সামনে অবস্থান করছিলেন। তিনি ব্যক্তিগত কাজে জেলা পরিষদের ওয়াশরুমে যান। সেই সময় তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে সেখানেই অবস্থান করছিলেন। তখন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি দপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর আহসান হাবীব রুমি সেই পথে যাচ্ছিলেন। সে সময় হাবিব তার স্ত্রীকে দেখার পরে তার দিকে অগ্রসর হন। এক সময় তার স্ত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করতে থাকে। এমনকি মোবাইল নম্বর, ফেসবুক আইডি দেওয়ার জন্য বলেন। আমার স্ত্রী হাবিবের কথায় রাজি না হলে সে কুপ্রস্তাব ও ইভটিজিং করার চেষ্টা করেন। এসব ঘটনায় গত ১৫ অক্টোবর অফিস চলাকালীন সময়ে তিনি আহসান হাবীব রুমির সঙ্গে দেখা করেন। সে সময় হাবিব আমার স্ত্রীর সঙ্গে আচরণের জন্য ক্ষমা না চেয়ে বরং হুমকি দেয় এবং সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করেন। সেখানে প্রটোকল অফিসার এবং ভিসির পি.এস উপস্থিত ছিলেন। পরে আমি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মচারী আহসান হাবীব রুমি বলেন, ‘ওনি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। ঐদিন আমি সোনালী ব্যাংক থেকে বের হচ্ছিলাম তখন আমার হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের খাম ছিলো, সেটা দেখে ওনার স্ত্রী আমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমি বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি করি কি না? আমি তখন আমার পরিচয় দিলে তখন ওনি (খাদেম সাহেবের স্ত্রী) বলেন, যে তার স্বামীও বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন। তিনি তার স্বামীর নাম পরিচয় দেওয়ার পরও আমি তাকে চিনতে পারিনি । কিছু সময় পর মসজিদের খাদেম আসলে আমরা পরিচিত হই এবং সেখান থেকে চলে আসি।’ আহসান হাবীব রুমি আরও বলেন, ‘ঘটনার তিনদিন পরে ওনি আমার অফিসে এসে আমাকে উল্টাপাল্টা কথা বলে চলে যান। গতকাল শুনলাম তিনি রেজিস্ট্রার বরাবর একটা অভিযোগপত্র দিয়েছেন। ওনি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তার একটিও সত্য নয়। যদি সত্য বলে প্রমাণিত হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে শাস্তি দেবে আমি তা মাথা পেতে নেব। আর এটা যদি প্রমাণিত না হয় তাহলে ওনি যে আমাকে হয়রানি করছে তার জন্য তাকে শাস্তি পেতে হবে।’ এ বিষয়ে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
১৮ অক্টোবর, ২০২৩
বর্ণিল আয়োজনে পাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
‘আমাদের কলম সত্যের পক্ষে’ স্লোগানকে সামনে রেখে এক বছর পার করলো পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) একমাত্র সাংবাদিক সংগঠন পাবিপ্রবি প্রেসক্লাব। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ ও অকৃত্রিম পেশাদারিত্ব বজায় রেখে নানান প্রতিকূলতা আর সম্ভাবনার মধ্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে পাবিপ্রবি প্রেসক্লাব। সোমবার (১৬ অক্টোবর) বৃক্ষরোপণ, আনন্দ র্যালি, কেক কাটাসহ নানা আয়োজন ও উৎসবমুখর পরিবেশে বর্ণিল আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে সংগঠনটির সদস্যরা। দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির উদ্বোবধন করেন। বৃক্ষরোপণ শেষে উপাচার্যের উপস্থিতিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে আনন্দ র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি লাইব্রেরী ভবন ঘুরে স্বাধীনতা চত্বরের এসে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. নাজমুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর ড. লোকমান হোসেন, ড. মাসুদ রানাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। র্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাবিবুল্লাহ, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বাবুল হোসেন, পাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস,যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও নাজমুল ইসলামসহ পাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সদস্যদের উপস্থিতিতে কেক কাটা হয়। এরপর দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারি-২ এ পাবিপ্রবি প্রেসক্লাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, ‘পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব তাদের একটি বছর শেষ করেছে। গত এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য তারা নিরলসভাবে কাজ করে গেছে। এ জন্য তারা প্রসংশা পাওয়ার দাবিদার। তাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে তারা যেন সত্য জেনে সব সময় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের চেষ্টা করে। কখনোই পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না। পাবিপ্রবি প্রেসক্লাব অনেক দূর এগিয়ে যাবে এটাই আমার প্রত্যাশা।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কলম সত্যের পক্ষে’ এটি হলো পাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের স্লোগান। আমরা দেখেছি তারা শুরু থেকে এ স্লোগানকে বুকে ধারণ করে পথ চলতে চেষ্টা করেছে। সেজন্য তাদেরকে আমার অভিনন্দন। সত্য বুকে ধারণ করে চলা কঠিন কাজ। সত্যের ফলাফলও সবসময় ভালো হয় না, এটি প্রকাশ করতে অনেক ত্যাগের প্রয়োজন। সংবাদিকতা একটি ত্যাগের পেশা। এ পেশায় অনেক বাঁধা বিপত্তি আছে। পাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদেরও সে বাঁধা বিপত্তি পাড়ি দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করতে হবে। আগামীদিনের জন্য পাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সদস্যদের জন্য শুভ কামনা থাকবে।’ পাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে পাবিপ্রবি প্রেসক্লাব বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জনগুলোকে তুলে ধরার জন্য চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে নানা অনিয়ম নিয়েও লিখেছে। এজন্য অনেক বাঁধার সম্মুখীনও আমরা হয়েছি। কিন্তু আমরা পিছু হটিনি। সত্যের পক্ষে থেকে লিখেছি। এক বছরের পথচলায় পাবিপ্রবি প্রেসক্লাবকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি মানুষ কম বেশি সহযোগিতা করেছে। সেজন্য আমরা সবার কাছে কৃতজ্ঞ। আগামীদিনেও ক্যাম্পাসে পথ চলার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’ আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশর্তবার্ষিকী স্মারক ‘জনক জ্যোর্তিময়ে’ শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এ সময় পাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
১৭ অক্টোবর, ২০২৩
আরও
X