আবারও গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ
গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। তীব্র এই তাপপ্রবাহে বুড়িমারী-লালমনিরহাট মহাসড়কের পিচ গলে যেতে শুরু করেছে।  শুক্রবার (১৭ মে) বিকেল ৩টায় সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা যায়। বুড়িমারী মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, রাস্তা দিয়ে হেঁটে বা গাড়িতে চলাচল করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূর্যের প্রখর তাপে গলে যাওয়া শুরু করেছে রাস্তার পিচ। প্রতিদিনই তীব্র থেকে তীব্রতর তাপমাত্রার মুখোমুখি হতে হচ্ছে উপজেলার সাধারণ মানুষকে। রংপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত দুই সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রার প্রকোপ বেড়েছে। লালমনিরহাটে তাপমাত্রা প্রতিনিয়ত ৩৬ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকছে। যা জেলায় চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আরও কয়েকদিন তাপপ্রবাহ থাকলে এর মাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা আছে। তপ্ত দুপুরে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন রিকশাচালক খালেক মিয়া। তিনি বলেন, রাস্তায় রিকশা চালানো যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে রাস্তার পিচের গরমটা শরীর ঝলসে দিচ্ছে। লোকজন বেশি বের হয় না। আগে প্রতিদিন ৫০০-৬০০ টাকা আয় হলেও এখন ৩০০ টাকার নিচে নেমে এসেছে। ব্যবসায়ী সবুজ হোসেন বলেন, এমন খরতাপ আগে দেখা যেত না। গত দুই সপ্তাহ ধরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছে। রাস্তার ওপর দিয়ে হাঁটলে ঝলসে যাওয়ার মতো অবস্থা। যদি রোদ কমে বা বৃষ্টি আসে তবে একটু স্বস্তি পাওয়া যায়। লালমনিরহাট জেলা তথ্য অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহজাহান আলী জানান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে জেলার সর্বত্র সচেতনতামূলক প্রচার অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গত মাসে যশোর, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়কের পিচ গলে যেতে দেখা যায়।
১৮ ঘণ্টা আগে

হাতের টানে ওঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ
সাতক্ষীরায় সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সড়ক নির্মাণ করায় কাজ শেষ হওয়ার আগেই সড়কের কয়েকটি অংশের পিচ ঢালাই উঠে যাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলজিইডি কর্তৃপক্ষ তদারকি না করার কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের গোদাঘাটা বদ্দীপাড়ার মল্লিক বাড়ি থেকে কারিগর পাড়া ঈদগাহ মোড় পর্যন্ত ১ হাজার ৩৬০ মিটার সড়কে এক কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। কাজটি পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সোয়ানি ট্রেডার্স। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে তিন ভাগের দুই ভাগ কাজ। তবে চলমান এ কাজে উপজেলা প্রকৌশলী বা তার প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে কাজ বুঝে নেওয়ার কথা থাকলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সড়ক সংস্কার করায় কাজ শেষ হতে না হতেই সড়কের কয়েকটি অংশের পিচ ঢালাই উঠে গেছে। পাথর, বিটুমিনসহ চলমান সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আবার গাড়ি চলাচল করায়ও পিচ অনেক জায়গায় উঠে যাচ্ছে। ঠিকাদারের লোকজন ময়লা-আর্বজনা পরিষ্কার না করে কাজ করেছেন। কমপ্রেশার মেশিন দিয়ে সড়ক পরিষ্কার করে পিচ দেওয়ার কথা। তা না করে গাছের পাতা ও ময়লার ওপরই পিচ দেওয়া হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী এক ইঞ্চি ঢালাই হওয়ার কথা থাকলেও যেসব জায়গার পিচ উঠে গেছে সেখানে এক ইঞ্চি না দিয়ে হাফ ইঞ্চি পিচ ঢালাই দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম মুন্সী ব‌লেন, পিচ দেওয়ার আগে যখন ইটের সুরকি দেওয়া হয় তখন রোলার মেশিন দিয়ে সমান করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু রোলার দিয়ে সমান না করে পিচ দিয়েছে। ফলে কাজ শেষ হওয়ার আগেই পিচ উঠে যাচ্ছে। নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক জাহিদ হাসান। তিনি বলেন, পিচ ঢালাইয়ের কাজ যেভাবে হয়, আমি সব ধরনের উপাদান ঠিকভাবে ব্যবহার করেছি। তবে স্থানীয়দের মধ্যে গ্রুপিংয়ের কারণে এ ধরনের অভিযোগ উঠছে।  সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকৌশলী ইয়াকুব আলীর নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।  উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শোয়াইব আহমাদ বলেন, রাস্তার পিচ ওঠে যাওয়ার ঘটনায় খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৪ মে, ২০২৪

গাজীপুরে তীব্র দাবদাহে গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ
সারা দেশে চলছে তীব্র দাবদাহ। আর এই দাবদাহের ফলে মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতেও। দাবদাহের অতিরিক্ত তীব্রতার কারণে বিভিন্ন সড়কের পিচ গলে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এদিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের একটি আঞ্চলিক সড়কে পিচ গলে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। গত কয়েকদিন ধরে কালিয়াকৈর-মাওনা সড়কের মেদিআশুলাই, চেয়ারম্যানবাড়ি, পাইকপাড়াসহ প্রায় ১০টি স্থানে সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে। এর ফলে ওই সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের পাশাপাশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষজন। দাবদাহের কারণে সড়কের কয়েকটি স্থানে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি সড়ক বিভাগের। সড়কের পিচ গলে যাওয়ার এমন দৃশ্য দেখে হতবাক স্থানীয় লোকজন ও পথচারীরাও। তাদের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে রাস্তা সংস্কারের কারণে এ অবস্থা হয়েছে। পিচ গলে উঠে যাওয়ার ঘটনাটি অনেকেই ভিডিও ধারণ করে ও ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করছে বলেও দেখা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের মেদি আশুলিয়া এলাকায় কয়েক কিলোমিটার অংশজুড়ে সড়কের পিচ গলে গেছে। ওই স্থানগুলোতে যানবাহন চালকরা অনেকটাই আতঙ্কিত হয়ে যাচ্ছে। ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দুপুরের দিকে সড়কে হাঁটতে গেলে পিচে আটকে যাচ্ছে জুতার সোল। সড়কের পিচ গলে যাওয়ার এমন দৃশ্য এই প্রথম দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি দেখতে অনেক মানুষ ভিড় করছেন সড়কে। সড়ক তৈরির সময় নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা উচিত প্রশাসনের। পরিবহন চালকরা বলছেন, তীব্র গরম আর রোদে সড়কের পিচ গলে আঠালো হয়ে গেছে। গাড়ির চাকা আটকে গিয়ে গতি কমে যায়। অনেক সময় গলে যাওয়া পিচের কিছু অংশ পরিবহনের চাকায় উঠে এসে লেগে থাকে। এই সড়কে গাড়ি চালাইতেও ভয় লাগে। মনে হচ্ছে সড়কে অতিরিক্ত মাত্রায় বিটুমিন দেওয়ার কারণে ও নিম্নমানের জিনিসপত্র দিয়ে কাজ করায় পিচ গলে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, এই সড়কটি কয়েক মাস আগে সংস্কার করা হয়েছে। এই সড়কটিতে আমরা ডিএসটি টেকনোলজি ব্যবহার করেছি। আর এই টেকনোলজি ব্যবহারের কারণে বিটুমিনের পরিমাণটা অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় কিছু বেশি দিতে হয়। আর গত কয়েকদিন ধরে অতিরিক্ত রোদের কারণে বিভিন্ন স্থানে পিচ গলে যাচ্ছে। আগে এমনটা হয়নি। আমরা আজকে সড়কটি পরিদর্শন করেছি। এই জায়গাগুলোতে বালি ছিটালে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আগামীকাল আমরা ওখানে কাজ করব। তবে ভয়ের কিছু নেই সড়ক বা যানবাহনের কোনো ক্ষতি হবে না। কালিয়াকৈর ইউএনও কায়সার আহমেদ জানান, আঞ্চলিক এ সড়কের সমস্যার কথা জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা সড়ক বিভাগের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে যে এলাকাটিতে সমস্যা হয়েছে তা দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে সড়কে যান চলাচল অব্যাহত ও স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

‘ঠিকাদার’ ছাত্রলীগ নেতা, সপ্তাহ না পেরোতেই উঠে যাচ্ছে পিচ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পদ্মাসেতু ক্যান্টনমেন্ট থেকে গণিরমোড় সংযোগ সড়কে এক সপ্তাহ পার না হতেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার কার্পেটিং। হাত দিয়েই তোলা যাচ্ছে রাস্তার কার্পেটিং। পুরো রাস্তার কাজ এখনো শেষও হয়নি। এরমধ্যেই বেহাল দশা রাস্তাটির। প্রায় ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ রাস্তা সংস্কারে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৪ কোটি টাকা। এতো টাকার রাস্তার কাজ নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাগজে-কমলে কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠানটির নাম মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড। তবে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি হিসেবে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ উজ্জামান কাজ করছেন। কিন্তু কোম্পানিটি ছাত্রলীগ নেতার কিনা সেটা কালবেলা নিশ্চিত হতে পারেনি। রাস্তা সংস্কারের শুরুতেই এমন অবস্থায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তারা বলছেন, সড়ক সংস্কারে সময় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ করে এলাকাবাসীরা বলছেন, বরাদ্দের বেশিরভাগ টাকায় লুটেপুটে খাওয়া হয়েছে। সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার ৭ দিন পার না হতেই সড়কের এ অবস্থা হলে ৬ মাস পর কী হবে সেটিই প্রশ্ন রাখেন তারা। প্রকাশ্যে বক্তব্য দিতে না চাইলে গোপন ক্যামেরায় সড়কের সংস্কার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারির কাজ নেওয়া ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ উজ্জামানের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। সেখানে তিনি বলেন, এটি কোনো নিউজ করার বিষয় না। সব নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে। জাজিরা উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. ইমন মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি কাজে গাফিলতির বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, যেসব জায়গায় কার্পেটিং উঠে গেছে তা ঠিক করে দেওয়া হবে। নির্বাহী প্রকৌশলী স্যারকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। শরীয়তপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রাফেউল ইসলাম জানান, পদ্ধতিগত ভুলের কারণে এটি হয়েছে। এখন সব পিচ তুলে ফেলে আবারও ঢালাই দেওয়া হবে।  
০৮ মার্চ, ২০২৪

কোটালীপাড়ায় শর্ট পিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে আসাদ স্মৃতি সংঘ চ্যাম্পিয়ন
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত শর্ট পিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে আসাদ স্মৃতি সংঘ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কয়খা যুবসমাজের আয়োজনে এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টে রোববার রাতের ফাইনালে কামরুল স্মৃতি সংঘকে ২৬ রানে হারায় আসাদ স্মৃতি সংঘ। আগে ব্যাট করে আসাদ স্মৃতি সংঘ ১২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪৯ রান তোলে। জবাব দিতে নেমে কামরুল স্মৃতি সংঘ ১২৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। টুর্নামেন্টে মোট ১৬টি দল অংশ নেয়। ছোট সীমানার এই ক্রিকেট আসরে জমজমাট লড়াই শেষে ফাইনালে মুখোমুখি হয় আসাদ স্মৃতি সংঘ ও কামরুল স্মৃতি সংঘ, যাতে শেষ হাসি হেসেছে আসাদ স্মৃতি সংঘের খেলোয়াড়রা। আসাদ স্মৃতি সংঘের নিপুন ৮৯ রান করে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। ফাইনাল ম্যাচে ধারাভাষ্য দেন পিঞ্জুরী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক আরিফ গাজী। তিনি দুর্দান্ত বিশ্লেষণে পুরোটা সময় মাতিয়ে রাখেন কয়েক হাজার দর্শককে। ফাইনাল ম্যাচে অতিথি ছিলেন কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন খান, কোটালীপাড়া পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, সাবেক পৌর মেয়র শেখ কামাল হোসেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়নাল মিয়া, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফিরোজ শেখসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক হাওলাদার। অতিথিরা তাদের বক্তব্যে একটি মাদকমুক্ত যুবসমাজ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারা মনে করেন, এই ধরনের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন যুব সমাজের চিত্তবিনোদনের খোরাক এনে দেবে এবং তাদের মাদকের থাবা থেকে দূরে রাখবে।
০৫ মার্চ, ২০২৪

মিরপুরের পিচ নিয়ে আইসিসির অসন্তোষ
সিলেটে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টের উইকেট পুরোপুরি স্পোর্টিং না হলেও মানসম্মত ছিল। আইসিসিও পিচকে ভালো রেটিং দিয়েছিল। বোলার-ব্যাটার সবার জন্যই কিছু না কিছু ছিল সেখানে। তবে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হয়েছে মাত্র দুই দিনে। এ উইকেটে ব্যাটসম্যানদের জন্য কিছুই ছিল না। মিরপুরের উইকেট নিয়েও আইসিসি সন্তুষ্ট না হওয়ায় আবারও মিরপুর পেল একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের পিচকে আইসিসি পিচ এবং আউটফিল্ড মনিটরিং প্রক্রিয়ার অধীনে ‘অসন্তোষজনক’ হিসাবে অ্যাখা দিয়েছে। আইসিসি এলিট ম্যাচ রেফারি, ডেভিড বুন ম্যাচ কর্মকর্তা এবং উভয় দলের অধিনায়কদের সাথে পরামর্শ করার পর আইসিসির কাছে তার প্রতিবেদন জমা দেন। আইসিসি তার প্রতিবেদন মূল্যায়নের পর মিরপুরকে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে। প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে পাঠানো হয়েছে। বিসিবির হাতে ১৪ দিন সময় আছে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের জন্য। ডেভিড বুন অবশ্য আউটিফিল্ডকে ভালো রেটিং দিয়েছেন। তিনি বলেন “আউটফিল্ডটি খুব ভাল ছিল এবং বৃষ্টির সাথে খুব ভালভাবে ধরে রাখা হয়েছিল। যাইহোক, দেখা যাচ্ছে যে পিচটি হয়ত ঠিকভাবে প্রস্তুত করা হয়নি, কারণ এটি শক্ত ছিল না এবং প্রথম দিনে ঘাসের ছাঁটে ঢাকা ছিল। প্রথম সেশনের পর থেকে, ম্যাচের বাকি অংশ জুড়ে বাউন্স ছিল অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অসংখ্য বল উপর দিয়ে চলে যাচ্ছিল। ফরোয়ার্ড খেলার সময় স্পিন বোলারদের কাছ থেকে ডেলিভারি প্রায়ই ব্যাটারের কাঁধের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছিল এবং মাঝে মধ্যেই খুব কম বাউন্স থাকছিল।”
১২ ডিসেম্বর, ২০২৩

এপিকটায় পিচ করল দেশের ৩ প্রতিষ্ঠান
এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্স (এপিকটা) অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ এ নিজেদের প্রযুক্তিগত সমাধান তুলে ধরেছে বাংলাদেশের তিন প্রতিষ্ঠান। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী ‘পিচিং’ এবং ‘ইন্টারভিউ’র মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিয়েছে কনটেন্ট ম্যাটার্স লিমিটেড, স্কেলি-ল্যাবস এবং ইক্সোরা সলিউশন লিমিটেড। এখন অপেক্ষা ফল ঘোষণার। নিজ নিজ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হতে বেশ আশাবাদী প্রতিযোগীরা। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি প্রতিযোগীদের এই পিচিং সম্পন্ন হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীর সঙ্গে নেটওয়ার্কিং সেশনেও অংশ নেন তারা। প্রতিযোগীরা ২৫ মিনিট করে নিজেদের সমাধান তুলে ধরার সময় পান। এর মধ্যে ৫ মিনিট বিভিন্ন ডিভাইস স্থাপনের জন্য, ১০ মিনিট উপস্থাপনা বা প্রেজেন্টেশন দেওয়ার জন্য এবং বাকি ১০ মিনিট বরাদ্দ থাকে ইন্টারভিউর জন্য। এই শেষ ভাগে প্রতিযোগীরা বিচারকদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রয়োজনে সময় বাড়ানো বা কমানো হয়। প্রতিযোগিতায় প্রতিটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হিসেবে ‘চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘রানার্সআপ’ হিসেবে ‘মেরিট’ মোট দুটি পদক দেওয়া হবে। কনটেন্ট ম্যাটার্সের প্রধান নির্বাহী এ এস এম রফিক উল্লাহ কালবেলাকে বলেন, আমরা এখানে ‘র্যাবিটহোল’ (RabitHole) নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। এটি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। এর প্রকৌশলগত সমাধানগুলো আমাদের দেশেই তৈরি। খেলা দেখার জন্য আমাদের প্ল্যাটফর্মের সুনাম রয়েছে। প্রতিযোগিতায় সেই দিকগুলো তুলে ধরেছি। এমনকি বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজের লাইভ খেলা বিচারকদের দেখিয়েছি। যদিও এখানে প্রতিযোগিতা খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যায়। তবুও আমরা আশাবাদী যে পদক পাব। ইক্সোরা সলিউশনের প্রধান নির্বাহী গোলাম জিলানী বলেন, দুটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে দুটি প্রজেক্ট নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমরা আশাবাদী জয়ের বিষয়ে। তবে ফল যাই হোক, এপিকটায় অংশ নেওয়া আমাদের জন্য একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। আগামীকাল শুক্রবার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা এবং পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে এপিকটার অনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। গত ৫ ডিসেম্বর হংকংয়ের সাইবার পোর্টে শুরু হয় এপিকটা-২০২৩। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৬টি দেশ ও অঞ্চল এতে অংশ নিচ্ছে।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

সেমিফাইনালের পিচ বদল নিয়ে ব্যাখ্যা দিল আইসিসি
বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালের আগ মুহূর্তে যেখানে সব নজর থাকার কথা ম্যাচ ঘিরে, সেখানে ম্যাচ শুরুর আগেই বিতর্ক শুরু হয় আজকের ম্যাচের স্টেডিয়াম ওয়াংখেড়ের পিচ নিয়ে। ভারতের বিপক্ষে পিচ বদলে দেওয়ার বড় ধরনের অভিযোগ তোলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইন। জানা যায়, এ বিষয়ে আইসিসিকে মেইল করে অভিযোগও জানিয়েছেন আইসিসির পিচ প্রস্তুতকারক অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন। ফাইনালের পিচ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। পিচ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়াতে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর মুখ খুলল আইসিসি। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার ব্যাখ্যা মতে, এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। এতে সমস্যার কিছু নেই।  ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইন এক প্রতিবেদনে দাবি তোলে, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বুধবার ৭ নম্বর পিচে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলে ম্যাচটি হচ্ছে ৬ নম্বর পিচে। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৭ নম্বর পিচে কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি। নকআউট পর্বের জন্যই মূলত তৈরি করা হয়েছিল এটি। ৬ নম্বর পিচে হয়েছে দুটি ম্যাচ। আইসিসি এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়ে বলে, ‘বৈশ্বিক এ ধরনের প্রতিযোগিতার শেষ দিকে পিচে বদল একদম স্বাভাবিক ব্যাপার। আগেও এ ঘটনা ঘটেছে। আয়োজক দেশের যে মাঠে খেলা হচ্ছে, সেই মাঠের পিচ প্রস্তুতকারকের পরামর্শে বদল হতে পারে পিচ। আইসিসির পিচ প্রস্তুতকারককে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। পিচ বদল হলে যে সেই পিচে খেলা ভালো হবে না তার কোনো কারণ নেই।’ এদিকে ভারতীয় ক্রিকেট পোর্টাল ক্রিকবাজ জানিয়েছে, ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই এবং ক্রিকেট দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বাধীন টিম ম্যানেজমেন্টের তাড়নায় পিচ বদল করা হয়েছে। পিচ নির্ধারণের বিষয়ে জানে, এমন একটি সূত্র ক্রিকেট পোর্টালটিকে ব্যাপারটি সম্পর্কে অভিহিত করে। অবশ্য পিচ চূড়ান্তকরণের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট ধারা নেই আইসিসির। যে ভেন্যুতে খেলা হবে, তারা ম্যাচের সম্ভাব্য সেরা পিচ ও আউটফিল্ড দেখে খেলার ব্যবস্থা করে। গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুটি সেমিফাইনালেই ম্যাচ গড়িয়েছিল আগেই ব্যবহার হওয়া পিচে। যদিও ইংল্যান্ডে ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ব্যবহার হয়েছে নতুন পিচ। এবারের বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশনের ৬.৩ ধারা অনুসারে, পিচ নির্বাচন ও প্রস্তুতের দায়িত্ব মাঠ কর্তৃপক্ষের। ভারত–নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালের ক্ষেত্রে যা মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমসিএ) দায়িত্ব। তবে আইসিসির স্বাধীন পিচ পরামর্শক অ্যান্ডি অ্যাটকিনসনের সঙ্গে সমন্বয় করার কথা ওয়াংখেড়ের কিউরেটরের। ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, পূর্বপরিকল্পিত পিচ বদলে ফেলায় অ্যাটকিনসন হতাশা প্রকাশ করেছেন। নিজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো অ্যাটকিনসনের মেইলের কিছু অংশ প্রকাশও করেছে মেইল অনলাইন। সেখানে অ্যাটকিনসন লিখেছেন, ‘এসব কাজের কারণে অবশ্যই এটা ভাবার সুযোগ আছে যে এটাই কি প্রথম আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল, যেখানে পিচ বিশেষভাবে পছন্দ ও প্রস্তুত করা হয় টিম ম্যানেজমেন্ট কিংবা আয়োজক দেশের বোর্ডের উচ্চস্তরের অনুরোধে।’
১৫ নভেম্বর, ২০২৩

স্বাগতিকদের অনুরোধে প্রথমবার বিশ্বকাপের পিচ পরিবর্তন
চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল শুরুর আগেই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভারত ও নিউজিল্যাণ্ডের সেমিফাইনালের হাইভোল্টেজ লড়াইটি হওয়ার কথা ছিল সাত নম্বর উইকেটে। যেখানে চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। কিন্তু ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, স্বাগতিকদের অনুরোধে সাতের পরিবর্তে ছয় নম্বর উইকেটে খেলা হচ্ছে।    ভারত ও নিউজিল্যান্ডের শেষ চারের লড়াইটি মাঠে গড়িয়েছে যে উইকেটে, যেখানে ভারত-শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়বেসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, চলতি আসরের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচটি সাত নম্বর পিচে খেলার কথা ছিল। এমনকি ওই পিচে এখন পর্যন্ত কোনও ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। ভারত নিউজিল্যান্ড ম্যাচ শুরুর আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় খেলা গড়াবে ছয় নম্বর পিচে। যে ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৩০২ রানে হারিয়েছিল ভারত। ভারতীয় বোলারদের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে মাত্র ৫৫ রান গুটিয়ে গিয়েছিল লঙ্কানরা।  নিউজিল্যান্ডের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনজেড হেরাল্ড জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) অনুমোদন ছাড়াই সেমিফাইনালের পিচ পরিবর্তন করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। এবারই স্বাগতিক দেশের অনুরোধে প্রথমবারের মতো পিচ পরিবর্তনের ঘটনা ঘটেছে।  আইসিসির পিচ বিশেষজ্ঞ অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগের পরিকল্পনা সেমিফাইনালে পরিবর্তন হয়েছে। এবারই প্রথম আইসিসি ইভেন্টের সেমিফাইনালে টিম ম্যানেজমেন্ট ও স্বাগতিক দেশের বোর্ডের অনুরোধে পছন্দের পিচে খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী পুরনো বা নতুন পিচে খেলার কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই।’ আইসিসির উইকেট ও আউটফিল্ড নীতিমালা অনুযায়ী, যে মাঠ সেমিফাইনাল বা ফাইনাল আয়োজনের দায়িত্ব পাবে, সেই ভেন্যু কর্তৃপক্ষই সেরা উইকেট এবং আউটফিল্ড কন্ডিশন ঠিক করবে।  উল্লেখ্য, ২০১৯ ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ওয়ানডে বিশ্বকাপের দুটি সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড এবং বার্মিংহামের এজবাস্টনে। একদম নতুন পিচে খেলা হয়েছিল সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচগুলো।
১৫ নভেম্বর, ২০২৩
X