পুকুর খনন করতে গিয়ে পাওয়া গেল গ্রেনেড
পাবনার ঈশ্বরদীতে পুকুর খনন করতে গিয়ে পাওয়া গেল পরিত্যক্ত গ্রেনেড। পরে এটি মাটিচাপা দিয়ে স্থানটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বুধবার (৮ মে) রাতে শহরের এমএস কলোনি তিনতলা এলাকায় খননকাজ চলাকালীন একটি পুকুরে এ গ্রেনেড দেখতে পাওয়া যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, রেলওয়ের জমিতে খোকন নামের এক মাছ ব্যবসায়ী বেশ কিছুদিন ধরে পুকুর খননের কাজ করছে। শ্রমিকরা কাজ শেষ করে বিকেলে চলে যায়। তখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া স্বর্ণা নামের এক শিশু কন্যা রাতে বাড়ির পেছনে গিয়ে পুকুরের পাশে উপরের অংশে লাল টেপ মোড়ানো লোহার গোলকের মত বস্তুটি খেলনা ভেবে বাড়িতে নিয়ে আসে। তার বাবা সুবাস কুমার দাস ওরফে ধলা গোলাকার বস্তুটি গ্রেনেড চিহ্নিত করে। তখন বিপদের আশঙ্কায় গোলাকার বস্তুটি পূর্বের স্থানে রেখে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়। ঈশ্বরদী থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় এলাকাটি পাক বাহিনীর দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস অধ্যুষিত এলাকা ছিল। ওই সময় গ্রেনেডটি যেকোনোভাবে ঘটনাস্থলে অবিস্ফোরিত হয়ে মাটি চাপা পড়েছিল। মাটি খনন করায় সেটি বের হয়ে এসেছে। ওসি জানান, বর্তমানে গ্রেনেডটি মাটাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এলাকাটি আম বাগান পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই  সবুজ আলীর তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য র‍্যাবের বোম ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দলটি ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার কথা রয়েছে।
০৯ মে, ২০২৪

পুকুর খননের সময় ট্রাকচাপায় যুবক নিহত
নাটোরের গুরুদাসপুরে পুকুর খনন করে মাটি নেওয়ার সময় ট্রাকচাপায় বাদল প্রামাণিক নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার মশিন্দা চরপাড়ার টেওশাগাড়ি বিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বাদল প্রামাণিক সিংড়া পৌর শহরের গোডাউন ঘাট মহল্লার বাসিন্দা। তিনি মাটিবাহী ট্রাকচালক হিসেবে কাজ করছিলেন।  স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের মশিন্দা চরপাড়া মৌজার টেওশাগাড়ি বিলের প্রায় ২০ বিঘা জমিতে পুকুর খনন করছিলেন ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফ ও আবুল কালাম আজাদ। সেখানকার মাটি বহন করে একটি ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছিল। সন্ধ্যায় সেখানে ট্রাকচালক হিসেবে কাজ করছিলেন নিহত বাদল প্রামাণিকও। সন্ধ্যার দিকে খননযন্ত্রের মাধ্যমে তার ট্রাকে মাটি বোঝাই করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন তিনি। এ সময় ধাক্কা দেওয়া ট্রাকটি তাকে পিষ্ট করে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাদল। তারা আরও জানান, বাদলের মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটার পর দ্রুত খননযন্ত্রটি সরিয়ে একটি বাড়িতে রেখে পালিয়ে যান খননের কাজে নিয়োজিত লোকজন। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে বাদলের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। গুরুদাসপুর থানার ওসি উজ্জল হোসেন কালবেলাকে বিষযটি নিশ্চিত করে বলেন, বাদলকে চাপা দেওয়া ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। লাশটি রাতেই উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
০৬ মে, ২০২৪

বৃষ্টিতে পুকুর থেকে ওঠে এলো কৈ
তীব্র গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টি আর বজ্রপাতের সঙ্গে চাঁদপুরের গ্রামাঞ্চলের পুকুর থেকে কৈ মাছ উঠতে দেখা গেছে। এতে করে বৃষ্টিতে ভেজার পাশাপাশি উৎসুক মানুষ কৈ মাছ ধরতে পুকুর পাড়ে সময় কাটিয়েছেন। সোমবার (৬ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এলাকাবাসীকে পুকুরপাড়ে কৈ মাছ ধরতে দেখা গেছে। জুতি ও প্রিয়াংকা নামের দুই নারী জানান, বৃষ্টিতে ভিজতে বেরিয়ে দেখি পুকুর পাড়ে কৈ মাছ লাফাচ্ছে। পরে বুঝলাম, পুকুর থেকে কৈ মাছ উজিয়ে উঠতেছে। তখন পরিবারের সবাইকে ডেকে এনে ২০টি কৈ মাছ পেয়েছি। মনে হচ্ছে বেশিরভাগ কৈ মাছগুলোর পেটে ডিম রয়েছে। এদিকে জেলা আবহাওয়া কার্যালয়ের তথ্যে জানা যায়, চাঁদপুরে দুপুর পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ১২টা ১০ মিনিট হতে ২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সময়ে ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, এ সময়ে শুধু কৈ মাছই নয় বরং শোল মাছও পুকুরে থাকলে উজাতে পারে। এ মাছগুলো ধরার দৃশ্য দেখাও মনে অনেকটা প্রশান্তি দেয়।
০৬ মে, ২০২৪

খুলনায় পুকুর নলকূপ কোথাও পানি নেই
তীব্র তাপদাহে এমনিতেই বিপর্যস্ত খুলনার জনজীবন। তার ওপর এখানকার নলকূপগুলোতে নেই পানি। বৃষ্টি না থাকায় পুকুরগুলোও প্রায় পানিশূন্য। খুলনা ওয়াসার পানিও এখন লবণাক্ত। ফলে খুলনার শহর থেকে উপকূল, সর্বত্র এখন সুপেয় পানির জন্য হাহাকার চলছে। খুলনার কয়রা উপজেলা সদর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরের গোলখালি গ্রাম। সুপেয় পানির জন্য সারা বছরই কষ্ট লেগে থাকে এখানে। শুষ্ক মৌসুমে তীব্র খরায় এ গ্রামে অনেক আগের থেকেই নলকূপগুলো অকার্যকর। জমা রাখা বৃষ্টির পানি ও সরকারি কয়েকটি পুকুরই ছিল একমাত্র ভরসা। খরা মৌসুমে গোলখালির এই সরকারি পুকুরটিতেও পানির স্তর তলানিতে ঠেকেছে। ফলে প্রয়োজনীয় খাবার পানিটুকু পাচ্ছে না গ্রামের বাসিন্দারা। গোলখালি গ্রামের বাসিন্দা টিএম আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এ অঞ্চলের মানুষের জন্মই যেন আজন্ম পাপ। গভীর নলকূপে সাদা পানিই আসে না। আসে লাল পানি। শুধু খাবার পানির কারণে বাপ-দাদার ভিটা ছেড়ে শহরে চলে যাওয়া লাগতে পারে।’ শুধু কয়রার গোলখালি নয়, খুলনার উপকূলীয় দাকোপ, কলাবগি, সুতারখালী, কয়রার উত্তর বেদকাশী, দক্ষিণ বেদকাশি, পাইকগাছা, হরিঢালি, গড়াইখালী, শান্তার বিস্তীর্ণ এলাকার একই দশা। তাদের দিনের একটি বড় সময় ব্যয় হয় পানি সংগ্রহ করতে। ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার হেঁটে দূরের কোনো জলাশয় থেকে দিনে অন্তত তিনবার আসা-যাওয়া করে খাবার পানির সংগ্রহ করছেন এলাকার মানুষ। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে চরামূল্যে কেনা পানি দিয়ে কারও কারও কোনোমতে চলে। অর্থের অভাবে বাধ্য হয়ে উন্মুক্ত জলাশয়ের নোংরা পানিও পান করছেন অনেকে। উপকূলে বাড়ছে পানিবাহিত রোগ সুপেয় পানির অভাবে উপকূলের মানুষের মধ্যে বাড়ছে পানিবাহিত রোগ। দাকোপ, কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পাওয়া তথ্যমতে, শুধু এই তিনটি উপজেলায় ডায়রিয়াসহ কয়েকটি পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা বাড়ছে। ২০২৩ সালে কয়রা উপজেলায় পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ৪ হাজার ৬৬২ জন, পাইকগাছায় ৯ হাজার ৩২৯ জন এবং দাকোপে ৯ হাজার ৩৫৩ জন রোগী। দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুদিপ বালা কালবেলাকে বলেন, খুলনার বিস্তীর্ণ উপকূলের মানুষ এই তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। শুধু পানির কারণেই অধিকাংশ মানুষ প্রায় সময় অসুস্থ হয় এবং একই মানুষ বারবার অসুস্থ হয়। এই অঞ্চলের মানুষের নিরাপদ খাবার পানি নিশ্চিত করতে না পারলে তাদের জীবন বিপন্ন হবে ধীরে ধীরে। জলবায়ু পরিবর্তনের পানির টাকা জলে ১৫ লাখ মানুষের বসবাস খুলনা শহরে। প্রতিদিনের পানির চাহিদা ২৪ কোটি লিটার। নগরে পানির সরবরাহ ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা খুলনা ওয়াসা ৪০ হাজার বাড়িতে দিনে ৭ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতে পারছে। ২০১১ সালের দিকে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে আনতে প্রকল্প গ্রহণ করে খুলনা ওয়াসা। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর ৪২ কিলোমিটার দূরের মধুমতী নদী থেকে নগরে পানি নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়। ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, সরবরাহ লাইন স্থাপনসহ ওই প্রকল্পের খরচ ধরা হয় ২ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ করে ওয়াসা খুলনার মানুষকে যে পানি সরবরাহ করে, এখন সেই পানিতেও লবণ। প্রকল্পটি গ্রহণের সময় পানিতে লবণাক্ততা বাড়তে পারে, এমন চিন্তা মাথায় নেয়নি খুলনা ওয়াসা। প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার আগে কোনো ধরনের বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত যাচাই করা হয়নি। পরিবেশবিদদের কোনো আপত্তি কানে তোলা হয়নি। এ কারণে লবণাক্ততার বিষয়টি বাদ দিয়েই ওই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দল্লাহ বলেন, লবণাক্ততা পরিশোধের প্লান্ট বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। তা ছাড়া সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে সর্বোচ্চ ১৫ দিনের লবণাক্ততা থাকতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতি বছর এই নদীতে লবণাক্ততার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৫ দিনের জায়গায় এখন দুই মাসের বেশি সময় পানিতে লবণাক্ত থাকছে। তিনি আরও জানান, লবণাক্ততা পরিশোধন প্লান্ট তৈরি না করে পানির একটি রিজার্ভার তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু লবণাক্ততার সময় বাড়ায় আর একটি রিজার্ভার করার কথা বললেও গত তিন বছরে তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে এখন গরমের মৌসুমে ওয়াসার সরবরাহ করা সেই লবণাক্ত পানি আবার ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। ওয়াসার এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, গত ১০ দিনের লবণাক্ততার মাত্রা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গত ৭ এপ্রিল যেখানে পানির লবণাক্ততার মাত্রা ছিল ২৯০ বিপিএম সেখানে, গত মঙ্গলবার তা ৫০০ ছাড়িয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে এই পানি আর মুখে তোলার অবস্থায় থাকবে না।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

কৃষিজমিতে পুকুর খননে ট্রলি ব্যবসায়ীকে জরিমানা
ফরিদপুর আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নে কৃষিজমিতে পুকুর খনন ও ভূমির আকার পরিবর্তনের অভিযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩ ভেকু ও ট্রলি ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯টায় উপজেলার বিদ্যাধর ও কুলধর বাইশার ডাঙ্গায় এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন ইয়াসমিন পুলিশ সদস্য এবং উপজেলা ভূমি সহকারীকে সঙ্গে নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।  এ সময় লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধ ট্রলি দিয়ে অনুমতি ব্যতীত কৃষিজমিতে মাটি খনন করার অপরাধে বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে উপজেলার দাউদ হোসেনের পুত্র শামীম মোল্যা (৩২), মৃত মোবারেক শেখের পুত্র রবিউল ইসলাম (৪২) ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা বোয়ালমারীর মো. সামাদ শেখের পুত্র মো. জামাল শেখকে (৩৫) ৫০ হাজার করে মোট দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন ইয়াসমিন জানান, বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে তিনজনকে পৃথকভাবে মোট ১ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলাতে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। 
২২ এপ্রিল, ২০২৪

পুকুর থেকে পলিথিনে মোড়ানো নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুর থেকে অজ্ঞাত নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সদর থানার পরিদর্শক আব্দুল কাদের জানান, দুপুরে জেলা শহরের পুরোনো কাচারিপার এলাকায় পৌরসভার পুকুরে পলিথিনে মোড়ানো নবজাতকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কেউ গর্ভপাত করে মরদেহটি এখানে ফেলে রেখে গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে এর সঠিক কারণ জানা যাবে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সরকারি রাস্তার মাটি কেটে পুকুর খনন, ভোগান্তিতে অর্ধশত পরিবার
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে সরকারি একটি কাঁচা রাস্তার পাশে মাটি কেটে পুকুর খনন করার অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত ৫০টি পরিবার চলাচলের ভোগান্তিতে রয়েছে। কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের শিমুলাটিয়া গ্রামে এ চিত্র দেখা গেছে।  এ ঘটনায় শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে স্থানীয় মো. পারভেজ মিয়া কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কেন্দুয়া থানার ওসির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নওপাড়া ইউনিয়নে শিমুলাটিয়া গ্রামের মাসুদ রানা ও হায়দার মিয়া শিমুলাটিয়া গ্রামের পাঠান বাড়ির সামনে ব্যক্তি মালিকানা এবং সরকারি কাঁচা রাস্তার মাটি কেটে পুকুর খনন করেছেন। এতে একই গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তুফা, ইউপি সদস্য নূর আলম বেপারী, মোজাম্মেল হক, সাইকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামানসহ অন্তত ৫০টি পরিবারের একমাত্র চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে । ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে তারা। পুকুর খনন না করতে বলায় বিবাদীরা পারভেজ মিয়াকে মারধর করেছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি।  এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত মাসুদ রানার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।  এ ব্যাপারে নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান কাউছার বলেন, শুনেছি মাসুদ রানারা চলাচলের রাস্তা কেটে ফেলেছে কিন্তু ঈদের ব্যস্ত থাকায় আমি ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি।  কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এমদাদুল হক তালুকদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, সহকারী কমিশনার ভূমিকে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

রাতের আঁধারে পুকুর ভরাট
জমির শ্রেণি পরিবর্তন নিষিদ্ধের আইন থাকলেও তা অমান্যসহ উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাজশাহী মহানগরীতে একটি পুকুর রাতের আঁধারে ভরাট করা হচ্ছে। গত ২৫ মার্চ রাত থেকে পুকুরটি ভরাট শুরু হলেও স্থানীয় প্রশাসন এটি বন্ধে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। একটি সূত্র বলছে, প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে পুকুর ভরাটের মহোৎসব চলছে। প্রায় সাড়ে আট বিঘা আয়তনের পুকুরটি মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার দায়রাপাক মোড় এলাকায়। নবনির্মিত চার লেনের পাশেই পুকুরটি প্রকাশ্যে ট্রাকের পর ট্রাক বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। অথচ আইন অনুযায়ী, জমির শ্রেণি পরিবর্তন নিষিদ্ধ। রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় আর একটি পুকুরও যেন ভরাট না হয় সেই নির্দেশনাও দিয়ে রেখেছেন উচ্চ আদালত। জেলা প্রশাসক, সিটি করপোরেশন, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে বিষয়টি তদারকি করতে বলা হলেও সবাই চুপচাপ। জানা গেছে, পুকুরটি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করতেন কয়েক ব্যক্তি। তাদের একজন মো. টুটুল। তিনি জানান, কয়েক বছর ধরেই তারা পুকুরটিতে মাছ চাষ করতেন। আগে এর মালিক ছিলেন নাটোরের গোলাম মাওলা নামে এক ব্যক্তি। সম্প্রতি পুকুরটি কয়েক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে শুধু আবদুল হালিম তার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। ইজারার মেয়াদ থাকলেও তাকে কিছু না জানিয়েই সম্প্রতি পুকুরটি ভরাট শুরু করে দেওয়া হয়। এতে তিনি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন। মো. টুটুল আরও জানান, পুকুর ভরাট শুরুর কয়েকদিন পর মালিকপক্ষের সঙ্গে তাদের সমঝোতা হয়েছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে নির্ধারণ করা টাকার সিংহভাগই বুঝে পেয়েছেন। অল্প কিছু বাকি। তবে পুকুরের মালিকানায় কারা আছেন তা নিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি। গত শনিবার রাত ১০টার দিকে নগরীর নবনির্মিত আলিফ লাম মিম ভাটার মোড়-বিহাস সড়কে গিয়ে দেখা যায়, বালুঘাট থেকে সারি ডাম্প ট্রাক বালু নিয়ে পুকুরে যাচ্ছে। পুকুরপাড়ে ফেলে যাওয়া বালু পেলোডারের মাধ্যমে পানির কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গত ২৫ মার্চ থেকে প্রতিরাতে এভাবে পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছে। দিনে কাজ পুরোপুরি বন্ধ থাকছে। পুকুরে বালু ভরাটের কাজ দেখাশোনা করছেন নগরীর বুধপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. মাসুম। তিনি বলেন, এই পুকুরে এসপি-ডিসির মালিকানা আছে। তারাই ভরাট করছেন। ভরাটের আগে এটির শ্রেণি ভিটা করে নেওয়া হয়েছে। আসলেই এটি ভিটা নাকি পুকুর, এমন প্রশ্নে মাসুম বলেন, পুকুরই তো দেখছি। এখন কাগজে-কলমে ভিটা করে দিলে আমাদের কী! সবই তো সম্ভব। কোন জেলার এসপি-ডিসি এই পুকুরের মালিকানায় আছেন তা জানতে চাইলে মাসুম বলেন, ‘সেটি আমি বলতে পারব না। লালন ভাই বলতে পারবেন।’ লালন শেখের বাড়িও নগরীর বুধপাড়া এলাকায়। তিনি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সদস্য। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুয়ার্ড শাখার নিরাপত্তা প্রহরী। রাজশাহীর সন্ত্রাসী গ্রুপ তরিক বাহিনীর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যোগাযোগ করা হলে লালন শেখ বলেন, পুকুরের মালিক কে সেটি জানি না। ভরাট করার জন্য অন্য ব্যক্তি কাজ দিয়েছে। আমি ভরাট করছি। পুকুর ভরাট আইনে নিষিদ্ধ, এটি জানেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি আর কথা বলতে রাজি হননি। স্থানীয়রা জানান, অবৈধভাবে পুকুর ভরাটের বিষয়ে প্রতিরাতেই পুলিশ-প্রশাসনকে অবহিত করা হচ্ছে। কিন্তু কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। চন্দ্রিমা থানার ওসি মাহবুব আলম বলেন, যখন খবর পাচ্ছি, তখনই পুলিশ পাঠিয়ে বন্ধ করছি। পুকুরের মালিক কে সেটি বলতে পারব না। যারা ভরাট করছে তারা কারও নাম বলছে না। অবৈধভাবে পুকুর ভরাট করা হলেও কাউকে আটক করা হচ্ছে না কেন, এমন প্রশ্নে ওসি বলেন, মামলা না থাকলে সেটি আমরা করতে পারি না। ভূমি অফিস ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও ধরতে পারি। পুকুর ভরাটের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে জানাচ্ছি। কেউ তো আসছে না। এ বিষয়ে জানতে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিষয়টি জানতাম না। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুকুর ভরাটের সময় এসপি-ডিসিদের নাম ভাঙানোর বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান, কোন জেলার এসপি-ডিসি তারাই বলুক। পুলিশ কেন এতদিন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সে প্রশ্ন তোলেন ডিসি।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

রাতের আঁধারে পুকুর ভরাট, প্রশাসনের ভূমিকায় রহস্য
রাজশাহী মহানগরীতে রাতের আঁধারে ভরাট করা হচ্ছে বিশাল আয়তনের একটি পুকুর। জমির শ্রেণি পরিবর্তন নিষিদ্ধের আইন থাকলেও মানা হচ্ছে না তা। অমান্য করা হচ্ছে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা। গত ২৫ মার্চ রাত থেকে পুকুরটি ভরাট শুরু হলেও স্থানীয় প্রশাসন এটি বন্ধের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বরং একটি সূত্র বলছে, প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করেই প্রতি রাতে অবৈধ এ পুকুর ভরাটের মহোৎসব চলছে। রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার দায়রাপাক মোড় এলাকায় প্রায় সাড়ে আট বিঘা আয়তনের পুকুর এটি। নবনির্মিত চার লেন রাস্তার পাশে পুকুরটি হলেও প্রকাশ্যেই ট্রাকের পর ট্রাক বালু ফেলে পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় আর একটিও পুকুর ভরাট যেন না হয় সেই নির্দেশনাও দিয়ে রেখেছেন উচ্চ আদালত। অথচ জেলা প্রশাসক, সিটি করপোরেশন, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে বিষয়টি তদারকি করতে বলা হলেও সবাই চুপচাপ। পুকুরটি ইজারা নিয়ে মাছচাষ করতেন কয়েকজন ব্যক্তি। এদের একজন মো. টুটুল। তিনি জানান, কয়েক বছর ধরেই তারা পুকুরটিতে মাছ চাষ করতেন। আগে এর মালিক ছিলেন নাটোরের গোলাম মাওলা নামের এক ব্যক্তি। সম্প্রতি পুকুরটি কয়েকজন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এদের মধ্যে শুধু আবদুল হালিম নামের এক ব্যক্তি তার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। অন্য কেউ সামনে আসেননি। ইজারার মেয়াদ থাকলেও তাকে কিছু না জানিয়েই সম্প্রতি পুকুরটি ভরাট শুরু করে দেওয়া হয়। এতে তিনি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন। মো. টুটুল আরও জানান, পুকুর ভরাট শুরুর কয়েকদিন পর মালিকপক্ষের সঙ্গে তাদের সমঝোতা হয়েছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে নির্ধারণ করা টাকার সিংহভাগই বুঝে পেয়েছেন। অল্প কিছু বাকি। এই পুকুরের মালিকানায় কারা আছেন সেসব নিয়ে এখন কথা বলতে চান না তিনি। শনিবার (০৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে রাজশাহী নগরীর নবনির্মিত আলিফ লাম মিম ভাটার মোড়-বিহাস সড়কে গিয়ে দেখা যায়, বালুঘাট থেকে সারি ড্রাম ট্রাক বালু নিয়ে পুকুরে যাচ্ছে। একসঙ্গে ৭-৮টি ট্রাক বালু নিয়ে চলে আসার কারণে একটু দূরে সারি সারি ট্রাক অপেক্ষা করছে। একটি ট্রাক বালু ফেলে আসার পর অন্যটি যাচ্ছে। আর পুকুরপাড়ে ট্রাকের ফেলে যাওয়া বালু একটি পেলোডারের মাধ্যমে পুকুরের পানির কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গত ২৫ মার্চ থেকে প্রতিরাতেই এভাবে পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছে। দিনের বেলায় অবশ্য কাজ পুরোপুরি বন্ধ থাকছে। পুকুরে বালু ভরাটের কাজ দেখাশোনা করছেন নগরীর বুধপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. মাসুম। তিনি বলেন, ‘এই পুকুরে এসপি-ডিসির মালিকানা আছে। তারাই ভরাট করছেন। ভরাটের আগে এটার শ্রেণি ভিটা করে নেওয়া হয়েছে।’ আসলেই এটা ভিটা নাকি পুকুর, এমন প্রশ্নে মাসুম বলেন, ‘পুকুরই তো দেখছি। এখন কাগজে-কলমে ভিটা করে দিলে আমাদের কী! সবই তো সম্ভব।’ কোন জেলার এসপি-ডিসি এই পুকুরের মালিকানায় আছেন তা জানতে চাইলে মাসুম বলেন, ‘সেটা আমি বলতে পারব না। লালন ভাই বলতে পারবেন।’ লালন শেখের বাড়িও নগরীর বুধপাড়া এলাকায়। তিনি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সদস্য। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুয়ার্ড শাখার নিরাপত্তা প্রহরী। রাজশাহীর সন্ত্রাসী গ্রুপ তরিক বাহিনীর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যোগাযোগ করা হলে লালন শেখ বলেন, ‘এই পুকুরের মালিক কে সেটা আমিও জানি না। আমাকে ভরাট করার জন্য অন্য ব্যক্তি কাজ দিয়েছে। আমি ভরাট করছি।’ পুকুর ভরাট আইনে নিষিদ্ধ, এটা জানেন কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এত কথা আমি বলতে পারব না।’ স্থানীয়রা জানান, অবৈধভাবে পুকুর ভরাটের বিষয়ে প্রতিরাতেই পুলিশ-প্রশাসনকে অবহিত করা হচ্ছে। কিন্তু কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। জানতে চাইলে চন্দ্রিমা থানার ওসি মাহবুব আলম বলেন, ‘যখন খবর পাচ্ছি, তখনই পুলিশ পাঠিয়ে বন্ধ করছি। পুকুরের মালিক কে সেটা বলতে পারব না। যারা ভরাট করছে তারা কারও নাম বলছে না।’ অবৈধভাবে পুকুর ভরাট করা হলেও কাউকে আটক করা হচ্ছে না কেন, এমন প্রশ্নে ওসি বলেন, ‘মামলা না থাকলে সেটা আমি পারি না। ভূমি অফিস যদি ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করে, তাহলে ধরতে পারি। পুকুর ভরাটের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে জানাচ্ছি। কেউ তো আসছে না।’ এ ব্যাপারে জানতে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও ফোন রিসিভ হয়নি। তবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টা আমি জানতাম না। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পুকুর ভরাটের সময় এসপি-ডিসিদের নাম ভাঙানোর বিষয়ে গণমাধ্যমকে তিনি জানান, কোন জেলার এসপি-ডিসি জড়িত তারাই বলুক। পুলিশ কেন এতদিন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সে প্রশ্ন তোলেন ডিসি।
০৭ এপ্রিল, ২০২৪

নাটোরে অবৈধভাবে পুকুর কাটতে গিয়ে ভেকুতে আগুন
নাটোরে অবৈধভাবে পুকুর খনন করতে গিয়ে বিবাদে ভেকুতে (এক্সকাভেটর) আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে নাটোর সদরের পাইকোরদল এলাকায় এ আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানায়, বেশ কিছুদিন ধরেই নাটোর শহরের কানাইখালী মহল্লার আফজাল হোসেন পাইকোরদল এলাকায় অবৈধভাবে পুকুর খনন করে আসছিলেন। এতে শহরের অন্য ক্যাডাররা সেখান থেকে চাঁদা নিতে গিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এমনকি গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। কিন্তু রাতে কে বা কারা পুকুর খননকাজে ব্যবহৃত এক্সকাভেটর (ভেকু) মেশিনে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।  এ বিষয়ে পুকুর খননকারী আফজাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। নাটোর থানার ওসি (তদন্ত) রায়হান জানান,  এক্সকাভেটর মেশিনে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪
X