পাবনার ঈশ্বরদীতে পুকুর খনন করতে গিয়ে পাওয়া গেল পরিত্যক্ত গ্রেনেড। পরে এটি মাটিচাপা দিয়ে স্থানটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ মে) রাতে শহরের এমএস কলোনি তিনতলা এলাকায় খননকাজ চলাকালীন একটি পুকুরে এ গ্রেনেড দেখতে পাওয়া যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, রেলওয়ের জমিতে খোকন নামের এক মাছ ব্যবসায়ী বেশ কিছুদিন ধরে পুকুর খননের কাজ করছে। শ্রমিকরা কাজ শেষ করে বিকেলে চলে যায়। তখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া স্বর্ণা নামের এক শিশু কন্যা রাতে বাড়ির পেছনে গিয়ে পুকুরের পাশে উপরের অংশে লাল টেপ মোড়ানো লোহার গোলকের মত বস্তুটি খেলনা ভেবে বাড়িতে নিয়ে আসে। তার বাবা সুবাস কুমার দাস ওরফে ধলা গোলাকার বস্তুটি গ্রেনেড চিহ্নিত করে। তখন বিপদের আশঙ্কায় গোলাকার বস্তুটি পূর্বের স্থানে রেখে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়।
ঈশ্বরদী থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় এলাকাটি পাক বাহিনীর দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস অধ্যুষিত এলাকা ছিল। ওই সময় গ্রেনেডটি যেকোনোভাবে ঘটনাস্থলে অবিস্ফোরিত হয়ে মাটি চাপা পড়েছিল। মাটি খনন করায় সেটি বের হয়ে এসেছে।
ওসি জানান, বর্তমানে গ্রেনেডটি মাটাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এলাকাটি আম বাগান পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সবুজ আলীর তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য র্যাবের বোম ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দলটি ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন