শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটিকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
‘শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানি শিক্ষক রিমান্ডে’ শিরোনামে দৈনিক কালবেলার প্রিন্ট ও অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক সিকদার নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।  কালবেলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) এক শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শান্ত-মারিয়ামের সহকারী অধ্যাপক রশি কামালের (৪০) চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে অনলাইনে উত্ত্যক্ত ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঢাকার পল্লবী থানায় মামলা দায়ের করেন ওই ভুক্তভোগী নারী। এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’ এদিকে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটির দেওয়া প্রতিবাদ সংশোধনীতে বলা হয়েছে, গত ১৮ ও ১৯ এপ্রিল ২০২৪, কালবেলা প্রিন্ট ও অনলাইনে ‘শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানি শিক্ষক রিমান্ডে’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে রশি কামাল-কে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটির শিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করা হলেও বর্তমানে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটির সঙ্গে তার নূন্যতম কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি ৫ বছর পূর্বে মাত্র ১ মাস শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটির সিএসই ডিপার্টমেন্টে (০১/০৪/২০১৮) থেকে (১০/০৫/২০১৮ পর্যন্ত) শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এহেন বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশনের জন্য আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনের পূর্বে অভিযুক্ত ব্যক্তি আদৌ শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি’র শিক্ষক কি না কিংবা এখনও এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন কি না, তা যাচাই অত্যাবশ্যক হলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক এই ক্ষেত্রে তার ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। কালবেলা এর মতো একটি দায়িত্বশীল দৈনিকের কাছে আমরা এমনটা আশা করিনি। উক্ত সংবাদ পরিবেশনের কারণে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি’র ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তাই, অভিযুক্ত শিক্ষক রশি কামাল বর্তমানে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি’র শিক্ষক নন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তার যে কোনো সম্পৃক্ততা নেই, সে বিষয়টি সংশোধন করে প্রিন্ট ও অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদটি সংশোধনকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার সহযোগিতা কামনা করছি।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
‘বাঙলা কলেজের ছাত্রই নন, তবুও ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি’ শিরোনামে দৈনিক কালবেলা অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।  প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দীর্ঘ ৮ বছর পর রাজধানীর সরকারি বাঙলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ফয়েজ আহমেদ নিজু সভাপতি ও মো. রুবেল হোসেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। দেখা দিয়েছে নানা বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কেউই বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী নন।’ এদিকে ছাত্রলীগের দেওয়া প্রতিবাদ সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ‘বাঙলা কলেজের ছাত্র নন, তবুও ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট- সেক্রেটারি’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদটি দৃষ্টিগোচর হলে এর সংশোধনী দাবি করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সংগঠনটির দাবি, প্রতিবেদটি সম্পূর্ণভাবে অসত্য, কল্পনাপ্রসূত ও ভিত্তিহীণ। প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয় সরকারি বাঙলা কলেজের নব গঠিত কমিটির সভাপতি ফয়েজ আহমেদ নিজু ও সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল হোসেন বাঙলা কলেজের ছাত্রই নন। কিন্তু সভাপতি ফয়েজ আহমেদ নিজু (সেশন ২০১৬-১৭) সরকারি বাঙলা কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে ২০১৮ সালে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। যেখানে তার পরীক্ষার রোল ৬৭৭১০ এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর : ৬১৭২৬০০০৪০৪। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল হোসেন ২০১৪-১৫ সেশনে সরকারি বাঙলা কলেজে ভর্তি হন এবং ২০২০ সালের বিএসএস (ডিগ্রি) তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। যেখানে তার রোল নম্বর : ১১৯৭৯৩ এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৬১৫৩০০০৬৪৫৭। সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জাহাঙ্গীর হোসেনেও এর সত্যতা নিশ্চিত করেন। প্রতিবেদকের বক্তব্য : প্রতিবেদনে সভাপতি ফয়েজ আহমেদ মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেছেন বলে যে দাবি করা হয়েছে তা সত্য। এ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রমাণ কালবেলার হাতে রয়েছে। তবে প্রতিবেদন প্রকাশের সময় তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কালবেলার অনলাইনে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর ফয়েজ আহমেদ নিজু নিজেকে বাঙলা কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতকোত্তরের (২০১৬-১৭) সেশনের অনিয়মিত শিক্ষার্থী দাবি করেন। এর স্বপক্ষে তিনি ২০১৮ সালের স্নাতকোত্তরের বিশেষ পরীক্ষার একটি প্রবেশপত্র এবং ফলাফল সিট উপস্থাপন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণের কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোন শিক্ষার্থী বার বার ফেল করলে একটি নির্ধারিত সময় পরে তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর বাতিল হয়ে যায়। এরপর জরিমানা দিয়ে বিশেষ পরীক্ষা দেওয়া যায়। বিশেষ পরীক্ষায় পুনরায় ফেল করলে তার রেজিস্ট্রেশন ফের বাতিল হয়ে যায়। এভাবে একজন শিক্ষার্থী জরিমানা দিয়ে বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৬ বছর পর্যন্ত তার ছাত্রত্ব ধরে রাখতে পারেন। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের পদের জন্য জমা দেয়া সিভিতে তিনি নিজেকে বাঙলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের (২০১৭-১৮) সেশনের শিক্ষার্থী দাবি করেছেন। ছাত্রলীগের দপ্তর সেল থেকে সংগ্রহ করা ওই প্রত্যায়ণপত্রটি বিশ্লষণ করে দেখা গেছে সেটি ভুয়া। দপ্তর সেলে জমা দেয়া ওই প্রত্যয়নপত্রের রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বরের কোন শিক্ষার্থী বাঙলা কলেজে নেই। ২০১৭-১৮ সেশনের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের ১২৪ জন শিক্ষার্থীর তালিকা কালবেলার হাতে রয়েছে। এছাড়াও ছাত্রলীগের দপ্তর সেল থেকে রুবেল হোসেনকে ডিগ্রির শিক্ষার্থী হিসেবে যে দাবি করা হয়েছে সেটি প্রতিবেদনেও উল্লেখ রয়েছে।   বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের একাধিক নেতা প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বাঙলা কলেজের ছাত্র নয়। ২০১৬ সালের পর থেকে বাঙলা কলেজে কোন ডিগ্রির ভর্তি কার্যক্রম নেই। আর প্রাইভেট ডিগ্রি এবং প্রাইভেট বা প্রিলিমিনারি স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে গণ্য করা হয় না। এটা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ধরনের সান্ধ্যকালীন কোর্স। 
২৮ মার্চ, ২০২৪

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
কালবেলায় গত ২৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত ‘বেগম রোকেয়ায় শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, সংবাদটি বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যনির্ভর নয়। কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানহানি হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো একটি প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, সংবাদটিতে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। এ নিয়োগ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে ও ইউজিসির অনাপত্তিপত্র নিয়েই নিয়োগ বোর্ড বসানো ও সিন্ডিকেটের অনুমোদনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। সংবাদে বলা হয়, শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধান ইউজিসিতে এ বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন। উল্লেখ্য, ইউজিসিও ওই শিক্ষকের অভিযোগটি যথাযথ হয়নি বলে আরেকটি ফিরতি চিঠিতে জানিয়েছে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আলী স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, সংবাদে বলা হয়েছে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত পাশ না হলে তা রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার কথা, কিন্তু সিন্ডিকেটে ওই নিয়োগ পাশ হয়নি এ তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। সিন্ডিকেটের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ওই নিয়োগসহ আরও (লোকপ্রশাসন, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব) নিয়োগ আবারও বাছাই বোর্ড করার সিদ্ধান্ত হয় এবং সে অনুযায়ী পুনরায় বাছাই বোর্ড হয়ে আবার সিন্ডিকেটে উত্থাপিত হলে সে সকল নিয়োগগুলো যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই অনুমোদিত হয়। তাই অনিয়মের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা অসম্পূর্ণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে অভিযোগ করা হয়েছে, এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানহানি হয়েছে।   প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন ২০০৯ এর ২৩ এবং ৩৯ ধারা অনুসরণে সিন্ডিকেট সভায় বিস্তারিত পর্যালোচনা শেষে এই মর্মে সিদ্ধান্ত হয় যে, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর গত ১৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক (অধ্যাপক/সহযোগী অধ্যাপক) নিয়োগ বাছাই বোর্ডের সুপরিশ সভায় পর্যালোচনান্তে পুনরায় উক্ত নিয়োগ বাছাই বোর্ডে প্রেরণ করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়’। যেহেতু সিন্ডিকেট সভা ও নিয়োগ বাছাই বোর্ডে মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি নিযুক্ত রয়েছেন; সেহেতু সিন্ডিকেট সভা বিষয়টি নিয়োগ বাছাই বোর্ডে পুনরায় প্রেরণ করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই অনুযায়ী গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে পুনরায় নিয়োগ বাছাই বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ বাছাই বোর্ডে দুজন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। এরপর বাছাই বোর্ডের সুপারিশক্রমে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মো. আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদকে উক্ত পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। সংবাদটিতে বলা হয় আসাদুজ্জামান মন্ডলকে যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও  নিয়োগের সুপারিশ করা হয়, এ তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, নিয়োগ বাছাই বোর্ড প্রার্থীকে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে নিয়োগের সুপারিশ করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। মো. আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ নিয়োগের সকল শর্ত পূরণ করায় নিয়োগ বাছাই বোর্ড তাকে নিয়োগের সুপারিশ করে এবং সিন্ডিকেট সে সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে।  
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বেস্ট হোল্ডিংসের
গতকাল রোববার দৈনিক কালবেলার প্রথম পাতায় ‘বেস্ট হোল্ডিংসের নয়া ফন্দি’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির কোম্পানি সেক্রেটারি মো. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, প্রতিবেদনে অত্র প্রতিষ্ঠানের ওপর মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করা হয়েছে ‘বেস্ট হোল্ডিংস কোম্পানির ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’, যা নিতান্তই ত্রুটিপূর্ণ। এর আগে দুদকে এই অভিযোগের উৎপত্তি হয়ে থাকলেও যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টজনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সত্যতা না পাওয়ায় অনুসন্ধান সমাপ্ত করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে অবহিত করে কমিশন। পরে ব্যাংক মারফত তা আমরা জানতে পারি। সুতরাং অনুসন্ধান শুরু হয়েছে বা চলমান বিষয়ে আলোচ্য প্রতিবেদনের বক্তব্য সঠিক নয়। প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, অত্র প্রতিষ্ঠানকে আইপিও ইস্যুর অনুমোদনের আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) যথাযথভাবে আইনের প্রতিপালন নিশ্চিত করেই অনুমোদন দিয়েছে। সুতরাং এখানে আইন লঙ্ঘন হয়নি। অত্র প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বোনাস শেয়ার ছাড়া মূলধন বাড়ানোর যে অভিযোগ, তাও সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, এই মূলধন বৃদ্ধি বিএসইসির অনুমোদনেই হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অত্র প্রতিষ্ঠানকে আইনবহির্ভূত ছাড় দেওয়া হয়নি। কমিশন বিনিয়োগকারী সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষার্থে অত্র প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম যাচাই-বাছাই করেই অনুমোদন দিয়েছে। সুতরাং, মিথ্যা ও অপূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে অত্র অনুমোদনকে সাধারণ বিনিয়োগকারীর স্বার্থের পরিপন্থি আখ্যা দেওয়া কোনোভাবেই সমীচীন নয়। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকে বর্তমানে কোনো অনুসন্ধান শুরু হয়েছে—এরূপ কোনো তথ্য আমাদের জ্ঞাতার্থে নেই উল্লেখ করে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, নোয়াখালীর সুবর্ণচর এলাকায় অত্র প্রতিষ্ঠানের কোনো খাসজমি দখলে নেই। প্রতিষ্ঠান দুই দশকের অধিক সময় ধরে নিজের ক্রয়কৃত জমিতে নিরবচ্ছিন্ন ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলরত আছে। এ বিষয়ে এর আগে অত্র প্রতিষ্ঠান দুদকে যথাযথভাবে সন্তোষজনক তথ্য প্রদান করেছে এবং উক্ত বিষয়ে কোনো অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান নেই। আব্দুল হাই বাচ্চু গংয়ের সঙ্গে জমি বিক্রয় নিয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের কোনো লেনদেন নেই। আলোচ্য জমিটি আব্দুল হাই বাচ্চু গং চুক্তির মাধ্যমে অত্র প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ১১০ কোটি টাকায় ক্রয় করেন এবং নগদ/পে-অর্ডার/চেকের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করেন। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চার গুণেরও অধিক মূল্যে সম্পত্তিটি ক্রেতাগণ নিবন্ধন করিয়ে নেন। আয়কর অধ্যাদেশের বিধান অনুযায়ী অতিরিক্ত ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ওপর চেয়ারম্যান কর পরিশোধ করেছেন এবং তা আয়কর নথিতে প্রদর্শিত হয়েছে। যেহেতু চুক্তির মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়া সম্পাদিত হয়েছে এবং সব প্রাপ্ত অর্থ নগদ/পে-অর্ডার/চেকের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা হয়েছে এবং সরকারের নির্ধারিত আইন ও বিধিবিধানের আওতায় কর প্রদানের মাধ্যমে বৈধ অপ্রদর্শিত আয়কে প্রদর্শন করা হয়েছে, সুতরাং এক্ষেত্রে আর্থিক তথ্য গোপন বা কোনো ব্যক্তিকে সহযোগিতাও করা হয়নি। অত্র প্রতিষ্ঠান আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটায়নি উল্লেখ করে আরও বলা হয়, এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো মামলা চলমান না থাকায় আমরা তা প্রস্পেক্টাসে উল্লেখ করিনি। চলমান কোনো মামলার বিষয়ে কোনো আদালত বা প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের অবহিত করা হয়নি বিধায় তা আমাদের জ্ঞাতার্থে নেই। এ বিষয়ে ইদানীংকালে আমরা কেবল পত্রিকা মারফতই জানতে পাই। অত্র প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও তার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বিগত তিন দশকের অধিক সময় ধরে দেশের প্রচলিত সব আইন-কানুন মেনে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছে এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশের সনামধন্য ও সম্মানিত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখযোগ্য বিদেশি বিনিয়োগেরও সুযোগ গড়ে উঠেছে। সুতরাং এই ধরনের অনভিপ্রেত সংবাদ প্রকাশ ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠানিকভাবে হেনস্তা করতে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সুনাম ক্ষুণ্নের শামিল।
২০ নভেম্বর, ২০২৩

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
গত ২৬ অক্টোবর দৈনিক কালবেলার প্রথম পাতায় ‘ডিপ্লোম্যাটিকের আড়ালে জিন এয়ারের বাণিজ্যিক ফ্লাইট’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, ঢাকা-ইনচন-ঢাকা রুটে কভিড-১৯ সংক্রমণের সময় থেকে গত ৩ বছর পর্যন্ত জিন এয়ার রিপ্যাট্রিয়েশন ফ্লাইট পরিচালনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরাসরি বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অনুমতি নিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বর্ণিত যোগাযোগের কোনো অনুলিপি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে না দেওয়ায় জিন এয়ারের ফ্লাইটের বিষয়ে এ মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তার অবহিত হওয়ার সুযোগ ছিল না। ফলে জিন এয়ারের পক্ষে মন্ত্রণালয়ের কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তার বেবিচকে কোনো রকম যোগাযোগ বা তদবির করার বিষয়টি অবান্তর। এতে আরও বলা হয়, জিন এয়ারের এভাবে রিপ্যাট্রিয়েশন ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়টি নজরে এলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ৩০ আগস্টের সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিপ্লোম্যাটিক ফ্লাইট ব্যতীত নন-শিডিউল/ চার্টার্ড ফ্লাইটের অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বেবিচক সিদ্ধান্ত নেবে। এতে আরও বলা হয়, গত তিন বছরে জিন এয়ারের কাছ থেকে অ্যারোনটিক্যাল চার্জ বাবদ ২ কোটি ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৫১৮ টাকা আদায় হয়েছে, যা যে কোনো বাণিজ্যিক ফ্লাইট থেকে আদায়কৃত চার্জের সমান। জিন এয়ারের প্রতিটি ফ্লাইট থেকে বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য প্রযোজ্য হারে অ্যারোনটিক্যাল চার্জ আদায় করা হয়েছে বলেও দাবি করে মন্ত্রণালয়।
০১ নভেম্বর, ২০২৩

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
দৈনিক কালবেলায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘প্রতারণা, মানবিক থেকে মাধ্যমিক পাস করে বিখ্যাত চিকিৎসক’ সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে মো. শিবলী সাদিক। তিনি প্রি-মেডিকেল কোর্স করে চীনে এমবিবিএস কোর্স করেছেন বলে দাবি করেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ করেছেন। প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, কাল্পনিক ও মানহানিকর বলে দাবি করেন তিনি। প্রতিবেদকের বক্তব্য: যথাযথ তথ্যপ্রমাণ ও বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। চীনের বেহুয়া ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, সেখানে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নের শর্ত উল্লেখ রয়েছে। বিএমডিসি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এবং বিএমএ মহাসচিব জানিয়েছেন, প্রি-মেডিকেল নামে কোনো কোর্সের অস্তিত্ব নেই। এসব কোর্স করে এমবিবিএসে ভর্তির সুযোগ নেই। এ ছাড়াও মো. শিবলী সাদিকের বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) রেজিস্ট্রেশন (এ-৭৩৩২৬) সাসপেন্ড করা হয়েছে।
২৩ অক্টোবর, ২০২৩

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বিএসসিএলের
গত ৯ অক্টোবর দৈনিক কালবেলার দ্বিতীয় সংস্করণে তৃতীয় পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ‘অনলাইন এমডিতে চলছে বিএসসিএল’ শিরোনামের সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)। প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) শাহ আহমেদুল কবির স্বাক্ষরিত প্রতিবাদপত্রে দাবি করা হয়, প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং মনগড়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি। এতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিএসসিএলের মহাব্যবস্থাপক (কারিগরি, গবেষণা ও পরিকল্পনা) শফিকুল ইসলাম গত ১ জুন দুই মাসের নোটিশ দিয়ে অব্যাহতি চেয়ে লিখিত ইস্তফা দেন। তাৎক্ষণিকভাবে উপযুক্ত প্রতিকল্প না থাকায় তার ইস্তফা প্রথমে ১ সেপ্টেম্বর, দ্বিতীয় দফায় ১ অক্টোবর এবং তৃতীয় দফায় ১৫ অক্টোবর অপরাহ্ণ থেকে কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে বিষয়টি গোপন রাখার অভিযোগটিও ভিত্তিহীন। পাশাপাশি প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ভাষার ব্যাপারেও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএসসিএল কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেদকের বক্তব্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিবাদপত্রেই বিষয়টি স্পষ্ট যে, আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শফিকুল ইসলাম এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। প্রকাশিত সংবাদেও এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, শফিকুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে অনলাইনে এমডির দায়িত্ব পালন করছেন। উপরন্তু, শফিকুল ইসলামের ভ্রমণ বাবদ ছুটি মঞ্জুরের চিঠিতে ছুটি শেষে তাকে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই ছুটি বৃদ্ধি করা হবে না বলেও চিঠির শর্তে উল্লেখ ছিল। চিঠির কপি রয়েছে দৈনিক কালবেলার কাছে। কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার নির্দেশনা সংবলিত ছুটি মঞ্জুরের চিঠি আর সেই কর্মকর্তার ইস্তফা দেওয়ার বিষয়টি সাংঘর্ষিক। শফিকুল ইসলামের বিষয়টি জানেন না বলে দৈনিক কালবেলাকে জানিয়েছেন খোদ ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি কোম্পানি সচিব রফিকুল হক। প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন শাখা থেকে প্রতিবেদকের সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলা হলেও কেউ তা করেনি। প্রতিবেদক নিজ উদ্যোগে প্রশাসন বিভাগের ব্যবস্থাপক নুজহাত তানজিনার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি না থাকার অজুহাতে বক্তব্য দেননি তিনি।
১২ অক্টোবর, ২০২৩

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
দৈনিক কালবেলায় ৯ জুলাই প্রকাশিত ‘চবিতে এক বছরে ৬৮ কোটি টাকার অনিয়ম’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, প্রকাশিত সংবাদটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বর্তমান প্রশাসন দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে নির্ধারিত বিধিবিধান ও আইন-কানুন মেনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছে। বিশেষ করে আর্থিক বিষয় অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালিত হয়ে আসছে। এতে আরও বলা হয়, প্রকাশিত সংবাদে মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অডিটের পর্যবেক্ষণে ২০২১-২২ আর্থিক সালে ‘৬৮ কোটি টাকার অনিয়ম’ বলা হলেও তা সত্য নয়। ক্ষেত্রবিশেষে এখানে আগের ধারাবাহিক আপত্তির প্রভাব বিদ্যমান। তা ছাড়া এটি শুধু একটি পর্যবেক্ষণ, চূড়ান্ত আপত্তি কিংবা অভিযোগ নয়। এ ধরনের অডিট একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া, সব সরকারি অফিসেই হয়ে থাকে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিভিন্ন খাতে বিধিবহির্ভূতভাবে প্রাপ্যতার অতিরিক্ত ভাতা দেওয়া হচ্ছে মর্মে যে সংবাদ ছাপানো হয়েছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ছাড়া শিক্ষকদের অবসরে যাওয়ার পরে সেশন বেনিফিটের যে আর্থিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। সংবাদে দোকান ও মার্কেট ভাড়া এবং বিদ্যুৎ বিল বাবদ যে আর্থিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা আদায় একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কোয়ার্টারে বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা বাবদ যে ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাল ও যাতায়াত ভাতা প্রদানের ফলে যে আর্থিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা অনিয়ম নয়। প্রতিবেদকের বক্তব্য : প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। অনিয়মের বিষয়টি মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিজিএ) প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে তুলে ধরা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মন্তব্য নিয়েই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য ছিল না।
১১ জুলাই, ২০২৩

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
এতে আরও বলা হয়, ২১ বছরের পথপরিক্রমায় দেশবাসীর অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়ে মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপ সাশ্রয়ী মূল্যে গ্রাহকদের হাতে পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রনিক্স পণ্য পৌঁছে আজকের এ পর্যায়ে এসেছে। গ্রুপটি তার প্রতিটি কর্মচারী-কর্মকর্তার সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। মিনিস্টার মাইওয়ান কর্তৃপক্ষ তার প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পরিবারের সদস্য বলেই মনে করে। একই সঙ্গে কোম্পানিটি জন্মলগ্ন থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী ছিল, আছে এবং থাকবে। দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী, যে যত বড়ই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা কোম্পানির নৈতিক দায়িত্ব। মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপ চাকরিতে যোগদানের সময় কোনো চেক নেয় না। তবে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি কোম্পানির অডিট টিমের নজরে এলে কোম্পানির বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কোনো দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা কর্তৃক প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক তথ্য উপস্থাপন করে কোম্পানির বিরুদ্ধে অসত্য সংবাদ প্রচার করে দায়মুক্তির চেষ্টা করা নিতান্তই অপচেষ্টা মাত্র। মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপ প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও জোরালো প্রতিবাদ জানাচ্ছে। প্রতিবাদলিপিতে কালবেলার প্রতিবেদনে উদাহরণ হিসেবে যেসব কর্মচারীর বক্তব্য ছাপা হয়েছিল, তাদের বিষয়ে বলা হয়—এরা প্রত্যেকেই অর্থ আত্মসাতে জড়িত ছিল। এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, ওইসব কর্মী কোম্পানির বিভিন্ন পদে থাকাকালে দুর্নীতির মাধ্যমে কোম্পানির বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আত্মসাৎ করা টাকা উদ্ধারে কোম্পানি বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে টাকা উদ্ধারে সক্ষম না হওয়ায় অনন্যোপায় হয়ে কোম্পানি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
০৯ জুন, ২০২৩
X