সাতক্ষীরাবাসীদের যেসব সুখবর দিলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সাতক্ষীরায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি পার্ক করা হবে। সব উপজেলায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উচ্চ গতির ইন্টারনেট দেওয়া হবে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে স্মার্ট উপহার হিসেবে শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, চিংড়ি চাষ নয়; সাতক্ষীরায় বসে আউটসোর্সিং করে নারীরা ডলার, পাউন্ড, ইউরো আয় করছেন। প্রশিক্ষণ নিয়ে মাত্র চার মাসে যোগ্য ও দক্ষ হয়ে উঠেছেন আমাদের নারীরা। স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে। পোস্ট অফিসকে ডিজিটালাইজেশন করে সব সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি উচ্চ গতির ইন্টারনেটের উদ্বোধন করেন। তালার শিক্ষার্থী বোরহান উদ্দিনকে ফাইটার প্লেন বানাতে যত টাকা লাগে সরকার সেই সহযোগিতা করবে জানান। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু, সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত লায়লা পারভীন সেঁজুতি, জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একে ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ। তারানা সুলতানার পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন ‘হার পাওয়ার প্রকল্প’র উপ-প্রকল্প পরিচালক নিলুফার ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে এ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ২৪০ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ডিজিটাল বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশের তরুণরা : পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাল বিশ্বের নেতৃত্ব দেবেন দেশের মেধাবী তরুণরা। তাদের সুযোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির ওপর জোর দিতে হবে। আমরা নিজেদের স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুললে দেশও স্মার্ট হিসেবে গড়ে উঠবে।  শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় চুনারুঘাট দক্ষিণা চরন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক জিলুফা সুলতানার সভাপতিত্বে তারুণ্যের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে, সোনার মানুষ তৈরি করতে হবে। আপনারা ভোট দিয়ে ব্যারিস্টার সুমনকে এমপি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। তাকে নিয়ে আমরা তরুণরা গর্ব করি। আপনারা আগামী ৫ বছর সুমনকে সহযোগিতা করবেন। তার মাধ্যমে এলাকার অনেক কাজ হবে।  সভায় বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট আবু জাহির, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুর হক সুমন, অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আব্দুল কাদির লস্কর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলিমা রায়হানা, পৌর মেয়র সাইফুল আলম রুবেল, সাংবাদিক ফারাবী হাফিজ, সোলায়মান সুখন, তৌহিদ আফ্রিদি, সালমান মুক্তাদির প্রমুখ।  এসময় প্রতিমন্ত্রী আইসিটি বিভাগ থেকে হবিগঞ্জ জেলার ২৬৫ জন প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করেন।
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নিতে হবে : পলক
আগামী ৩০ জুনের মধ‌্যে টেলিকম খাতের সকল লোকসানি কোম্পানিকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের প্রয়োজনীয় উদ‌্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। রোববার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণে সংশ্লিষ্টদের ইনট্রিগেটি, ইনক্রিয়েস ইফিসিয়েন্সি, ইমপ্রুভ প্রসেস এন্ড পারফরমেন্স, ইনট্রেক উইথ রেগুলেটর্স, ইনভেস্টমেন্ট ‍এট্রেকশন এবং আইটি এন্ড আইটিস এক্সপোর্ট প্রমোশন ইংরেজি শব্দের আই আদ‌্যক্ষর এই ৬টি আই মেনে চলতে হবে। পরে জুনাইদ আহমেদ পলক সভায় প্রোডাকটিবেলিটি, প্রোডাক্ট ডাইভারসিটি প্রমোশন এবং প্রসেস টু কানেক্ট কাস্টমার এই চার শব্দের পি আদ‌্যক্ষরের ওপর কাজ করতে প্রস্তাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ৪টি স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত-স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সোসাইটি। গত মেয়াদে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা তৈরি করেছি। তিনি বলেন, আমরা প্রায় ৪০টি প্রকল্প চিহ্নিত করেছি যেগুলো আমাদের যাত্রা শুরু করার জন্য বাস্তবায়ন করা দরকার। এই মেয়াদে আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো আমরা দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার সাথে ৪টি স্তম্ভের অধীনে সমস্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম তা নিশ্চিত করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো, সাশ্রয়ী মূল্যের ইন্টারনেট অ্যাক্সেস এবং আইসিটি সেক্টরের বিকাশের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম, সততা, সাহস এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা দিয়ে, চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করা সম্ভব। পরে প্রতিমন্ত্রী এমটব, বাক্কো, আইএসপিএবির নেতারা এবং মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহের সিইও সহসিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম‌্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ স‌্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম‌্যান ড. শাহজাহান মাহমুদসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে  ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিবের নেতৃত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং এর অধীন দপ্তর ও সংস্থার পক্ষ থেকে ফুলেল অর্ঘের প্রথাগত পদ্ধতির পরিবর্তে প্রতিমন্ত্রীকে অভিনন্দনপত্র দিয়ে অভিনন্দন জানান। প্রতিমন্ত্রী কৃচ্ছতা সাধনে সরকারি নীতির সাথে বিষয়টি খুবই মানানসই হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের জন্য ৩৬ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। এতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি নাটোর-৩ (সিংড়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজশাহীর নাটোরের সিংড়া উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছেন। জুনাইদ আহমেদ পলক ১৯৮০ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের নাটোর জেলার সিংডা উপজেলার সেরকোল তেলিগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ফয়েজ উদ্দিন ও মায়ের নাম জামিলা আহমেদ। তার স্ত্রীর আরিফা জেসমিন (কনিকা)।  অপূর্ণ জুনাইদ, অর্জুন জুনাইদ ও অনির্বাণ জুনাইদ নামে তাদের তিন সন্তান রয়েছে। ১৯৯৫ সালে সিংড়া দমদমা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৯৭ সালে রাজশাহী ওল্ড ডিগ্রি কলেজ (বর্তমানে রাজশাহী কলেজ নামে পরিচিত) থেকে এইচএসসি পাশ করেন তিনি। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।  জুনাইদ আহমেদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। রাজনৈতিক জীবন বাবা মরহুম ফয়েজ উদ্দিনের পথ ধরেই ২০ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন জুনাইদ আহমেদ পলক। ২৮ বছর বয়সে ২০০৮ সালে সিংড়া থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান তিনি। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জুনাইদ আহমেদ পলককে ইয়াং গ্লোবাল লিডার ২০১৬ মনোনীত করে। ৪০ বছরের কম বয়সী তরুণদের নাম প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। ইয়াং বাংলা ও সিআরআইয়ের অন্যতম কাণ্ডারি তিনি। ২০১৮ সালে বৈশ্বিক নীতিনির্ধারণী সংস্থা অ্যাপলিটাকলে প্রকাশিত ডিজিটাল গভর্নমেন্টে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান পান তিনি।
১১ জানুয়ারি, ২০২৪
X