প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ / মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের ফল না পাওয়ার অভিযোগ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের চাকরিপ্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৩ হাজার ৫৭ জন। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই ফল প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ফল প্রকাশের পর থেকেই পরীক্ষার চারটি কোডের মধ্যে সুরমা ও পদ্মা কোড পাওয়া শিক্ষার্থীরা ফল নিয়ে কোনো অভিযোগ না করলেও মেঘনা ও যমুনা সেট পাওয়া অনেক পরীক্ষার্থী ফল না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে জোর সমালোচনা। বিষয়টি নিয়ে অন্তত ১০ জন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় কালবেলার। তারা জানান, অনেক ভালো পরীক্ষা দিলেও তাদের ফল আসেনি। প্রথমে তারা বিষয়টিকে স্বাভাবিক হিসেবে নিয়েছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে এমন অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। যার কারণে তারা ফেসবুকে গ্রুপ খুলেছেন। সেখানে সংশ্লিষ্ট দুই সেটের ফল নিয়ে অভিযোগকারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে তারা আইনি প্রক্রিয়ার দিকে যেতে পারেন বলেও জানিয়েছেন। মোহাম্মদ মিজানুর রহমান নামে এক পরীক্ষার্থী কালবেলাকে বলেন, আমার সেটকোড ছিল মেঘনা। আমার হিসাবমতে, পরীক্ষায় ৭০ নম্বর পাওয়ার কথা। যা পেলে আমি অনায়াসে উত্তীর্ণ হই। কিন্তু আমার ফল আসেনি।  আরিফ হোসাইন নামে আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, আমি যমুনা সেটে পরীক্ষা দিয়েছি। ৬৬ নম্বর পাওয়ার কথা। কিন্তু আমার ফল আসেনি। অথচ কাছের বন্ধু সুরমা সেটে ৫০ নম্বর পেয়ে টিকে গেছে।  নাইমুর রহমান নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি খুব ভালো পরীক্ষা দিয়েছিলাম। সেটকোড ছিল যমুনা। পরীক্ষার পর মিলিয়ে দেখলাম, ৭০ নম্বর পাব। কিন্তু ফলই আসল না। এ বিষয়ে জানতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতকে কল করা হলে তিনি সাড়া দেননি। অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মনীষ চাকমার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ কালবেলাকে বলেন, তিন লাখ প্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। তার মধ্যে কেউ উত্তীর্ণ না হলে এর মানে নির্দিষ্ট সেট কোডের কেউই উত্তীর্ণ হয়নি? তিনি বলেন, অধিদপ্তরের ডিজির (মহাপরিচালক) কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি এই দুই সেট থেকে কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তাহলে এসব অভিযোগ কেন আসছে? তারপরও আমরা পুনরায় যাচাই করব।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

আরও ৩ অঙ্গরাজ্যের প্রাইমারি নির্বাচনে জয় পেলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন লড়াইয়ে আরও তিনটি অঙ্গরাজ্যের প্রাইমারি নির্বাচনে জয় পেয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই তিন জয়ে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের সঙ্গে লড়াইয়ের দৌড়ে আরও এগিয়ে গেলেন তিনি। খবর আলজাজিরার। শনিবার (২ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান, মিসৌরি ও আইডাহোতে রিপাবলিকান পার্টির প্রাইমারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই তিন অঙ্গরাজ্যে জাতিসংঘের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী নিকি হ্যালিকে পরাজিত করেছেন ট্রাম্প। এর আগে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন লড়াইয়ের সাউথ ক্যারোলিনা, আইওয়া, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নেভাডা ও ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের চার প্রাইমারি নির্বাচানে ট্রাম্পই জয়ী হয়েছিলেন। এসব জয়ের মাধ্যমে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন দৌড়ে নিজের অবস্থান আরও পোক্ত করেছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে এ প্রতিযোগিতা থেকে সরে যেতে নিকি হ্যালির ওপর আরও চাপ বাড়াবে ট্রাম্প-মিত্ররা। তবে জাতিসংঘের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি ‘সুপার টুইসডে’ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। মার্কিন রিপাবলিকান রাজনীতিতে ‘সুপার টুইসডে’ হলো ৫ মার্চ। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টি অঙ্গরাজ্য ও একটি অঞ্চলে প্রাইমারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নেবেন আমেরিকানরা। নির্বাচনী দৌড়ে রিপাবলিকান পার্টি থেকে ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট পার্টি থেকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এগিয়ে আছেন।
০৩ মার্চ, ২০২৪

প্রাইমারি পাস সজীবের উত্থান যেভাবে
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমৃদ্ধ নয়, প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়েছেন কেবল। অথচ তিনি কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদ বাগিয়েছেন। ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকের দায়িত্বেও। তিনি কুষ্টিয়ার আলোচিত এস কে সজীব। শনিবার সকালে কুষ্টিয়ার পদ্মার চর থেকে মিলন হোসেন নামে যে যুবকের ৯ টুকরা লাশ উদ্ধার করা হয় ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয় তারই নির্দেশে। পুলিশের ভাষ্যমতে, মিলনের কাছে চাঁদার টাকা না পেয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং ই-ব্লকে ৬তলা বাড়ির একটি কক্ষে তাকে প্রথমে নির্যাতন ও পরে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর বাথরুমে তারা পাঁচজন মিলে মরদেহ ৯ টুকরা করে পলিথিন ব্যাগে মুড়িয়ে হরিপুরের পদ্মার দুর্গম চরে নিয়ে পুঁতে রাখে। এস কে সজীবের এমন ভয়ানক নৃশংসতা এর আগে কুষ্টিয়ার মানুষ না দেখলেও তার অপকর্ম সম্পর্কে সবাই অবগত। তার নেতৃত্বে কুষ্টিয়া শহরে গড়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। শহরের মোড়ে মোড়ে শতাধিক গ্যাংয়ের সদস্য রয়েছে, যারা চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসার মতো অপরাধে জড়িত। এসব অভিযোগে সজীবের বিরুদ্ধেও কুষ্টিয়া মডেল থানায় অন্তত ১৪টি মামলা রয়েছে। যখন-তখন যাকে-তাকে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম, লাঞ্ছনার ঘটনা তার কাছে সাধারণ ব্যাপার। বছর দুয়েক আগে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জকে মারধর করেন তিনি। বিশেষ এক নেতার আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় এমন হাজারো অপকর্ম করেও বীরদর্পে ঘুরে বেড়ান সজীব। প্রশ্ন উঠেছে একাডেমিক শিক্ষায় এগোতে না পারলেও কীভাবে বাগিয়ে নিলেন ছাত্রলীগের মতো বড় রাজনৈতিক সংগঠনের পদ? সজীব একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হলেও তার অপকর্ম, তার নেতৃত্বে যে শতাধিক বেপরোয়া কিশোর-যুবক রয়েছে, সেই বিষয়টি নজরে আসে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইয়াছির আরাফাত তুষারের। সংগঠনের সভা-সমাবেশে কর্মীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে তার শরণাপন্ন হন তুষার। বিনিময়ে তার বিভিন্ন অপকর্ম সমর্থন দেন। মূলত তুষারের হাত ধরেই রাজনীতিতে নাম লেখান সজীব। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইয়াছির আরাফাত তুষার ভাইয়ের কমিটিতে সহ-সম্পাদক ছিলেন সজীব। পরে আমার (বর্তমান) কমিটিতে সহসভাপতি করা হয়। প্রস্তাবিত কমিটিতে এসকে সজীবের নাম না থাকলেও কীভাবে সহসভাপতির পদ বাগিয়ে নিলেন, তা আমার জানা নেই। একাডেমিক সনদ দেখাতে না পারায় তার নাম অন্তর্ভুক্তের বিষয়ে অনেক সুপারিশ এলেও তার নাম প্রস্তাবিত কমিটিতে দেওয়া হয়নি। তবে নানা অপকর্ম এবং সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।’ এ বিষয়ে ইয়াছির আরাফাত তুষার বলেন, ‘সজীব আমার হাত ধরেই ছাত্রলীগে এসেছেন। তিনি (সজীব) কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজে পড়েছেন।’ সনদ না থাকা প্রসঙ্গে তুষার বলেন, ‘ভোকেশনাল স্কুল থেকে সজীব পাস করেছিলেন মর্মে সনদ দেখানোয় তাকে কমিটিতে রাখা হয়।’ এদিকে সজীব সম্পর্কে খোঁজ নিতে তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের হাউজিংয়ে সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, এলাকার কেউও তার সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা দেখাননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সজীবের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘সজীব একজন ভয়ংকর অপরাধী। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রায়ই যাকে-তাকে বাড়িতে ধরে এনে নির্মমভাবে নির্যাতন করতেন। এলাকায় কেউ বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে সজীবকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে হতো।’ ওই প্রতিবেশী আরও বলেন, ‘সজীবের বাবা মিলন শেখও ছিলেন মাদক ব্যবসায়ী। বাবার দেখানো পথেই হেঁটেছেন তিনি। বছর তিনেক আগে বাবা মারা যাওয়ার পর সজীব আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। হাউজিং এলাকায় একটি টিনশেড বাড়িতে বসবাসের আগে সজীবরা থাকতেন শহরের কালিশংকরপুর এলাকায়। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা। মূলত বস্তিতে বসবাসরত অবস্থায় সব অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন সজীব।’ সজীবের বাসায় গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে কেউ নেই, ঘর তালাবদ্ধ। পুরোনো বাড়িতে গিয়ে কথা হয় সজীবের দাদি রহিমা বেগমের সঙ্গে। অশীতিপর এই বৃদ্ধা বলেন, ‘সজীব ভালো ছেলে। কীভাবে কী হলো আমরা বুঝতে পারছি না।’ সজীবের পড়ালেখা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান। সজীবের সেজো চাচি আল্পনা খাতুন অবশ্য জানিয়েছেন, সজীব পঞ্চম শ্রেণি পাস। হাইস্কুলে উঠলেও বেশি পড়াশোনা করেনি।
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রাথমিকে পাঠদানের নতুন সময়সূচি ঘোষণা
চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে এক ঘণ্টা পিছিয়েছে প্রাথমিকের ক্লাস শুরুর সময়সূচি। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে ৯টার পরিবর্তে সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে প্রাথমিকের ক্লাস। সোমবার (২২ জানুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।  আদেশে বলা হয়, সারা দেশে চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা বিবেচনায় দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে। এ ছাড়াও ১৬ জানুয়ারি মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে বিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশনা যথারীতি বহাল থাকবে।  অন্যদিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় দেশের ৫ জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলাগুলো হলো- রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, নওগাঁ ও লালমনিরহাট।
২২ জানুয়ারি, ২০২৪

প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন ছিল প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জীবনে স্বপ্ন ছিল প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হওয়া। শিক্ষিত জাতি ছাড়া দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হয় না। এ জন্য আমরা শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাঠ্যবই বিতরণ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষিত জাতি ছাড়া একটা দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হয় না। এ জন্য আমরা শিক্ষাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি এবং বাজেটেও বেশি বরাদ্দ রাখি।  শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়ে সেখানে বহুমুখী শিক্ষাব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে বিজ্ঞান, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান, কৃষি, অ্যাভিয়েশনসহ সব ক্ষেত্রে শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কারণ আজকের ছেলেমেয়েরাই আমার মতো প্রধানমন্ত্রী হবে, ভালো শিক্ষক হবে।  তিনি বলেন, আমার জীবনের স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হওয়ার। তাও আবার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। সেটি হয়ে চাচ্ছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর তা হয়ে ওঠেনি। কারণ আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বাংলাদেশের কথা বললেই তখনকার সরকার তাকে গ্রেপ্তার করত, জেলে নিয়ে যেত। এতে বারবার আমাদের পড়াশোনায় বাধা হতো।  শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে নতুন বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। 
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা পেছাল
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা পিছিয়েছে। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই ধাপের পরীক্ষায় অংশ নেবেন বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগের চাকরিপ্রার্থী। বুধবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২৪ নভেম্বরের পরিবর্তে প্রথম ধাপের পরীক্ষা এক সপ্তাহ পিছিয়ে ১ ডিসেম্বর নেওয়া হবে। ওইদিন সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হবে। এর আগে বলা হয়েছিল, ২৪ নভেম্বর প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গতি আনতে এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য তিনটি ধাপ করা হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এসব বিভাগে আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৪ মার্চ। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আবেদনের শেষ সময় ছিল ১৪ এপ্রিল। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য ১৮ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৮ জুলাই। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০ জন; ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮ এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ জন। এই নিয়োগের অনুমোদিত শূন্য পদের মধ্যে বেশিরভাগ ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ৩৬৫ এবং সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে ৪১১টি। এ ছাড়া বরিশালে ৮৭১টি, রংপুরে ৯৮৮, খুলনায় ৯৪০, ময়মনসিংহে ৫৯৯, রাজশাহীতে ১ হাজার ৫৮টি এবং চট্টগ্রামে ১ হাজার ২৩১টি শূন্য পদ রয়েছে। তবে শূন্য পদ আরও বাড়তে পারে। কারণ, নিয়োগ কার্যক্রম চলাকালে অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের পদ শূন্য হবে। 
০৮ নভেম্বর, ২০২৩

প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ। প্রতিষ্ঠানটির উপর ন্যস্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হবে। আবেদন করা যাবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।  প্রতিষ্ঠানের নাম : বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ পদসংখ্যা : ২টি, জনবল নিয়োগ ১১৩ জন  পদের নাম : সহকারী শিক্ষক  পদসংখ্যা:  ৬৮টি শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক (সম্মান) বা সমমান ডিগ্রি। বেতন : ১১,০০০-২৬,৫৯০ বয়সসীমা : ২১-৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়স ৩২ বছর। আবেদন ফি : সার্ভিস চার্জসহ ২২৫ টাকা। পদের নাম : সহকারী শিক্ষক (প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির জন্য)  পদসংখ্যা : ৪১টি  শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক (সম্মান) বা সমমান ডিগ্রি। বেতন : ১১,০০০-২৬,৫৯০ বয়সসীমা : ২১-৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়স ৩২ বছর। আবেদন ফি : সার্ভিস চার্জসহ ২২৫ টাকা।  পদের নাম : অফিস সহায়ক পদসংখ্যা : ৪টি শিক্ষাগত যোগ্যতা : ৮ম শ্রেণি পাস বেতন : ৮,২৫০-৮,৬৭০ বয়সসীমা : ১৮-৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়স ৩২ বছর। আবেদন ফি: সার্ভিস চার্জসহ ১১৫ টাকা। আবেদন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩  
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X