লাইসেন্স ও ফিটনেস নেই বেশিরভাগ গাড়ির
বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই ছাত্রের মৃত্যুর পর শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনে কয়েকদিন ধরে বন্ধ কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়ক। এতে প্রতিদিন অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই সড়কে যাতায়াত করা লাখ লাখ মানুষ। শিক্ষার্থীদের দাবি, এই সড়কে যেসব যানবাহন চলাচল করছে তাদের অধিকাংশেরই নেই ফিটনেস ও লাইসেন্স। যে কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনাও। এমন দাবির বাস্তবতা মিলেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিএ) অভিযানে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দিনভর চালানো এই অভিযানে মামলা করা হয়েছে ২৬টি পরিবহনের বিরুদ্ধে। জরিমানা করা হয়েছে সাড়ে ৮৫ হাজার টাকা। ফিটনেস না থাকায় জব্দ করা হয়েছে দুটি লেগুনা ও হিউম্যান হলার। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের পটিয়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের ফৌজদারহাটে পৃথক অভিযানে করা হয়েছে এই জরিমানা। দুপুরে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ায় অভিযান চালান রাঙ্গুনিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজান হোসাইন। তিনি জানান, লাইসেন্স, ফিটনেন্স ও হেলমেট না থাকায় ৯টি যানবাহনকে ৫৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে লাইসেন্স না থাকায় ৩টি পরিবহনকে ১৫শ টাকা, ফিটনেস না থাকায় ৩টি গাড়িকে ২২শ টাকা ও হেলমেট না থাকায় ৩টি পরিবহনকে ১৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএর চট্টগ্রাম জেলা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিনসহ আরও অনেকে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের পটিয়ার বাইপাস এলাকায় অভিযান চালান পটিয়া ইউএনও আলাউদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ফিটনেস ও ট্যাক্স টোকেন না থাকায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা জরিমানা। জব্দ করা হয়েছে ফিটনেসবিহীন ২টি লেগুনা ও পাবলিক হিউম্যান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএর চট্টগ্রাম মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মো. ফাহাদ শিকদার। অন্যদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের ফোজদারহাটে আরেকটি পৃথক অভিযান চালান বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাতুল তামান্না। তিনি বলেন, লাইসেন্স ও ফিটনেস না থাকাসহ নানা অভিযোগে ১৫টি পরিবহনকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরমধ্যে লাইসেন্স না থাকায় ৭টি যানবাহনকে ২৮ হাজার টাকা জরিমানা, ফিটনেস না থাকায় ৭টি গাড়িকে ২৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া নানা অভিযোগে আরও একটি গাড়িকে করা হয়েছে ৪ হাজার টাকা জরিমানা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের মোটরযান পরিদর্শক তীর্থ প্রতিম বড়ুয়া প্রমুখ।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ফিটনেস টেস্টে তরুণদের ভিড়ে মুশফিকের চমক
লঙ্কানদের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ শেষের পর থেকেই জাতীয় দলের কার্যক্রম থেকে বিরতিতে আছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। তবে চলতি মাস শেষেই আবার শুরু হচ্ছে টাইগারদের ব্যস্ততা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে শান্ত-সাকিবরা। এই সিরিজ এবং জুনে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরখ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টিম ম্যানেজমেন্ট। ফিটনেস পরীক্ষার অংশ হিসেবে শনিবার (২০ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৬০০ মিটার দৌড়েছেন জাতীয় দলের বিবেচনায় থাকা প্রায় ৩৫ ক্রিকেটার। তবে শুধু বিশ্বকাপ বিবেচনায় থাকা ক্রিকেটাররাই নন, এদিন ছিলেন টেস্ট ও ওয়ানডে দলের বিবেচনায় থাকা সদস্যরাও। বাংলাদেশের তপ্ত গরম থেকে ক্রিকেটারদের অল্প হলেও বাঁচতে সকাল সকাল শুরু হয় বিসিবির এই ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স অ্যাসেসমেন্ট। অ্যাসেসমেন্টের অংশ হিসেবে দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ৩৫ ক্রিকেটারকে দুই গ্রুপে ভাগ করে হওয়া এই রানিং প্রতিযোগিতায় দুই গ্রুপ থেকে সেরা হয়েছেন টাইগারদের দুই পেসার। এক গ্রুপ থেকে তরুণ পেসার নাহিদ রানা প্রথম হয়েছেন আরেক গ্রুপে সবার আগে দৌড় শেষ করেন তানজিম হাসান সাকিব। তবে চমক দেখিয়েছেন বর্তমান দলের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। টি-টোয়েন্টি দল থেকে অবসর নিলেও এই সিনিয়র ক্রিকেটার তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিয়ে দৌড়েছেন। এরমধ্যে যে গ্রুপে তানজিম সাকিব সেরা হয়েছেন সেই গ্রুপে দুই নম্বরে থেকে দৌড় শেষ করেছেন টাইগারদের এই উইকেটকিপার ব্যাটার। অবশ্য মুশফিক ভালো করলেও বর্তমান দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার সিনিয়র ৩৮ পেরোনো মাহমুদউল্লাহ দৌড় শেষ করেছেন সবার শেষে। ফিটনেস সেশন শেষে জাতীয় দলের ট্রেনার ইফতেখার ইসলাম ইফতি গণমাধ্যমকে জানান, ডিপিএল-বিপিএলের পর ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থা বোঝার জন্যই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই পরীক্ষার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের অবস্থাটা কেমন সেটা বুঝলাম। এটার মধ্যে পাস-ফেলের কিছু নেই। ডিপিএল গিয়েছে, বিপিএল গিয়েছে এরপরে ওদের ফিটনেসের অবস্থা কী, সেটা জানার জন্য এই উদ্যোগ। এটা জানার পর খেলোয়াড়দের কাকে কী অনুশীলন করাতে হবে এটা খুঁজে বের করব। ওদের জানিয়ে দেব, ওভাবে আমরা প্রয়োগ করব।’ উল্লেখ্য, আগামী ৩ মে থেকে জিম্বাবুয়ে সিরিজ শুরু হবে। আর বিশ্বকাপ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ১৬ মে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দেবে বাংলাদেশ জাতীয় দল।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

ফরিদপুরে দুর্ঘটনা / ফিটনেস ও রুট পারমিট ছাড়াই চলছিল সেই বাসটি
ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপভ্যানের সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনসহ ১৪ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় ইউনিক পরিবহনের যে বাসের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষ হয় সেই বাসটি ফিটনেস, ছাড়পত্র ও ট্যাক্স টোকেন ছাড়াই তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলাচল করছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেই রুটে বাসটি (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-১৭৫৯) চলাচলের অনুমোদন ছিল না। বাসটির চট্টগ্রাম-বগুড়া রুটে চালানোর অনুমোদন থাকলেও ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে তা আর হালনাগাদ করা হয়নি। কিন্তু সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর বেশ কয়েকটি ধারা লঙ্ঘন করে কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই দূরপাল্লার এই বাসটি চলাচল করেছে। অন্যদিকে যে পিকআপের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়, পণ্য পরিবহনের সেই পিকআপটিও বিধি লঙ্ঘন করে যাত্রী পরিবহন করছিল। পুলিশ জানিয়েছে, হতাহতরা সবাই পিকআপের (যশোর-ন ১১-১৩৩৯) যাত্রী ছিলেন। বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, বাসটি সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বার্ষিক ফিটনেস ছাড়পত্র নেয় এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। বিআরটিএ সূত্র জানায়, বাসটি সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ট্যাক্স টোকেন হালনাগাদ করে, যার মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের নভেম্বরে। এদিকে দুর্ঘটনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে (এডিএম) প্রধান করে তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।  ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের শহরতলীর কানাইপুরের দ্বীপনগর এলাকায় বাস ও পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনা নিহতদের স্বজনদের ৫ লাখ, আহতদের ৩ লাখ এবং মরদেহ দাফনের জন্য আরও ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

লক্কড়-ঝক্কড় লঞ্চে পারাপার, অনিরাপদে যাত্রীরা
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও মানিকগঞ্জের আরিচা-পাবনার কাজীরহাট গুরুত্বপূর্ণ দুটি নৌপথে প্রতিদিন নারী, শিশুসহ হাজারো মানুষ লঞ্চ পারাপার হয়। কিন্তু এ নৌপথে যাত্রী নিরাপত্তায় বেশির ভাগ লঞ্চে নেই জীবন রক্ষাকারী কোনো সরঞ্জাম। সেই সঙ্গে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চগুলো চলাচল করে। এতে যে কোনো সময় ভয়াবহ নৌ-দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন যাত্রীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুটের বহরে মোট ৩৩টি লঞ্চ রয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি এমভি (বড়) এবং ৭টি এমএল (ছোট) লঞ্চ। আরিচা লঞ্চ মালিক সমিতি ওই দুই নৌপথে সব লঞ্চ চলাচল পরিচালনা করে আসছে। বাই রোটেশনে প্রতিটি লঞ্চ তিন দিন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে, তিন দিন আরিচা-কাজীরহাট নৌ রুটে চলাচল করার পর তিন দিন রেস্টে থাকে। এসব লঞ্চের একেকটির বর্তমান বয়স ৩৭ থেকে ৪৮ বছর। বেশির ভাগ লঞ্চের ওপরে চকচকে বাহারি রঙের প্রলেপ দেওয়া। কিন্তু লঞ্চের ভেতরের গুরুত্বপূর্ণ ইঞ্জিনসহ অনেক কিছুই জোড়াতালি দেওয়া।  যাত্রী নিরাপত্তায় প্রতিটি লঞ্চে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, ফায়ার বাকেট, বালুভরা বাক্স, পাম্প মেশিন, প্রয়োজনীয় সংখ্যক লাইফ জ্যাকেট, লাইফ বয়া, ফার্স্ট এইডসহ জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন সরঞ্জাম থাকার কথা থাকলেও বেশির ভাগ লঞ্চে তা নেই। প্রায় অকেজো হয়ে পড়া লঞ্চগুলোর মধ্যে এমএল নার্গিস, এমভি রেজোয়ান ও এমভি নজীর নামের ৩টি লঞ্চের বর্তমান পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি খারাপ। এ অবস্থায় ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে লঞ্চগুলো নিয়মিত চলাচল করছে।  প্রশিক্ষিত মাস্টার (চালক) দ্বারা লঞ্চ চালানো বাধ্যতামূলক হলেও কোনো কোনো লঞ্চ মালিক তাদের লঞ্চ চালাচ্ছেন অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে। এদিকে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি যাত্রীসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি ঘাটের লঞ্চ টার্মিনালে বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক পরিদর্শক রয়েছে। কিন্তু এর পরও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুটের লঞ্চগুলো অবাধে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার করে আসছে। অতিরিক্ত যাত্রী প্রসঙ্গে আরিচা লঞ্চ মালিক সমিতির দৌলতদিয়া ঘাট ম্যানেজার মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিটি লঞ্চ ঘাটে ভেরার আগে সব যাত্রী লঞ্চের সামনে চলে আসে। দেখলে মনে হবে লঞ্চে যাত্রীবোঝাই। আসলে যাত্রীর সংখ্যা ধারণক্ষমতার অনেক কম। কোনো লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার করা হয় না।  যাত্রীরা বলেন, এমন ঝুঁকিপূর্ন লঞ্চ চলাচলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।  আনিসুল নামের এক যাত্রী বলেন, কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে লঞ্চ দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানী হলে এই দায়িত্ব কে নিবে বলেন?  লঞ্চ ঘাটের পত্রিকা বিক্রেতা কুতুব উদ্দিন বলেন, আমি প্রতিদিন এই ঘাটে পত্রিকা দেই, আর পত্রিকা দেওয়ার সময় দেখি লঞ্চে যে মানুষ ধরে তার চেয়ে বেশি মানুষ উঠে লঞ্চে। লঞ্চগুলো বেশি সুবিধার না, বেশির ভাগই লক্কড়-ঝক্কড়।  আরেক যাত্রী রানা বলেন, কাজের তাগিদে ঝুকিপূর্ণ লঞ্চে চলাচল করি আমরা। গরিব মানুষ কম খরচে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।  দৌলতদিয়া ঘাট লঞ্চ টার্মিনালে কর্তব্যরত বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক সুপারভাইজার এস এম শিমুল জানান, চলাচলকারী লঞ্চগুলো অনেক পুরানো। এর মধ্যে দুই-তিনটি লঞ্চের অবস্থা অনেকটা খারাপ। লঞ্চগুলো নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে চলছে।  তিনি আরও বলেন, অধিদপ্তরের ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকলে আমাদের করার কিছু নেই। এ বিষয়ে আমি-আপনি কী করতে পারব বলেন।
০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ফিটনেস নেই বেশিরভাগ ফেরির, বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথের মধ্যে চলাচলকারী অধিকাংশ ফেরির ফিটনেস নেই। এদিকে কুয়াশার মধ্যে ফেরি চলাচলের জন্য পাঁচ কোটি টাকা খরচ করে যেসব ফগ লাইট বসানো হয়েছে, সেটিও বিকল হয়ে পড়ে আছে। এসব কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে পাটুরিয়ার পাঁচ নম্বর ঘাট এলাকায় ডুবে যাওয়া রজনীগন্ধা ফেরিটিরও ফিটনেস ছিল না বলে একাধিক আরোহী অভিযোগ করেছেন। দুর্ঘটনার দিন রজনীগন্ধার আরোহী ছিলেন ট্রাকচালক আশিক। তিনি বলেন, ফেরিটির কোনো নৌযানের সঙ্গে ধাক্কা লাগেনি। তলা দিয়ে পানি ঢুকে কাত হয়ে ৯টি ট্রাক নিয়ে ফেরিটি ডুবে যায়।  ঘাটের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ নৌপথের অধিকাংশ ফেরির বয়স ৩৫ বছরের বেশি। রজনীগন্ধার বয়স ছিল ৪৭ বছরের বেশি। রোরো ফেরি ‘খান জাহান আলী’ ১৯৮৭ সালের তৈরি। আরেক রোরো ফেরি ‘কেরামত আলী’ ৩৬ বছরের পুরনো। ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর’ ফেরি তৈরি হয় ১৯৯২ সালে। ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর ‘আমানত শাহ’ নামের একটি ফেরি ১৭টি যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়ার পাঁচ নম্বার ফেরি ঘাটের কাছে ডুবে যায়। বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি ফেরিতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ফগ লাইট বসানো হয়। একেকটি ৭ হাজার কিলোওয়াটের লাইট কিনতে ৫০ লাখ টাকার বেশি ব্যয় হয়।  তখন জানানো হয়েছিল এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। অথচ কয়েক দিন পরই অধিকাংশ লাইট নষ্ট হয়ে যায়। ‘খানজাহান আলী’, ‘শাহ আলী’, ‘কেরামত আলী’, ‘ভাষা শহীদ বরকত’, ‘কপোতি’, ‘বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন’, ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর’, ‘শাহ আমানত’ ও ‘শাহ পরান’ ফেরিতে ফগ অ্যান্ড সার্চ লাইট বসানো হয়। কয়েকজন ফেরিচালক জানান, প্রতিটি ফেরির বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। নাব্যতা সংকটের কারণে ধীরে ধীরে চললেও কুয়াশার কারণে প্রতিদিনই ৬ থেকে ৯ ঘণ্টা ফেরি বন্ধ রাখতে হয়। ফগ লাইট লাগানো হলেও তা কাজে আসেনি। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করে। এসব ফেরিতে ১৭ থেকে ১৮শ যানবাহন পারাপার হয়। কিন্তু কুয়াশার কারণে প্রতিদিনই তিন থেকে ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকছে। বিআইডব্লিউটিসি আরিচা সেক্টরের উপ-মহাব্যবস্থাপক খালেদ নেওয়াজ বলেন, এ নৌপথে মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো ফেরি নেই।  নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোস্তফা কামাল বলেন, ‘পাঁচ বছরে একবার ফেরির ডকিং করতে হয়। রজনীগন্ধা ২০২১ সালে ডকিং হয়। আর ফগ লাইটের বিষয়ে মন্ত্রী কথা বলেছেন, আমি কিছু বলব না। আর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর ফেরিডুবির কারণ সম্পর্কে বলা যাবে।’ বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান ড. একেএম মতিউর রহমান বলেন, ‘ফেরির ফিটনেস ও দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হবে।’ এদিকে রজনীগন্ধার দ্বিতীয় মাস্টার (চালক) হুমায়ুন কবিরের সন্ধান এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। হুমায়ুন কবিরের বাড়ি পিরোজপুরে। তিনি বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের আরিচা আঞ্চলিক কমিটির দক্ষিণ (পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া) শাখার সভাপতি।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

সাকিবের ভাবনায় শুধুই ফিটনেস
সাকিব আল হাসানের জার্সি নম্বর কত? এ প্রশ্নের উত্তর অনেকে হয়তো চোখ বন্ধ করেই বলে দিতে পারবেন। কেননা ‘৭৫’ সংখ্যাটাকে একটা ব্র্যান্ড বানিয়ে ফেলেছেন বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার। কিন্তু গতকাল সাকিবের গায়ে থাকা জার্সির সংখ্যাটা দেখে অবাক হতে পারেন আপনিও! কাঁধের ওপর ইংরেজিতে বড় করে ‘সাকিব’ লেখা, পরে জার্সি নম্বর দেওয়া ‘৬৭’; তারও একটু নিচে লেখা ৭৫৭৮। পেছন থেকে দেখে যে কেউ বলবেন, ‘এটা সাকিব নন।’ এমন সংখ্যাটার কারণ কী জানতে চাইলে সাকিব বলেন, ‘এটা রহস্যই থাকুক।’ রহস্যটা কি সেটা অবশ্য তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তবে সাকিব নিজেও যেন এখন এক রহস্যময় চরিত্র হয়ে উঠেছেন। সোমবার বিকেলে দুবাই থেকে দেশে ফেরার পর কয়েক ঘণ্টার বিশ্রাম— গতকাল সকালে বরিশাল গিয়ে বিকেলে বনশ্রীতে একটি শুটিংয়ে অংশ নেন সাকিব। সময়ের হিসাবে মাত্র ২২ ঘণ্টার ব্যবধানে লম্বা পথের ভ্রমণ। যদিও সাকিবের জন্য এটা নতুন কিছু নয়। কয়েক বছর ধরে এমন ভ্রমণকে সঙ্গী করে চলছে তার জীবন। ওয়ানডে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর আজই প্রথমবার যোগ দেওয়ার কথা জাতীয় দলের ক্যাম্পে। একসঙ্গে এতকিছু কীভাবে মানিয়ে নেন? সাকিব বলেছেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের এগুলো (ভ্রমণ) ম্যানেজ করেই চলতে হয়। যেহেতু সময় এত বেশি নেই। অল্প সময়ে সবকিছু ম্যানেজ করার একটা পথ তো বের করাই লাগে।’ এমন ব্যস্ততা মোটেও ক্লান্তিকর নয় নিশ্চিত করে সাকিব বলেন, ‘ভালোই লাগে ব্যস্ততা।’ সামনে এশিয়া কাপ, এরপর নিউজিল্যান্ড সিরিজ ও বিশ্বকাপ। টানা খেলা থাকায় পারফরম্যান্সের সঙ্গে ফিটনেস নিয়েও ভাবতে হচ্ছে বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারকে। গতকাল বনশ্রীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুই মিনিটের আলাপে এমনটাই বলেছেন তিনি। সাকিব জানিয়েছেন, দুই টুর্নামেন্ট ও সিরিজ ঘিরে এখন ফিট থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘শুধু চেষ্টা করছি যতটা ফিট থাকা যায়। যেহেতু সামনে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট বা সিরিজ আছে। সুতরাং আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে, কতটা ফিট থাকতে পারি। প্রচুর খেলা আছে, ইনজুরি হওয়ার সম্ভাবনাটা বেশি।’ চোটের কারণে ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলা হয়নি তাসকিন আহমেদের। ২০১১ সালে একই কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাও। চোটে পড়ে এখন দলের বাইরে আছেন সদ্য ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব ছাড়া তামিম ইকবাল ও পেসার ইবাদত হোসেনও। সবকিছু জেনেই ফিটনেসে মনোযোগী সাকিব। কয়েকদিন আগেই শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) খেলার সময়ও সেটাই দেখা যায় বাঁহাতি অলরাউন্ডারের কার্যক্রমে। ফিটনেস ঠিক রাখতে বাংলাদেশ থেকে ব্যক্তিগত ট্রেনারকে শ্রীলঙ্কায় নিয়ে যান তিনি। এশিয়া কাপের একটি অংশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কায়। এলপিএলে খেলাটা তাই একটু বাড়তিই পাওয়া হিসেবে দেখছেন সাকিব। পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাটে-বলে সেরা চারেও ছিলেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, সেটাও জানালেন তিনি, ‘শ্রীলঙ্কায় আমাদের জন্য একটু গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যেহেতু শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের ম্যাচ আছে। ওদের সবার সঙ্গে খেললাম, মাঠের সম্পর্কে ধারণা হলো; ওদের খেলোয়াড়দের সম্পর্কেও ধারণা হলো। সেদিক থেকে ভালোই হলো।’ দেড় মাসের ব্যবধানে দুই টুর্নামেন্ট। সাকিবের ভাবনাজুড়ে তাই এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ। বরিশালে এক অনুষ্ঠানে সেরকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি, ‘এখন স্বপ্ন বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ। বাকিটা পরে দেখা যাবে।’ সাকিবের কথায় স্পষ্ট, বিশ্বকাপ পরিকল্পনাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
২৩ আগস্ট, ২০২৩

ফিটনেস টেস্টে সবার সেরা শান্ত
পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপকে সামনে রেখে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ক্যাম্পে ডাক পাওয়া প্রায় ২১-২২ ক্রিকেটারকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইয়ো ইয়ো টেস্ট। জাতীয় দলের ট্রেনার নিক লি’র পরিচালিত ‘ইয়ো ইয়ো’ টেস্ট ফিটনেস পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে জাতীয় দলের ট্রেনার নিক লি ক্রিকেটারদের ফিটনেসের ‘ইয়ো ইয়ো’ টেস্ট নিয়েছেন। সর্বোচ্চ ১৯.৫ স্কোর পেয়ে ইয়ো ইয়ো টেস্টে প্রথম হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৯.৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছে তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষার জন্য ‘ইয়ো ইয়ো’ টেস্টে পাস মার্ক ধরা হয়েছিল ১৮.৬। ফিটনেসের এই পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ১৯.৫ স্কোর উঠেছে। জাতীয় দলের বাঁহাতি ব্যাটার নাজমুল হোসেন প্রথম হন। ১৯.৩ পেয়ে পরের স্থানে আছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। তবে বাকিরাও খুব একটা খারাপ করেননি। বেশির ভাগ ক্রিকেটারই ১৭ থেকে ১৮ এর মধ্যে স্কোর করেছেন। বিসিবি সংবাদমাধ্যমকে জানায়, মূলত খেলোয়াড়রা কোন অবস্থায় আছেন তা দেখতেই এই ফিটনেস পরীক্ষা। তবে এ পরীক্ষায় কেউ উতরাতে না পারলেও চিন্তার কিছুই নেই। জাতীয় দলের ট্রেনার নিক লি সাংবাদিকদের জানান, সবার ‘ইয়ো ইয়ো’ টেস্টের পারফরম্যান্স প্রায় একই রকম ছিল। যারা সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের বাইরে ছিল অথবা চোটে আক্রান্ত ছিল তাদের কিছুটা কম স্কোর এসেছে। তবে সব মিলিয়ে সবাই মোটামুটি একই ব্রাকেটে ছিল।  
০৩ আগস্ট, ২০২৩
X