বর্ণবাদ রোধে কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা ফিফার
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। বিশ্বের প্রায় ২০০ দেশের ২৫ কোটির বেশি মানুষ সরাসরি এই খেলার সাথে যুক্ত। একই সাথে প্রায় ৩৫০ কোটি মানুষ টিভির পর্দায় এই খেলা উপভোগ করে থাকে। তবে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণের এই খেলায় বর্তমানে বর্ণবাদের কালো থাবা পড়েছে। বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ফুটবলে প্রায় প্রতিনিয়তই বর্ণবাদ কুলষিত করছে জনপ্রিয় এই খেলাকে।     তাই ফুটবল থেকে বর্ণবাদকে বিদায়ে বদ্ধ পরিকর ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। এবার তাই কঠোর কিছু পদক্ষেপের পথে হাঁটছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ফিফার ৭৪ তম কংগ্রেস শেষে ফিফা বর্ণবাদ সংশ্লিষ্ট শাস্তি বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। শাস্তি বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে বর্ণবাদ হওয়া ম্যাচ বাতিল করে দেওয়ার পরিকল্পনাও আছে ফিফার। ফুটবলে বেশ কয়েক বছর ধরেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বর্ণবাদ। গত বছরেই রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফুটবলার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বর্ণবাদের শিকার হওয়ার পরথেকেই ব্যাপারটি সবার সামনে আসা শুরু করে। ফিফা বর্ণবাদ দূর করতে নানা পদক্ষেপ নিলেও ঠিক সেভাবে সাফল্য পায়নি। তাই এবার কঠোর পদক্ষেপের দিকেই নজর সংস্থাটির। তাই ব্যাংককে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসে বেশ গুরুত্বের সহিতই বিষয়টি নিয়ে ভেবেছে ফিফা। বর্ণবাদ ইস্যুর কারণে বদল আসছে ফুটবল আইনে। নতুন আইনে বর্ণবাদকে শাস্তিমূলক অপরাধ হিসেবে গণ্য করার পরিকল্পনা রয়েছে ফিফার। ব্যাংককে হওয়া কংগ্রেসে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, ‘ফিফার সদস্য ২১১ দেশের সম্বনয়ে বর্ণবাদ থামাতে আজ থেকে সারা বিশ্বে আমরা ৫টি স্তম্ভ ঠিক করেছি, যা আমার বিশ্বাস বর্ণবাদ থামাতে পারবে। আমার বিশ্বাস বর্ণবাদের অন্ধকার দূর করে আমরা বিশাল আলো জ্বালিয়ে সমগ্র পৃথিবী আলোকিত করবো।’ ফিফার নতুন এই আইন অনুযায়ী ম্যাচ চলাকালীন মাঠে কেউ বর্ণবাদের শিকার হলে খেলোয়াড়রা দুই হাতে কবজি আড়াআড়িভাবে উচিয়ে (ক্রস চিহ্ন) রেফারিকে বর্ণবাদের সংকেত দিতে পারবেন। এরপর রেফারি ৩ ধাপে এগোতে পারবেন। ফিফার নির্দেশ অনুযায়ী রেফারি বর্ণবাদী আচরণ বন্ধ করতে বলবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত বর্ণবাদী আচরণ চলবে ততক্ষণ পর্যন্ত খেলা বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় রেফারি বর্ণবাদী আচরণ যে পক্ষ করছে সেই পক্ষকে ম্যাচে পরাজিতও ঘোষণা করতে পারেস। অবশ্য প্রস্তাবটি এখনও খসড়া পর্যায়ে রয়েছে। ইনফান্তিনো অবশ্য বর্ণবাদ থামাতে ফিফা দেশগুলোকে এই নতুন আইন প্রয়োগের আহব্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন থেকেই বর্ণবাদ থামাতে কাজ শুরু করেছি। যা ব্যাংকক থেকে শুরু করে সমগ্র পৃথিবীতে পৌঁছে যাবে। তাই আমি ফিফার সদস্য দেশগুলোকে বলতে চাই, আপনারা কি বর্ণবাদ থামাতে ৫টি স্তম্ভের সঙ্গে রাজি হবেন?’
২৩ ঘণ্টা আগে

ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবি, ঝুলিয়ে রাখল ফিফা
আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার ফিলিস্তিনের দাবিকে ঝুলিয়ে রাখল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আইনি পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন বলে জানান সংস্থাটির সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। শুক্রবার (১৭ মে) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ফিফার বার্ষিক কংগ্রেনের সংস্থাটির পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। গাজায় চলমান আগ্রাসনে ইসরায়েল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএফএ) সংযুক্ত থাকার যুক্তি উপস্থাপন করে ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ)। যা ফিফার আইনের লঙ্ঘন বলেও জানানো হয়। ফিফার সদস্যভুক্ত ২১১ দেশের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে পিএফএ সভাপতি জিব্রিল রাজউব বলেন, ‘আমি আপনাকে ইতিহাসের ডানদিকে দাঁড়াতে বলছি... এখন না হলে, কখন? ফিফা ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার বিষয়ে উদাসীন হতে পারে না।’ এ সময় ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো বলেন, ‘পিএফএর তিনটি অনুরোধ বিশ্লেষণ করতে এবং আইনি জটিলতাগুলো পর্যালোচনার ফিফার আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হবে।’ পিএফএ দাবিতে জানায়,  ‘গাজার সমস্ত ফুটবল অবকাঠামো হয় ধ্বংস হয়ে গেছে, বা আল-ইয়ারমুকের ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামসহ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’ এবং বলেছে যে, এটি আলজেরিয়া, ইরাক, জর্ডান, সিরিয়া এবং ইয়েমেনের ফেডারেশনগুলোর প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন করেছে। এ জন্য আগামীয় ২৫ জুলাই কাউন্সিল মিটিং আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে ইসরায়েল নিষেধাজ্ঞার আহ্বানকে ‘নিষ্ঠুর’ বলে অভিহিত করেছে। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) সভাপতি শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল খলিফা কংগ্রেস শুরু আগে ফিলিস্তিনের প্রস্তাবের প্রতি নিজের সমর্থন জানান। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিত ইসরায়েলকে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করা দাবি তুলেছিল ইরান। গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ ও গণহত্যার প্রতিবাদে ফিফার কাছে এ দাবি জানায় ইরান। মধ্যপ্রাচ্যের ১২টি দেশের ফুটবল সংস্থা, ফিফার কাছে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে চিঠি দেয়।
১৭ মে, ২০২৪

প্রতিভার পরিচর্যায় ফিফা বাফুফে ও বিকেএসপির সভা
তরুণ প্রতিভা পরিচর্যায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে (বিকেএসপি) একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানালেন ফিফা রিজিওনাল টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট (দক্ষিণ এশিয়া) চকি নেইমা। সম্প্রতি বাফুফে প্রতিনিধিদলের সদস্যদের নিয়ে বিকেএসপি পরিদর্শনে যান ফিফার এ প্রতিনিধি। বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান। এ সময় ফিফার ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিকেএসপির পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে ফ্লাড লাইট, ফিটনেস ট্রেনার, মাঠ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়। ফিফা প্রতিনিধি জানান, বিষয়গুলো ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজারকে অবগত করা হবে। এ সময় চকি নেইমা ফুটবলের উন্নয়নে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কাজ করতে বাফুফে ও বিকেএসপিকে আহ্বান জানান। বিকেএসপি ও বাফুফে ট্যালেন্ট হান্ট স্কিমের আওতায় যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে ট্যালেন্ট হান্টের বিষয়ে বিকেএসপি এবং বাফুফে একমত পোষণ করে। বিকেএসপি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ফেডারেশনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়। বাফুফের লাইসেন্স কোর্সগুলো যাতে ঢাকা আঞ্চলিক বিকেএসপিতে করা হয় এবং বিকেএসপির ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বাফুফের এলিট ক্যাম্পে প্রশিক্ষণরত খেলোয়াড়দের দলবদলের সময় বিকেএসপির কর্তৃপক্ষের সম্পৃক্তা নিশ্চিত করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

বিকেএসপিতে ফিফা বাফুফের প্রতিনিধিরা
ফিফা এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) পরিদর্শন করেছে। শনিবার বিকেএসপিতে এই প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। এ সময় ফিফার রিজিওনাল টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট (দক্ষিণ এশিয়া) চকি নেইমা ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় বাফুফে ও বিকেএসপির সঙ্গে এক সভা করেন। সভায় বিকেএসপির মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ) কর্নেল মিজানুর রহমান, উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ) উজ্জল চক্রবর্তী ও ফুটবল বিভাগের সিনিয়র কোচ শাহিনুল হক। বাফুফের পক্ষে ছিলেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর এ কে এম সাইফুল বারী টিটু, ডেভলপমেন্ট কমিটির সদস্য শফিউর রহমান মনি ও বাফুফের টেকনিক্যাল কো- অর্ডিনেটর সাঈদ হোসেন। প্রতিনিধিদলটি প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিকেএসপি।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিদায়ের সাথে দুঃসংবাদও পেল বার্সা  
পিএসজির বিপক্ষে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বেশ শক্ত অবস্থানেই ছিল স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। প্রথম লেগে ৩-২ গোলে জয়ের পর দ্বিতীয় লেগেও প্রথম গোলটি কাতালান ক্লাবই করেছিল তবে তারপর পিএসজির আক্রমণে পেরে না উঠে সেমির স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হয় কাতালান ক্লাবটির। প্রায় পাঁচ বছর পর সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নে বিভোর থাকা দলটি অবশ্য চ্যাম্পিয়নস লিগের বিদায়ের সাথে আরো একটি দুঃসংবাদও পেয়েছে। আগামী বছরের ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হারাল বার্সেলোনা।   আগামী বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে নতুন ফরম্যাটের ক্লাব বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে হলে স্পেনের আরেক ক্লাব অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকতে হতো বার্সাকে। তবে জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা সেটি করতে পারেনি। র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকার কারণে আগামী বছরের নতুন ফরম্যাটের ক্লাব বিশ্বকাপে বার্সার জায়গায় মাদ্রিদের ক্লাবটি খেলবে। তবে এখনো ইউরোপ থেকে আরেকটি দলের সুযোগ আছে আগামী বছরের ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার। বাকি দল হিসেবে সেটি পেতে পারে আর্সেনাল কিংবা সালজবার্গ। যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া নতুন ফরম্যাটের ক্লাব বিশ্বকাপে ইউরোপ থেকে মোট ১২টি ক্লাব অংশ নিবে। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি মৌসুমসহ শেষ চার মৌসুমের শিরোপাজয়ী দলগুলোর জায়গা আগেই নিশ্চিত হয়েছে।  বাকি ৮ দল যাবে র‍্যাঙ্কিং বিবেচনায়। মঙ্গলবারের (১৬ এপ্রিল) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচের পর একটি দলের খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে। দলগুলো হলো- বায়ার্ন মিউনিখ, পিএসজি, ইন্টার মিলান, পোর্তো, ডর্টমুন্ড, বেনফিকা, য়্যুভেন্তাস এবং অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। বিশ্বের সেরা ফুটবল ক্লাবগুলোকে নিয়ে আগামী বছর থেকে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হবে ক্লাব বিশ্বকাপের। এই আসরে থাকবে পুরো বিশ্ব থেকে মোট ৩২ দল। লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দল আল নাসরও থাকবে এই আসরে। 
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

মুসলিম দেশে হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম
২০৩০ সালে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বপ্ন দেখছে আফ্রিকার দেশ মরক্কো। দেশটিতে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ও বার্সেলোনার ন্যু ক্যাম্পের মতো ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম। এরপরও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। প্রায় ৫০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা হতে ১ লাখ ১৫ হাজার দর্শক। পশ্চিমাদের নানা বিতর্কের পর কাতার বিশ্বকে উপহার দিয়েছে স্মরণকালের সেরা বিশ্বকাপ। আয়োজনটি নির্ভুল করতে কোনো ক্রুটি করেনি ফিফাও। কাঁড়িকাঁড়ি টাকা খরচ করে বিশ্বকাপের আয়োজনকে অন্যান উচ্চতায় নিয়ে গেছে এশিয়ার দেশ কাতার। সেই বেঞ্চমার্ক পার করা অন্যদেশগুলোর জন্য প্রায় অসম্ভব। ফুটবলের বিশ্ব আসরকে ঘিরে মেগা পরিকল্পনা নিয়েছে মরক্কো। তিন মহাদেশের ৬টি দেশে হতে পারে ২০৩০ বিশ্বকাপ। সে বছর ফুটবল বিশ্বকাপ পা দেবে শতবর্ষে। তাই উদ্বোধনী ম্যাচগুলো হবে প্রথম আসরের ভেন্যু দক্ষিণ আমেরিকায়। আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে মিলে আয়োজন করবে শুরুর দিকে কিছু ম্যাচ। তবে বিশ্বকাপের মূল অংশের আয়োজক থাকবে ইউরোপের স্পেন-পর্তুগাল ও আফ্রিকার মরক্কো। অতীতে বড় ইভেন্ট আয়োজন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে স্পেন-পর্তুগালের। তবে মরক্কোর জন্য এমন অভিজ্ঞতা এই প্রথম। তাই বেশ ভালো এবং বড় পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছেন মরক্কোর আয়োজকরা। যদিও এখনও চূড়ান্ত হয়নি ২০৩০ বিশ্বকাপের সূচি ও ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যু। তবে ফাইনাল আয়োজনের পরিকল্পনা করছে মরক্কো ফুটবল ফেডারেশন। এ জন্য স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে যাচ্ছে তারা। যাতে করে ফাইনাল আয়োজন করতে স্পেনের ঐতিহাসিক সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ও ন্যু ক্যাম্পকে টেক্কা দেওয়া যায়। স্পেনের দুটি প্রতিষ্ঠান ক্রুজ ও অর্তিজের সঙ্গে স্টেডিয়ামটির ডিজাইন ও নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিখ্যাত ব্রিটিশ আর্কিটেকচারাল ফার্ম পপুলাস। বেন্সলিমান প্রদেশের এল মানসুরিয়া শহরে প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে পূর্ণাঙ্গ ফুটবল কমপ্লেক্স করার ইচ্ছে মরক্কোর। গ্র্যান্ড স্তাদে দি কাসাব্লাঙ্কা নামের স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হবে দেশটির ঐতিহ্য মেনে। পূরণ করা হবে আলাদা অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক, ইনডোর সুইমিংপুল, শপিং সেন্টার ও পাঁচ তারকা হোটেলসহ ফিফার সব শর্ত। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ধারণক্ষমতার স্টেডিয়াম হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার পিয়ং ইয়ংয়ের রুনগ্রাদো। মরক্কোর পরিকল্পনা সফল হলে ২০৩০ বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামে। মুসলিম দেশটিতে রচিত হবে নতুন এক ইতিহাস।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবনতি
গত বছরের অক্টোবরে করা ফিফার হালনাগাদ র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেক দিন পর উন্নতি হয়েছিল বাংলাদেশের। ছয় ধাপ এগিয়ে ১৮৩ নম্বর অবস্থানে উঠে এসেছিল লাল-সবুজরা। তবে মার্চের ফিফা উইনডোতে বিশ্বকাপ এবং এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম লেগে ৫-০ এবং ঘরের মাঠে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল জামাল-তপুরা। এই দুই হারের প্রভাবে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনতি হয়েছে জামাল-তপুদের। ফিফার সবশেষ হালনাগাদে র‌্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ পিছিয়েছে ১৮৩ থেকে ১৮৪ তে নেমে গেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মতো একই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে ভারতেরও। আকাশি নীলরা ১১৭ থেকে ১২১ এ নেমে গেছেন । বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথম লেগে আফগানিস্তানের সঙ্গে ড্র করলেও ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে হেরে যায় ভারত। আগের মতোই ১৬১তম অবস্থানে আছে মালদ্বীপ। তিন ধাপ পিছিয়ে নেপাল আছে ১৭৮তম স্থানে। ১৮৫তম স্থানে আছে ভুটান। পাকিস্তানের অবস্থান ১৯৫-তে। বিশ্ব ফুটবলে র‌্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরেই আছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। মার্চ উইন্ডোতে এল সালভাদরকে ৩-০ এবং কোস্টারিকার বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছে আলবিসেলেস্তারা। অবস্থান পরিবর্তন হয়নি ফ্রান্সের, আছে দ্বিতীয় স্থানে। এক ধাপ এগিয়ে তিনে উঠে এসেছে বেলজিয়াম। অন্যদিকে ইংল্যান্ড তিন থেকে চারে নেমে গেছে। প্রীতি ম্যাচে ইংলিশরা ব্রাজিলের কাছে হেরেছে ১-০ ব্যবধানে। আগের মতোই পঞ্চম স্থানে আছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। নেদারল্যান্ডসকে সাতে ঠেলে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে পর্তুগাল। সেরা দশের বাকি তিন দেশ স্পেন, ইতালি ও ক্রোয়েশিয়া।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

নিরাপত্তা সংকটে বাতিল সাবিনাদের মিয়ানমার সফর
গত বছর মার্চে অলিম্পিক প্রাক-বাছাই খেলতে মিয়ানমার সফরে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে সে সফরে জেতে পারিনি সাবিনা-সানজিদারা। এবার ফিফা উইন্ডোতে মিয়ানমারে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। এ জন্য মিয়ানমার ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনাও করেছিলেন বাংলাদেশের ফুটবল কর্তারা। দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি উত্তপ্ত হওয়ায় এ সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমতি চায় বাফুফে। নিরাপত্তাহীনতার কথা মাথায় রেখে সফরে না যাওয়ার নিরুৎসাহিত করে বাফুফেকে চিঠি দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সফরটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা্। এরই মধ্যে খেলতে না যাওয়ার বিষয়টি মিয়ানমারকে জানিয়েছে বাফুফে। ফলে টানা তিনটি ফিফা উইন্ডোতে খেলা হচ্ছে না সাবিনা খাতুনদের। ফলে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটি পেয়েছেন ক্যাম্পে থাকা ফুটবলাররা।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

প্রথমার্ধে ফিলিস্তিনকে রুখে দিয়েছে জামাল-তপুরা
২০২৬ বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ের ম্যাচে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় লড়ছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচ ফিলিস্তিনের কাছে বিধ্বস্ত হলেও বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে প্রথমার্ধ শেষে ফিলিস্তিনকে রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে জামাল ভূঁইয়ারা। গোলশূন্যভাবেই শেষ হয়েছে প্রথমার্ধ। ম্যাচের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের আধিপত্য ছিল। তবে শর্ত-সাপেক্ষে ম্যাচের সবচেয়ে ভালো গোলের সুযোগ ছিল লাল-সবুজদেরই। ৪৪ মিনিটে অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া মাঝমাঠের একটু সামনে থেকে ফাহিমের উদ্দেশ্যে থ্রু বল পাঠান। দুই ডিফেন্ডারকে পাশে রাখে ফাহিম বল পেয়েছিলেন ঠিকই। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি ফাহিম। তার নেওয়া শট ফিলিস্তিন গোলরক্ষকের গায়ে লাগে ম্যাচের বাকি সময় ছিল ফিলিস্তিনের আক্রমণ। বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা ভালোই রুখেছে ৯৭ র‌্যাঙ্কিংধারী দলকে। বিশেষ করে সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার তপু বর্মণ বেশ দক্ষতার সঙ্গে ডিফেন্স লাইন নেতৃত্ব দিয়েছেন। গোলরক্ষক মিতুল মারমাও দুটি ভালো সেভ করেছেন। ১২ মিনিটে মোহাম্মদ রশিদের ফ্রি কিক গোলরক্ষক মিতুলের সামনে বল ড্রপ করে। মিতুল গ্রিপ করতে না পারলেও অবশ্য বড় সমস্যা হয়নি। ছয় মিনিট পর ফিলিস্তিনের আরেক ফ্রি কিক বক্সের সামনে শট হলেও কর্নারে রক্ষা করেন মিতুল। মজিবুর রহমান জনির মিস পাসে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ চাপে পড়েছে। ৩৯ মিনিট মুসাব বাতাতের ফ্রি কিক শিহাব কুম্বোর হেড মিতুল মারমা সেভ করতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়তে পারত। শেষ পাঁচ মিনিট বাংলাদেশ আক্রমণ করেছে। ৪২ মিনিটে প্রথম কর্নার পায় বাংলাদেশ। দুই মিনিট পর জামালের পাসে মিস করেন ফাহিম।
২৬ মার্চ, ২০২৪

দুই পরিবর্তন নিয়ে ফিলিস্তিনকে আতিথ্য বাংলাদেশের
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল । মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বসুন্ধরার কিংস অ্যারেনায় ফিলিস্তিনের বিপক্ষে সাড়ে তিনটায় শুরু হওয়া ম্যাচে অবশ্য দুটি পরিবর্তন নিয়ে খেলছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ২১ মার্চে ফিলিস্তিনের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া ম্যাচের রক্ষণভাগ নিয়ে সমালোচনা হয়েছে অনেক। রক্ষণে এ কারণে এক পরিবর্তন নিয়ে নেমেছে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা। ফুলব্যাক ইসা ফয়সালের জায়গায় সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার শাকিলকে দলে নিয়েছেন হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। শাকিল আসায় ফুলব্যাক পজিশনে বিশ্বনাথ ফিরে গেছেন। ডিফেন্সের অন্য জায়গায় অবশ্য কোন পরিবর্তন হয়নি। মধ্যমাঠেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার সোহেল রানাকে একাদশে নিয়েছেন কোচ। হৃদয়ের ওপর আক্রমণ ও রক্ষণের সেতুবন্ধনের ভার। তার সঙ্গে থাকবেন দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও বাংলাদেশের আক্রমণের নেতৃত্বে থাকবেন রাকিব ও ফাহিম। তাদের যোগানদাতা হিসেবে রয়েছেন মজিবুর রহমান জনি। আগের ম্যাচে ৫ গোল হজম করলেও দুর্দান্ত খেলা মিতুল মারমার ওপরই ঘরের মাঠেও ভরসা রেখেছেন কোচ। তাই জিকোকে আজও সাইডবেঞ্চে থাকতে হচ্ছে। বাংলাদেশ একাদশ : মিতুল মারমা (গোলরক্ষক), বিশ্বনাথ ঘোষ, সাদ উদ্দিন, শাকিল, তপু বর্মণ, হৃদয়, সোহেল রানা, জামাল ভূঁইয়া, মজিবর রহমান জনি, রাকিব হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।
২৬ মার্চ, ২০২৪
X