শেরপুরে পৌর মেয়রসহ বরখাস্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও কাউন্সিলর
বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার মেয়র জানে আলম খোকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রোববার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। পৃথক প্রজ্ঞাপনে গতকাল সোমবার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরোজ মুজিব ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফিরোজ উদ্দীন আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এই দুজনকে বরখাস্ত করা হয়। মেয়রকে সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মেয়রের বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে বাস টার্মিনালের ২০২০ এবং ২০২১ সালে ইজারা মওকুফ; অনিয়মতান্ত্রিকভাবে মাস্টাররোলে কর্মচারী নিয়োগ; জিপ গাড়ি মেরামতের নামে অতিরিক্ত বিল প্রদান; ২২৮টি দোকান বরাদ্দ প্রদান না করা; পৌরসভার বিভিন্ন ক্রয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম; পৌরসভার গৃহকর অ্যাসেসমেন্টে দুর্নীতি; ইমারত ও ভূমির ওপর অতিরিক্ত কর আদায় সংক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। মেয়র জানে আলম খোকা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সঠিক নয়। প্রজ্ঞাপনের চিঠি হাতে পেলে পরবর্তী সময়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি। বরখাস্ত হওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরোজ মুজিব বলেন, ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। তার স্বাক্ষর জাল করে টাকা আত্মসাৎ করেছে অন্য কেউ। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে জবাব দেবেন তিনি। অন্যদিকে কাউন্সিলর ফিরোজ উদ্দীন আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
১৪ মে, ২০২৪

দুর্নীতির অভিযোগে মেয়র বরখাস্ত
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ জানে আলম খোকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার (১২ মে) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ জানে আলম খোকা বিধিবহির্ভূতভাবে বাস টার্মিনালের ২০২০ ও ২০২১ সালে ইজারা মওকুফ, অনিয়মতান্ত্রিকভাবে মাস্টাররোলে কর্মচারী নিয়োগ, জিপ গাড়ি মেরামতের নামে অতিরিক্ত বিল প্রদান, ২২৮টি দোকান বরাদ্দ প্রদান না করা, পৌরসভার বিভিন্ন ক্রয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম, পৌরসভার গৃহকর অ্যাসেসমেন্টে দুর্নীতি, ইমারত ও ভূমির ওপর অতিরিক্ত কর আদায় সংক্রান্ত আনীত অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। অভিযোগগুলো তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ (১) (খ) (ঘ) এবং (২) অনুযায়ী তাকে মেয়র পদ হতে অপসারণের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী কোনো পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে অপসারণের কার্যক্রম শুরু করা হলে অথবা ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র বিজ্ঞ আদালতে গৃহিত হলে, সেক্ষেত্রে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় মেয়র কর্তৃক ক্ষমতা প্রয়োগ পৌরসভার স্বার্থের পরিপন্থি অথবা প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। সেতুতে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ জানে আলম খোকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে মর্মে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। একইদিনে অপর আরেক প্রজ্ঞাপনে পৌরসভার প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের সুবিধার্থে ‘মেয়রের আর্থিক ক্ষমতা’ পৌরসভার প্যানেল-১ মেয়র নাজমুল আলম খোকনকে অর্পণ করা হয়। এই বিষয়ে শেরপুর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইমরোজ মুজিব বলেন, প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি শুনেছি। তবে চিঠিটি এখনো হাতে পাইনি। বরখাস্ত পৌর মেয়র আলহাজ জানে আলম খোকা জানান, অনলাইনে জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বরখাস্তের বিষয়টি জেনেছি। সেখানে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সঠিক নয়। প্রজ্ঞাপনের চিঠি হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।
১৩ মে, ২০২৪

রেলওয়ের মালামাল চুরির ঘটনায় ৩ কর্মচারী বরখাস্ত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রেলওয়ের মালামাল চুরির ঘটনায় তিন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) রেলওয়ের বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশলী তাদের বরখাস্তের এ আদেশ দেন। বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মচারীর মধ্যে রয়েছেন- শেড খালাসি মানিক দাস, জীবন দাস ও জসিম উদ্দিন। এর আগে গত সোমবার একটি ভ্যানগাড়িতে করে অনুমতি ছাড়া ৬০ থেকে ৭০ কেজি রেলওয়ের সম্পদ (লোহা-যন্ত্রাংশ) নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের আটক করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)। পরে আরএনবি চৌকিতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের ছেড়ে দেয় আরএনবি চিফ ইন্সপেক্টর আবু সুফিয়ান। তবে মালামালগুলো আরএনবি অফিসে রেখে দেয়। অভিযোগ ওঠে, আরএনবি চিফ আবু সুফিয়ানকে ম্যানেজ করে ছাড়া পায় লোকোশেডের কর্মচারীরা। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আখাউড়া আরএনবি’র পরিদর্শক মো. আবু সুফিয়ান ভুঁইয়া রফাদফা করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘মালামালগুলো উদ্ধারের পর জানতে পারি, এগুলো মূলত ‘আবর্জনা’। সব মিলিয়ে ৫০ থেকে ৬০ কেজি হবে। রেলওয়ের এসব মালামাল আমাদের কাছে রেখে দেওয়া হয়েছে। বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে লোকো ইন্সপেক্টর মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত তিনজন শেড খালাসিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবে। বরখাস্ত হওয়া লোকোশেডের কর্মচারী জীবন দাস জানান, এসব মালামাল দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের। ডাম্পিং স্টেশনে রাখার জন্য তারা এগুলো নিয়ে যাওয়ার সময় আরএনবি সদস্যরা বিষয়টি জানতে চান। পরে তারা মালামালগুলো নিয়ে যান। উল্লেখ্য, আখাউড়ায় রেলওয়ের যন্ত্রাংশ চুরি যেন থামছেই না। রেলওয়ের একটি চক্র এর আগেও যন্ত্রাংশ চুরি করে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ছাড়া পেয়ে যায়।
১২ মে, ২০২৪

চাকরির নামে ঘুষ গ্রহণকারী সেই দুই পুলিশ বরখাস্ত
মাদারীপুরে পুলিশে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম নামে সেই দুই পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার (১১ মে) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে। মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান ফকির কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার রবিদাসের ছেলে রতন দাসের কাছ থেকে পুলিশে নিয়োগ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণ করে তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম নামে দুই কনস্টেবল। এ ঘটনায় শুক্রবার (১০ মে) ও শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। জানা গেছে, রতন দাস একটি দোকানে কাজ করতেন। সেখানেই পুলিশ সদস্য তানজিলা আক্তারের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে পুলিশ নিয়োগের সময় তানজিলা আক্তার পুলিশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রতনের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নেয়। বিশ্বাস অর্জনের জন্য তানজিলা আক্তার নিজের স্বাক্ষর যুক্ত কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেকও প্রদান করে। এদিকে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার রেজাল্ট দিলে চাকরি না হওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী রতন দাস। উপায় না পেয়ে অভিযোগ করেন পুলিশ সুপার বরাবর।  চাকরিপ্রত্যাশী রতন দাস বলেন, আমাকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১৪ লাখ টাকা নিয়েছে তানজিলা আক্তার নামে এক পুলিশ। কিন্তু সে চাকরি দিতে পারেনি। তিনি বলেন, আমার দেওয়া সেই টাকা দিয়ে তানজিলার স্বামী ফরিদপুরের ভাঙ্গাতে ব্যবসা শুরু করছে। টাকা ফেরত চাইলে সে বিভিন্ন রকমের তালবাহানা শুরু করে। বিভিন্ন অজুহাতে সে আমার টাকা ফেরত দিচ্ছে না। এ ঘুষ নেওয়ার সঙ্গে শহিদুল নামে এক পুলিশও জড়িত। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর সিনিয়র স্যারদের নির্দেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ সদস্য তানজিলা আক্তার একটি দোকানে এক হাজার টাকার কয়েকটি বান্ডিল গুনে নিচ্ছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দোকানটি মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে। সেই দোকানেই টাকা লেনদেন হয়েছে। গত বছরের ১ মার্চ রতন দাসের কাছ থেকে পুলিশ কনস্টেবল তানজিলা আক্তার ও শহিদুল টাকা গ্রহণ করেন।
১১ মে, ২০২৪

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা / স্টেশন মাস্টারসহ বরখাস্ত ৩, তদন্তে ২ কমিটি
গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।  এদিকে ঘটনার পর থেকে জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েছে অন্তত ৬টি ট্রেন। জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী মিয়া বলেন, আজ পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল কমিউটার ও তেলবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। রেললাইনের পয়েন্টের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে তেলবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম থাকায় হতাহতের সংখ্যা কম। কমিউটার ট্রেনের লোকোমাস্টারসহ চারজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আপঘুন্টি স্টেশন মাস্টার হাশেম ও পয়েন্টসম্যান সাদ্দাম হোসেনসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বগি উদ্ধারের জন্য ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুস সামাদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এরই মধ্যে রেলের সব বগি তল্লাশি করা হয়েছে। তবে ভেতরে কেউ আটকা নেই। ট্রেনের চালক ও সহকারী চালকসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিগন্যাল ভুল, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন যাত্রা বিরতি করা হয়েছে। দ্রুত উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এরআগে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সঙ্গে একটি তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, রেল দুর্ঘটনায় দুই ট্রেনের চালক ও সহকারীরা আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রেল দুর্ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে কমলাপুর রেলস্টেশনে আটকা পড়েছেন ৪-৫টি ট্রেনের যাত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না। একজন উদ্ধারকর্মী জানান, শুক্রবার টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনে থামে। আজ বন্ধ থাকায় এটির থ্রোপাস করার কথা। আর অপরদিকে ঢাকা থেকে আসা তেলবাহী ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়ানো ছিল। এখানে আপলাইন ও ডাউনলাইন আছে, কিন্তু কী কারণে ট্রেন দুটি মুখোমুখি হল সে বিষয়ে তদন্তের পর জানা যাবে। এর আগে গতকাল রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে। রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। তখন এ রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন সাড়ে ১০টার দিকে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে। বর্তমানে রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় মালবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে মেইন লাইন ব্লক হয়ে যাওয়ায় রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে তিন ঘণ্টা পর ট্রেনটি উদ্ধার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রাজবাড়ীর সঙ্গে স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন চলাচল।
০৩ মে, ২০২৪

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ, কক্সবাজারের সেই ২ সমাজসেবা কর্মকর্তা বরখাস্ত
কক্সবাজারের চকরিয়া সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগম ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল দেশের শীর্ষ গণমাধ্যম দৈনিক কালবেলায় ঘুষ লেনদেরে তথ্যবহুল সংবাদ প্রচারের পর সোমবার (২৯ এপ্রিল) তাদের বরখাস্ত করা হয়। সামজসেবা অধিদপ্তরের যুগ্মসচিব (পরিচালক প্রশাসন ও অর্থ) সৈয়দ মো. নুরুল বাসির এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপণে এ তথ্য জানা যায়। প্রজ্ঞাপণে বলা হয়, ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩(খ) ও (ঘ) মোতাবেক অসদাচরণ ও দুর্নীতির আওতাভুক্ত এবং একই বিধিমালায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সেহেতু, মমতাজ বেগম ও আমজাদ হোসেনকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৩৯ (১) ধারা এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে। বরখাস্ত থাকা অবস্থায় তারা বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা পাবেন। তবে তাদের নিয়মিত কর্মস্থলে হাজিরা দিতে হবে। এর আগে ২৭ এপ্রিল দেশের শীর্ষ গণমাধ্যম দৈনিক কালবেলায় অনলাইন সংস্করণ এবং মাল্টিমিডিয়ায় ‘দুই লাখের বিল পেতে ৮০ হাজার টাকার ঘুষ!’ শিরোনামে সংবাদ প্রচার পেলে দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে। এরপর মামতাজ বেগম ও আমজাদ হোসনের ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তথ্য মতে, কক্সবাজারের চকরিয়া হারবাং মধ্যম পহরচাঁদা এতিমখানার অনুদানের ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা পেতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগম এতিমখানার সভাপতি রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। প্রথম কিস্তির টাকা উত্তোলনের পর মমতাজ বেগমকে নগদ ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দেয়া হয়। এ ভিডিওচিত্র দৈনিক কালবেলার হাতে আসার পর সংবাদ প্রচার করে কালবেলা। এরপর দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়লে বিভিন্ন গণমাধ্যমও সংবাদ প্রচার করে। এ অবস্থায় দুর্নীতিগ্রস্ত দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শুধু এতিমখানা নয়, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি বই পেতে প্রতিজন উপকারভোগীর কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এতিমখানার সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, যেখানে এতিমখানা তাদের হাত থেকে রক্ষা পায় না সেখানে সাধারণ মানুষ কী পরিমাণ ভুক্তভোগী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এতদিন পর হলেও দুর্নীতিগ্রস্ত দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় আমি খুশি। এখান থেকে অনেকে শিক্ষা নিতে পারেন। জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগম ও চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেনকে ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হলেও উত্তর মেলেনি।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

১৫৩ রোহিঙ্গার অবৈধ জন্মনিবন্ধন, ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
১৫৩ রোহিঙ্গাকে অসৎ উদ্দেশ্যে জন্মনিবন্ধনের কারণ দেখিয়ে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। গত ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব একেএম আনিছুজ্জামানের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসকে বরখাস্তের এই আদেশ দেওয়া হয়। তবে এই বিষয়ে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক কোনো স্পষ্ট বক্তব্য দেননি।  ইউনিয়ন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আসিয়া বিবি (২৭) নামে একজন রোহিঙ্গা নারী পাসপোর্ট করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন। তার আইডি কার্ড না থাকায় জন্মনিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে যান তিনি। আসিয়া আক্তার যে নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে গিয়েছিলেন সেটি রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন থেকে নিবন্ধিত, যা গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে নিবন্ধিত হয়েছে।  আটক ওই নারী কক্সবাজারের টেকনাফ থানার আলী যোহার ও আম্বিয়া খাতুন দম্পতির মেয়ে বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি যাচাই করার জন্য ওই সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠালে ইউএনও ফতেহপুর ইউনিয়নের সচিব পাপড়ি দত্তকে কার্যালয়ে ডেকে আনেন। পরে ওই ইউনিয়নের জন্মনিবন্ধনের আইডি নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। ওই সময় কয়েকশ’ রোহিঙ্গা নিবন্ধন হয়েছে বলে ধারণা করেন সংশ্লিষ্টরা। যাচাই করে ওই সময় ইউএনও দেখতে পান ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫৩টি ভুয়া নিবন্ধন হয়েছে। তারা সবাই রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ করেন। এ ব্যাপারে ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস রাজনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।  অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৫৩ রোহিঙ্গা জন্মনিবন্ধন প্রক্রিয়ায় কয়েক লাখ টাকার লেনদেনে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এতে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস ও ডিজিটাল সেন্টারের কর্মকর্তা নয়ন গোপ্তাসহ কতিপয় আত্মগোপনে থাকা ব্যক্তিরা জড়িত আছেন। রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে জানিয়েছেন, জন্মনিবন্ধনের সার্ভারের কার্যক্রম ওটিপিভিত্তিক। ওটিপি আসার পর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান যাচাই করে নিবন্ধনের সুপারিশ করতে হয়। তাই এখানে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া জন্মনিবন্ধন প্রক্রিয়া করা সম্ভব নয়। কঠোর নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও আইডি কিভাবে হ্যাকড হলো এ নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। পরে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে বিষয়টির তদন্ত করা হয়।  রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মো. যাহিদ হোসেন বলেন, এই ঘটনায় আমরা তদন্ত করেছি। দায়ী ব্যক্তিদের আমরা চিহ্নিত করেছি। আমরা তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।  রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর পর স্থানীয় সরকার বিভাগ গত ২৪ এপ্রিল ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করেন প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়।  প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ১নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (নিবন্ধক) নকুল চন্দ্র দাস অসৎ উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন করায় স্থানীয় সরকার আইন, ২০০৯- অনুযায়ী রেজিস্ট্রার জেনারেল, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। যেহেতু ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে; সেহেতু ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনায় আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।  স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামান বলেন, আমরা রেজিস্ট্রার জেনারেল এর কাছ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর। ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করি।  রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস বলেন, সার্ভার হ্যাকড হয়ে ভুয়া নিবন্ধন করা হয়েছে। এসব নিবন্ধনে আমাদের স্বাক্ষর নেই। মন্ত্রণালয় থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছি আমার জানা নেই।  মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, এই বিষয়ে একটি চিঠি এসেছে। আমি এখনো দেখিনি।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

১০ কোটি টাকা লোপাটে গ্রেপ্তার ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
অগ্রণী ব্যাংকের পাবনার কাশিনাথপুর শাখায় ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ব্যাংকের রাজশাহী সার্কেলের জেনারেল ম্যানেজার আফজাল হোসেন গতকাল শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আফজাল হোসেন বলেন, ব্যাংক পরিদর্শনে গিয়ে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা খোয়া যাওয়ার সত্যতা মিলেছে। পরে পুলিশে অভিযোগ দিলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাখা ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম, ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী ও সিনিয়র অফিসার আবু জাফরকে শুক্রবার তাদের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি জানান, অগ্রণী ব্যাংক প্রধান কার্যালয় থেকে একটি অডিট টিম পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে। কমিটির প্রধান সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আনোয়ার হোসেন। তদন্তের পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

ভল্ট থেকে টাকা লোপাট / অগ্রণী ব্যাংকের গ্রেপ্তার সেই ৩ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
ভল্ট থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা লোপাটের অভিযোগে গ্রেপ্তার অগ্রণী ব্যাংক পাবনার কাশিনাথপুর শাখার তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী সার্কেলের জেনারেল ম্যানেজার আফজাল হোসেন। এর আগে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আফজাল হোসেন বলেন, ব্যাংক পরিদর্শনে গিয়ে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা খোয়া যাওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে পুলিশকে অভিযোগ দিলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাখা ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম, ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী ও সিনিয়র অফিসার আবু জাফরকে তাদের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, অগ্রণী ব্যাংক প্রধান কার্যালয় থেকে একটি অডিট টিম পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে। কমিটির প্রধান হলেন, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আনোয়ার হোসেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল)  মধ্যরাতে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের শুক্রবার বিকেলে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  প্রসঙ্গত, অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিদর্শন টিম নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর শাখা পরিদর্শনে যান। সেখানে টাকার হিসাব গ্রহণকালে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা খোয়া যাওয়ার অনিয়ম ধরা পড়ে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

প্রিজন সেলে খুনের ঘটনায় ৩ পুলিশ বরখাস্ত
বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের প্রিজন সেলে আসামির হাতে আরেক আসামি খুনের ঘটনায় তিন কারা পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তে বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায়। এ ঘটনায় তিন কারা পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  রত্না রায় বলেন, প্রাথমিক তদন্তে কারা পুলিশ সদস্যদের দায়িত্বে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রসঙ্গত, রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরে শেবাচিম হাসপাতালের নিচতলার প্রিজন সেলে এ খুনের ঘটনা ঘটে। হত্যা মামলার আসামি নিহত মোতাহার (৬০) ও একটি চুরি মামলার আসামি অজিত মণ্ডলের ওপর হামলা করে তরিকুল ইসলাম (২৫)। ঘটনার সময় দুই আসামিকে স্যালাইনের স্টিলের স্ট্যান্ড দিয়ে বেধড়ক পেটান তরিকুল ইসলাম। পরে আহতদের চতুর্থ তলার সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুর ১টায় মোতাহারের মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত তরিকুল হত্যা মামলার আসামি ও মানসিক রোগী বলে জানিয়েছে পুলিশ এবং শেবাচিমের দায়িত্বরত চিকিৎসক।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪
X