প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দীর্ঘদিনের চ্যালেঞ্জ
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্লাস্টিক বর্জ্য টেকসই ব্যবস্থাপনা সরকারের দীর্ঘদিনের চ্যালেঞ্জ। বিশ্বের মতো বাংলাদেশও সরকারি পর্যায়ে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি নানা প্রকল্পের মাধ্যমে প্লাস্টিক দূষণ কমানোর কাজ চলছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্লাস্টিক ও মিউনিসিপ্যাল সলিড বর্জ্য টেকসই ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ১৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে পৃথকীকরণ প্লান্ট স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল শনিবার দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানার লালমাটিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডে প্লান্টটির উদ্বোধন করা হয়। মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের একার পক্ষে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কঠিন, তাই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সিলেট সিটিকে প্লাস্টিকমুক্ত করতে লাফার্জ হোলসিমের সঙ্গে কাজ করছি। আপনারাও সচেতন হোন এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার কমান। যেখানে-সেখানে প্লাস্টিক পণ্য ফেলে পরিবেশের ক্ষতি না করার আহ্বান জানান তিনি। সে সময় সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিুবর রহমান হাবিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, সিসিক ও লাফার্জ হোলসিম লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে দেশের প্রথম এবং একমাত্র প্লাস্টিক বর্জ্য পৃথকীকরণ প্লান্ট চালু হল। এর মাধ্যমে ক্ষতিকর অপচনশীল প্লাস্টিক স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলাদা করা সম্ভব হবে।
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জুনে শেষ দেশের প্রথম আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কাজ
মোংলা বন্দরে দেশের প্রথম আধুনিক বর্জ্য ও নিঃসৃত তেল অপসারণ প্রকল্পের নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রথম পাইলট প্রকল্প হিসেবে এটি নির্মিত হচ্ছে। ৪০১ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে দেশি-বিদেশি ছয়টি প্রতিষ্ঠান। ভারতীয় অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু ক্যানেলের পাড়ে নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা। ১৯৫০ সালে মোংলা সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হলেও সেখানে ছিল না কোনো বর্জ্য সংরক্ষণ বা বর্জ্য শোধনাগার। ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর একনেক সভায় আধুনিক বর্জ্য ও নিঃসৃত তেল অপসারণ প্রকল্প অনুমোদন পায়। ২০২২ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাসহ নানা কারণে এ প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শুরু করা সম্ভব হয়নি। ২০২৩ সালে এই প্রকল্পের টেন্ডার হয়। এরপর প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। প্রকল্প পরিচালক ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ জানান, প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে একটি বর্জ্য সংগ্রহকারী জলযান, দুটি তেল অপসারণকারী ভেসেল, একটি ওয়ার্কশপ ক্লিনিং ইক্যুইপমেন্ট, দুটি ডাম্প ট্রাক, একটি পিকআপ ভ্যান, দুটি ডাম্প বার্জ, একটি সেলফ প্রোপেল্ড ভেসেল, একটি সার্ভিস টাগবোট, একটি মুরিং গিয়ারসহ পন্টুন, দুটি ফর্কলিফট, পাঁচটি কনটেইনার, একটি স্ট্রাকচারসহ মনিটর, ৫০টি ২০০ লিটারের কনটেইনার ও একটি ইয়ার্ড ক্লিনিং ইকুইপমেন্ট ক্রয় করা। প্রকল্পের আওতায় ৩০০ বর্গমিটার বার্ন হাউস এবং সংযোগ রাস্তা ও জেটি তৈরি করা হচ্ছে। প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে দেশি-বিদেশি ৬টি প্রতিষ্ঠান। ৭টি লক্ষ্য ও ২টি উদ্দেশ্য নিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। চলতি বছরের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মো. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দরের চ্যানেল কিংবা সুন্দরবনের আশপাশের নদীগুলোতে কোনো তেলবাহী ট্যাঙ্কারে দুর্ঘটনা হলে বা তেল নিঃসরণের ঘটনা ঘটলে সেগুলো ছড়িয়ে পড়ার আগেই জাহাজের বুমের মাধ্যমে আটকানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি তেল অপসারণকারী ভেসেলের মাধ্যমে নিঃসৃত তেল সংগ্রহ করে আইবিসি ট্যাঙ্কে জমা হবে। এই আইবিসি ট্যাঙ্ক পূর্ণ হলে ফ্লোটিং স্টোরেজ ট্যাঙ্কে জমা হবে। এভাবে নিঃসৃত তেল সংগ্রহের পর ব্যবস্থাপনার আওতায় ট্রিটমেন্ট করে পানি ও অন্যান্য পদার্থ পৃথক করে ব্যবহার উপযোগী করে ট্যাঙ্কে সংরক্ষণ করা হবে। এই সংরক্ষিত তেল পরে দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি হবে। এ ছাড়া মোংলা বন্দরে চলাচলকারী বিভিন্ন বাল্ক, কনটেইনার, ট্যাঙ্কার ও অন্যান্য জলযান থেকে নিঃসৃত তেল ও পেট্রোলিয়াম জাতীয় ব্লিজ, স্লাজ, বর্জ্য, পানি ও অন্যান্য আবর্জনা সংগ্রহ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অয়েল প্লাস্টিক ও অন্যান্য সলিড গার্বেজ আলাদা করে বিক্রি করা সম্ভব হবে। ফলে জাহাজের বর্জ্য সমুদ্র ও নদীতে নিক্ষেপ রোধ, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশবান্ধব বন্দর বিনির্মাণ ও সামুদ্রিক পরিবেশকে দূষণ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান এডিটি ও ডিসিএল নামক ২টি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. আরাফাত ও মেহরাব হোসেন রিফাত জানান, তারা আশা করছেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাজ শেষ করা সম্ভব। এদিকে এ প্রকল্পের আওতায় তিনটি জাহাজ নির্মাণ করছে গ্রিনল্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠান আর ডামবার্জ ও সার্ভিস ট্রাকবোট নির্মাণ হচ্ছে ঢাকার একটি ডক ইয়ার্ডে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. ওয়াসিউল ইসলাম বলেন, এ প্রকল্পের সুফল পেতে হলে মোংলা সমুদ্রবন্দর সংলগ্ন এলাকায় যত শিল্পকারখানা আছে সবকটির সঙ্গে এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সংযোগ সৃষ্টি করতে হবে। একটি পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। তবেই দূষণ রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে এই প্রকল্প।
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শিখতে চট্টগ্রামে সুদানের প্রতিনিধিদল
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দেখতে এসেছে দক্ষিণ সুদানের একটি প্রতিনিধিদল। জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) সহযোগিতায় কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চসিকের অভিজ্ঞতা জানতে দক্ষিণ সুদানের দলটি এসেছে বলে জানানো হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) নগরীর টাইগারপাস চসিক কার্যালয়ে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রতিনিধিদলটি। ওই দলে ছিলেন দক্ষিণ সুদানের পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং যুবা সিটি কাউন্সিলের কর্মকর্তারা এবং জাইকার কর্মকর্তারা।  সাক্ষাৎ শেষে প্রতিনিধিদলটি চসিকের বিভিন্ন ল্যান্ডফিল্ড ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে চসিকের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। দক্ষিণ সুদানের প্রতিনিধিদলের কাছে চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম তুলে ধরেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর।
১৩ অক্টোবর, ২০২৩

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পোশাক খাতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সুযোগ দেবে
টেক্সটাইল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দেশের পোশাক খাতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন খাত-সংশ্লিষ্টরা। এর মাধ্যমে শিল্পে পুনর্ব্যবহৃত পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সুতা আমদানিতে নির্ভরতা কমবে। পাশাপাশি পরিবেশগত লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে বলে মনে করেন তারা। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ‘আপস্ট্রিম সার্কুলারিটি ডায়ালগ: বাংলাদেশে প্রাক-ভোক্তা টেক্সটাইল বর্জ্য’ শীর্ষক সংলাপে তারা এ অভিমত দেন। সংলাপে ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিশেষ দূত, সাবের হোসেন চৌধুরী, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। সংলাপে সার্কেল ইকোনমির গ্লোবাল ভ্যালু চেইনের প্রধান হিলডে ভ্যান ডুইজএন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বিজ্ঞানভিত্তিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে চসিকে সভা
বিজ্ঞানভিত্তিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যৌথ পরামর্শক দলের সঙ্গে সভা করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। সোমবার (৩ জুলাই) টাইগারপাস চসিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।  এ সময় চসিকের বিদ্যমান বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং তা কাটিয়ে উঠতে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিজ্ঞতাকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় তা আলোচনায় উঠে আসে। সভায় চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের দ্রুত বর্ধমান জনসংখ্যার ফলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে ঢেলে সাজানো এখন সময়ের দাবি। বর্জ্য কেবল অপসারণ করলেই হবে না। এ বর্জ্য থেকে কীভাবে জ্বালানি উৎপাদন করা যায় এবং দূষণের নিঃসরণ কমানো যায় তা নিয়েও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাই আমি।  সভায় চসিকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, সহকারী প্রকৌশলী রিফাতুল করিম প্রমুখ। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়ুঙয়োন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিয়ুঙ হি ইয়ুন, দি হ্যাম সোলজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শিনহিয়ুন ক্যাং ও কোরিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্টসের ম্যানেজার জিওং ওয়াং হোং।
০৩ জুলাই, ২০২৩
X