মাতৃমৃত্যু রোধে বাংলাদেশের উন্নতি অকল্পনীয় : ইউএনএফপিএ
মাতৃমৃত্যু রোধে বাংলাদেশ অকল্পনীয় উন্নতি করেছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম।  বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘গ্লোবাল ডায়লগ : ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ২০০০ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মাতৃমৃত্যুর হার এক তৃতীয়াংশ কমেছে। এমনকি বাংলাদেশে এটি আরও চিত্তাকর্ষকভাবে প্রায় ৩৮ শতাংশ কমেছে। বিশ্বব্যাপী যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের অধিকার লাভ লাখ লাখ মানুষের জীবনকে বদলে দিয়েছে। ড. নাতালিয়া কানেম বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে আধুনিক গর্ভনিরোধক ব্যবহারকারী নারীদের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০০ সাল থেকে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের মধ্যে জন্মধারণ এক তৃতীয়াংশ কমেছে। এমনকি অসংখ্য দেশ প্রজনন অধিকার রক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে অনিরাপদ গর্ভপাত কমানোর ব্যবস্থা এবং ব্যাপক যৌনতা শিক্ষায় প্রবেশাধিকার প্রসারিত করা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদসহ আরও অনেকে।
১৫ মে, ২০২৪

বাংলাদেশের উন্নতি দেখে লজ্জিত হই
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। নিজের দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, এখনকার বাংলাদেশের দিকে তাকালে লজ্জিত হই। বুধবার দেশটির ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। তিনি বলেন, এক সময় ‘বোঝা’ হিসেবে বিবেচিত হওয়া ‘পূর্ব পাকিস্তান’ কীভাবে শিল্প প্রবৃদ্ধিতে অসাধারণ অগ্রগতি সাধন করেছে। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘আমি তখন বেশ ছোট ছিলাম, তখন আমাদের বলা হয়েছিল যে এটি আমাদের কাঁধের ওপর একটি বোঝা। সেই ‘বোঝা’ আজ কোথায় পৌঁছেছে (বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে), আপনারা সবাই জানেন। আমরা তাদের দিকে (বাংলাদেশ) তাকাতে লজ্জা পাই।’ দেশের অর্থনীতির উন্নতির পথ খুঁজতে বুধবার পাকিস্তানের বাণিজ্যিক রাজধানী সিন্ধুর সিএম হাউসে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বসেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এ সময় ব্যবসায়ী নেতারা অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবিলায় শাহবাজের দৃঢ়তার প্রশংসা করেন। পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে রাজনৈতিক যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার ব্যাপারে মনোযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছেন করাচির ব্যবসায়ী সম্প্রদায়। একই সঙ্গে তারা শাহবাজ শরিফকে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয় : পাক প্রধানমন্ত্রী
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। এজন্য দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করতে হয়েছে বাংলাদেশের। এর আগে একই দেশের অংশ ছিল বাংলাদেশে ও পাকিস্তান। তখন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান হিসেবে পরিচিতি ছিল দুই ভূখণ্ড। ওই সময়ে নানাভাবে পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ নির্যাতন করেছে পশ্চিম পাকিস্তান। শোষণ নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে আপামর বাঙালি জনতা। ৯ মাসের সংগ্রাম শেষে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। সেই শোষিত দেশ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আমাদের লজ্জা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ফাস্টপোস্টের এক প্রতিবেতদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শাহবাজ শরিফ বলেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানের যখন অংশ ছিল তখন তাদের আমাদের জন্য বোঝা মনে করা হতো। বলা হতো এ অংশটি ‘পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা।’ কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই বোঝা এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ফলে বাংলাদেশের দিকে তাকালে এখন আমাদের লজ্জা হয়। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। বুধবার পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ওই সময়ে আমি খুবই তরুণ ছিলাম। আমাদের বলা হতো বাংলাদেশ একটি বোঝাস্বরূপ। কিন্ত আজ সবাই জানেন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সেই বোঝা কোথায় পৌঁছে গেছে। আমরা এখন বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে লজ্জা পায়।  এর আগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি আরেকটি ‘ঢাকা ট্র্যাজেডি’র জন্ম দিতে পারে। একইসঙ্গে ইমরান খান দেশটির চলমান অর্থনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, স্থিতিশীল অর্থনীতি ছাড়া কোনো দেশ টিকে থাকতে পারে না। ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। একইসঙ্গে চলছে রাজনৈতিক সংকট। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও সংকটের কোনো সমাধান হয়নি। নির্বাচনে এককভাবে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করেও সরকার গঠন করতে পারেনি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এদিকে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শুধু অর্থনীতিই নয়, অনেক কিছুতেই বাংলাদেশের ধারের কাছেও নেই পাকিস্তান। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীনের ৫০ বছরে বহু এগিয়েছে বাংলাদেশের। বিশ্বের দরবারে পরিণত হয়েছে উন্নয়নরে রোল মডেলে। এখন অনেক দেশটি উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে অনুসরণ করে বলেও দাবি করা হয় সরকাররের পক্ষ থেকে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে পাকিস্তানের রাজনীতিতে বরাবরই উঠে আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। এর আগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পর্যন্ত পাক সেনাবাহিনী নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দেশের মানুষের ওপর ১৯৭১ এর মতো নির্যাতন চালাচ্ছে তাদের সেনাবাহিনী।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বিশ্বের সামরিক শক্তির র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি
বিশ্বের সামরিক শক্তির র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। চলতি বছরে এ র‍্যাঙ্কিংয়ে আরও তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  জানা গেছে, চলতি বছরের সামরিক শক্তি সূচকে বিশ্বের ১৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৩৭তম অবস্থানে উঠে এসেছে। গত বছর ছিল ৪০তম অবস্থানে। এই সূচকে শীর্ষ সামরিক ক্ষমতাধর দেশ নির্বাচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিশ্বের ১৪৫ দেশের সামরিক সক্ষমতার সবশেষ সহজলভ্য সামরিক সরঞ্জাম, প্রতিরক্ষা বাজেট, সেনা সংখ্যাসহ ৬০টির বেশি মাপকাঠির ওপর ভিত্তি করে এই সূচক তৈরি করা হয়েছে। জিএফপির সূচকে দ্বিতীয় সামরিক ক্ষমতাধর দেশ নির্বাচিত হয়েছে রাশিয়া আর চীন রয়েছে তৃতীয় স্থানে। এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছে ভারত।  পঞ্চম স্থানে দক্ষিণ কোরিয়া, ষষ্ঠ স্থানে ব্রিটেন, সপ্তম স্থানে জাপান, অষ্টম স্থানে তুরস্ক, নবম স্থানে পাকিস্তান এবং দশম স্থানে ইতালি রয়েছে।  র‍্যাঙ্কিংয়ে ইরান ১৪তম এবং ইসরায়েল ১৭তম স্থানে রয়েছে। এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের পটভূমিতে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর তালিকায় ১৫তম স্থান থেকে ১৮তম স্থানে নেমে গেছে ইউক্রেন।  এবার বাংলাদেশের সামরিক শক্তির সূচক শূন্য দশমিক ৫৪১৯ হিসেব করা হয়েছে। এই সূচকে শূন্য স্কোর পাওয়া সেরা সামরিক পারফরম্যান্স হিসাবে বিবেচিত হয়। গত বছর বাংলাদেশ শূন্য দশমিক ৫৮৭১ স্কোর পেয়ে ৪০তম হয়েছিল।  
০২ মার্চ, ২০২৪

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের উন্নতি
বড় রদবদলে হয়েছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা দুই টেস্ট জিতে, পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে নিউজিল্যান্ড। ফলে অবনমন হয়েছে প্রোটিয়াদের,এতে করে একধাপ উন্নতি হয়ে পাঁচ থেকে চারে উঠে এসেছে টাইগাররা। একই সঙ্গে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টানা জয়ে পয়েন্ট বেড়েছে ভারতের। নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্রে এ পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলেছে নিউজিল্যান্ড। এক হারের বিপরীতে কিউইরা জিতেছে তিনটি। তাদের পয়েন্ট ৩৬ আর শতকরা পয়েন্ট ৭৫। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট হারলেও পরের দুই ম্যাচে বড় জয় পায় ভারত। ফলে ৭টি ম্যাচের ৪টিতে জয়, দুটি হার ও এক ড্রতে ভারতের পয়েন্ট হয়েছে ৫০। তবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা রোহিত শর্মার দলের শতকরা পয়েন্ট দাড়িয়েছে ৫৯ দশমিক পাঁচ দুই শতাংশ পয়েন্টে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে শুরুতে শীর্ষ থাকলেও বর্তমানে তিনে নেমে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ১০টি টেস্টে অজিদের জয় ৬টিতে। তিন হার ও এক ড্রতে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৬৬। তাদের পয়েন্টের শতাংশ ৫৫। অন্যদিকে এক জয় ও এক হারে ৫০ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে চারে বাংলাদেশ। পাঁচ নম্বরে থাকা পাকিস্তানের পয়েন্টের শতাংশ ৩৬ দশমিক ছয়। আর ছয় নম্বরে থাকা ক্যারিবীয়দের পয়েন্টের শতাংশ ৩৩ দশমিক তিন তিন। এদিকে কিউইদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়ে সাতে নেমে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের শতকরা পয়েন্ট ২৫। এ ছাড়া ভারতের কাছে টানা হারে পয়েন্ট কমেছে ইংল্যান্ডেরও। বর্তমানে ইংলিশদের শতকরা পয়েন্ট ২১ দশমিক আট আট। মূলত আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের নির্ভর করে শতকরা পয়েন্টর ওপর। সব দল সমানসংখ্যক টেস্ট খেলার সুযোগ পায় না বলে পয়েন্টের বদলে শতকরা পয়েন্টের ওপর নির্ধারিত হয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল নিয়ে হয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল।   আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিল দল ম্যাচ পয়েন্ট শতকরা নিউজিল্যান্ড 8 ৩৬ ৭৫.০০ ভারত ৭ ৫০ ৫৯.৫২ অস্ট্রেলিয়া ১০ ৬৬ ৫৫.০০ বাংলাদেশ ২ ১২ ৫০.০০ পাকিস্তান ৫ ২২ ৩৬.৬৬ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ ১৬ ৩৩.৩৩ দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ ১২ ২৫.০০ ইংল্যান্ড ৮ ২১ ২১.৮৮ শ্রীলঙ্কা ২ ২ ০.০০  
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি
ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি ঘটেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের। ঘরের মাঠে দুই ম্যাচ সিরিজে সিঙ্গাপুরকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে সাফ চ্যাম্পিয়নদের। ১৪২ নম্বর থেকে র‌্যাঙ্কিংয়ের ১৪০ নম্বরে উঠে এসেছে লাল-সবুজরা। গতকাল ফিফার হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং অনুসারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সাবিনা-মারিয়াদের ওপরে অবস্থান করছে ভারত (৬৫) ও নেপাল (১০৫)। এদিকে প্রথমবারের মতো ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন। তালিকার পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও সুইডেন। সেরা দশে আছে এশিয়ার দুই দেশ জাপান ও উত্তর কোরিয়া। দুই ধাপ অবনমিত ব্রাজিল শীর্ষ দশ থেকে ছিটকে গেছে।
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি
ফিফা ফুটবল র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি ঘটেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের। ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে দুই ধাপ উন্নতি ঘটেছে টিম টাইগ্রেসদের। বর্তমান ফুটবল র‌্যাংকিং অনুযায়ী ১৪০ নম্বরে উঠে এসেছে সাবিনা খাতুনের দল। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ফিফার হালনাগাদকৃত র‌্যাংকিং অনুসারে ১৪২ থেকে এগিয়ে ১৪০ এ অবস্থান করছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সাবিনা-মারিয়াদের সামনে রয়েছে ভারত (৬৫) ও নেপাল (১০৫) নম্বরে। নভেম্বর মাসের প্রকাশিত র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪২ নম্বরে। সিঙ্গাপুরের নারীরা ছিল ১৩০ নম্বরে। আজ প্রকাশিত র‌্যাংকিংয়ে বাংলার বাঘিনীদের অবস্থান ১৪০-এ। ফলে নতুন প্রকাশিত ফিফা র‌্যাংকিংয়ে সেই ব্যবধান কমে দাঁড়িয়েছে তিনে। ডিসেম্বরে নিজেদের মাঠে সিঙ্গাপুরকে ৩-০ এবং ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বাংলাদেশ। টানা দুই ম্যাচে বিশাল জয় পাওয়ায় প্রভাব পড়েছে র‌্যাংকিংয়েও। ফলে দুই ধাপ উন্নতি ঘটেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের। এদিকে প্রথমবারের মতো ফিফা র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও সুইডেনের পর চতুর্থ দল হিসেবে সিংহাসনে বসার মর্যাদা পেল স্প্যানিশ নারীরা। তালিকার পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও সুইডেন। তবে সেরা দশ থেকে ছিটকে গেছে লাতিন দেশ ব্রাজিল।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশের উন্নতি
মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক দ্য ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স বাসেল অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ইনডেক্স-২০২৩ রিপোর্টে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বর সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক দ্য ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অন গভার্নেন্স বিশ্বের ১৫২টি দেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঝুঁকি নিরূপণ করে এ ইনডেক্স প্রকাশ করে। এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশের ৮ ধাপ উন্নতি হয়েছিল।  মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের সূচকে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থা হলো ৪৬ নম্বরে। আগের বছর ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪১ নম্বরে। নতুন সূচক মোতাবেক সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে রয়েছে ১. হাইতি, ২. শাদ, ৩. মিয়ানমার, ৪. কঙ্গো। সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ আইসল্যান্ড ১৫২তম স্থানে রয়েছে। এ ছাড়া এই তালিকায় চীনের অবস্থান ২৭, পাকিস্তান ৬১ ও শ্রীলঙ্কা ৬২তম অবস্থানে রয়েছে। আর প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ১১৯ ও যুক্তরাজ্য রয়েছে ১৪০তম স্থানে। ২০২২ সালের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এটি তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দ্য ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অন গভার্নেন্স গত ১২ বছর ধরে কোনো একটি দেশের যে ৫টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ব্যাসেল এএমএল ইনডেক্স নির্ধারণ করে থাকে সেগুলো হলো- মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার পরিপালন (৬৫ শতাংশ); ঘুষ ও দুর্নীতি (১০ শতাংশ); আর্থিক স্বচ্ছতা ও মানদণ্ড (১০ শতাংশ); স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা (৫ শতাংশ); এবং আইনগত ও রাজনৈতিক ঝুঁকি (১০ শতাংশ)। 
২০ নভেম্বর, ২০২৩
X