বনানীতে বাইক চাপা দেওয়া বাসে আগুন নিহত ১
রাজধানীর বনানীর নৌ সদর দপ্তরের সামনে একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে সেটিকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে পালানোর সময় যাত্রীবাহী বাসে আগুন ধরে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, বাসের নিচে চাপা পড়া মোটরসাইকেলটির তেলের ট্যাঙ্ক রাস্তায় ঘর্ষণের ফলে তেল বেরিয়ে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে জে কে এন্টারপ্রাইজ কোম্পানির বাসটি পুড়ে যায়। বাসটি ঢাকা-শেরপুর রুটে চলাচল করে। এদিকে, রাতে মোটরসাইকেলটির চালক শ্যামলীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বনানী থানার ওসি কাজী সাহান হক জানান, নিহত মোটরসাইকেল চালকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। গতকাল শনিবার বাস ইউটার্ন নেওয়ার সময় বাসের নিচে চলন্ত মোটরসাইকেল ঢুকে পড়ায় আগুন ধরে যায় বাসটিতে। বাইক চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন পথচারীরা। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টা ২ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট বনানীতে গিয়ে আগুন নেভায়। প্রত্যক্ষদর্শী এক ট্রাফিক পুলিশ বলেন, বনানী ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় বাসটি একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। মোটরসাইকেল আরোহী ছিটকে দূরে পড়ে যান। মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে পড়লে সেটিকে বহুদূর টেনে নিয়ে যায় বাসটি। এ সময় রাস্তার সঙ্গে মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাঙ্কের সংঘর্ষে আগুন ধরে যায়। আগুন দ্রুত বাসে ছড়িয়ে পড়ে। যাত্রীরা নামতে পারলেও বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, সড়কের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে মোটরসাইকেলের ট্যাঙ্ক ফেটে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে পাঁচ ভরি স্বর্ণ, বাইক ছিনতাই
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ইকবাল (৪০) নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। এ সময় তার কাছে থাকা ২৫ হাজার টাকা, পাঁচ ভরি স্বর্ণ ও তার মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয় তাকে। স্বর্ণ ব্যবসায়ী ইকবাল মাতুয়াইলের পশ্চিমপাড়া এলাকায় থাকতেন। তার ভাই ইকরাম বলেন, ভাই সকালে মোটরসাইকেলে নিজের স্বর্ণের দোকানে যাচ্ছিলেন। পথে পাঁচ-ছয় ছিনতাইকারী তার পথরোধ করে। তারা তার কাছে থাকা টাকা ও স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে সঙ্গে থাকা ২৫ হাজার টাকা, পাঁচ ভরি স্বর্ণ ও তার মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে আমরা তাকে প্রথমে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে ইকবাল নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ বাইক আরোহীর
রাজশাহীর পবায় সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে দুজনসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত আরও দুজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মুরারীপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেন দামকুড়া থানার ওসি মশিউর রহমান। নিহতরা হলেন মহানগরীর দামকুড়া থানার নতুন কশবা এলাকার লাল মোহাম্মদের ছেলে আসিফ ইকবাল (১৯), একই থানার সূত্রাবন এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে সুইট (৩১) এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী গ্রামের মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে মো. তাজুল ইসলাম (২৫)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মুরারীপুর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক দুটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে এক মোটরসাইকেলের দুই আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যান। অপর মোটরসাইকেলটিতে তিনজন আরোহী ছিলেন। তাদের একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত 
নড়াইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন নিহত এবং আরও দুজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নড়াইল-লোহাগড়া সড়কের ডৌয়তলায় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত একজনের নাম আলছাফ মাতুব্বর (২২)। তিনি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কুমোরপট্টি গ্রামের আসাদ মাতুব্বরের ছেলে। নিহত অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি।    আহতরা হলেন, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কুমোরপট্টি এলাকার মোস্তাক সর্দার ও একই জেলার নগরকান্দা থানার আইনপুর মুস্তাকিন (২০)। আহতরা নিহত আলছাফের বন্ধু।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনজন যুবক একটি মোটরসাইকেল নিয়ে ফরিদপুর থেকে নড়াইলে আসার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের সুপারি গাছে সজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় মোটরসাইকেলে থাকা ৩ জনের একজনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। গুরতর আহত অবস্থায় মোটরসাইকেলে থাকা অন্য ২ জন এবং পথচারীকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত অজ্ঞাত পথচারীর মৃত্যু হয়। সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক অলোক কুমার বাগচী জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের একজনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। হাসপাতালে আনার পর আরেকজনের মৃত্যু হয়। আহত অন্য দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে।  সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাইফুল ইসলাম সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১২ এপ্রিল, ২০২৪

পদ্মা সেতুসহ সব সড়কে চলবে বাইক
এবারের ঈদযাত্রায় আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চলাচলেও কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না। ঈদে মোটরসাইকেলে যারা বাড়ি যাওয়ার চিন্তা করছেন, তাদের জন্য এটি অনেক বড় সুখবর। এমনকি পদ্মা সেতুও পাড়ি দেওয়া যাবে। তবে নিজস্ব বাইক ব্যবহার করতে হবে। কোনো রাইড শেয়ারিং গাড়িতে চলাচল করা যাবে না। করলেই ব্যবস্থা। গতকাল সোমবার কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। এদিকে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনের নেতারা বলছেন, এ সিদ্ধান্তের কারণে সড়কপথে দুর্ঘটনা বাড়তে পারে। দুর্ঘটনা এড়াতে আইন মেনে মোটরসাইকেল চলাচল নিশ্চিত করার দাবি তাদের। বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে মোট রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত যানবাহনের সংখ্যা ৫৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৬৫টি। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৮৮৩টি। রাজধানীতে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত ২০ লাখ ৯৩ হাজার যানবাহনের মধ্যে বাইকের সংখ্যা ১১ লাখ ১৪ হাজার ৮০১টি। মোটরসাইকেলের একটি অংশ অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং অর্থাৎ ভাড়ায় চলে। আরেকটি অংশ অনুমোদনহীনভাবে সরাসরি চুক্তিতে চলে। সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী কালবেলাকে বলেন, আমরা এরই মধ্যে বিআরটিএকে নির্দেশ দিয়েছে ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল যেন চলাচল করতে পারে। এ ব্যাপারে বিআরটিএ পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেলে দুজনের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। উভয়ের হেলমেট থাকা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি গাড়ির প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। কেউ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটালে পথে থাকা মোবাইল টিম মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, এবারের ঈদে পদ্মা সেতু দিয়েও মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে। এজন্য সেতুতে আলাদা লেন তৈরি করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের টোল আদায়ে থাকবে পৃথক ব্যবস্থা। ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালুর পর লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপার নিষিদ্ধ করে সরকার। গত বছরের ঈদুল ফিতরের সময়ও তা নিষিদ্ধ ছিল। তবে গত ঈদুল আজহার সময় অনানুষ্ঠানিকভাবে মোটরসাইকেল পরিবহন চালু করা হয়। ২০২২ সালে ঈদের আগে-পরে মিলিয়ে সাত দিন মহাসড়ক ও এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে সড়ক বিভাগ। মূলত সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর চিন্তা থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত বছর সরকার ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েও শেষ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হিসাবে বলা হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য অন্যতম দায়ী দুই চাকার যান বাইক। মোট দুর্ঘটনার প্রায় ৪০ ভাগই মোটরসাইকেলের কারণে হচ্ছে। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান কালবেলাকে বলেছেন, দেশে রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত যানবাহনের ৭০ ভাগের বেশি এখন মোটরসাইকেল। সড়কপথে দুর্ঘটনা এড়াতে এই যানটি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেন তিনি। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, সড়কপথে মৃত্যুদূত হিসেবে পরিচিত মোটরসাইকেল। এবারের ঈদযাত্রায় এই বাহনে যাতায়াতের সুযোগ দেওয়ায় হয়তো গণপরিবহনে চাপ কিছুটা কমবে। তবে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে। এজন্য ঈদের আগে ও পরে অন্তত ১০ দিন সড়ক-মহাসড়কে কঠোর নজরদারি করতে হবে।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

চোখ ধাঁধানো লুকে হোন্ডার নতুন বাইক
জনপ্রিয় মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক কোম্পানি হোন্ডা তার নতুন মডেলের বাইক উন্মুচোন করেছে। CB125R-2024 মডেলটি হোন্ডার স্পোর্টস সিরিজের একটি বাইক। নতুন এই বাইকের ডিজাইন করা হয়েছে অনেকটা CB1000R মডেলের অনুকরণে। বাইকটি আপাতত শুধুমাত্র ইউরোপীয় মার্কেটে ছাড়া হচ্ছে। নতুন আপডেটের ফলে CB125R-2024 বাইকটি গ্রাহকদের কাছে আরও বেশি পছন্দের হয়ে উঠবে বলে আশা করছে প্রস্তুতকারক কোম্পানি।  CB125R-2024 বাইকটির সবথেকে বড় আপডেট হল, এটি Euro 5+ এমিশন নর্মস মেনে চলবে। ইউরোপে প্রাথমিকভাবে বাইকটি A1 লাইসেন্স হোল্ডারদেরকে টার্গেট করে নিয়ে আসা হয়েছে। A1 লাইসেন্স কেবলমাত্র ১২৫সিসি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির বাইক চালানোর জন্য ব্যবহার করা যায়। ১৭ বছর থেকে ১৯ বছর বয়সী রাইডারদের জন্য এই লাইসেন্স অনুমোদন করা হয়।  এই বাইকটি সর্বোচ্চ ১৫ এইচপি পাওয়ার আউটপুট দিতে পারবে। বাইকটি Euro5+ -এ আপগ্রেড হলেও এর পারফরম্যান্সে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বাইকটির মিটারে রয়েছে ৫ ইঞ্চি TFT ফুল কালার ইন্সট্রুমেন্ট ডিসপ্লে।  CB125R-2024 বাইকটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল এর ডিজাইন আর স্টাইল। স্ক্রিনটি বাইকের একটি কোণে থাকার কারণে এতে দেখানো সব তথ্য খুব সহজেই দেখতে পাবেন চালক। এই ডিসপ্লেতে স্পীডোমিটার, গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর, ফুয়েল গেজ, ক্লক ও RPM দেখা যাবে। নতুন একটি সুইচও যুক্ত হয়েছে এর ডিসপ্লেতে।  Honda CB125R-2024 বাইকের কালার: গ্রাহকদের কি রঙের বাইক পছন্দ সেটা নিয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ করতে হবে না এই বাইক কিনতে। কারণ চারটি রঙে পাওয়া যাবে এই বাইক। তবে যারা অ্যাগ্রেসিভ লুকিং বাইক পছন্দ করেন তারা সম্ভবত ম্যাট গ্রে রঙের অপশনটি বেছে নেবেন। এছাড়া স্পোর্টি লুকের জন্য লিফ সী ব্লু, মেটালিক আর স্প্লেন্ডর রঙের অপশন রয়েছে। এক্ষেত্রে ফুয়েল ট্যাঙ্ক ও আন্ডার সিট স্ট্রাকচারে যথাক্রমে নীল ও লাল রং ব্যবহার করা হয়েছে। কেউ চাইলে পার্ল কুল হোয়াইট রঙেও কিনতে পারবে বাইকটি।  বাইকটিতে রয়েছে 124.9 cc ওয়াটার কুল্ড ফোর স্ট্রোক DOHC 4 ভালভ সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা ১৪.৯৫ পিএস শক্তি ও ১১.৬ এনএম টর্ক উৎপাদন করে। এর সাথে রয়েছে ৬ স্পীড গিয়ারবক্স। Honda CB125R-2024 বাইকটির ফুয়েল এফিসিয়েন্সি প্রতি লিটারে 45.5 কিলোমিটার। বাইকটির ওজন ১৩০ কেজি।  নিও রেট্রো বাইক হওয়ার কারণে Honda CB125R-2024 বাইকটি ভারতের বাজারে লঞ্চ করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাইকটি বাংলাদেশে আসারও সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোপের বাজারে এর দাম ধরা হয়েছে ৪২৪৯ ইউরো। 
২৭ মার্চ, ২০২৪

বাইক ছিনতাই করতে হত্যা, পুড়িয়ে দেওয়া হয় মুখ
ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে ভাড়ায় রাজধানীতে যাত্রী পরিবহন করতেন সাইফুল। ছিনতাইকারী মাসুক ও ফয়সাল পূর্বপরিচিত সাইফুলের মোটরসাইকেলটি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। এজন্য তাকে ঢাকা থেকে ভাড়া করে নিয়ে যায় নেত্রকোনা। সেখানে একটি চরের মধ্যে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় সাইফুলকে। এরপর যাতে চেনা না যায়, সেজন্য তার মুখ পুড়িয়ে দেয় হত্যাকারীরা। সাইফুল হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনসহ জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তারের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে র‌্যাব। রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল এবং রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে র‌্যাব-১৪-এর একটি দলের হাতে গ্রেপ্তার হয় মাসুক ও ফয়সাল। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, মাসুক ও ফয়সাল মূলত আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল ছিনতাই-চুরি চক্রের সদস্য। ১০ থেকে ১৫ দিন আগে মাসুক তার ভাগ্নের একটি মোটরসাইকেল দরকার বলে ফয়সালকে জানায়। ভাগ্নের কাছ থেকে ফয়সালকে ২৫ হাজার টাকাও এনে দেয়। কিন্তু ফয়সাল বাইক দিতে ব্যর্থ হয়। ভাগ্নে চাপ দিলে তারা দুজন মিলে সাইফুলের মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। খন্দকার আল মঈন বলেন, পরিকল্পিতভাবে তারা গাজীপুর চৌরাস্তার একটি দোকান থেকে ছুরি কেনে। এক সাংবাদিকের তথ্য সংগ্রহ এবং ভিডিও চিত্রধারণের জন্য নেত্রকোনায় যেতে ১৩ মার্চ ৩ হাজার টাকায় সাইফুলকে ভাড়া করা হয়। বিকেল ৩টায় মাসুক তাকে নিয়ে মিরপুর ১৪ থেকে নেত্রকোনার উদ্দেশে রওনা হয়। গাজীপুর থেকে বাইকে ওঠে ফয়সালও। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় গিয়ে সংবাদের তথ্য সংগ্রহের অজুহাতে সময় নষ্ট করতে থাকে। এরপর মোহনগঞ্জের দেওরাজান বালুর চরে নিয়ে রাত ৩টার দিকে পাথর দিয়ে সাইফুলের মাথায় আঘাত করে। এতে সাইফুল অচেতন হয়ে গেলে ছুরি দিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। পরে চেহারা দেখে কেউ যেন শনাক্ত করতে না পারেন, সেজন্য মুখ পুড়িয়ে দেয় তারা। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও সাইফুলের মোবাইল ফোন পানিতে ফেলে তারা বাইক নিয়ে চলে আসে। বাইকটি মাসুকের ভাগ্নের কাছে রেখে দুজনেই আত্মগোপনে চলে যায়। র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, মিরপুর ১৪ এলাকায় বসবাস করত মাসুক। দিনে রাজমিস্ত্রির কাজ আর সন্ধ্যায় ভ্যানে করে কাপড় বিক্রির আড়ালে মোটরসাইকেল ছিনতাই করত। হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেপ্তার এড়াতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আত্মগোপন করেছিল সে। আর ফয়সাল রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালানোর পাশাপাশি মোটরসাইকেল ছিনতাই করত। এ ঘটনার পর সে দক্ষিণখান এলাকায় আত্মগোপন করে।
১৯ মার্চ, ২০২৪

দক্ষিণখানে বাইক দুর্ঘটনায় নিহত তিন
রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিন আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন রবিন, জুনায়েদ ও ওমর ফারুক। এর মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অন্য দুজন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায়। দক্ষিণখান থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান জানান, গতকাল রাত পৌনে ৮টার দিকে দক্ষিণখানের আশকোনা আশিয়ান সিটি এলাকায় একটি মোটরসাইকেলের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ে। এতে মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন মারা যায়। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যায়। জুনায়েদ মারা যায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। আর ওমর ফারুক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। নিহত ওমর ফারুকের স্বজন মোহাম্মদ হোসেন জানান, ওমর আশকোনার একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগের ছাত্র ছিল। তার বাবার নাম রাজন। বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রুপসীতে। ওই মাদ্রাসায় থেকে পড়ালেখা করত সে।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইভ্যালিতে মোবাইল বাইক টিভিসহ বিভিন্ন পণ্যে ব্যাপক ছাড়
নতুনভাবে ব্যবসা শুরুর পর শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পেইন ‘বিগব্যাং-টু’ উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে জনপ্রিয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। এর মধ্যে আকর্ষণীয় মূল্য ছাড় রয়েছে মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেল, স্মার্ট টেলিভিশন, ব্লেন্ডার, বেল্ট, জিন্স প্যান্ট,  পাঞ্জাবি ও কম্পিউটার এক্সেসোরিজসহ বিভিন্ন পণ্যে। ইভ্যালি সূত্রে এমনটাই জানা যায়। ইভ্যালি জানায়, শুক্রবার রাত ১০টায় শুরু হবে ‘বিগব্যাং-টু’। এতে ৫ হাজার টাকা মূল্যের ব্লেন্ডার পাওয়া যাবে মাত্র ১ হাজার টাকায়। ২০ হাজার টাকার ওয়ান প্লাস মোবাইল ফোনে ৫ হাজার টাকার বেশি মূল্য ছাড় দিয়ে বিক্রি হবে ১৪ হাজার ৯০০ টাকায়। বিগব্যাং-টুতে যেসব পণ্যে ব্যাপক ছাড় দেওয়া হচ্ছে—তার মধ্যে অন্যতম হলো মোটরসাইকেল। ১৫০ সিসির নাইট রাইডার ভিটু বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। বাইকটিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা। বিগব্যাং-টুতে এটি কেনা যাবে ১ লাখ ২২ হাজার টাকায়।  ইভ্যালির এবারের ক্যাম্পেইনে আরেকটি আকর্ষণীয় পণ্য থাকছে এমআই-এর স্মার্ট টিভি। ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের ৬৫ ইঞ্চির স্মার্ট টিভিটিতে ২০ হাজার টাকা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এটি বিক্রি করা হবে ৬৫ হাজার টাকায়। এমআইয়ের আরো দুটি সাইজের টিভিতেও বেশ মূল্য ছাড় থাকবে। বিগব্যাং-টুতে আরো যেসব পণ্যে ব্যাপক ছাড় থাকছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি, তার মধ্যে রয়েছে মাত্র ৯ টাকায় চামড়ার বেল্ট,  নবীনের ১ হাজার ৫০০ টাকার পাঞ্জাবি ৫০০ টাকায়, ৯৯ টাকায় জিন্স প্যান্ট এবং ফ্লোরার ১২৫০ টাকার কিবোর্ড-মাউস কম্বো প্যাক মাত্র ৫০০ টাকায়। এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর ‘বিগব্যাং’ নামে প্রথম ক্যাম্পেইন করে ইভ্যালি। মাত্র ২০ ঘণ্টায় দুই লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেয়ে শুরুতেই বাজিমাত করে প্রতিষ্ঠানটি। তারই ধারাবাহিকতায় এবার উন্মুক্ত হচ্ছে বিগব্যাং-টু। এ উপলক্ষে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার পণ্যের সমাহার ঘটানো হয়েছে ইভ্যালির অ্যাপে। বিক্রতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ৫০০। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ মূল্য ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ইভ্যালি সূত্রে আরও জানা যায়, বিগব্যাং-টুতে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত প্রায় ৫০০ বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠান প্লাটফর্মটিতে বিক্রির জন্য প্রায় ১১ হাজার ৫০০টি পণ্য নির্বাচন করেছেন। এ বিষয়ে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কালবেলাকে তিনি বলেন, ‘ইভ্যালি নতুনভাবে শুরু করার পর আমরা যেমনটি আশা করেছিলাম তার চেয়ে বেশি সাড়া পাচ্ছি। তবে ইভ্যালি নিজে থেকে কোনো পণ্যে লোকসান বা ভর্তুকি দিচ্ছে না। যে ছাড় দেওয়া হচ্ছে তা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানই দিচ্ছে।’ ইভ্যালির আগের ক্যাম্পেইনের তুলনায় এবারের ক্যাম্পেইনে বেশকিছু পার্থক্য রয়েছে। আগে ব্যাপক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হলেও, এবার বিজ্ঞাপনে এক টাকাও ব্যয় করা হয়নি। আগে বেশিরভাগ পণ্যই লোকসানে বিক্রি করা হতো। তবে এবার প্রায় সব পণ্যে খুব সামান্য পরিমাণ লাভ রাখা হয়েছে। এই লাভের অর্থ দিয়ে কোম্পানির মাসিক ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। এজন্য ইভ্যালিকে নতুন করে কোনো দেনায় পড়তে হবে না। বরং লাভের পরিমাণ একটু বাড়লেই আগের ঋণ শোধ শুরু করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ রাসেল। এদিকে, আগে গ্রাহকরা পণ্য পাওয়ার আগেই সরাসরি ইভ্যালিকে টাকা পরিশোধ করত। কিন্তু এবার ক্যাশ অন ডেলিভারি হওয়ায় গ্রাহকের কোনো ঝুঁকি নেই। এ ছাড়া গ্রাহকের পরিশোধ করা পণ্যের মূল্য এখন থেকে সরাসরি বিক্রেতার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে বিক্রেতার কোনো বাকি পড়ার ঝুঁকি নেই। এ বিষয়ে কালবেলাকে রাসেল বলেন, ‘গ্রাহককে এখন আর বিশ্বাসের ওপর টাকা দিতে হচ্ছে না। পণ্য হাতে পেয়ে টাকা দেবে। এজন্য ইভ্যালিতে গ্রাহকের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। আমরা খুব সামান্য লাভ করছি যেন কোম্পানির খরচ চালিয়ে নেওয়া যায়। আর যেসব পণ্যে ছাড় দেওয়া হচ্ছে সেটা বিক্রেতা নিজের পক্ষ থেকে দিচ্ছেন। এজন্য ইভ্যালির আর লোকসানের সুযোগ নেই।’ উল্লেখ্য, ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ২০১৮ সালে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করে হইচই ফেলে দেন মোহাম্মদ রাসেল। মাত্র দুই বছরের মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ইভ্যালি। কিন্তু ওই সময় ঋণের বোঝাও বেড়ে যায় তাদের। তবে অভিযোগ আছে, ইভ্যালিকে থামানোর জন্য তখন দেশি-বিদেশি কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান উঠেপড়ে লাগে। তার জন্য মোটা অঙ্কের বরাদ্দও করেন তারা। একপর্যায়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার হন রাসেল। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তারে হতাশ হন প্রতিষ্ঠানটির লাখ লাখ গ্রাহক। তারা ইভ্যালির ব্যবসা চালুর জন্য আন্দোলন শুরু করেন। তাকে মুক্তি দিতে ২০ হাজারের বেশি ক্রেতা-বিক্রেতা আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করেন। এর মধ্যে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন রাসেল ও তার প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তবে তার স্ত্রী ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান অনেক আগেই মুক্তি পেয়েছেন।
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

অনলাইনে বাইক ক্রয়-বিক্রয়ের নামে প্রতারণা : নারীসহ গ্রেপ্তার ৫
অনলাইনে বাইক ক্রয়-বিক্রয় বিডি নামক একটি পেজে চটকদারি বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাকে কৌশলে বাসায় ডেকে নিয়ে শারীরিক নির্যাতনের পর নগদ টাকা ও মোবাইল সেট হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এক নারীসহ প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ বন্দর ফাঁড়ি পুলিশ। ওই সময়ে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় বারেক ও সাইফ নামে আরও ২ প্রতারক। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নির্যাতিত যুবক আবু সুফিয়ান সুমন বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৫ প্রতারকসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতদের উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাতে বন্দর খানবাড়ী এলাকা থেকে এদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত প্রতারকরা হলো, মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর থানার সৈয়দপুরস্থ সিকদারকান্দী এলাকার মৃত ফেরদৌস মিয়ার মেয়ে রিমি আক্তার ওরফে নুসরাত জাহান রিমু (২২), বন্দর খানবাড়ি এলাকার মৃত পারভেজ খানের ছেলে আসিফ খান (২৫), ঢাকা কেরানীগঞ্জ থানার আগানগর কাঠুরিয়া এলাকার বড় মসজিদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাড়ি এলাকার মোশাররফ খানের ছেলে শাকিল (২৩), বন্দর চিতাশাল এলাকার হাকিম মিয়ার ছেলে দিপু (২৯) ও একরামপুরস্থ চক এলাকার মৃত নজরুল কাজীর ছেলে জহির (২৫)। পলাতক আসামিরা হলো বন্দর থানার একরামপুর এলাকার বারেক (৫০) ও বন্দর খানবাড়ি এলাকার মৃত পারভেজ খানের ছেলে সাইফ (৩০)। বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায়, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার খাগান এলাকার আব্দুল সাত্তার মিয়ার ছেলে আবু সুফিয়ান সুমন গত ৭-৮ দিন পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাইক ক্রয়-বিক্রয় বিডি নামক একটি পেজে বাইক বিক্রয়ের একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পায়। পরে উল্লেখিত যুবক প্রতারকদের ঠিকানা মোতাবেক এসএমএস করলে ওই সময় বন্দর খানবাড়ি এলাকার মৃত ফেরদৌস মিয়ার মেয়ে প্রতারক চক্রের সদস্য রিমি আক্তার ওরফে নুসরাত জাহান রিমু এসএমএসটি রিসিভ করে বাইক কেনার জন্য বন্দর খানবাড়ি এলাকায় আসতে বলে। পরবর্তীতে প্রতারক নারী রিমি আক্তারের কথা মতে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে বন্দর খানবাড়ি এলাকায় আসলে ওই সময় প্রতারক চক্রের সদস্য আসিফ খান ও শাকিল বাইক ক্রেতা আবু সুফিয়ান সুমনকে উল্লেখিত স্থান থেকে রিসিভ করে প্রতারক রিমি আক্তারের ভাড়া করা বাড়ির ৫ম তলা নিয়ে যায়। পরে সেখানে অবস্থানরত প্রতারক চক্র উল্লেখিত বাইক ক্রেতাকে একটি রুমে আটক রেখে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই সময় অন্যান্য প্রতারক চক্রের সহযোগিতায় প্রতারক রিমি আক্তার ও আসিফ খানের আটককৃত যুবকের ম্যানিব্যাগে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা ও ১টি বাটন মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। পরে প্রতারক চক্র থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ভুক্তভোগী আবু সুফিয়ান সুমনের পরিচিত ছোট ভাই মেফতাহুস মাদাত এর বিকাশ নাম্বার থেকে ৫ হাজার টাকা পাঠালে প্রতারক চক্রের ব্যবহৃত বিকাশ নম্বরে পাঠানো টাকা ক্যাশ আউট করে নিয়ে যায়। পরে ওই দিন রাত সোয়া ১১টায় প্রতারক চক্র নগদ টাকা ও মোবাইল সেট হাতিয়ে নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে ভুক্তভোগী যুবক ছাড়া পেয়ে তার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে বন্দর খান বাড়ি এলাকায় আসলে ওই সময় টহল পুলিশ দেখতে পেয়ে বিষয়টি বন্দর ফাঁড়ি পুলিশকে অবগত করে। পরে পুলিশ থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মহিলাসহ ৫ প্রতারককে গ্রেপ্তার করে। বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, প্রতারকদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
১০ জানুয়ারি, ২০২৪
X