সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় কয়েকটি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে বাজার: বাম জোট
বাজার নিয়ন্ত্রণে লোক দেখানো কথা বললেও সরকার কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন বাম জোটের নেতারা। তারা বলেন, কার্যকর ব্যবস্থা নিলে বাজারের চিত্র এমন থাকত না। কোনো নিত্যপণ্যই নাগালে আসেনি। সিন্ডিকেট চক্র আগের মতোই সক্রিয়। এ বাস্তবতাই বলে দেয় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গুটিকয়েক গোষ্ঠী একচেটিয়া বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ করছে। সীমাহীন বাজার নৈরাজ্য ও দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ঢাকার প্রধান বাজারগুলোয় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে বাম গণতান্ত্রিক জোট ঢাকা মহানগর। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার কারওয়ান বাজারে বিক্ষোভ করে তারা। সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেন, দুর্নীতি-লুটপাট ও অর্থ পাচারের কারণে দেশের অর্থনীতি নাজুক অবস্থায় পৌঁছেছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্ত শ্রমজীবীদের খেয়েপরে বাঁচা দুষ্কর। মধ্যবিত্ত শ্রেণিও খাদ্য ব্যয় কুলিয়ে উঠতে পারছে না। জোটের ঢাকা মহানগরের সমন্বয়ক তৈমুর খান অপুর সভাপতিত্বে ও অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিপিপি নেতা সাদিকুর রহমান শামীম। সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবি নেতা মিহির ঘোষ, বাসদের রাজেকুজ্জামান রতন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশিদ, ডা. সাজেদুল হক রুবেল, খালিকুজ্জামান লিপন, ডা. জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য, রুবেল সিকদার প্রমুখ।
২১ মার্চ, ২০২৪

সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় কয়েকটি গোষ্ঠী একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে : বাম জোট  
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার লোক দেখানো কথা বললেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন বাম জোটের নেতারা। তারা বলেছেন, কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হলে বাজারের চিত্র এ রকম থাকার কথা নয়। কোনো নিত্যপণ্যই মানুষের হাতের নাগালে আসেনি। সক্রিয় রয়েছে সিন্ডিকেট চক্র। এই বাস্তবতাই বলে দেয় বাজার নিয়ে সরকারের কার্যকর কোনো ভাবনা নেই। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় মাত্র কয়েকটি গোষ্ঠী একচেটিয়া বাজার সিন্ডিকেট করে সবকিছুর মূল্য নিয়ন্ত্রণ করছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। সীমাহীন বাজার নৈরাজ্য ও দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ঢাকার প্রধান বাজারসমূহে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে বাম গণতান্ত্রিক জোট ঢাকা মহানগর। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২০ মার্চ) কারওয়ানবাজারে বিক্ষোভ করে দলটি। বিক্ষোভ সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতারা বলেন, দুর্নীতি-লুটপাট ও অর্থপাচারের কারণে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় পৌঁছেছে। যার অভিঘাতে দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা মারাত্মক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে খেয়েপরে বাঁচা দুষ্কর। এমনকি মধ্যবিত্ত মানুষ কোনোভাবেই খাদ্য ব্যয় কুলিয়ে উঠতে পারছে না। নেতারা বলেন, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় মাত্র কয়েকটি গোষ্ঠী একচেটিয়া বাজার সিন্ডিকেট করে সবকিছুর মূল্য নিয়ন্ত্রণ করছে। সাধারণ মানুষের শ্রম ঘামে উপার্জিত অর্থ পকেট কেটে প্রতিদিন হাজার কোটি টাকা লোপাট করে নিয়ে যাচ্ছে তারা। সরকার লোক দেখানো কিছু সংবাদ উপকরণ সরবরাহ ভিন্ন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। নেতারা বাজার নৈরাজ্য ও লুটেরাদের পৃষ্ঠপোষক সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। বাম গণতান্ত্রিক জোট ঢাকা মহানগরের সমন্বয়ক তৈমুর খান অপুর সভাপতিত্বে ও সিপিপি নেতা সাদিকুর রহমান শামীমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন- সিপিবি নেতা মিহির ঘোষ, বাসদের রাজেকুজ্জামান রতন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশিদ, ডা. সাজেদুল হক রুবেল, খালিকুজ্জামান লিপন, ডা. জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য, রুবেল সিকদার প্রমুখ।
২০ মার্চ, ২০২৪

নিত্যপণ্যের বাজার চলছে ইচ্ছামতো: বাম জোট
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার নানা কথা বলছে, এমনকি দাম বেঁধেও দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা না নেওয়ায় বাজার চলছে তার ইচ্ছামতো। মুক্তবাজারের নামে বাজার সিন্ডিকেটের গুটিকয়েক মানুষ, চাঁদাবাজ, কমিশন ভোগীদের পকেটে যাচ্ছে জনগণের টাকা। আর এসব হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের প্রশ্রয়ে। গতকাল সিপিবি কার্যালয়ে বাম জোটের সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। তারা বলেন, দেশে উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন খরচ কমানো, উৎপাদক ও ক্রেতা সমবায় গড়ে তোলা, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আমদানিকৃত পণ্যের বাফার স্টক গড়ে তোলা, সারা দেশে সর্বজনীন রেশন ব্যবস্থা এবং ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু করা ছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সভায় নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে রাখা এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম কমানোর দাবিতে আগামী ২০ মার্চ রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সামনে, ২৩ মার্চ মিরপুর ১০ নম্বর ও ২৪ মার্চ শান্তিনগর বাজারের সামনে বিক্ষোভের কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়। বাম গণতান্ত্রিক জোট ঢাকা মহানগরের সমন্বয়ক তৈমুর আলম খান অপুর সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য নজরুল ইসলাম, বাসদের নেতা খালেকুজ্জামান লিপন, সিপিবি নেতা ডা. সাজেদুল হক রুবেল, সাইফুল ইসলাম সমীর, মঞ্জুর মঈন, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা সীমা দত্ত, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ইকবাল কবীর জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির আমেনা আক্তার, বাসদের রুবেল শিকদার প্রমুখ।
১৮ মার্চ, ২০২৪

বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে: বাম জোট
দুর্নীতির কারণে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত মানুষের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তারা সরকারের কাছে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেছেন, ৩ মার্চের মধ্যে সরকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত সমাবেশে নেতারা এ কথা বলেন। এ সময় ৩ মার্চ থেকে সপ্তাহব্যাপী সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা। সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের গালগল্প এমনই জায়গায় পৌঁছেছে যে, আজ বলা হচ্ছে, নিয়মিত লোডশেডিংয়ের জন্য প্রস্তুত থাকুন। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা দিয়ে ১ মার্চ থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো এবং বলা হলো আগামী অন্তত তিন বছর এভাবেই দাম বাড়তে থাকবে। ভুলনীতি এবং দুর্নীতির কারণে আজ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত অর্থনীতিতে এবং জনগণের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই কাঁটা উপড়ে ফেলার পরিবর্তে জনগণকেই কাঁটায় বিদ্ধ করার নীতি নিয়েছে সরকার। তাই প্রকৃত আয় কমে যাওয়া সাধারণ মানুষের কাঁধে আবারও এই মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপানো হচ্ছে। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাসদের (মার্কসবাদী) নেতা ডা. জয়দীপ ভট্টাচার্য, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের নেতা শামীম ইমাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির আব্দুল আলী ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির আমেনা আক্তার। সভা পরিচালনা করেন সিপিবি নেতা অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন রেজা।
০২ মার্চ, ২০২৪

বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত মানুষের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে : বাম জোট
দুর্নীতির কারণে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত মানুষের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তারা সরকারের কাছে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেছেন, তিন মার্চের মধ্যে সরকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে।  শুক্রবার (১ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আগামী ৩ মার্চ থেকে সপ্তাহব্যাপী সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচির ঘোষণা দেন।  সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের গাল গল্প এমনই জায়গায় পৌঁছেছে যে আজ বলা হচ্ছে, নিয়মিত লোডশেডিংয়ের জন্য প্রস্তুত থাকুন। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা দিয়ে পহেলা মার্চ থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো এবং বলা হলো আগামী অন্তত তিন বছর এভাবেই দাম বাড়তে থাকবে। ভুলনীতি ও দুর্নীতির কারণে আজ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত অর্থনীতিতে এবং জনগণের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই কাঁটা উপড়ে ফেলার পরিবর্তে জনগণকেই কাঁটায় বিদ্ধ করার নীতি নিয়েছে সরকার। তাই তো প্রকৃত আয় কমে যাওয়া সাধারণ মানুষের কাঁধে আবারও এই মূল্য বৃদ্ধির বোঝা চাপানো হচ্ছে। তিনি অবিলম্বে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও বিদ্যুতের ভুলনীতি এবং দুর্নীতির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানান। বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাসদ (মার্কসবাদী)’র নেতা ডা. জয়দীপ ভট্টাচার্য, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের নেতা শামীম ইমাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির আব্দুল আলী ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির আমেনা আক্তার। সভা পরিচালনা করেন সিপিবি নেতা অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন রেজা। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল প্রেস ক্লাব-তোপখানা ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
০১ মার্চ, ২০২৪

বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ করবে বাম জোট
অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান ও শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জোটের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।  জোটের পক্ষ থেকে অন্য দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে বিদেশে পাচারের টাকা উদ্ধার, খেলাপি ঋণ আদায়ের সঙ্গে জড়িত ও দায়ীদের শাস্তি, আর্থিক খাতে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম দূর করাসহ সর্বত্র স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে।  সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক অভিমুখে মিছিল ও ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ এবং একই দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট। বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে সারা দেশের বিক্ষোভ কর্মসূচি সফল করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ করবে বাম জোট
অর্থপাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান ও শ্বেতপত্র প্রকাশ, পাচারের টাকা ও খেলাপি ঋণ আদায়, দায়ীদের শাস্তি, আর্থিক অবস্থাপনা, অনিয়ম দূর করাসহ সর্বত্র স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবিতে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।  এ দিন সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ, বাংলাদেশ ব্যাংক অভিমুখে মিছিল ও ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভের কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে জোটের পক্ষ থেকে। এসব দাবিতে দেশের বিভাগীয় সদরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে এবং সারা দেশের জেলা সদরে বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সভায় নিত্যপণ্যের  ঊর্ধ্বগতিতে ও বিভিন্ন এলাকায় সৌন্দর্যবর্ধনের নামে বিকল্প সংস্থান ছাড়া রিকশা ও হকার উচ্ছেদ, আর্থিক সংকটের কথা বলে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুতি, চাকরি ছাড়তে বাধ্য করার পরিবেশ তৈরির খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় বলা হয়, সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে, আর সরকার নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারি অনেক পদ খালি রয়েছে, অথচ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। এ সময় সরকার কাজ দিতে না পারলেও স্ব-কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারীদের উচ্ছেদ করে দেশে নতুন করে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে, যার দায় সরকারকেই নিতে হবে। সভায় মিয়ানমারের সংকটে দেশের মধ্যে গোলাবারুদ এসে মানুষ নিহত হওয়া, সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের মানুষ এমনকি অস্ত্রসহ মানুষের প্রবেশে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, এভাবে সীমান্ত অরক্ষিত রাখা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের ও দেশের জনগণের জন্য উদ্বেগজনক। সরকারের নতজানু নীতি এ অবস্থা সৃষ্টি করেছে। সভায় সীমান্তে কঠোর অবস্থান গ্রহণ এবং এ বিষয়ে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণেরও আহ্বান জানানো হয়।  জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির আব্দুল আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পাচার করা অর্থ ফেরত এনে জনস্বার্থে কাজে লাগান : বাম জোট
বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেছেন, লুটপাট বন্ধের হাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করতে হবে। তারা বলেন, সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে অথচ কিছু মানুষ অর্থের পাহাড় গড়ছে। ক্ষমতা আর ক্ষমতাসীনদের আনুকূল্য ছাড়া সৎ আয়ে এভাবে টাকার পাহাড় গড়া সম্ভব নয়। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ, সিন্ডিকেট চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, সারা দেশে সার্বজনীন রেশন ব্যবস্থা চালু, দুর্নীতি-লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, খেলাপি ঋণ-পাচারের টাকা আদায়সহ ফ্যাসিবাদি দুঃশাসনের অবসানসহ বিভিন্ন দাবিতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। নেতারা আরও বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, এস আলম গ্রুপসহ কারও কারও হাতে আলাদিনের চেরাগ আবার উৎপাদনের সাথে জড়িত শ্রমজীবী কারও হাতে রং চটা খালি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে সার্বজনীন রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু, দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের বাফার স্টক গড়ে তোলা ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের চক্র ভেঙে মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান নেতারা। খেলাপি ঋণ আদায় করে ও বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত এনে জনস্বার্থে কাজে লাগানো এবং ঘটনার নেপথ্যের হোতাদের খুঁজে বের করারও দাবি জানান বাম জোটের নেতারা। বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) খালেকুজ্জামান লিপন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেস ক্লাব, তোপখানা রোড, পল্টন, দৈনিক বাংলা, বক্স কালভার্ট রোড, বিজয়নগর হয়ে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মঙ্গলবার রাজধানীতে বিক্ষোভ করবে বাম জোট
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতিবাজদের শাস্তির দাবিতে আগামী মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) জোটের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ, সিন্ডিকেট চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, সারা দেশে সার্বজনীন রেশন ব্যবস্থা চালু, জাতীয় ন্যূনতম মজুরিসহ সবার কাজের নিশ্চয়তা, দুর্নীতি-লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, খেলাপি ঋণ- পাচারের টাকা আদায়সহ ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসানের দাবিও তোলা হবে সমাবেশ থেকে।  আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। এতে কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নিবেন।  নাগরিক নানা সংকটের কথা তুলে ধরে ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছে পাঁচ রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিন এই রাজনৈতিক জোট। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এই জোট নির্বাচনেও অংশ নেয়নি।
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রহসনের ভোট বর্জন করে ঘরে থাকুন: বাম জোট
ভোট বর্জন করে আজ রোববার ভোটারদের ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। গতকাল শনিবার বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান নির্বাচনে অংশ না নেওয়া পাঁচ দলের সমন্বয়ে গঠিত বাম জোটের নেতারা। বাম গণতান্ত্রিক জোটের সভায় গণদাবি ও জনমত উপেক্ষা করে ৭ জানুয়ারি ভোট বহাল রাখায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা থেকে দেশবাসীকে নির্বাচনের দিন সর্বক্ষণ ঘরে থেকে’ ভোট বর্জন এবং জনগণের অধিকার হরণের প্রতিবাদ, ভাত ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে নতুন আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ। সে সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সদস্য জয়দীপ ভট্টাচার্য, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য পরেশ কর, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সমাজতান্ত্রিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুবেল সিকদার প্রমুখ নেতারা। সভায় বলা হয়, এ নির্বাচন একদিকে সরকারের কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী প্রবণতা আরও বাড়বে। অন্যদিকে, বিদেশি সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী শক্তিও দেশের ওপর চেপে বসতে চাইবে।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪
X