৩১ বছর পর বালুচরায় তৃতীয় বাস টার্মিনাল
চট্টগ্রামে ৩১ বছর পর নতুন করে একটি বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের কুলগাঁও বালুচরা এলাকার ৮ দশমিক ১০ একর জায়গায় টার্মিনালটি নির্মাণ করছে। এটি বন্দরনগরীর তৃতীয় বাস টার্মিনাল। জানা যায়, নগরে প্রথম বাস টার্মিনাল নির্মিত হয় কদমতলীতে ১৯৬৬ সালে। দ্বিতীয়টি বহদ্দারহাটে নির্মিত হয় ১৯৯৩ সালে। এরপর নির্মাণ হয়নি কোনো বাস টার্মিনাল। তবে চসিক ২০১৮ সালে নগরে আরেকটি বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী রিফাতুল করিম বলেন, টার্মিনাল নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। এখন ড্রেন, নালা ও বাউন্ডারির কাজ চলছে। একই সঙ্গে অন্য কাজও চলমান। চসিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের করা চট্টগ্রাম সিটি মাস্টার প্ল্যানে কুলগাঁও এলাকায় ২৮ একর জমিতে বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য জায়গা বরাদ্দ রাখা হয়। তবে চসিক প্রাথমিকভাবে ৮ দশমিক ১০ একর জায়গায় উন্নয়ন করে টার্মিনাল নির্মাণ করছে। মহাপরিকল্পনা অনুসরণ করে চসিক ২০১৮ সালে ২৯৬ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়। ২০১৮ সালের অক্টোবরে একনেকে অনুমোদিত হয়। প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের জন্য ২৬০ কোটি, ভূমি উন্নয়নে ৩ দশমিক ৩৭ কোটি, অবকাঠামো উন্নয়নে ৭ কোটি ৫০ লাখ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ ইয়ার্ড নির্মাণে ২৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এই টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার ও আন্তঃনগর উভয় ধরনের বাসই ছাড়বে। টার্মিনালটিতে ১৬০টি বাস-ট্রাক পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। টার্মিনালের প্রবেশপথে একটি তিনতলা সুদৃশ্য ভবন থাকবে। এ ছাড়া একটি সিটি বাস টার্মিনাল, একটি আন্তঃনগর বাস টার্মিনাল, ২৫টি যাত্রী বোর্ডিং লেন, ১৪টি অতিরিক্ত ওয়েটিং লেন, একটি বড় খোলা হলরুম এবং তথ্যকেন্দ্র, পুরুষ ও নারীদের জন্য টয়লেট, ২২টি টিকিট কাউন্টার, যাত্রীদের বসার জায়গা, ওয়াইফাই সুবিধা, লাগেজ রুম, ট্যাক্সি বুকিং রুম, ফার্স্ট এইড স্টেশন, রেস্তোরাঁ, এসি বাসের যাত্রীদের বসার জায়গা, বাস-ট্রাক মালিকদের জন্য অফিস এবং বাস কর্মচারীদের আবাসন কক্ষ থাকবে।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

রাজধানীতে ১৬ জেলার বাস টার্মিনাল বদলে যাচ্ছে
আন্তঃজেলা বাসগুলো কাঁচপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালসহ ঢাকার অদূরে নির্মাণ হতে যাওয়া টার্মিনালগুলো এবং ঢাকার অভ্যন্তরে পরিচালিত নগর পরিবহনগুলো সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনাল ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) কাঁচপুরে ঢাকা নগর আন্তঃজেলা টার্মিনাল নির্মাণের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।  মেয়র তাপস বলেন, আমাদের যে বাস টার্মিনালগুলো আছে সেগুলো আশির দশকে করা হয়েছে। তখন শুধু টার্মিনাল হিসেবে করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, ওই টার্মিনালগুলো ঘিরেই আন্তঃজেলা এবং সিটি বাস সব এক জায়গায় রাখা হতো। আমরা মনে করি যে, বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা সে প্রেক্ষাপটে এখন তা আর কার্যকর নয়। তাই বাস রুট রেশনালইজেশন কমিটির মাধ্যমে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি, আন্তঃজেলা বাসগুলোকে ঢাকার বাইরে রাখতে হবে। আর ঢাকার মধ্যে যে টার্মিনালগুলো রয়েছে সেখানে শুধু নগর বাসগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। প্রাথমিকভাবে কাঁচপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল চালুর এসব কার্যক্রম নিজস্ব অর্থায়নেই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভূমি উন্নয়নের পাশাপাশি আমরা এখানে আরও কিছু কাজ শুরু করব। যেমন- সীমানা প্রাচীর দিতে হবে, কিছু অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। আমরা পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে বসব। কি ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করলে তারা সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রমগুলো শুরু করতে পারবে, সে বিষয়ে আলাপ করে আমরা অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করব। পুরো কাজ আমাদের নিজস্ব অর্থায়নেই এখন পর্যন্ত আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। মেয়র বলেন, দীর্ঘমেয়াদে যেন একটি আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণ করতে পারি, ইতোমধ্যে আমরা সে পরিকল্পনা শুরু করেছি। আমাদের দুটো টার্মিনাল একটি বাঘাইড়ে আরেকটি এই কাঁচপুরে। এই দুটো বাস টার্মিনালের জন্য আমরা পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। পরামর্শকের মাধ্যমে আমরা পূর্ণভাবে এই টার্মিনালগুলোর নকশা প্রণয়ন করব। পরবর্তীতে পূর্ণভাবে আমরা সেটা নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করব। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র শেখ তাপস বলেন, শুধু কাঁচপুরে বাস টার্মিনাল নয় সমন্বিত অনেক কার্যক্রম একসাথে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা যেমন বাস রুট রেশনালাইজেশনের কার্যক্রমের আওতায় যাত্রাপথগুলোকে নির্ধারণ করছি তেমনি সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালকে আরও আধুনিক করছি এবং সেটার পরিসর বৃদ্ধি করেছি। সেখানে আলাদা ডিপোর ব্যবস্থা করেছি। সবমিলিয়েই আমাদের কার্যক্রম চলমান এবং সমন্বিত সব কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পরই আমরা পূর্ণ সুফল পাব। আগামী বছর এটা চালু হয়ে গেলে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলার বাসগুলো আর সায়েদাবাদ, মহাখালী, গাবতলী টার্মিনালগুলো ব্যবহার করতে পারবে না। সেগুলো কাঁচপুরে চলে আসবে এবং তারা ঢাকা শহরের ভেতরে আর প্রবেশ করবে না। তখন স্বাভাবিকভাবেই ঢাকার যানজট একটা সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে। আর সুশৃঙ্খল যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে আমরা বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতায় যে ঢাকা নগর পরিবহন চালু করেছি, সেসব বাস এই কাঁচপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের পরিবহন করবে। ফলে গণপরিবহন পূর্ণ রূপে শৃঙ্খলায় চলে আসবে। এ সময় চলমান ভূমি উন্নয়ন কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে এবং বাকি কাজ আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলেও জানান মেয়র। এ ছাড়া সীমানা প্রাচীরসহ অন্যান্য প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণকাজ আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন- করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দার আলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. বোরহান উদ্দিন, সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মুনিরুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী রাজিব খাদেম প্রমুখ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

ঈশ্বরদী বাস টার্মিনাল বেহালে, যাত্রী ভোগান্তি চরমে
বাসের দীর্ঘ সারি না থাকলে হয়তো বোঝা যেত না এটি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভার বাস টার্মিনাল। বলছি ঈশ্বরদীর একমাত্র ঐতিহ্যবাহী খায়রুজ্জামান বাবু বাস টার্মিনালের কথা। নির্মাণের আড়াই যুগ পার হলেও আধুনিকায়নের ছোঁয়া লাগেনি টার্মিনালটিতে। সংস্কারের অভাবে পাবনা জেলার গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ঈশ্বরদীর একমাত্র ঐতিহ্যবাহী খায়রুজ্জামান বাবু বাস টার্মিনালটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। খানাখন্দ ও টার্মিনালের দুরবস্থার কারণে যেমন বাস পার্কিং করতে হচ্ছে কষ্টে, ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও।  সরজমিনে দেখা যায়, টার্মিনাল ভবনের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। ছাদ ড্যামেজ, দেয়ালে ফাটল, ছাদের প্লাস্টার খসে রড বেরিয়ে গেছে, শৌচাগার ব্যবহারে অযোগ্য। দেয়াল ও ছাদের প্লাষ্টার খসে পড়ায় দীর্ঘদিন ধরে একমাত্র ক্যান্টিনও বন্ধ। টার্মিনাল ভবনের ভেতরে যাত্রীদের বসে থাকার পাকা বেঞ্চ থাকলেও আশপাশে ময়লা ও দুর্গন্ধে যাত্রীরা সেখানে কখনো আসে না। কিছু ভিক্ষুক ও মানসিক প্রতিবন্ধী এখানে দিনে ও রাতে থাকে। অপরদিকে জরাজীর্ণ যাত্রীছাউনি ও পরিত্যক্ত টয়লেটের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। বাস চলাচল ও যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে ১৯৯৫ সালের ১৯ জুলাই রেলওয়ে থেকে দুই একর জমি লিজ নিয়ে ১ কোটি ১ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এই বাস টার্মিনাল নির্মাণ করে। পরে তারা এটি পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করে। পৌর কর্তৃপক্ষ প্রয়াত পৌরসভার চেয়ারম্যান আলহাজ খারুজ্জামান বাবুর নামে এটির নামকরণ করেন খায়রুজ্জামান বাবু বাস টার্মিনাল। টার্মিনাল নির্মাণের কারণে ঈশ্বরদীর সঙ্গে পাবনা, ঢাকা, রাজশাহীসহ দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজতর হয়েছিল। কিন্তু সময়ের পরিক্রমা ও কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে একমাত্র বাসস্ট্যান্ডটি এখন জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হওয়ার পর থেকে এ উপজেলায় চলাচলকারী গাড়ির চাপ আগের চেয়ে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যাত্রীদের চাপও বেড়েছে অনেকখানি। প্রতিদিন দূরপাল্লা ও জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে এ টার্মিনাল থেকে প্রায় ৭০টি বাসে ৩ থেকে ৪ হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে। কিন্তু সংস্কারের অভাবে টার্মিনাল ভবন ও পার্কিংয়ের জায়গা জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় বৃষ্টির পানি জমে যাত্রী ভোগান্তি এখন চরমে। জমে থাকা কাদা ও পানির কারণে পা পিছলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বাসস্ট্যান্ডে নেই টয়লেট ও যাত্রী বিশ্রামাগার। ফলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীরা।  যাত্রী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভার একমাত্র বাস টার্মিনালটির এমন অব্যবস্থাপানা কি কারোই চোখ পড়ে না। মানুষ কত কষ্ট করে যাতায়াত করছে, বউ-বাচ্চা নিয়ে যাতায়াত করা তো অসম্ভব। এই যে আমি টার্মিনালে এসে নামলাম, এখন আমাকে জুতা খুলে প্যান্ট ওপরে তুলে তারপর টার্মিনাল থেকে বের হতে হবে। পুরো টার্মিনালে যে কাদা এর চেয়ে তো গ্রামের রাস্তাও ভালো।  পাবনা জেলা মটর মালিক সমিতি ঈশ্বরদী শাখার সিনিয়র সহসাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, টার্মিনালে খানাখন্দের কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে। অধিকাংশ সলিং নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি জমলেই কাদামাটিতে ভরে যায় জায়গাটি। ফলে কষ্ট করে যাত্রীদের ওঠানামা করতে হয়। আমরা এখন নিরুপায়, পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আবেদন টার্মিনালটি যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়। ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আসাদুর রহমান বিরু বলেন, বাস টার্মিনালটি উদ্বোধনের পর ২৮ বছর পেরিয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সংস্কার করা হয়নি, এতে যাত্রী ভোগান্তি বেড়েছে। ঈশ্বরদীর মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় একটি আধুনিক বাস টার্মিনাল হবে এটি এখন সময়ের দাবি। ঈশ্বরদী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, ২০০৭-০৮ সালে টার্মিনাল ভবনের ছাদ ড্যামেজ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে ছাদে প্যাটেন স্টোন ঢালাই দেওয়া হয়। সে সময় যাত্রীদের বসার জন্য বেশ কয়েকটি পাকা বেঞ্চ নির্মাণ করা হয়। অর্থ বরাদ্দ না থাকায় পরবর্তীতে আর কোনো সংস্কারকাজ করা সম্ভব হয়নি।  বর্তমান পৌর মেয়র ইসাহক আলী মালিথা বলেন, টার্মিনালটি পৌর সভার নিজস্ব জায়গা না। সে সময় রেলওয়ে জমি লিজ নিয়ে টার্মিনাল করা হয়েছিল। পৌরসভার উন্নয়ন প্রকল্প পেতে হলে নিজস্ব সম্পত্তিতে প্রতিষ্ঠানটি হতে হয়। তারপরও যাত্রী ভোগান্তি যেন না হয় সে জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল যাচ্ছে কাঁচপুরে
রাজধানীতে যানজট নিরসন ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল স্থানান্তর করা হবে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে। সেখানে ১২ বিঘা জমির ওপর ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ছয় মাসের মধ্যে টার্মিনাল যানবাহন রাখার উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। গতকাল বুধবার নির্মাণকাজ উদ্বোধন শেষে এসব কথা জানান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। মেয়র বলেন, এখান থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেটের ১৬টি জেলায় গণপরিবহন চলাচল করবে। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ খান বলেন, ঢাকা শহর থেকে পর্যায়ক্রমে টার্মিনালগুলো সরাতে হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের যে জায়গায় কাঁচপুর বাস টার্মিনাল নির্মিত হচ্ছে, এখান থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলার প্রায় ১১ হাজার যাত্রীবাহী বাস চলাচল করবে। এই বাসগুলো ঢাকার বাইরে চলে এলে যানজট ৩০ শতাংশ কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন সড়ক পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন। করপোরেশনের সিইও মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক হায়দর আলী, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিন, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমেদ, কাঁচপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
১০ আগস্ট, ২০২৩

নির্মাণ কাজের উদ্বোধন / সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল যাচ্ছে কাঁচপুরে
রাজধানীতে যানজট নিরসন ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল স্থানান্তর করা হবে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে। সেখানে ১২ বিঘা জমির ওপর ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আগামী ছয় মাসের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের বাস টার্মিনাল যানবাহন রাখার উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।  বুধবার (৯ আগস্ট) নির্মাণকাজ উদ্বোধন শেষে এ কথা জানান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। মেয়র বলেন, ‘১৯৮৪ সালে সায়েদাবাদের পর ঢাকায় আর কোনো বাস টার্মিনাল নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নগর পরিবহণ ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতেই ঢাকার বাইরে আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে। এখান থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেটের ১৬টি জেলায় গণপরিবহন চলাচল করবে। সায়েদাবাদে কেবল নগর পরিবহনের সেবায় থাকা বাস চলবে। দূর পাল্লার যাত্রীদের জন্য সায়েদাবাদ থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত বাস সুবিধা থাকবে। শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘টার্মিনাল চালু হলে ঢাকায় যানজট কমে আসবে। ফিরবে পরিবহণ শৃঙ্খলা। কাঁচপুর ছাড়াও হেমায়েতপুর, কামরাঙ্গীরচরে বাস টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ সিটির। এরই অংশ হিসেবে আজকে কাঁচপুরে নির্মাণকাজের উদ্বোধন। আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে এই টার্মিনাল নির্মাণে ২৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। আশা করছি, ছয় মাসের মধ্যে টার্মিনাল বাস রাখার জন্য উপযোগী করে তোলা হবে।’ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ খান বলেন, ‘ঢাকা শহর থেকে পর্যায়ক্রমে টার্মিনালগুলোকে সরাতে হবে। কাঁচপুর থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের পরিবহণ চলাচল করবে। ঢাকায় গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকারের উদ্যোগের পাশে রয়েছি আমরা। ঢাকার যানজট নিরসনে মালিক সমিতি সিটি করপোরেশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।’ সড়ক ও জনপথ বিভাগের যে জায়গায় কাঁচপুর বাস টার্মিনাল নির্মিত হচ্ছে এখান থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলার প্রায় ১১ হাজার যাত্রীবাহী বাস চলাচল করবে। এই বাসগুলো ঢাকার বাইরে চলে এলে ঢাকার যানজট ৩০ শতাংশ কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন সড়ক পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহণ মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিন, ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমেদ, স্থানীয় কাঁচপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
০৯ আগস্ট, ২০২৩
X