নির্মাণের দুই বছর পর চালু হলো শেরপুর পৌর বাস টার্মিনাল। শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে জেলার অষ্টমীতলায় নির্মিত এই টার্মিনালের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক।
পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বাস কোচ মালিক সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু।
২০০৯ সালে শহরের অষ্টমীতলায় তিন একর জমিতে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে টার্মিনালের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হয়। কিন্তু মাঝে ১০ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৯ সালে আবারও শুরু হয় এর নির্মাণকাজ, যা শেষ হয় ২০২১ সালে। এ ছাড়া আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে ভবনসহ আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়।
এই টার্মিনাল চালুর মধ্যে দিয়ে শহরবাসী যানজট থেকে মুক্তি পাবে। এর আগে জেলার সব গাড়ি শহরের ভেতর দিয়ে চলাচল করায় যানজটের সৃষ্টি হতো। এ ছাড়া এই টার্মিনাল হয়ে জেলার সব নাইটকোচ গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক বাইপাস সড়ক হয়ে শহর পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, এই টার্মিনালটি চালু হওয়ায় আশপাশে কর্মসংস্থান বাড়বে। এরই মধ্যে ওই এলাকায় বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ, ওষুধের দোকান, ইলেকট্রনিকসের দোকানসহ বিভিন্ন দোকান চালু হয়েছে। তবে যাত্রীদের আনাগোনা বাড়লেই প্রাণ ফিরবে টার্মিনালে।
শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন বলেন, শহরে যানজটের প্রধান কারণ যত্রতত্র বাস দাঁড়ানো। নির্দিষ্ট কোনো টার্মিনাল না থাকায় চালকরা যেখানে-সেখানে বাস দাঁড় করিয়ে রাখেন, তাতে সৃষ্টি হয় যানজটের। এই নতুন বাস টার্মিনাল চালু হওয়ায় শহরের যানজট অন্তত ২৫ শতাংশ কমে যাবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হাসান উৎপল, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মোখলেছুর রহমান, মিনহাজ উদ্দিন মিনাল, অ্যাড. মোসাদ্দেক ফেরদৌসী, অ্যাড. সুব্রত কুমার দে ভানুসহ অন্যান্য নেতাসহ পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন