নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ চলছে
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ চলছে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ করছে বিএনপি। শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৪টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। যদিও সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকেল ৩টায়। এরই মধ্যে দলের নেতারা মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন। ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন, তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এতে বিশেষ অতিথি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ১৯টি শর্তে নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) মো. আবু ইউসুফের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ অনুমতি দেওয়া হয়। গত বছরের ২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এরপর থেকে দিবসভিত্তিক কিছু কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। তবে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে এ বছরের প্রথম সমাবেশ করছে দলটি।
১০ মে, ২০২৪

বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করবে বিএনপি। শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। দিদার বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সমাবেশ সফল করতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি কয়েক দফায় যৌথ সভাও করেছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা। গ্রেপ্তার এড়াতে কেন্দ্রীয় অসংখ্য নেতা ছিলেন আত্মগোপনে। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে গেছেন। সম্প্রতি শতাধিক নেতাকর্মী কারাবন্দি হয়েছেন। গ্রেপ্তার ও আটক থেমে নেই। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে উপজেলা নির্বাচন; কিন্তু বিএনপি এই উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে। পাশাপাশি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকতে সারা দেশে লিফলেট বিতরণসহ কর্মিসভা করছে। বিএনপির নেতাদের দাবি, তাদের আন্দোলন শেষ হয়নি; বিরতি চলছে। হামলা-মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে নানামুখী তৎপরতা চলছে। যে কোনো সময় আন্দোলনের বড় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তার আগে ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধ এবং সক্রিয় করা হবে। এদিকে নতুনভাবে গ্রেপ্তার বন্ধ এবং কারাবন্দিদের মুক্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি প্রদানের চিন্তা করছে বিএনপির হাইকমান্ড। গত বুধবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। তা ছাড়া আজ এবং আগামীকালের সমাবেশের পর ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জুনের প্রথমার্ধ পর্যন্ত স্বাভাবিক কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো। এর আগে গত ১ মে শ্রমিক দিবসে বড় ধরনের শোডাউন করেছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ১৯টি শর্তে নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) মো. আবু ইউসুফের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে এই অনুমতি দেওয়া হয়। 
১০ মে, ২০২৪

বিএনপির সমাবেশ স্থগিত
তীব্র দাবদাহের কারণে আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।  মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু সোমবার (২২ এপ্রিল) কালবেলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। এক বার্তায় বিএনপি জানায়, সোমবার (২২ এপ্রিল) নয়াপল্টনস্থ ভাসানী ভবনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এক যৌথসভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সভা থেকে জানানো হয়, দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে আসলে সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচির পরবর্তী তারিখ ও সময়সূচি জানানো হবে। সভায় দাবদাহের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ মোকাবিলায় নাগরিকদের পাশে থাকার জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করে বিএনপি। তবে দলীয় কর্মসূচি হিসেবে নির্বাচনের আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর সর্বশেষ রাজধানীতে সমাবেশ করেছিল বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে চলে সংঘর্ষ। এতে পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান।  এর পরদিন উত্তরার বাসায় গ্রেপ্তার হন ফখরুল। এরপর থেকে কয়েক মাস কারাবন্দি ছিলেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় জেলেই ছিলেন তিনি। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।  
২২ এপ্রিল, ২০২৪

বিএনপির সমাবেশ থেকে সাংবাদিকদের ওপর হামলায় বিচারের দাবি
বিএনপির মহাসমাবেশের দিন (২৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন আহত সাংবাদিক ও জ্যেষ্ঠ নেতারা। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা। হামলার শিকার সাংবাদিকরা বলেন, যারা প্রকাশ্যে হামলা চালিয়েছে তাদের ফুটেজ আছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে বিশ্বাস রাখতে চান তারা। অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তারা। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব দীপ আজাদ বলেন, যারা সাংবাদিকদের ওপর নির্মমভাবে হামলা করেছে তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে বলেও দাবি জানান তিনি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপি দেশে অরাজকতা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সাংবাদিকদের কাজ সব কিছু প্রকাশ করা। আর সেই ভয়ে তাদের অপকর্ম যেন বিশ্ববাসী দেখতে না পারে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে না আসে, সে জন্য বিএনপির সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ বলেন, সাংবাদিকদের ওপর যারা আক্রমণ করেন, তার প্রতিবাদটাও সেভাবে দিতে হবে। একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের মাথায় আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ দু’মাস হয়ে গেছে, এর বিচার তো দূরের কথা আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান তিনি। মানববন্ধনে নির্যাতিত সাংবাদিকদের পক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে এ বিষয়ে আমরা বহুবার বলেছি এবং এটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সকল রাজনৈতিক দলের। যারা সাংবাদিকদের উপরে নির্বিচারে হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি। অপরাধীদের চিহ্নিত করে যাতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হয় আমরা তার দাবি জানাই। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন বলেও জানান তিনি। মানববন্ধনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, গত ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের ওপরে বিএনপি হামলা করে প্রমাণ করেছে তারা একটি সন্ত্রাসী দল। বিএনপি এখন আর রাজনৈতিক দল নয়। তারা যদি রাজনৈতিক দল হতো তাহলে কখনোই এভাবে সাংবাদিকদের উপরে হামলা করতে পারত না।  
০৪ জানুয়ারি, ২০২৪

বিএনপির সমাবেশ থেকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন আহত সাংবাদিক ও জ্যেষ্ঠ নেতারা। তারা বলেন, সাংবাদিকদের ওপরে নির্বিচারে হামলা হয়েছে কিন্তু দুমাসেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির সমাবেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন নির্যাতিত সাংবাদিকরা।  হামলার শিকার সাংবাদিকরা বলেন, আমাদের ওপর যারা প্রকাশ্যে হামলা চালিয়েছে তাদের ফুটেজ আছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমাদের ওপরে যারা হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে বিশ্বাস রাখতে চাই। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব দীপ আজাদ বলেন, যারা সাংবাদিকদের ওপর নির্মমভাবে হামলা করেছে, প্রশাসন যাতে তাদেরকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসে। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে বলেও দাবি জানান তিনি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপি দেশে অরাজকতা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সাংবাদিকদের কাজ সবকিছু প্রকাশ করা। আর সেই ভয়ে তাদের অপকর্ম যেন বিশ্ববাসী দেখতে না পারে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে না আসে, সে জন্য বিএনপির সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ বলেন, সাংবাদিকদের ওপর যারা আক্রমণ করেন, তার প্রতিবাদটাও সেভাবে দিতে হবে। একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের মাথায় আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ দুমাস হয়ে গেছে, এর বিচার তো দূরের কথা আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান তিনি। মানববন্ধনে নির্যাতিত সাংবাদিকদের পক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে এ বিষয়ে আমরা বহুবার বলেছি এবং এটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সকল রাজনৈতিক দলের। যারা সাংবাদিকদের ওপরে নির্বিচারে হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি। অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করে যাতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হয় আমরা তার দাবি জানাই। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন বলেও জানান তিনি। মানববন্ধনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, গত ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের ওপরে বিএনপি হামলা করে প্রমাণ করেছে তারা একটি সন্ত্রাসী দল। বিএনপি এখন আর রাজনৈতিক দল নয়। তারা যদি রাজনৈতিক দল হতো তাহলে কখনোই এভাবে সাংবাদিকদের ওপরে হামলা করতে পারত না।
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০

বিএনপির সমাবেশ নিয়ে চরমোনাই পীরের হুঙ্কার
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, দেশ এখন চরম সঙ্কটময় মুহূর্ত অতিক্রম করছে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও দেশের মানুষ নাগরিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। তারা এখনও অধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন করছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলের আন্দোলনে বাধা প্রদান করলে রাজপথ আরও প্রকম্পিত হবে। জনতার উত্তাল তরঙ্গ শুরু হবে। সভাসমাবেশে বাধা দিলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে। অতএব বাধা না দিয়ে দ্রুত ক্ষমতা ছাড়ুন। আজ শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ‘চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে রাসুল সা.-এর সিরাত’ শীর্ষক জাতীয় সিরাত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। চরমোনাই পীর বলেন, জাতীয় সম্পদের অপরিকল্পিত অপব্যবহারের মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া করে দিয়েছে। যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। একই সমস্যাকে কেন্দ্র করে দিনদিন দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে দেশ অস্থিতিশীলতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। নিম্নবিত্ত তো বটেই মধ্যবিত্তের নাগরিকরাও জীবনধারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি সুন্নাহকে উপেক্ষা করে মানবরচিত বুর্জোয়া নীতি আদর্শের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজ করার কারণেই দেশের সর্বস্তরের নাগরিকদের এসব সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। সুন্নাহর আলোকে জাতীয় সম্পদের অপব্যবহার রোধের মাধ্যমে এসকল জাতীয় সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব। তিনি বলেন, নববী আদর্শ বাদ দিয়ে মানবরচিত কুফরি মতবাদের অনুসরণ ও অনুকরণর কারণে দেশের সামগ্রিক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ইসলামী অনুশাসন বাদ দিয়ে অন্য কোনো বুর্জোয়া মতবাদের প্রাধান্য দেয়া কখনোই বুদ্ধিমান শাসকদের কাজ হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, এখানকার রাজনীতির ধরণ দেখলে মনে হয় দেশ প্রাকসভ্য পর্যায়ে রয়েছে। বিগত জাতীয় নির্বাচনসমূহ ভোট ডাকাতির মহোৎসব করে গণতন্ত্র ও স্বাধীনভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও দেশের রাজনীতি অস্থির হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে গলাটিপে হত্যা করেছে। প্রশাসনকে নির্জীব আজ্ঞাবহ করে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে বাঁচো-মরো পরিস্থিতিতে ফেলেছে। যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এই অবস্থার পরিবর্তনে ক্ষমতাসীনদেরকেই প্রদান ভূমিকা নিতে হবে। আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু ও শান্তি পূর্ণ করতে হবে। সে জন্য জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, নয়া দিগন্তের সিনিয়র সহসম্পাদক মাওলানা লিয়াকত আলী, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুফতি ইমামুদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুফতি রশীদ আহমাদ, মাওলানা মুহাম্মাদ যাইনুল আবেদীন, আল্লামা ওবায়দুল কাদের নদভী, ড. হুসাইনুল বান্না, অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম অপু, আহমদ বদরুদ্দীন খান, মুফতি শামছুদ্দোহা আশরাফী। সম্মেলনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলামিস্ট ও সিরাত গবেষক করেন কবি মুসা আল হাফিজ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন আলতাফ হোসেন, ডা. শহীদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, ফজলুল হক মৃধা, নজরুল ইসলাম খোকন, এমএম শোয়াইব, জিয়াউল আশরাফ, নাযীর আহমাদ শিবলী, মুফতি আবদুল আহাদ প্রমুখ। চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম আরও বলেন, সরকার বিরোধী দল দমনে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। প্রশাসন ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। হামলা, মামলা দিয়ে নিরীহ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ও ৩ নভেম্বর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সরকার ভয়ে এসব সমাবেশে ঘিরে নানা অপকৌশল গ্রহণ করেছে। স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে ওঠেছে। ৩ নভেম্বরের পূর্বে সরকার সসম্মানে পদত্যাগ না করলে ৩ নভেম্বরের পরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতির সকল দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে। তিনি বলেন, ৩ নভেম্বর ঢাকায় জনতার মহাস্রোত নামবে। জনতার স্রোতে সরকার ভেসে যাবে ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন, সর্বত্র অশান্তির আগুন জ্বলছে। মানুষ গড়ে থাকলে খুন হয়, আর রাস্তায় বের হলে হয় গুম। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলা যাচ্ছে না। সরকার বাকশাল কায়েম করতে চায়। এ জন্যেই স্বচ্ছ ভোট দিতে চায় না। তামাশার ভোট আয়োজন করলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। জাতীয় সরকারের অধীন ছাড়া কোনো নির্বাচন সহ্য করা হবে না। চরমোনাই পীর বলেন, দেশ আজ নিশ্চিত ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করে জলকামান, টিয়ারসেল, বুলেট মেরে জনতার যৌক্তিক আন্দোলন দাবিয়ে রাখতে চায়। সরকার দেশের জনগণের ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে।
২৭ অক্টোবর, ২০২৩

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে আজ বিএনপির সমাবেশ
সরকারের পদত্যাগ দাবিতে একদফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ বুধবার ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে দুটি সমাবেশ করবে বিএনপি। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে দুপুর আড়াইটায় গাবতলী এসএ খালেক প্রোপার্টি চত্বরে অনুষ্ঠেয় সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। অন্যদিকে বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে ফতুল্লা পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন ময়দানে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান প্রধান অতিথি থাকবেন। এ ছাড়া বিএনপির শরিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এবং এলডিপি বিকেল ৩টায় কাওরান বাজার এফডিসি সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে। গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য সকাল সাড়ে ১০টায় সেগুনবাগিচা হাইস্কুলের সামনে সমাবেশ ও পরে পদযাত্রা করবে।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ধোলাইখালে বিএনপির সমাবেশ শুরু
সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ একদফা দাবিতে রাজধানীর ধোলাইখালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়েছে।  সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে তিনটার দিকে কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সভা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম।   তিনটি পিকআপের ওপর করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ মঞ্চ। এ সমাবেশে যোগদিতে বেলা এগারটা থেকেই মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে  সমাবেশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছেন। ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। আজ দুপুরে ঢাকার আমিনবাজার চিশতি ফিলিং স্টেশনের সামনে সমাবেশ করতে চেয়েছিল দলটি। কিন্তু রাতের অন্ধকারে নির্ধারিত স্থানে তৈরি করা মঞ্চ পুলিশের উপস্থিতিতে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ করছে দলটি। বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, রাতের অন্ধকারে পুলিশের উপস্থিতিতে মঞ্চটি ভেঙে ফেলা হয়।
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X