এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ
সদ্য প্রয়াত সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ রোববার বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ। আজ সকাল সাড়ে ১০টার পর আপিল বিভাগ ও বেলা ১১টার পর হাইকোর্টের কোনো বেঞ্চ বসবেন না। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, আইনজীবীরা শুধু আজ তাদের মামলা মেনশন করার সুযোগ পাবেন। মেনশনের সুবিধার্থে আপিল বিভাগ সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ও হাইকোর্ট বিভাগ সকাল ১১ টা পর্যন্ত বসবেন। এর আগে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চারজন বিচারপতি আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চে বসেন। গত ২ মে মারা যান এ জে মোহাম্মদ আলী। সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে দেশটির মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বাবা এম. এইচ. খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
০৫ মে, ২০২৪

খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণের আহ্বান প্রধান বিচারপতির
খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টায় মৌলভীবাজার জেলা সফরের অংশ হিসেবে শ্রীমঙ্গলের রাজঘাট চা বাগানে বিলুপ্তপ্রায় খাড়িয়া ভাষায় কথা বলা শেষ দুই ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সরকারকে এ আহ্বান জানান তিনি।   প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা, কিন্তু অনেকের মাতৃভাষা ভিন্ন। ইতোমধ্যে সরকারের তরফ থেকে খাড়িয়া ভাষা রক্ষায় কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে আরও জোরারোপ করা প্রয়োজন। ভারতের যেসব  অঞ্চলে এ ভাষার প্রচলন আছে, সেখানে যোগাযোগ স্থাপন করে খাড়িয়া বর্ণমালা প্রচলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে এ ভাষার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি। খাড়িয়া ভাষায় কথা বলা মাত্র দুই ব্যক্তি অবশিষ্ট আছেন বাংলাদেশে, যারা সম্পর্কে দুই বোন। এদের নাম ক্রিস্টিনা কেরকেট্টা ও ভেরোনিকা কেরকেট্টা। ভারতের রাঁচি থেকে তাদের বাবা মা বাংলাদেশে এসেছিলেন। ভারতের ঝাড়খণ্ড এবং উড়িষ্যায় খাড়িয়া ভাষার প্রচলন আছে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় কুশিয়ারা আন্তর্জাতিক কনভেনশন হলে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় দেওয়া বক্তৃতায়ও খাড়িয়া ভাষা ও নাগরী লিপি সংরক্ষণের আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি।
০৩ মে, ২০২৪

অপেক্ষা করুন, আদালতের হাত অনেক লম্বা : প্রধান বিচারপতি
নিবন্ধন বাতিলের পরও সভা-সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। যা আপিল বিভাগের নজরে আনা হলে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেন, অপেক্ষা করুন, আদালতের হাত অনেক লম্বা। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) জামায়াতের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে বারবার সময় নেওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করে এসব কথা বলেন তিনি।   জামায়াতের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন তুহিনের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, কেন বার বার সময় নিচ্ছেন। সময় নিয়ে কোর্টে আসেন না কেন। এখানে সময় নেবেন আর অন্য কোর্টে মামলা করবেন তা হতে পারে না। শেষ বারের মত সময় দিচ্ছি। এটা মনে রাখবেন আদালতের হাত অনেক লম্বা।  এরপর আগামী ৬ নভেম্বর এই মামলা শুনানির জন্য দিন ধার্য করে দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ। আইনজীবী জয়নুল আবেদীন তুহিন বলেন, প্রস্তুতির জন্য সময় দরকার। প্রধান বিচারপতি বলেন, কিসের প্রস্তুতি। যদি কেস না চালান তাহলে বলবেন তাহলে আমরা সেভাবে আদেশ দেব। জামায়াতের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত ৬ জুলাই আবেদন করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। তিনি বলেন, আদালতের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত হয়েছে। সেই রায় বহাল আছে। কিন্তু রায় বহাল থাকার পরেও জামায়াত সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছে। যা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের লঙ্ঘন। এজন্য শুনানি না হওয়া পর্যন্ত সভা-সমাবেশ যাতে না করতে পারে সেজন্য নিষেধাজ্ঞা চাচ্ছি।  তানিয়া আমীর বলেন, গত জুলাই মাসে আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। এরপর চার মাস পেরিয়ে গেছে। প্রতিপক্ষ বারবার সময় আবেদন করেই যাচ্ছে।  প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক দল হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। বৃহত্তর বেঞ্চের দেওয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দলটি। সেই আবেদন আপিল বিভাগে বিচারাধীন। বিচারাধীন এই আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী যেন সভা-সমাবেশ, মিছিলসহ কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে না পারে সেই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।  তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ অন্যান্য রিটকারী নিবন্ধনবিহীন দল জামায়াতের সভা-সমাবেশসহ রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আপিল বিভাগে এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় এখন পর্যন্ত বহাল রয়েছে। রায় বহাল থাকাবস্থায় গত ১০ জুন জামায়াতে ইসলামী ঢাকায় সভা-সমাবেশ করেছে। উচ্চ আদালতের রায়ের পর দলটির এ ধরনের কর্মসূচি পালন বেআইনি। একইসাথে উচ্চ আদালতের রায়ের লঙ্ঘন। কারণ রায়ে বলা হয়েছে, দল হিসাবে জামায়াতের নিবন্ধন সংবিধান ও গণ-প্রতিনিধিত্ব আদেশের পরিপন্থী। অতএব কোনভাবেই দলটি সভা-সমাবেশ করার অনুমতি পেতে পারে না। এ ছাড়া নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য। কিন্তু এরপরেও সভা-সমাবেশে দলটির নিবন্ধন দাবি করে বক্তব্য প্রদান আদালত অবমাননার শামিল। প্রসঙ্গত, ১০ বছর আগে উচ্চ আদালতের রায়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত হয়। ঘোষিত ঐ রায়ের বিরুদ্ধে তখনই আপিল করে দলটি। এখন ওই আপিলটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।
১৯ অক্টোবর, ২০২৩

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আজ বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। খবর বাসসের। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সাক্ষাৎকালে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।  নতুন প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান আশা প্রকাশ করেন যে, তার নেতৃত্বে বিচার বিভাগের উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত হবে। এ সময় প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতিকে বিচার বিভাগের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা অবহিত করেন। তিনি আরও জানান, বিচারকদের প্রশিক্ষণের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বৈঠককালে রাষ্ট্রপ্রধান সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিচার বিভাগের উন্নয়নে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নে, সরকার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম ও সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
১৫ অক্টোবর, ২০২৩

সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে প্রধান বিচারপতির প্রতি ইউএলএফের আহ্বান
রাজনৈতিক বিশ্বাস বা আনুগত্য থেকে নয় নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী তার দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট (ইউএলএফ)। ইউএলএফ’র কেন্দ্রীয় কনভেনর সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এবং কো-কনভেনর সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের সদ্য নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান গত ২৬ সেপ্টেম্বর শপথ গ্রহণের পর যে বক্তব্য রেখেছেন, ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট তথা বাংলাদেশের আইনজীবী সমাজ প্রচণ্ডভাবে হতাশ এবং জনগণের অধিকার রক্ষার শেষ আশ্রয়স্থল বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। নেত্রীবৃন্দ উল্লেখ করেন, মাননীয় প্রধান বিচারপতির রাজনৈতিক অতীত সম্পর্কে আইনজীবী সমাজ অবগত এবং সে ব্যাপারে তাদের কোন বক্তব্য নেই। কিন্তু বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার সর্বোচ্চ চেয়ারে আসীন থাকা অবস্থায় রাজনৈতিক বক্তব্য, সরকার দলের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের কাছ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা গ্রহণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার নজির বিহীন ঘটনা। ইউএলএফ প্রত্যাশা করে যে, রাজনৈতিক বিশ্বাস বা আনুগত্য থেকে নয়, প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী তার দায়িত্ব পালন করবেন।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী পবিত্র ওমরাহ পালন উপলক্ষে ১১ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর দেশের বাইরে থাকবেন। এই সময়কালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।  সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর অনুপস্থিতিতে অর্থাৎ আগামী ১১ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অথবা তার যাত্রার তারিখ থেকে পুনরায় কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের দায়িত্ব প্রদান করেছেন। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৬ সালে জেলা আদালত, ১৯৮৮ সলে হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০০৫ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৯ সালের ৩০ জুন তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০১১ সালের ৬ জুন স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এরও চেয়ারম্যান ছিলেন।
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X