হলুদ দেয়ালে মাথা খুঁড়ে বিদায় পিএসজির
পিএসজির কেউ বলছেন দক্ষতার অভাব। কেউ বলছেন ভাগ্য সহায় হয়নি। কিন্তু বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের দুর্ভেদ্য হলুদ দেয়ালটা কি কারও চোখে পড়ছে না? যে দেয়ালে দুই দুইবার মাথা খুঁড়েই তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে পিএসজি। পার্ক দ্য প্রিন্সেসে মঙ্গলবার রাতে ১-০ গোলে হেরেছে তারা। সেমিফাইনালের প্রথম লেগেও একই ব্যবধানে হেরেছিল প্যারিসের ক্লাবটি। দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ গোলে পিএসজিকে হারিয়ে ১১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে ডর্টমুন্ড। প্যারিসের মধ্যরাত লুইস এনরিকের ভাগ্যে যে এমন দুর্ভোগ বয়ে আনবে, তা বোধ হয় তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। ঘরের মাঠে জেতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাস্তবে পরাজয় বরণ করতে হলো। শেষে বললেন, ‘আমি মনে করি না দুই ম্যাচে আমরা হীনমন্যতায় ভুগেছি। ম্যাচে ফল যা হয়েছে, তার জন্য প্রতিপক্ষকে ধন্যবাদ। ফাইনালের জন্য শুভকামনা রইল। আমাদের দিক থেকে বলব—এমন ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর সেরে উঠতে সময় লাগবে। যেভাবে আমরা হেরেছি, তাতে কষ্টটা বেশি হচ্ছে। দুই ম্যাচে ৬টি শট বারপোস্টে লেগেছে। ৩১টি শট নিয়ে আমরা কোনো গোল পাইনি। এটা সত্যি বিশ্বাস হচ্ছে না।’ এজন্য এনরিকে ভাগ্যের দোষ দিয়েছেন। কিন্তু ইতিহাস বলে, ভাগ্য সব সময় বীরের সহায়। ডর্টমুন্ড চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যে বীরত্ব নিয়ে ফুটবল খেলেছে, তাতে ফাইনালে না উঠলে অবিচার হতো। আক্ষরিক অর্থেই কুড়িয়ে-বাড়িয়ে দল গড়েছে ডর্টমুন্ড। অন্যরা যাদের বাতিল করেছে, তাদের আদরে বুকে টেনেছে জার্মান ক্লাবটি। আর সেই কুড়িয়ে পাওয়া মনিমুক্তাকে দারুণ মুনশিয়ানায় মালার মতো গেঁথেছেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ এদেন তেরজিচ।
০৯ মে, ২০২৪

মোস্তাফিজের পর চেন্নাইকে পাথিরানার বিদায়
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি আসরের ডেথ ওভারে চেন্নাই সুপার সিংসের ভরসা ছিল মোস্তাফিজুর রহমান ও মাতিশা পাথিরানার জুটির ওপর। তবে শেষ দিকের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই দুজনের কাউকে পাচ্ছে আইপিএলের সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ীরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য মোস্তাফিজকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর ইনজুরির কারণে ছিটকে যাওয়ায় নিজ দেশে ফিরে গেছেন লঙ্কান পেসার পাথিরানাও। এবারের আসরে আর ফিরবেন কি না, তা নিজেও জানতেন না পাথিরানা। এমনকি শ্রীলঙ্কায় ফেরার পরও এ বিষয়ে অনিশ্চিত ছিলেন তিনি। তবে এবারের টুর্নামেন্টে আর তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এক টুইটে এ কথা জানিয়েছেন লঙ্কান এই পেসার। আইপিএল শুরু আগে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার সিরিজ চলাকালে চোটে পড়েন পাথিরানা। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাঁ পায়ে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন তিনি। এরপর থেকে চোটের সঙ্গে লড়াই করছেন ডানহাতি এই ফাস্ট বোলার। তখন জানা গিয়েছিল, পুরোপুরি সেরে উঠতে অনন্ত চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ লাগবে তার। তবে এতটা সময় তিনি নেননি। চলতি আসরের প্রথম ম্যাচে না খেললেও চেন্নাইয়ের দ্বিতীয় ম্যাচেই মাঠে নেমে পড়েন পাথিরানা। তবে আসরের মাঝ পথে আবারও ইনজুরিতে পড়লেন লঙ্কান এই পেসার। গত ৫ মে ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে পাথিরানার দেশে ফেরার খবর জানায় চেন্নাই। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘চেন্নাই সুপার কিংসের পেসার মাতিশা পাতিরানা হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ভুগছেন, চোট থেকে সেরে ওঠার জন্য তিনি শ্রীলঙ্কায় ফিরে গেছেন।’ এরপর সোমবার রাতে এই টুইটে নিজের অবস্থা স্পষ্ট হয়েছে পাথিরানা। চলতি আসরে যে আর তাকে দেখা যাচ্ছে না তা নিশ্চিত করেন তিনি, ‘ভাঙা হৃদয়ে বিদায় বলতে হচ্ছে। এখন চেন্নাইয়ের ড্রেসিংরুমে আইপিএল শিরোপা দেখাই তার একমাত্র ইচ্ছা। চেন্নাই থেকে তিনি যে ভালোবাসা পেয়েছেন, দল থেকে যে আশীর্বাদ পেয়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞ তিনি।’ চলতি বছর ১ জুন মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিশ্বকাপের আগে সেরে উঠবেন তো পাথিরানা। এটা জানতে অবশ্য আরও অপেক্ষা করতে হবে। আইপিএলে ৬ ম্যাচে তার শিকার ১৩ উইকেট। রান উৎসবের আইপিএলেও ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৭.৬৮ করে। অন্যদিকে ৯ ম্যাচে মোস্তাফিজ নিয়েছিলেন ১৪ উইকেট। দলের এই দুই শীর্ষ বোলারকে ছাড়া ধর্মশালায় পাঞ্জাবকে হারায় চেন্নাই। মোস্তাফিজ-পাথিরানার বিদায়ের পর চেন্নাইয়ের একমাত্র বিদেশি পেসার এখন রিচার্ড গ্লিসন।
০৭ মে, ২০২৪

ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে মসজিদের ইমামকে রাজকীয় বিদায়
সম্মানস্বরূপ লাখ টাকা হাদিয়া দিয়ে ফুলেল সজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে রাজকীয়ভাবে মসজিদের ইমাম ও খতিবকে বিদায় জানিয়েছেন মুসল্লিরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের পাপরাইল দিঘির পূর্বপাড় বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম ও খতিবের বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করে মসজিদ কমিটি। মসজিদটির ইমাম ও খতিব ক্বারী মো. নুরুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার বাসিন্দা। স্থানীয় ও মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে মাত্র ৪০০ টাকা বেতনে এক চালা বিশিষ্ট পাপরাইল দিঘির পূর্বপাড় বায়তুল আমান জামে মসজিদে ইমামতি শুরু করেন ক্বারী মো. নুরুল ইসলাম। তার তত্ত্ববধায়নে দীর্ঘ ২৮ বছরে মসজিদটি সকলের সহযোগিতায় এক তলা বিল্ডিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়াও সাত তলা বিশিষ্ট একটি মিনারের কাজ চলমান রয়েছে। ইমাম নুরুল ইসলামের বয়স এখন ৫০ পেরিয়েছে। শেষ জীবনের সময়টুকু তিনি তার সন্তান ও আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে কাটাতে চান, মুসল্লিদের কাছে এমন দাবি জানালে মসজিদ কমিটি তার বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করে। মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার সকালে তাকে ফুলেল সজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বিদায় সংবর্ধনা জানান মুসল্লিরা। এসময় তাকে সম্মানস্বরূপ নগদ ২ লাখ টাকা ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়। বিদায় বেলায় রাজকীয় এমন সম্মান পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে সকল মুসল্লির জন্য দোয়া করেন ক্বারী মো. নুরুল ইসলাম। মুসল্লিরাও তার সুস্বাস্থ্য কামনা করেন। জসিম গাজী নামে এক মুসল্লি কালবেলাকে বলেন, মসিজদের ইমাম সাহেব খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তার কাছেই আমি আরবি ও কোরআন পড়া শিখেছি। তাকে কখনো দূরের মানুষ মনে হয়নি। বরং আমরা কোনো ভুল করলে তিনি ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী তা আমাদেরকে শুধরে দিতেন। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি আমাদের গ্রামেই ছিলেন। তাকে বিদায় দিতে কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু তার ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে তাকে বিদায় দিয়েছি আমরা। রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা পেয়ে ক্বারী মো. নুরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, জীবনের দীর্ঘ সময় মসজিদটিতে ইমামতি করেছি। এখানে আমার অনেক ছাত্র রয়েছেন। আমার ছাত্রসহ সকল মুসল্লি যেন ঈমানের সহিত পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে পারেন, এই দোয়া করি। তারা আমাকে যে রাজকীয় সম্মান দিয়েছেন, আল্লাহ তায়ালা যেন তাদেরকে এমন সম্মান দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে সম্মানিত করেন। রাজকীয় এই বিদায়কে আমৃত্যু স্মরণ রেখে সবার জন্য দোয়া করব। আমার পরিবারের জন্যও আমি দোয়া চাই। পাপরাইল দিঘির পূর্বপাড় বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. সোবহান সরদার কালবেলাকে বলেন, আমরা আমাদের আত্মার আত্মীয়কে বিদায় দিচ্ছি। দিনটি আমাদের জন্য বেদনার, কেননা সবারই পরম আত্মীয়কে বিদায় দিতে কষ্ট হয়। তবুও পৃথিবীর নিয়ম, মানতেই হবে আমাদের। ক্বারী সাজেব আমাদেরকে দীর্ঘ ২৮ বছর ইসলামের শিক্ষায় আলোকিত করেছেন। তার শিক্ষা নিয়ে আমরা জীবনে চলার চেষ্টা করব। ইমাম সাহেব ও তার পরিবারের জন্য সুস্বাস্থ্য কামনা করছি আমি। ছয়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিটন কালবেলাকে বলেন, ইমাম মানে পথপ্রদর্শক। দিঘিরপাড় জামে মসজিদের ইমামকে রাজকীয়ভাবে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে মসজিদ কমিটি ও মুসল্লিরা। এই সংবর্ধনা ইমামকে সম্মানিত করেছে। এমন বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করায় মসজিদ কমিটিকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাই।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

বিচিত্র / অশান্তির চাকরি ছেড়ে বসের সামনে নেচে গেয়ে বিদায়
কর্মক্ষেত্র নিজের মনের মতো না হলে সেখানে কাজ করা কঠিন। তবুও আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে অনেককে সেই কাজ করে যেতে হয়। এর পরও কেউ কেউ চাকরি ছাড়ার মতো সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তেমনি ভারতের পুনের এক কর্মচারী কর্মক্ষেত্রে অশান্তির পরিবেশ ও বসের দুর্ব্যবহারের মুখে ব্যতিক্রমী আয়োজনের মাধ্যমে চাকরি ছেড়েছেন। তিনি শেষ কর্মদিবসে রীতিমতো বাদকদল এনে বসের থেকে বিদায় নিয়ে তার সামনে বাজনা বাজিয়ে নেচে-গেয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে গেছেন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন ভারতের কনটেন্ট ক্রিয়েটর অনিশ ভাগত। তিনি জানান, ওই যুবকের নাম অনিকেত। তিনি সেলস অ্যাসোসিয়েট ছিলেন। তার ওই অফিসের পরিবেশ খুবই খারাপ। অফিসের বস অনিকেতকে সম্মান দিতেন না। তিন বছরেও বেতন তেমন বাড়েনি। তাই চাকরিটা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন অনিকেত। সে উপলক্ষে বসের সামনে ‘সারপ্রাইজ পার্টি’র আয়োজন করেন তিনি। সেদিন ম্যানেজার বের হতেই করমর্দন করে ওই কর্মচারী বলেন—‘সরি স্যার, বাই-বাই’। এরপর ঢোলের তালে নেচে-গেয়ে বেরিয়ে যান তিনি। তখন ছবি ও ভিডিও করার সময় বিরক্ত হন ওই ম্যানেজার। সূত্র: এনডিটিভি
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

বিদায় অভিনেতা রুমি
টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় মুখ অলিউল হক রুমি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি... রাজিউন)। সোমবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই অভিনেতা। কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই ক্যান্সার ধরা পড়ে রুমির শরীরে। এরপর চিকিৎসা নিতে ভারতে যান। সেখান থেকে ফিরে ঢাকাতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, রুমির শারীরিক অবস্থা প্রথমে স্থিতিশীল ছিল। এরপর চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। তবে হঠাৎ করেই অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো গেল না এ অভিনেতাকে। মৃত্যুর আগে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে এ অভিনেতা সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন। ক্যান্সার জয় করে আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চেয়েছিলেন। তবে ক্যান্সারের কাছে হেরে গেলেন অভিনেতা। সন্ধ্যায় বরগুনার গণকবরে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। বরগুনার বামনা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ও হামিদা হকের মেজ ছেলে ছিলেন রুমি। তিনি দীর্ঘদিন মঞ্চেও অভিনয় করেছেন। থিয়েটার বেইলি রোডের আলোচিত ‘এখনও ক্রীতদাস’ নাটকে অনবদ্য অভিনয় করেছেন তিনি। শোবিজে তার অভিষেক হয় আলোচিত ধারাবাহিক ‘কোন কাননের ফুল’ নাটক দিয়ে। চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো ‘সাজেশন সেলিম’, ‘বোকাসোকা তিনজন’, ‘মেকাপ ম্যান’, ‘ঢাকা টু বরিশাল’, ‘ঢাকা মেট্রো লাভ’, ‘জার্নি বাই বাস’, ‘যমজ-৫’, ‘যমজ-৬’, ‘যমজ-১০’, ‘রতনে রতন চিনে’, ‘২০০ কদবেলী’ ইত্যাদি।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় জাতীয় পতাকার রূপকারের শেষ বিদায়
শ্রদ্ধায় আর ভালোবাসায় জাতীয় পতাকার রূপকার শিবনারায়ণ দাসের শেষ বিদায় জানানো হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় নিজ জন্মস্থান কুমিল্লা টাউনহল প্রাঙ্গণে মরদেহ রাখা হয়। সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ও কুমিল্লার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।  আ.লীগ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।  শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, ‘উনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আমার নেতা। এই জাতি একজন উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারালো। শিবুদার মাঝে রাজনীতি নিয়ে ক্লান্তি ছিল না। উনি আমাদের হাতে পোস্টার বানিয়ে দিতেন। আমরা পুরো শহর সেই পোস্টার বিলিয়ে দিতাম। এমন একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদকে কুমিল্লার মানুষ হারিয়েছে। যত দিন বাংলাদেশের ইতিহাস থাকবে, ততদিন এই জাতি উনাকে স্মরণ করবে।’  বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখি বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধের সময় শিবুদার সহযোগী ছিলাম। আমরা গর্বিত যে, শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত আমরা তাকে শ্রদ্ধা জানাতে পেরেছি।’ সাহিত্যিক ও গবেষক ড. আলী হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘তিনি একজন সৎ ও মিশুক মানুষ ছিলেন। এমন মানুষ বিরল। আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে উনাকে বিদায় জানিয়েছি। এই জাতি উনাকে আজীবন স্মরণ রাখবে।’ আবৃত্তিজোট কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, শিবনারায়ণ দাসের নকশা করা পতাকা বাংলার আকাশে প্রথম উড়েছিল। সেই শিবনারায়ণ দাস কুমিল্লার সন্তান। এটা আমাদের কুমিল্লাবাসীর জন্য গৌরবের ও অহংকার। তার শেষ বিদায়ে আমরা যথাযোগ্য মর্যাদার সহিত বিদায় জানিয়েছি। জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, উনি একজন রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পতাকা শিবনারায়ণ দাসের হাতেই হয়েছি। উনি কখনো নিজের জন্য ভাবেননি। উনিই প্রথম কুমিল্লার টাউনহল মাঠে পাকিস্তানের পতাকা পুড়েছিলেন। আমরা সবার পক্ষ দাবি জানাই, শিবনারায়ণ দাসকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হোক। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শিবনারায়ণ দাসের সহধর্মিনী বীর মুক্তিযোদ্ধা গীতশ্রী চৌধুরী বলেন, আমি ৫৫ বছর ধরে তার সঙ্গে ছিলাম। সেই যুদ্ধের সময়কাল থেকে। এই কুমিল্লা শিবনারায়ণ দাসের প্রাণের কুমিল্লা। শেষ সময় পর্যন্ত কুমিল্লাবাসী শিবনারায়ণ দাসের পাশে ছিলেন। আমরা কৃতজ্ঞ। শিবনারায়ণ দাসের ছেলে আদিত্য অর্নব বলেন, আজকে আমার বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে যারা এখানে এসেছেন, সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমার বাবা সবসময় চাইতেন, দুঃখ ও দূর্দশামুক্ত হয়ে এই দেশ যাতে সামনে এগিয়ে যাই। আমার বাবা দেশের জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকতেন। আমি আমার বাবার আদর্শ লালন করে বড় হতে চাই। বাংলাদেশের প্রথম পতাকার অন্যতম নকশাকার ৭৮ বছর বয়সে জাসদ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শিবনারায়ণ দাস শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান। কুমিল্লায় তাঁর স্বজন, সহযোদ্ধাসহ গনমানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শিবনারায়ণ দাসের মরদেহ আবার ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা ও বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি বীরমুক্তিযোদ্ধা শিবনারায়ণ দাসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাঁর  চক্ষু ঢাকা মেডিকেলের সন্ধানীতে সংরক্ষিত থাকবে। অন্যদিকে তাঁর পরিবার শিবনারায়ণের মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করেছেন। আর তাই আজ তাঁর মরদেহ ঢাকা বারডেমের মরচ্যুয়ারিতে রাখা হবে বলে জানা গেছে।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

ফুলে ফুলে শেষ বিদায় শিবনারায়ণ দাসকে
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শিবনারায়ণ দাসকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ। গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে তার কফিন নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রথমে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা হিসেবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে পৌনে ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তিরা তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। শিবনারায়ণ শুক্রবার বিএসএমএমইউয়ে মারা যান। তার চোখ সন্ধানীতে দান করা হয়েছে এবং দেহ বিএসএমএমইউতে দান করা হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিবনারায়ণ দাসের কফিনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। তাদের সঙ্গে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানও শ্রদ্ধা জানান। কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ঢাবি প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। এ ছাড়া শ্রদ্ধা জানিয়েছে ছাত্র ফ্রন্ট, জাতীয় শ্রমিক লীগ, জাতীয় নারী জোট, সিপিবি, গণ আজাদী লীগ, জাসদ, দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গণজাগরণ মঞ্চ, ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ গ্রুপ ফেডারেশন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন। পরে বিকেল ৪টায় কুমিল্লা টাউনহল প্রাঙ্গণে তার মরদেহ রাখা হলে সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ও কুমিল্লার সর্বস্তরের মানুষ। তাদের মধ্যে রয়েছেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখি, সাহিত্যিক ও গবেষক ড. আলী হোসেন চৌধুরী, আবৃত্তিজোট কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বস্তরের শ্রদ্ধায় শিব নারায়ণ দাশকে শেষ বিদায়
জাতীয় পতাকার প্রথম নকশাকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাশকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে ও সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধাঞ্জলির মাধ্যমে শেষ বিদায় জানিয়েছেন।   শনিবার সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শিব নারায়ণ দাশের কফিন নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রথমে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা হিসেবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।  এরপর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সকাল পৌণে ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তিরা তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।  ৭৫ বছর ৪ মাস বয়সী শিব নারায়ণ দাশ শুক্রবার সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।  শহীদ মিনারে শিব নারায়ণ দাশের কফিনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলটির সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। তাদের সঙ্গে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানও শ্রদ্ধা জানান।  এ ছাড়া শ্রদ্ধা জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় শ্রমিক লীগ, জাতীয় নারী জোট, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, পুলিশ থিয়েটার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গণজাগরণ মঞ্চ, সহযাত্রী, মনিপুরপাড়া তরুণ সংঘ, বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টি, বাংলাদেশ গ্রুপ ফেডারেশন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ইত্যাদি সংগঠনের সদস্যরা। শ্রদ্ধা নিবেদনে শেষে ড. আব্দুর রাজ্জাক কালবেলাকে বলেন, শিব নারায়ণ দাশের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। কুমিল্লাতে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি সকল আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে ৬০ দশকে যারা আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন তাদের মধ্যে শিব নারায়ণ দাশ একজন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নকশায় অবদান রেখেছেন। তার এই অবদান ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে। সর্বোপরি তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভূমিকা রেখেছেন।  জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার কালবেলাকে বলেন, জাতীয় পতাকার প্রথম নকশাকার হিসেবে তাকে আমরা মনে রাখবো। । দেশের জনগণের জন তিনি তার দেহ দান করেছেন। শিব নারায়ণ দাশ দেশ ও দেশের মানুষের জন্য তার সমস্ত কিছু দিয়ে গেছেন। যারা জাতীয় পতাকার রূপকার তাদেরকে এখন পর্যন্ত রাষ্ট্র সঠিক সম্মান জানাতে পারেননি। তাদেরই একজন ছিলেন শিব নারায়ণ দাশ। কেন্দ্রীয় খেলাঘরের সভাপতি মাহফুজা খানম কালবেলাকে বলেন, তিনি ছাত্রলীগ, আমরা ছাত্র ইউনিয়ন করলেও তার সাথে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। যা আমৃত্যু বজায় রয়েছে। কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে ৬৬’র ৬ দফা, ’৬৯ এর আন্দোলন, ৭০ এ তিনি জাতীয় পতাকায় সবুজ জমিনে লাল সূর্য আর বাংলাদেশের মানচিত্র এঁকেছিলেন। তার আঁকা জাতীয় পতাকার নকশাটি নিউমার্কেটের একটি দোকান থেকে সেলাই করা হয়েছিল। এভাবে প্রতিটি ঐতিহাসিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তার কথা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পাঠ্যপুস্তকে যুক্ত করতে হবে। তার একমাত্র সন্তান অর্ণব আদিত্য দাশ বলেন, আমার বাবা এমন একজন মানুষ ছিলেন, যিনি কোনোসময় অন্যায়, দুনীর্তি, মিথ্যাচারের সাথে আপোষ করেননি। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, ভ্রাতৃত্ববোধের চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা পৃথিবীকে প্রতিনিধিত্ব করছে যে জাতীয় পতাকা, সেই জাতীয় পতাকার সাথে যিনি প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। যার শিল্পীসত্ত্বা, সাহস দেশপ্রেম আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। জাতীয় পতাকার প্রথম নকশাকার শিব নারায়ণ দাশ পরলোকে চলে গেলেও, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতীয় পতাকা থাকবে। ততদিন শিব নারায়ণ দাশ জীবিত থাকবেন। এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে শিব নারায়ণ দাশের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা নিয়ে যাওয়া হয়। কুমিল্লা টাউন হলে বিকেলে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তান্তর করা হবে।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

জিতেও বিদায় লিভারপুলের
আটালান্টার বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল। তবু ইউরোপা লিগের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে তারা। কারণ, প্রথম লেগে অ্যানফিল্ডে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল লিভারপুল। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ গোলে অগ্রগামিতায় সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে আটালান্টা। এর মধ্য দিয়ে লিভারপুলের কোচ হিসেবে ইয়ুর্গেন ক্লপের ইউরোপ অধ্যায়ের ইতি ঘটেছে। ঘরের মাঠে বিপর্যয়কর হারের পর থেকে লিভারপুলের সেমিতে ওঠার স্বপ্ন ফিকে হতে থাকে। কোয়ার্টার ফাইনাল শুরুর আগেই ক্লপ অবশ্য ডাবলিনে ইউরোপা লিগের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বৃহস্পতিবার সেই স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার পর হতাশ ক্লপ বলেন, ‘প্রথম লেগে হেরে আমরা নিজেদের কাজ অনেক কঠিন বানিয়ে ফেলেছিলাম। তবে অনেক দিনের মধ্যে আজকের ম্যাচটি ভালো লেগেছে আমার। ছেলেরা যে নিবেদন, জয়ের ক্ষুধা ও শক্তি দেখিয়েছে, তা এক কথায় অসাধারণ।’ ইউরোপা থেকে বিদায় নেওয়ার অনুভূতি মিশ্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন ক্লপ। তিনি বলেন, ‘এখন আমার মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। অবশ্যই আমরা ডাবলিনে ফাইনাল খেলতে চেয়েছিলাম। সেটা আর সম্ভব হলো না। খুবই হতাশ যে আমরা সেমিফাইনালে উঠতে পারিনি। তবে ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ায় আমরা ভেঙে পড়িনি। ক্ষুব্ধও নই। এখন সামনে একটিই প্রতিযোগিতা আছে আমাদের জন্য। আমরা এখন সব মনোযোগ প্রিমিয়ার লিগে দিতে পারি এবং সেটিই আমরা করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরের ম্যাচে সতেজ হয়ে ওঠার জন্য কয়েকটি দিন আমরা পাব। এরপর খেলব ফুলহ্যামের সঙ্গে। ম্যাচটি আমাদের জন্য কঠিন হতে পারে, তবে আমরা নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দেব। এটাই এখন আমাদের প্রতিযোগিতা।’ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জয়ের দরজা এখনো খোলা আছে লিভারপুলের সামনে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগে ৩২ ম্যাচে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। সমান ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আর্সেনাল। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুল আছে তৃতীয় স্থানে। আগামীকাল ফুলহামের মুখোমুখি হবে লিভারপুল। লিগ শিরোপা জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই ফুলহামকে হারাতে হবে। বৃহস্পতিবার আটালান্টার বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে একমাত্র গোলটি করেন মোহামেদ সালাহ। অনেক সুযোগ তৈরি করেও প্রতিপক্ষের ডিফেন্স অন্য কেউ ভাঙতে পারেনি। এটাই ক্লপের জন্য চিন্তার বিষয়। সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে ব্যর্থ হচ্ছে লিভারপুল। লিগ শিরোপা জিততে হলে গোল করার ক্ষেত্রে আরও দক্ষ হতে হবে সালাহদের।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

অচিরেই সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজবে : সালাম
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম বলেছেন, দেশের মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না। সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে। জনগণ ফুঁসে উঠছে। অচিরেই এ সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে উঠবে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এক যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে সালাম এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতাকর্মীদের সাজা ও জেল হাজতে প্রেরণসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে নতুন কর্মসূচি গ্রহণে এই সভা হয়।  বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেন, সরকারের ভয়াবহ লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়ছে। এখন সরকারের মন্ত্রীরা দেশের এই টালমাটাল অবস্থা আড়াল করতে বিরোধী দলের সমালোচনাকে গুজব বলে মন্তব্য করছে। মিথ্যা গল্প সাজিয়ে আর প্রকৃত ঘটনা আড়াল করা যাবে না। দেশের মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না।  ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু বলেন, সরকার ভিত হয়েই  চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দক্ষিণ বিএনপির ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার ও শতাধিক নেতাকর্মীকে সাজানো সাজা প্রদান করেছে। হামলা-মামলা, জেল-জুলুম করে বেশি দিন ক্ষমতা আঁকড়ে রাখা যাবে না।  তিনি আরও বলেন, বিএনপি গণমানুষের দল। সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমেই বর্তমান অবৈধ সরকারের পতন যাত্রা শুরু হবে অচিরেই। এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে আরো সুসংগঠিত হওয়ারও আহ্বান জানান মজনু।  যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, আব্দুস সাত্তার, সদস্য সাইদুর রহমান মিন্টু (দপ্তরের দায়িত্বে), মকবুল ইসলাম টিপু, এম এ হান্নান, শেখ মোহাম্মদ আলী চায়না, আরিফা সুলতানা রুমা, জামসেদুল আলম শ্যামলসহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪
X