মার্চে ভারতের পুঁজিবাজারে ৩৮ হাজার কোটি রুপির বিদেশি বিনিয়োগ  
চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ভারতের পুঁজিবাজারে ৩৮ হাজার কোটি রুপির বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। বিজনেস টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ভারতের অর্থবছরের শেষ মাস মার্চ। ফেব্রুয়ারিতে ভারতের পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করেছিল ১ হাজার ৫৩৯ কোটি রুপি। জানুয়ারিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ২৫ হাজার ৭৪৩ কোটি রুপির শেয়ার বিক্রি করেছিলেন। ফলে চলতি বছর এ পর্যন্ত ভারতের বাজারে নিট বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ১৩ হাজার ৮৯৩ কোটি রুপি আর ঋণপত্রের বাজারে ৫৫ হাজার ৪৮০ কোটি রুপি। গত সপ্তাহে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মূলত শেয়ার বিক্রি করেছেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, কিছুটা সতর্কতা থেকেই তারা প্রায় ৩১ দশমিক ৪০ কোটি ডলারের শেয়ার বিক্রি করেছেন।
২৬ মার্চ, ২০২৪

অফশোর গ্যাস উত্তোলনে বিদেশি বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
দেশের জ্বালানি ঘাটতি কমাতে অফশোর গ্যাস উত্তোলনে বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইঞ্জিনিয়ার হানি সালেমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর স্পিট রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকার দেশের সব এলাকায় বিদ্যুৎ দিয়েছে। ১৯৯৬ সালে সরকারে তার প্রথম মেয়াদে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎকে উন্মুক্ত করেছিলেন তিনি। বর্তমান সরকারের পদক্ষেপের ফলে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। এ সময় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। দেশে বিনিয়োগ প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিশেষ করে, আমরা গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতি এবং খাদ্য উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। সরকার বর্তমান যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবং জনগণের ভোগান্তি কমানোর ওপর জোর দিয়েছে। এ লক্ষ্যে আমরা সব ধরনের উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছি। এ সময় আইটিএফসির প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী হানি সালেম বলেছেন, অবকাঠামো, আইসিটি, ঋণ ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি খাত এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে তারা সর্বাত্মক সহায়তা দেবে। প্রকৌশলী হানি সালেম বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।  
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বস্ত্র খাতে বিদেশি বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি
বিদেশি বাণিজ্যে সবসময়ই ঘাটতিতে থাকে বাংলাদেশ। এই ঘাটতি পূরণ হয় বিদেশি ঋণ ও বিনিয়োগের মাধ্যমে। কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতিতে নানা সংকট ও বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতায় কমে গেছে বিদেশি বিনিয়োগ ও ঋণছাড়। এ পরিস্থিতিতে গত দেড় বছর দেশে বিদেশি মুদ্রার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফলে ডলার আয় বাড়াতে দেশে বিদেশি মুদ্রার সবচেয়ে বড় উৎস পোশাক খাতের রপ্তানি বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। আর এই খাতেই বিদেশিদের বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) নিট এফডিআই অস্বাভাবিক হারে কমেছে। এ সময়ে নিট এফডিআই এসেছে ৬৭০ দশমিক ২১ মিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালের একই সময়ে এসেছিল ১ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে কমেছে ৩৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে বস্ত্র খাতে। চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে খাতটিতে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ১৫৫ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ রয়েছে যুক্তরাজ্যের। এই সময়ে দেশটির বিনিয়োগ ৪৭ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন ডলার। পরের অবস্থান দক্ষিণ কোরিয়ার। দেশটির বিনিয়োগ ৪২ দশমিক ৩০ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া শীর্ষ বিনিয়োগকারীর মধ্যে রয়েছে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও শ্রীলঙ্কা। এই খাতে দেশগুলোর মোট বিনিয়োগ ৬৬২ দশমিক ১৯ মিলিয়ন ডলার। বিনিয়োগে দ্বিতীয় অবস্থান ব্যাংকিং খাতের। জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে এই খাতে বিনিয়োগ এসেছে ১০৯ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলার। এখানেও সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী যুক্তরাজ্য। দেশটির বিনিয়োগ ৮৪ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন ডলার। এই খাতে শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগ ১০ দশমিক ১২ মিলিয়ন আর যুক্তরাষষ্ট্রের ৯ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ডলার। এই খাতে বর্তমানে মোট বিনিয়োগ রয়েছে ৩৬৪ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন ডলার। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে গ্যাস ও জালানি খাত। জুলাই-সেপ্টেম্বরে খাতটিতে বিনিয়োগ এসেছে ৭৭ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ৬৫ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ডলারই বিনিয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয়, জুলাই-সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগের বেশিরভাগই গ্যাস ও জ্বালানি খাতে। এ ছাড়া বিনিয়োগ রয়েছে নেদারল্যান্ডস ও জাপানের। এই খাতে মোট বিদেশি বিনিয়োগ ৩২৫ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন ডলার। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বিদেশি বিনিয়োগ আসার দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে টেলিযোগাযোগ খাত। এই খাতে বিনিয়োগ এসেছে ৬৪ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার। সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে নরওয়ে। দেশটির বিনিয়োগ ৩৮ দশমিক ১১ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া এই খাতে বিনিয়োগ রয়েছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও নেদারল্যান্ডসের। বর্তমানে এই খাতে মোট বিদেশি বিনিয়োগ ৪৩৪ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া বিদ্যুতে ৬৪ দশমিক ২১ মিলিয়ন, বাণিজ্যে ৩৯ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন, খাদ্যে ৩৭ দশমিক শূন্য ৪ মিলিয়ন, রাসায়নিক ও ফার্মাসিটিক্যালসে ২৭ দশমিক ২৪ মিলিয়ন, কৃষি ও মৎস খাতে ১২ দশমিক ৪২ মিলিয়ন, সারে ১১ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন, সিমেন্টে ৯ দশমিক ১৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশে নিট এফডিআই এসেছে ২১১ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। ২০২২ সালের একই সময়ে এসেছিল ২৭৭ কোটি ৬১ লাখ ডলার। অর্থাৎ গত বছরের প্রথম ৯ মাসে ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় এফডিআই প্রবাহ কমেছে ২৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন খাতে সবচেয়ে বেশি নিট বিনিয়োগ রয়েছে যুক্তরাজ্যের। দেশটির মোট বিনিয়োগ ৫৬৫ মিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা নেদারল্যান্ডসের বিনিয়োগ ৪২৬ মিলিয়ন ডলার। তৃতীয় দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ আছে ২৯৫ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ২৮৯ মিলিয়ন, সিঙ্গাপুরের ১৯২ মিলিয়ন, নরওয়ের বিনিয়োগ ১৮৪ মিলিয়ন ডলার। ভারত বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে ১২০ মিলিয়ন ডলার। আর বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ চীনের বিনিয়োগ মাত্র ৯৩ মিলিয়ন ডলার।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

এফবিসিসিআইয়ের বিদেশি বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াহিদ রায়হান
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) বিদেশি বিনিয়োগবিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ওয়াহিদ রায়হান ইফতেখার মাহমুদ (রাসেল)। ২০২৩-২০২৫ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন। সংগঠনের মহাসচিব মো. আলমগীর এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছেন। ওয়াহিদ রায়হান ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এসকেপ বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সিইও এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ড্রাজটিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফরেন ট্রেড অ্যান্ড অ্যাফেয়ার্স)। ওয়াহিদ রায়হানকে দেওয়া এক চিঠিতে মো. আলমগীর বলেছেন, আমি আপনাকে জানাতে পেরে আনন্দিত যে এফবিসিসিআই-এর যথাযথ কর্তৃপক্ষ আপনাকে ২০২৩-২০২৫ সাল মেয়াদে বিদেশি বিনিয়োগবিষয়ক নবগঠিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করেছে। চেয়ারম্যান হিসেবে আপনি ও আপনার কমিটির সদস্যরা বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলোর দেখভাল করবেন বলে আশা করে এফবিসিসিআই। আমরা আরও আশা করি যে আপনার নেতৃত্বে কমিটি এই খাতের চ্যালেঞ্জসমূহ চিহ্নিত করতে আন্তরিকভাবে কাজ করবে। পাশাপাশি একে উন্নত করার পরামর্শ দেবে। ওয়াহিদ রায়হান দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আনার ক্ষেত্রে কাজ করছেন। এফবিসিসিআইয়ের বিদেশি বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশে আরও বিদেশি বিনিয়োগ আনতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখার কথা জানিয়েছেন তিনি।
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

আরও বিদেশি বিনিয়োগ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে বিদেশিদের আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বেশি পরিমাণে বিদেশি বিনিয়োগ যাতে বাংলাদেশে আসতে পারে, সেজন্য আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছি। গতকাল রোববার রেডিসন ব্লু হোটেলে আয়োজিত ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই বা ফিকি) ৬০ বছর পূর্তি উদযাপন এবং দুদিনব্যাপী ইনভেস্টমেন্ট এক্সপোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ৩৯টি হাইটেক পার্ক বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। কোনো দেশ যদি এককভাবে একখণ্ড জমি চায়, আমরা তা দেব। যদি কেউ যৌথ উদ্যোগে করতে চান, সেটাও হবে অথবা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে করতে চাইলে তা-ও সম্ভব। বর্তমান সরকার অনেক সংস্থা তৈরি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা), বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা), বাংলাদেশ ইকোনমিক প্রসেসিং জোন অথরিটি (বেপজা), বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি (এইচটিপিএ) এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপিএ)। বিনিয়োগের সুবিধার্থে বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থাগুলোতে ওয়ান স্টপ পরিষেবা চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিনিয়োগ পরিষেবা প্রদানকারী সব অফিস সম্পূর্ণ অনলাইন এবং ডিজিটালাইজড করার পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। একই সঙ্গে কর মওকুফ, রেমিট্যান্স রয়্যালটি, প্রস্থান নীতি, লভ্যাংশ এবং মূলধন সম্পূর্ণ প্রত্যাবর্তন, আইন দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষাসহ বিনিয়োগ নীতিকে আরও সহজ করতে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীকে আকৃষ্ট করতে জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২-এ সরবরাহ খাত, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব-সংশ্লিষ্ট খাত এবং পর্যটন খাতকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ব্লু-ইকোনমি খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। লজিস্টিক শিল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং এ খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে অন্যান্য শিল্প খাতের উন্নতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে জাতীয় লজিস্টিকস ডেভেলপমেন্ট পলিসি প্রণয়নের কাজ চলছে। বাংলাদেশে এখন জ্বালানি, পানি, লজিস্টিকস এবং পরিবহন খাতে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো গড়ার সুযোগ রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে শুধু লজিস্টিকস খাতই ৯০ বিলিয়ন ডলারের বাজারে পরিণত হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ও শক্তিশালী রপ্তানি কৌশল এবং শিল্পনীতি বাস্তবায়নে কাজ করছে। আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে জিডিপিতে বেসরকারি বিনিয়োগের অনুপাত ৩১ দশমিক ৪৩ শতাংশে উন্নীত করতে চাই। বাংলাদেশ এখন প্রায় ১৭ কোটি মানুষের একটি বড় অভ্যন্তরীণ বাজার। ২০৩০ সালের মধ্যে এটি নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তখন ব্রিটেন এবং জার্মানির মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলোকে এবং বর্তমান উচ্চ প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। ২০২৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত ও ধনী শ্রেণির সংখ্যা হবে ৩ কোটি ৪০ লাখ। ২০৪০ সালের মধ্যে আনুমানিক মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়াবে ৫ হাজার ৮৮০ ডলারে। কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ৩০০ কোটি মানুষের আঞ্চলিক বাজারের কেন্দ্রস্থল হতে পারে। অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, ফিকির সভাপতি নাসের ইজাজ বিজয় ও সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি দীপল আবেবিক্রমা বক্তব্য দেন। এ ছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী কয়েকজন আন্তর্জাতিক সফল বিনিয়োগকারীও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
২০ নভেম্বর, ২০২৩

বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত সরকারি দলের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দিনের কার্যক্রমের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপন করেন। খবর বাসসের। শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে দেশে পাঁচটি বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থা গঠন করা হয়েছে। এগুলো হলো- বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা), বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা), বাংলাদেশ ইকোনমিক প্রসেসিং জোন অথরিটি (বেপজা), বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথরিটি (এইচটিপিএ) এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপিএ)। তিনি বলেন, বিনিয়োগের সুবিধার্থে বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থাগুলোতে ওয়ান স্টপ পরিষেবা চালু করা হয়েছে, বিনিয়োগ পরিষেবা প্রদানকারী সব অফিস সম্পূর্ণ অনলাইন এবং ডিজিটালাইজড করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনুমোদন প্রক্রিয়া, পরিষেবা সরবরাহের সময়কাল এবং সব বিনিয়োগ পরিষেবা প্রদানকারীদের লাইসেন্স, রেয়াত ও পারমিটের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্রের সংখ্যা যুক্তিসঙ্গত হারে হ্রাস করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেছেন যে, বিডায় নিবন্ধিত শিল্প প্রকল্পগুলো আমদানি শুল্ক ছাড় এবং প্রণোদনা ভোগ করে। অন্যদিকে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিডা মেলা, সেমিনার, রোড শো ও সামিটের আয়োজন করে। এগুলোর মধ্যে কমনওয়েলথ বিজনেস সামিট-২০২৩, বিডা-এফবিসিসিআই বিজনেস সামিট-২০২৩, বিটিটিবি বিজনেস সামিট-২০২২, উইমেন বিজনেস সামিট-২০২২ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১ উল্লেখযোগ্য। শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২ এ ১৫টি শিল্পকে রপ্তানি বহুমুখীকরণ শিল্প হিসেবে, ১৮টি বিশেষ উন্নয়ন শিল্প হিসেবে এবং ১৭টি শিল্পকে অগ্রাধিকার শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অগ্রাধিকার খাতে বিশেষ প্রণোদনা এবং আর্থিক সহায়তা যেমন শুল্ক/কর অব্যাহতি,  দ্বৈত কর থেকে অব্যাহতি, বিদ্যমান আয়কর আইন, শুল্ক আইন ও মূল্য সংযোজন কর আইন অনুসারে হ্রাসকৃত হারে কর আরোপ বিবেচনা করা হবে। একই ধরনের সুযোগের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ শিল্প খাতকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, সরকার আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদনে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২ এ সরবরাহ খাত, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সংশ্লিষ্ট খাত এবং পর্যটনশিল্পকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
০১ নভেম্বর, ২০২৩

বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ৮ প্রস্তাব সিপিডির
বিশ্বে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশও এর ব্যবহার বাড়াতে যথেষ্ট আগ্রহী। এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগের পাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। তবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে এই বিনিয়োগ বাড়ানোর সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসনসহ ৮ প্রস্তাব দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। গতকাল সোমবার ‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ: চায়নার কেস স্টাডি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ডায়ালগে সিপিডি এসব প্রস্তাব তুলে ধরে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মাশফিক আহসান হৃদয়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন এই ভার্চুয়াল ডায়ালগে অংশ নেন। মূল প্রবন্ধে মাশফিক আহসান হৃদয় জানান, গত ১৩ বছরে দেশের জ্বালানি খাতে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। তবে বেশিরভাগ বিনিয়োগই হয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানিকেন্দ্রিক। অন্যদিকে বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ ৩০ শতাংশ ও ২০৪১ সাল নাগাদ ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে আগ্রহী। এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনাও রয়েছে। তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য কর ছাড়সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয় বাংলাদেশ সরকার। তবে বিনিয়োগকারীরা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, সেবা প্রাপ্তিতে ধীরগতিসহ একাধিক জটিলতার সম্মুখীন হন। তা সত্ত্বেও জ্বালানি খাতে ২০২২ সালে ৩ হাজার ৪৭৯ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, যা তার আগের বছরের তুলনায় ২০ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রস্তাবে তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বমানের প্রকল্প প্রোফাইল তৈরি করে ভেস্টাস, সিমেন্সের মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, বিডা ছাড়াও আরেকটি বিনিয়োগ আকৃষ্ট এজেন্সি তৈরি করা, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনের জন্য সরকারের বিনিয়োগ বৃদ্ধি (পিপিপি পদ্ধতির অধীনে হতে পারে), বিনিয়োগকারীদের হয়রানি কমাতে ওয়ান স্টপ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিস সেন্টার, অবকাঠামোর উন্নয়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুবিধার্থে চাকরি প্রার্থীদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়া, ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগ আনা ও বাংলাদেশে বিদ্যমান ১৭৭টি এসএমই ক্লাস্টারের উন্নয়নে ক্লাস্টার-ভিত্তিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হবে। ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ অনেক। বেল্টের আওতায় এক ধরনের কো-অপারেশন হতে পারে। এ ধরনের আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা শুধু বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগই আনবে না, পাশাপাশি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির যে লক্ষ্যমাত্র রয়েছে তা পূরণে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে অবদান রাখছে এবং আগামীতেও রাখবে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে কারিগরি সহায়তা দেবে চীন। এর আগে স্বাগত বক্তব্যে গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ রয়েছে। তবে তারা জানে না যে কীভাবে এই দেশে বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থায়নের ক্ষেত্রে ছোট ছোট বিনিয়োগকারীরা ভ্যাট, ট্যাক্স সংক্রান্ত নানা ঝামেলায় পড়ছেন। এগুলো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ঝামেলার কারণ হতে পারে। তিনি বলেন, আইন-কানুনে অনেক জটিলতা রয়েছে, যেগুলোর কারণে বিনিয়োগকারীরা যথাযথ সুবিধা পাচ্ছেন না। সে জায়গাগুলোতে নীতিনির্ধারকদের কাজ করতে হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়েশা খান বলেন, বর্তমান সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অনেক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। তবে আমরা লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে আছি। দেশে বিনিয়োগের যথাযথ পরিবেশ রয়েছে। তবে আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আমরা যেন আবার পুরোনো প্রযুক্তির ভারে ভারাক্রান্ত না হই। এজন্য এখানে নতুন নতুন প্রযুক্তি আনতে হবে। সেটা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রেও।
২৪ অক্টোবর, ২০২৩

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সিপিডির ৮ প্রস্তাব
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে ইংল্যান্ড, হংকং, নেদারল্যান্ড, আমেরিকা ও চায়নার বিনিয়োগ রয়েছে। বিগত ১৩ বছরে দেশের জ্বালানি খাতে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। তবে বেশিরভাগ বিনিয়োগই হয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানিকেন্দ্রিক। অন্যদিকে বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ ৩০ শতাংশ ও ২০৪১ সাল নাগাদ ৪০ শতাংশ রিনিউবেল বা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে আগ্রহী। এখাতে বিদেশি বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা ও রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ৮ প্রস্তাব দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সোমবার বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ: চায়নার কেস স্টাডি শীর্ষক সিপিডির ভার্চ্যুয়াল ডায়ালগে এই প্রস্তাব তুলে ধরেন সিপিডির রিসার্স অ্যাসোসিয়েট মাশফিক আহসান হৃদয়। বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে হৃদয় বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আনতে হলে একটি দেশে রাজনৈতিক স্থীতিশীলতা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দক্ষ জনবল, বিনিয়োগ বান্ধব প্রণোদনা প্রয়োজন। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য করছাড় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয় বাংলাদেশ সরকার। তবে বিনিয়োগকারীরা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, সেবাপ্রাপ্তিতে ধীরগতি সহ একধিক জটিলতার সম্মুখীন হন। তা সত্ত্বেও জ্বালানি খাতে ২০২২ সালে ৩ হাজার ৪৭৯ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে যা তার আগের বছরের তুলনায় ২০ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।   নবায়নযোগ্য জ্বালানিখাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রস্তাবে তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বমানের প্রকল্প প্রোফাইল তৈরি করে ভেস্টাস, সিমেন্সের মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, বিডা ছাড়াও আরেকটি বিনিয়োগ আকৃষ্ট এজেন্সি তৈরি করা, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনের জন্য সরকারের বিনিয়োগ বৃদ্ধি (পিপিপি পদ্ধতির অধীনে হতে পারে), বিনিয়োগকারীদের হয়রানি কমাতে ওয়ান স্টপ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিস সেন্টার, অবকাঠামোর উন্নয়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুবিধার্থে চাকরিপ্রার্থীদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়া, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগ আনা ও বাংলাদেশে বিদ্যমান ১৭৭টি এসএমই ক্লাস্টারের উন্নয়নে ক্লাস্টারভিত্তিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা। স্বাগত বক্তব্যে গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, চায়না নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে গ্লোবাল লিডার। অন্যদিকে বাংলাদেশ এর বিপরীতে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১১। চায়না এই উন্নতি থেকে বাংলাদেশের অনেক কিছু শেখার আছে।  অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়েশা খান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ।
২৩ অক্টোবর, ২০২৩

এ বছর বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৯০ কোটি ডলার- বিডা
চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশে ৯০০ মিলিয়ন (৯০ কোটি) ডলার বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা)। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য দেন সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী চেয়ারম্যান মহসিনা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এ সংগঠনটির প্রতিষ্ঠার ছয় দশক পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী বিনিয়োগ মেলার আয়োজন করছে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। এতে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা)। আগামী ৮ ও ৯ নভেম্বর র‌্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে বিনিয়োগ মেলা ২০২৩ শুরু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করবেন। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিডার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহসিনা ইয়াসমিন বলেন, গতকাল পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৯০০ মিলিয়ন ডলার। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও ডলারের দাম অস্থিতিশীল থাকায় দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আগের তুলনায় কম বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি জানান, বৈদেশিক বিনিয়োগ যে কোনো দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশ সরকারও সর্বদা একে স্বাগত জানিয়ে আসছে। ফিকি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই বিনিয়োগ মেলা দেশে বিদ্যমান বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে এবং আগামীতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে বলে আমার বিশ্বাস। মহসিনা ইয়াসমিন জানান, বিনিয়োগ বাড়াতে এবং ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে বিডার তরফ থেকে ওয়ান স্টপ সেবা চালু করা হয়েছে। এখানে একসঙ্গে ৯০ ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে। ফলে এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও কষ্ট দুটি থেকেই রেহাই মিলছে। অনুষ্ঠানে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের এখন উত্তম সময়। বিদেশিরা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। তারা বলছেন, সময়-সুযোগ বুঝে বিনিয়োগ করছেন। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ফিকির ভূমিকা তুলে ধরাই দুই দিনব্যাপী বিনিয়োগ মেলা আয়োজনের মূল লক্ষ্য। যার উদ্বোধনীতে প্রধানমন্ত্রী ফিকির গবেষণা প্রতিবেদন ক্যাটালাইজিং গ্রেটার এফডিআই ফর ভিশন ২০৪১ প্রায়োরিটাইসে ফর বিল্ডিং কনড্যুসিক ট্যাক্স সিস্টেম ইন বাংলাদেশ এবং ইএসজি পাবলিকেশন ইএসজি এক্সিলেন্স: এ ক্রনিকেল অব ফিকি মেম্বারস উন্মোচন করবেন। সংবাদ সম্মেলনে ফিকির পরিচালক ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মাহাবুব উর রহমান বলেন, দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য বিনিয়োগ মেলা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা ও খাতভিত্তিক বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরা হবে। আমাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো ৪০টি স্টলে তাদের নতুন উদ্ভাবন, পরিষেবা এবং পণ্য নিয়ে এক্সপোতে অংশগ্রহণ করবে। তিনি আরও জানান, ‘আমরা গ্রিন আলা চেইন’ এবং ‘ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট: কারেন্ট ল্যান্ডস্কেপ অ্যান্ড মিশন ২০৪১’ বিষয়ের ওপর দুটি প্ল্যানারি সেশনের আয়োজন করছি, যেখানে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে বিশেষজ্ঞরা তাদের মূল্যবান মতামত উপস্থাপন করবেন। এ সময় ফিকির সহসভাপতি স্বপ্না ভৌমিক, নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবিরসহ অন্যান্য বোর্ড অব ডিরেক্টরস এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
২২ অক্টোবর, ২০২৩

বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে গোল্ডেন ভিসা দেবে ইন্দোনেশিয়া
অর্থনীতিকে গতিশীল করতে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটি এবার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য গোল্ডেন ভিসা চালু করার ঘোষণা দিয়েছে।  রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। অভিবাসন বিভাগের পরিচালক সিলমি কারিম বলেন, গোল্ডেন ভিসার ফলে বিনিয়োগকারীরা ইন্দোনেশিয়ায় পাঁচ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত অবস্থানের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে পাঁচ বছরের ভিসার জন্য ২৫ লাখ ডলারের কোম্পানি স্থাপন করতে হবে আর ১০ বছরের ভিসার জন্য ৫০ লাখ ডলারের কোম্পানি স্থাপন করতে হবে।  বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং স্পেনে গোল্ডেন ভিসার ব্যবস্থা রয়েছে। এসব দেশেও গোল্ডেন ভিসার মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করার নজির রয়েছে। দেশগুলোতে ৫ বছর স্থায়ী হওয়ার জন্য ২৫ লাখ আর ১০ বছর স্থায়ী হওয়ার জন্য দ্বিগুণ অর্থাৎ ৫০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করতে হয়।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যেসব বিদেশি কোম্পানি স্থাপন করতে চান না তাদের জন্য দেশটিতে বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এসব উদ্যোক্তার জন্য সাড়ে তিন লাখ থেকে ৭ লাখ ডলারের বন্ড সুবিধা রয়েছে। এ বন্ডের মাধ্যমে তারা গোল্ডেন ভিসা পেতে পারেন।  অভিবাসন বিভাগের পরিচালক সিলমি কারিম বলেন, গোল্ডেন ভিসাধারী ব্যক্তি একবার ইন্দোনেশিয়ার ভিসা পেলে তাকে পুনরায় আর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে না।  সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষ ১০ অর্থনীতির দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশটি ষষ্ঠ অবস্থানে চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।   
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X