Wed, 08 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
বাংলা কনভার্টার
বৃষ্টি থাকবে আরও কয়েকদিন, কমবে তাপমাত্রা
১৯ মিনিট আগে
বুশরা বিবিকে ইমরানের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
৩৯ মিনিট আগে
মার্কিন অস্ত্র ‘ইরানের হাতে’, নেপথ্যে কে?
৪১ মিনিট আগে
জনগণ উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে : রিজভী
৪২ মিনিট আগে
পিএসজির কাটা ঘায়ে নুনের ছিটায় বাদ যাচ্ছেন না নেইমারও
৪৩ মিনিট আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
স্বাস্থ্য
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৮ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
মতামত
ধর্ম
ভিডিও
অডিও
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
স্বাস্থ্য
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
বিশ্বব্যাংক গুরুত্বের চোখে দেখছে বাংলাদেশকে
বিশ্বব্যাংকের কর্তাব্যক্তিদের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বৈশ্বিক অবকাঠামো বাস্তবায়ন এবং গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে খারাপ পরিস্থিতিতেও আগের ঋণ সুদাসলে পরিশোধের সক্ষমতা বজায় রাখার সাফল্যেই এমন কদর। তা ছাড়া উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় এই সম্পর্কের মধুর ভিত্তি গড়ে দিয়েছে একসঙ্গে পথচলার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন ঘিরে। এতে একে একে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন বিশ্বব্যাংকের শীর্ষ অনেক কর্তাব্যক্তিই। একই কারণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকেও বিশ্বব্যাংকের সম্মেলনে করা হয়েছে আমন্ত্রণ এবং দেওয়া হয়েছে বিরল সম্মান। একইভাবে সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের সভায় অকুণ্ঠ প্রশংসার পাশাপাশি ঋণ কার্যক্রমের আওতায় থাকা বিভিন্ন দেশেও তারা বাংলাদেশকে তুলে ধরছেন রোল মডেল হিসেবে। বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার এ তালিকায় বিশ্বব্যাংকের সবশেষ ও নতুন সংযোজন ঘটতে যাচ্ছে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অ্যানা বেজার্ডের বাংলাদেশ সফর ঘিরে। তিনি বাংলাদেশের ঋণমান সক্ষমতা ও সার্বিক অর্থনৈতিক তৎপরতায় যারপরনাই সন্তুষ্ট। আগামীতে দ্বিপক্ষীয় সহায়তা নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতেই তার এই ঢাকা সফর বলে জানিয়েছে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো। সব মিলে ঋণ প্রদানে বিশ্বব্যাংকের নীতিনির্ধারণী বোর্ড সম্প্রতি বাংলাদেশকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। গত দুই-তিন বছরের নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি এবং পাইপলাইনে থাকা অর্থের ছাড় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে নেওয়া বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নকারী প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করলেই তার অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়। বর্তমানে বিশ্বের নিম্ন আয়ের ৭৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে তাদের ঋণ কার্যক্রম সবচেয়ে বেশি। বেসরকারি আর্থিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অবশ্য মনে করেন, বিশ্বব্যাংকের মতো সংস্থা নিজেদের স্বার্থেই বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রমের পরিধি বাড়িয়েছে। বিশ্বের বাজারে তাদের সাফল্য দেখাতে হয়। তারাও বিশ্বের বাজার থেকেই টাকা তোলে। সেখানে যার ঋণ পরিশোধে সক্ষমতা বেশি এবং উন্নয়ন চাহিদাও বেশি, বিশ্বব্যাংকের কাছে তার গুরুত্বও বেশি। বিশ্বব্যাংক সূত্রমতে, বাংলাদেশে বর্তমানে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) সমর্থিত বৃহত্তম কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এর আওতায় বর্তমানে দেশের বিভিন্ন খাতে ১৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ৫৭টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। যার সবই এসেছে সাম্প্রতিক বছরগুলোয়। এর মধ্যদিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সূচিত হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্যমতে, আরও বেশ কিছু উন্নয়ন সহযোগী থাকলেও স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকই বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি অর্থায়ন করেছে। ১৯৭১-৭২ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ৫২ বছরে বিভিন্ন সময়ে উন্নয়ন প্রকল্পে বাংলাদেশ ঋণ পেয়েছে ৭৯.৮২৫ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে এককভাবে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ঋণ দিয়েছে ২৪.৫৮৩ বিলিয়ন ডলার, যা শতাংশের হারে বাংলাদেশের মোট ঋণের ৩০.৮০ শতাংশ। এদিকে বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অ্যানা বেজার্ডের বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে দাবি করা হয়েছে, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ছিল অন্যতম। দেশ স্বাধীনের পর বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৪১ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে। এই ঋণের বেশিরভাগই অনুদান বা রেয়াতি ঋণ। ঢাকা অফিস আরও জানায়, অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সূত্র ধরেই গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এক দিনের সফরে ঢাকা পৌঁছান বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অ্যানা বেজার্ড। সফরকালে তার আজ রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং অন্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারি খাতের নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ের কথা রয়েছে। এ সময় তার সঙ্গে থাকবেন দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সামনে এখন কয়েকটি ভিশন রয়েছে। এর মধ্যে ২০২৬ সালে নভেম্বরে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ, জাতিসংঘ ঘোষিত ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচির (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছাতে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টায় রয়েছে। এ লক্ষ্যে বর্তমানে ৫৭টি প্রকল্প চলমান রয়েছে, যেখানে বিশ্বব্যাংকের উল্লেখযোগ্য অর্থায়ন রয়েছে। এ ছাড়া ‘স্মার্ট বাংলাদেশ আইসিটি ২০৪১ মাস্টারপ্ল্যান’ অনুসারে এর চারটি স্তম্ভ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটির আলোকে সরকার ৪০টির বেশি প্রয়োজনীয় প্রকল্প নিয়েছে। সব মিলে আগামী দিনের বাংলাদেশের বেশিরভাগ উন্নয়ন উদ্যোগেই বিশ্বব্যাংক সম্পৃক্ত হতে যাচ্ছে। তাদের আগ্রহ বাড়ছে। তার নেপথ্য কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বৈশ্বিক অবকাঠামো বাস্তবায়নে সাফল্যের সূত্র ধরেই বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কের পুনর্জাগরণ হয়েছে। তদুপরি বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যখন গোটা বিশ্ব স্থবির, বাংলাদেশও খুব খারাপ সময় পার করছে—ঠিক তখনো আগের ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশ সক্ষমতা হারায়নি। হয়তো এসব কারণেই সংস্থাটির কর্তাব্যক্তিদের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব বেড়েছে, এটা অস্বীকার করার সুযোগ কম। তবে বাংলাদেশে এখনো উন্নয়ন ক্ষুধা প্রকট। ফলে বাংলাদেশেরও বিশ্বব্যাংককে আগামীতে প্রয়োজন হবে বলেও স্বীকার করেন তারা। জানা গেছে, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সদস্য হয়। ওই বছর অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে প্রথম ঋণ নেয়। যার পরিমাণ ছিল ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা নেওয়া হয় জরুরি অগ্রাধিকার খাতে। একই বছরের নভেম্বরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়া হয়। পরে ১৯৭৩ সালে প্রথম বাংলাদেশে পানি সরবরাহ খাতের জন্য প্রকল্প অনুমোদন করে আন্তর্জাতিক অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানটি। এর পর থেকে বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ নেয় বিশ্বব্যাংক থেকে। বাংলাদেশে দুটি বড় অবকাঠামো প্রকল্প বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু (যমুনা সেতু) এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (দুই লেন) নির্মাণসহ এ পর্যন্ত ৩০০টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে। এখন নতুন করে চলমান রয়েছে আরও ৫৭টি প্রকল্প। যদিও গত ৫২ বছরে একবারই বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘শীতল সম্পর্ক’ তৈরি হয়েছিল। সেটি হয়েছিল ২০১২ সালে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে। এর বাইরে সত্তরের দশকে মূলত পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন প্রকল্পেই বেশি অর্থায়ন করেছে বিশ্বব্যাংক। আশির দশকে কৃষি খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করে এই সংন্থাটি। ১৯৭৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে সংস্কারে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেয়। পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে আসার পর বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে বিশ্বব্যাংকের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে দাবি করেছেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। তিনি মনে করেন, নিজস্ব অর্থায়নে তা বাস্তবায়নে সক্ষম হওয়ার কারণে বাংলাদেশকে তুলনামূলকভাবে সাফল্যের একটি গ্রহণযোগ্য বা নমুনা দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
৭০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক
রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের জন্য ৭০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে ৩১৫ মিলিয়ন রোহিঙ্গাদের জন্য, বাকি ৩৮৫ মিলিয়ন ডলার রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের জন্য। এই অর্থ সফট লোন হিসেবে দেওয়া হবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান হাছান মাহমুদ। সেসময় ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক সম্পর্ক বাড়ানোর কথা বলেছে। আমাদের সঙ্গে আরও সম্পৃক্ততা বাড়াতে চায় আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল মঙ্গলবারই পররাষ্ট্রমন্ত্রী উগান্ডায় জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন, ৭৭ জাতি গ্রুপ এবং চীনের তৃতীয় দক্ষিণ সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন।
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪
৭০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশকে সহজ শর্তে নতুন করে ৭০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে চায় বিশ্বব্যাংক। পাশাপাশি বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত করতে চায় বিশ্বব্যাংক বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড. হাছান মাহমুদের সাথে বৈঠক করেন বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি আব্দুলায়ে সেক। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের জন্য সহজ শর্তে ৭০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে ৩১৫ মিলিয়ন ডলার রোহিঙ্গাদের জন্য, আর বাকি ৩৮৫ মিলিয়ন ডলার রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের জন্য সফট লোন। হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্বব্যাংক সম্পর্ক বাড়ানোর কথা বলেছে। আমাদের সঙ্গে তারা আরও সম্পৃক্ততা বাড়াতে চায়। শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি না করার অনুরোধ জানিয়ে ১২ মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠি নিয়েও কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা আদালতের বিষয়। এ নিয়ে সরকারের কিছু করার নেই। সম্প্রতি উগান্ডায় অনুষ্ঠিত ১৯তম ন্যাম সামিট এবং ৩য় সাউথ সামিটে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সামিটে তার যোগদানের বিষয়েও এ সময় কথা বলেন তিনি। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ন্যাম ও সাউথ সামিটে সব দেশ বাংলাদেশের নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। পাশাপাশি একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেছেন। এছাড়া, উগান্ডা সফরে দেশটির জমি লিজ নিয়ে তুলা, পামঅয়েল চাষের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দ্রুত একটি বাণিজ্যিক দল দেশটিতে যেতে পারে। পাশাপাশি আফ্রিকার দেশগুলোতে কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিষয়ে কথা হয়েছে।
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দুই আন্তর্জাতিক সংস্থার বৈঠক /
অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে বিশ্বব্যাংক
এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক বলেছেন, আর্থিক খাতের এই সংস্কারে বিশ্বব্যাংক সার্বিকভাবে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিশ্বব্যাংকের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশকে সহায়তায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। নতুন অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের একটা ভালো বৈঠক হয়েছে। আমরা অর্থমন্ত্রীকে বাংলাদেশ ইস্যুতে পূর্ণ সহায়তার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছি। এই সহায়তা অনেক বড় ও জোরালো, যা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনার মধ্যে অর্থায়ন যেমন ছিল, তেমনি সংস্কারের বিষয়টিও ছিল। কারণ সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক সংস্কার এজেন্ডা নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। এদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর কাছে জানতে চাইলে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমাদের আর্থিক খাতে সংস্কার দরকার বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এ বিষয়ে তারা সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। কান্ট্রি ডিরেক্টর অর্থনৈতিক উন্নয়নে আগামীতেও সার্বিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কোন কোন বিষয়ে সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে আবুল হাসান মাহমুদ আলী সুনির্দিষ্ট কোনো খাতের কথা উল্লেখ করেননি। তিনি বলেন, সার্বিকভাবেই সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর দেশের মুদ্রা বিনিময় হার, মুদ্রানীতি, সুদের হার ইত্যাদি ক্ষেত্রে সংস্কারের পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি কমানোর কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সম্প্রতি আরও ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪
বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে কী বলছে বিশ্বব্যাংক
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুলাই শেখ। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আব্দুলাই শেখ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশকে সহায়তার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছি। আপনারা জানেন, এই সহায়তা অনেক বড় ও জোরালো। আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশকে সহায়তায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করেছি এই সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়ে। আলোচনার মধ্যে অর্থায়ন যেমন ছিল, তেমনই সংস্কারের বিষয়টিও ছিল। কারণ সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক সংস্কার এজেন্ডা নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। আব্দুলাই শেখ বলেন, এক্সচেঞ্জ রেট, মুদ্রানীতি, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের জন্য সুরক্ষা নীতি ও রাজস্ব নীতিতে সংস্কার বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪
৫ প্রকল্পে ১২ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক
প্রাথমিক শৈশব বিকাশ, মাধ্যমিক শিক্ষা, নদীতীর সুরক্ষা ও নাব্য, শহুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য এবং গ্যাস বিতরণ দক্ষতার পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর অর্থনৈতিক সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এ-সংক্রান্ত চুক্তি সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব শরিফা খান ও বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক। এর আওতায় পাঁচ প্রকল্পে ১১৮ দশমিক ৮ কোটি ডলার ১ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে সংস্থাটি। প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা ৮১ পয়সা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অঙ্ক ১২ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ এনহ্যান্সিং ইনভেস্টমেন্টস অ্যান্ড বেনিফিটস ফর আর্লি ইয়ার্স প্রজেক্টে ২১ কোটি ডলার দেবে সংস্থাটি। নানা কাউন্সেলিং সেবার মাধ্যমে প্রাথমিক শৈশব বিকাশের উন্নতিতে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক। লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন অপারেশন প্রজেক্টে ৩০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক। মাধ্যমিক শিক্ষাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে প্রকল্পটি। যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে ১০ দশমিক ২ কোটি ডলার ঋণ দেবে সংস্থাটি। যমুনা নদীতে নদীতীর সুরক্ষা এবং নাব্য উন্নত করতে সাহায্য করবে প্রকল্পটি। নদীতীর ক্ষয় এবং বন্যা থেকে প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমি রক্ষা করবে। এ ছাড়া হাজার হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুতি থেকে বাঁচাবে প্রকল্পটি। নগর স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা উন্নয়ন প্রকল্পে ২০ কোটি ডলার দেবে সংস্থাটি। প্রি-পেইড মিটারিং সিস্টেমের মাধ্যমে গ্যাস বিতরণ খাতে ৩০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক।
২৪ নভেম্বর, ২০২৩
বিশ্বব্যাংক আইএমএফ কর্তাদের সঙ্গে হাসের বৈঠক
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পিটার হাসের আমন্ত্রণে গতকাল বুধবার দুপুরে তার গুলশানের বাসভবনে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন বাংলাদেশে আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক, ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সোলেইমান সৌলিবালি ও সিনিয়র ইকোনমিস্ট বার্নার্ড হ্যাভেন। তবে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে পিটার হাসের আকস্মিক এ বৈঠকের কারণ জানা যায়নি।
১৬ নভেম্বর, ২০২৩
১০ কোটি ২০ লাখ ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশের জন্য ১০ কোটি ২০ লাখ ডলার ঋণ সহায়তা অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। যমুনা নদীর তীর রক্ষা ও নাব্য বাড়াতে এই ঋণ দেবে সংস্থাটি। ‘যমুনা রিভার সাসটেইনেবল ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট-১’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই অর্থ ব্যয় করা হবে। গতকাল বুধবার বিশ্বব্যাংক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে যমুনা নদীতীর সুরক্ষা, নাব্য বৃদ্ধি, তীরবর্তী বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত হওয়া থেকে রক্ষা করা, তাদের জীবনযাত্রার মান বাড়ানো এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহায়তা করতে এ ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্প প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর একটি সিরিজের মধ্যে প্রথম। এটি পর্যাপ্ত গভীরতার সঙ্গে নেভিগেশন চ্যানেলগুলো উন্নত করতে সাহায্য করবে, যা সারা বছর বড় পণ্যবাহী জাহাজগুলো চলাচলে সহায়তা করতে পারে। প্রকল্পটি অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন পুনরুজ্জীবিত করতে এবং আঞ্চলিক সংযোগ ও বাণিজ্য বাড়াতে সহায়তা করবে। নদীভাঙন ও বন্যা থেকে প্রায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি রক্ষা, স্থানীয়দের জীবন-জীবিকা ও সম্পদের সুরক্ষা এবং নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরিতে সহায়তা করবে। প্রকল্পটি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ফুলছড়ি, গাইবান্ধা এবং কালিহাতী অতিক্রম করে যমুনার দুটি চ্যানেলে প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও উদ্ভাবনী নদী কাঠামো এবং নৌ চলাচলে সহায়তা করবে। প্রকল্পটিতে যমুনা তীরবর্তী জনগোষ্ঠীর জন্য দুর্যোগ ও বাস্তুচ্যুতির ঝুঁকি কমানোর দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১২ লাখ মানুষকে একটি বীমা প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। আর এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি উপকারভোগী হবেন নারী। বীমা সক্রিয় হয়ে গেলে সুবিধাভোগীরা ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় অর্থ পাবেন। এ ছাড়া সম্প্রদায় সুরক্ষা তহবিল থেকে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ উপকৃত হবে। বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, যমুনা পৃথিবীর বৃহত্তম ও গতিশীল নদীগুলোর একটি। নদীটির সঙ্গে লাখ লাখ মানুষের জীবিকা সম্পৃক্ত। তবুও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানির স্তর বৃদ্ধির কারণে নদীভাঙন প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে এবং তাদের দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেয়। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক যমুনা নদীর তীরের কিছু অংশ রক্ষা এবং নাব্য বাড়ানোর জন্য একটি বহুমুখী কর্মসূচি বিকাশ ও বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে এবং আমরা আমাদের বহুপক্ষীয় ও দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে যাব। বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ওয়াটার রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট এবং প্রকল্পের টিম লিডার আহমেদ শওকি বলেন, এটি হবে বাংলাদেশ ডেলটা প্ল্যান ২১০০-এর অধীনে প্রথম বহু-খাতীয় বিনিয়োগ প্রকল্প। পাইলট কার্যক্রম পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে সাহায্য করবে।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
যমুনা নদী রক্ষায় ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশকে ১০২ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ১১ কোটি ২১ লাখ ৮ হাজার ৮১২ টাকার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) যমুনা নদী তীর সুরক্ষা, নাব্য বৃদ্ধি, নদী তীরের মানুষদের বাস্তুচ্যুত হওয়া থেকে রক্ষা করতে এ ঋণ অনুমোদন করেছে ব্যাংকটি। যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্প ১ এর প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম হলো- নদীপথগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধি করা। যাতে করে সারাবছর পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারে। এতে আঞ্চলিক যোগাযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এ ছাড়া নদীভাঙন এবং বন্যা থেকে প্রতিবছর প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমি রক্ষা করা সম্ভব। স্থানীয় জনগণের জীবন-জীবিকা ও সম্পদের সুরক্ষা এবং নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করবে।
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে ২০ কোটি ডলার
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে ২০ কোটি ডলারের সহায়তা অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। এই অর্থ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং সাভার ও তারাব পৌরসভায় ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগের চিকিৎসা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সাধারণ অসুস্থতার চিকিৎসা ও প্রতিরোধের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার উন্নয়নে ব্যয় হবে। এর মাধ্যমে শহরাঞ্চলে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ২৫ লাখ শিশু এই পরিষেবা পাবে। বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) কাছ থেকে এই সহায়তা আসছে, যার রেয়াতি অর্থায়ন সুবিধায় পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরের মেয়াদ নির্ধারিত রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। কিন্তু শহরাঞ্চলে সীমিত জনস্বাস্থ্য পরিষেবা রয়েছে। তাই দরিদ্র মানুষ এবং বস্তিবাসীরা প্রায়ই আরও ব্যয়বহুল বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিতে বাধ্য হয়। যেহেতু মশার জীবনচক্র জলবায়ু পরিস্থিতির দ্বারা প্রভাবিত হয়, প্রকল্পটি মশা নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগারকে শক্তিশালী করবে এবং উদ্ভাবনী মশা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সম্প্রদায় ভিত্তিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে সক্ষমতা তৈরি করবে।
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
আরও
X