কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো বিষধর সাপ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় একটি তীব্র বিষধর বেলচেরি সাপকে উদ্ধার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। গতকাল বুধবার রাত ১২টায় জিরো পয়েন্ট সমুদ্রসৈকত থেকে ওই সাপ উদ্ধার করে বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়। অ্যানিমেল লাভার অব পটুয়াখালীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এইচ এম সামিম বলেন, অনেকে ইনল্যান্ড তাইপানকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হিসেবে ধারণা করলেও পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হলো বেলচেরি। প্রকৃতপক্ষে এটি ইনল্যান্ড তাইপানের চেয়েও প্রায় ১০০ গুণ বেশি বিষাক্ত। জানা যায়, সমুদ্রে বসবাসকারী এ সাপটি ০.৫ মিটার থেকে ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর মাথা শরীর থেকে ছোট এবং এর পেছনে মাছের মতো সাঁতারে সহায়ক লেজ রয়েছে। এ সাপটি একবার শ্বাস নিয়ে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পানির নিচে ঘুরে বেড়াতে বা ঘুমাতে পারে। পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত এ সাপটি শান্ত স্বভাবের।
১৬ নভেম্বর, ২০২৩

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো বিষধর সাপ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বেলচেরি নামের বিষধর একটি সাপকে উদ্ধার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১২টায় জিরোপয়েন্ট সমুদ্রসৈকত থেকে ওই সাপ উদ্ধার করে বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়। এনিমেল লাভার আফ পটুয়াখালীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এইচ এম সামিম বলেন, অনেকে ইনল্যান্ড তাইপানকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হিসেবে ধারণা করলেও পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হলো বেলচেরি। প্রকৃতপক্ষে এটি ইনল্যান্ড তাইপানের চেয়েও প্রায় ১০০ গুণ বেশি বিষাক্ত। সমুদ্রে বসবাসকারী এ সাপটি ০.৫ মিটার থেকে ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর মাথা শরীর থেকে ছোট এবং এর পেছনে মাছের মতো লেজ রয়েছে। এ সাপটি একবার শ্বাস নিয়ে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পানির নিচে ঘুরে বেড়াতে বা ঘুমাতে পারে। পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত এ সাপটি খুবই ভদ্র স্বভাবের। এটি সাধারণত কাউকে কামড়ায় না। তবে বার বার একে বিরক্ত করলে এটি কামড় দিতে পারে। এ সাপটি নিয়ে বেশি ভয়ের কারণও নেই। কারণ এটি কাউকে কামড়ালেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিষ ঢোকায় না। তবে কারও ভাগ্য খারাপ হলে এর বিষাক্ত ছোবলে ১৫ মিনিটের কম সময়েই তার মৃত্যু ঘটতে পারে। মাত্র কয়েক মিলিগ্রাম বেলচেরির বিষ ১০০০ এর বেশি লোক বা ২৫ লাখ ইঁদুরকে মারার জন্য যথেষ্ট। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের এস আই ইদ্রিস বলেন, রাতে বক্সে ডিউটি চলাকালে এক পর্যটক সৈকতে হাঁটতে গিয়ে প্রথমে ওই সাপটি দেখতে পায়। একবার সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হলেও সে আবার ভেসে আসে। দ্বিতীয়বার দুজন পর্যটক সৈকতে হাঁটার সময় সাপটিকে দেখতে পেয়ে অবহিত করেন। পরে সাপটি উদ্ধার করে আবারও বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।  ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক আবু হাসনাইন পারভেজ বলেন, কুয়াকাটা সৈকতে বিভিন্ন সময় সমুদ্রের বিষধর সাপের আনাগোনা দেখা যায়। এ ব্যাপারে পর্যটকদের মাঝে সচেতনতা ছড়ানোর পাশাপাশি সাপসহ উপকূলের বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করছি। পর্যটকদের সুবিধার্থে কুয়াকাটা এন্টি বেনাম রাখা খুবই জরুরি বলেও জানান এই কর্মকর্তা। 
১৫ নভেম্বর, ২০২৩

ইনানী সমুদ্রসৈকতে বিষধর সাপ
কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সমুদ্রসৈকতে জোয়ারের পানিতে ভেসে এলো সামুদ্রিক বিষধর সাপ ‘ব্যান্ডেড সি ক্রেইট’। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলের দিকে সাপটি ভেসে আসে। এরপর এটি দেখতে ভিড় করেন পর্যটকসহ শত শত দর্শনার্থী। এ সময় পর্যটকদের সাপটির ছবি ও ভিডিও করতে দেখা গেছে। সমুদ্রবিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার বলেন, ‘এটি ব্যান্ডেড সি ক্রেইট (banded sea krait) প্রজাতির সাপ। এই সামুদ্রিক সাপটি বিশ্বের বিষধর সাপের মধ্য অন্যতম। ব্যান্ডেড সি ক্রেইট পূর্ব ভারতীয় এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের প্রবাল প্রাচীরে বাস করে। দেহে কালো রঙের উলম্ব ব্যান্ড থাকার কারণে এ সাপটিকে ব্যান্ডেড সি ক্রেইট নামে অবহিত করা হয়। এই সাপ বিষধর হলেও এতটাই শান্ত যে মানুষকে খুব কমই কামড়ায়। এমনকি যখন সাপটি হুমকি বোধ করে তখনও আক্রমণ করতে দেখা যায় না। ফলে এ সাপটির আক্রমণে মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড খুবই কম।’ ইনানী সমুদ্র সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিচ কর্মী মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ঢেউয়ের সঙ্গে একটি সাপ ভেসে আসে। এটি যে একটি বিষধর সাপ সেটি কেউ খেয়াল করেনি। দেখতে সুন্দর হাওয়ায় পর্যটকরা ছবি তোলেন। পরে বিষয়টি আমরা জানতে পারলে সাপটি আবারও সমুদ্রে ছেড়ে দেই।’
১৪ অক্টোবর, ২০২৩
X