শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৬ পিএম
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো বিষধর সাপ

কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসা বিষাক্ত বেলচেরি সাপ। ছবি : কালবেলা
কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসা বিষাক্ত বেলচেরি সাপ। ছবি : কালবেলা

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বেলচেরি নামের বিষধর একটি সাপকে উদ্ধার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১২টায় জিরোপয়েন্ট সমুদ্রসৈকত থেকে ওই সাপ উদ্ধার করে বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়।

এনিমেল লাভার আফ পটুয়াখালীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এইচ এম সামিম বলেন, অনেকে ইনল্যান্ড তাইপানকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হিসেবে ধারণা করলেও পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হলো বেলচেরি। প্রকৃতপক্ষে এটি ইনল্যান্ড তাইপানের চেয়েও প্রায় ১০০ গুণ বেশি বিষাক্ত।

সমুদ্রে বসবাসকারী এ সাপটি ০.৫ মিটার থেকে ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর মাথা শরীর থেকে ছোট এবং এর পেছনে মাছের মতো লেজ রয়েছে। এ সাপটি একবার শ্বাস নিয়ে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পানির নিচে ঘুরে বেড়াতে বা ঘুমাতে পারে।

পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত এ সাপটি খুবই ভদ্র স্বভাবের। এটি সাধারণত কাউকে কামড়ায় না। তবে বার বার একে বিরক্ত করলে এটি কামড় দিতে পারে। এ সাপটি নিয়ে বেশি ভয়ের কারণও নেই। কারণ এটি কাউকে কামড়ালেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিষ ঢোকায় না। তবে কারও ভাগ্য খারাপ হলে এর বিষাক্ত ছোবলে ১৫ মিনিটের কম সময়েই তার মৃত্যু ঘটতে পারে। মাত্র কয়েক মিলিগ্রাম বেলচেরির বিষ ১০০০ এর বেশি লোক বা ২৫ লাখ ইঁদুরকে মারার জন্য যথেষ্ট।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের এস আই ইদ্রিস বলেন, রাতে বক্সে ডিউটি চলাকালে এক পর্যটক সৈকতে হাঁটতে গিয়ে প্রথমে ওই সাপটি দেখতে পায়। একবার সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হলেও সে আবার ভেসে আসে। দ্বিতীয়বার দুজন পর্যটক সৈকতে হাঁটার সময় সাপটিকে দেখতে পেয়ে অবহিত করেন। পরে সাপটি উদ্ধার করে আবারও বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক আবু হাসনাইন পারভেজ বলেন, কুয়াকাটা সৈকতে বিভিন্ন সময় সমুদ্রের বিষধর সাপের আনাগোনা দেখা যায়। এ ব্যাপারে পর্যটকদের মাঝে সচেতনতা ছড়ানোর পাশাপাশি সাপসহ উপকূলের বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করছি। পর্যটকদের সুবিধার্থে কুয়াকাটা এন্টি বেনাম রাখা খুবই জরুরি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দলে দলে ঘরে ফিরছে হাজারো গাজাবাসী

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

রাজধানী থেকে বগুড়া শহর আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

হেফাজতে ইসলাম সবার জন্য পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছে :  এ্যানি

দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ

ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া

দেশের ৪০ শতাংশ নারী থাইরয়েডে আক্রান্ত!

‘এই পচা চালের ভাত কীভাবে খাব’

‘পুলিশ এখন বানরের মতো’ বললেন ওসি হাবিবুল্লাহ

১০

ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে নামতে পারে আর্জেন্টিনা

১১

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে একমাত্র পথ সুষ্ঠু নির্বাচন : নীরব

১২

যশোরের ৪ মহাসড়কে মহাদুর্ভোগ

১৩

সুদের টাকা না পেয়ে ঘরের টিন কাঠ খুঁটি খুলে নিলেন ইমাম

১৪

সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের মৃত্যুতে ঢাবি সাদা দলের শোক

১৫

কিউইদের কাছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শোচনীয় পরাজয়

১৬

বিএনপি আইনের শাসনে বিশ্বাসী : ব্যারিস্টার অসীম

১৭

প্রত্যেক উপদেষ্টা বিদেশি নাগরিক : রুমিন ফারহানা

১৮

বিশ্বকাপ দলে ডাক পেলেন ঢাবি ছাত্রদল নেতা

১৯

ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হতে যাচ্ছে : প্রেস সচিব

২০
X