পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বেলচেরি নামের বিষধর একটি সাপকে উদ্ধার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১২টায় জিরোপয়েন্ট সমুদ্রসৈকত থেকে ওই সাপ উদ্ধার করে বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়।
এনিমেল লাভার আফ পটুয়াখালীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এইচ এম সামিম বলেন, অনেকে ইনল্যান্ড তাইপানকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হিসেবে ধারণা করলেও পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হলো বেলচেরি। প্রকৃতপক্ষে এটি ইনল্যান্ড তাইপানের চেয়েও প্রায় ১০০ গুণ বেশি বিষাক্ত।
সমুদ্রে বসবাসকারী এ সাপটি ০.৫ মিটার থেকে ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর মাথা শরীর থেকে ছোট এবং এর পেছনে মাছের মতো লেজ রয়েছে। এ সাপটি একবার শ্বাস নিয়ে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পানির নিচে ঘুরে বেড়াতে বা ঘুমাতে পারে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত এ সাপটি খুবই ভদ্র স্বভাবের। এটি সাধারণত কাউকে কামড়ায় না। তবে বার বার একে বিরক্ত করলে এটি কামড় দিতে পারে। এ সাপটি নিয়ে বেশি ভয়ের কারণও নেই। কারণ এটি কাউকে কামড়ালেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিষ ঢোকায় না। তবে কারও ভাগ্য খারাপ হলে এর বিষাক্ত ছোবলে ১৫ মিনিটের কম সময়েই তার মৃত্যু ঘটতে পারে। মাত্র কয়েক মিলিগ্রাম বেলচেরির বিষ ১০০০ এর বেশি লোক বা ২৫ লাখ ইঁদুরকে মারার জন্য যথেষ্ট।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের এস আই ইদ্রিস বলেন, রাতে বক্সে ডিউটি চলাকালে এক পর্যটক সৈকতে হাঁটতে গিয়ে প্রথমে ওই সাপটি দেখতে পায়। একবার সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হলেও সে আবার ভেসে আসে। দ্বিতীয়বার দুজন পর্যটক সৈকতে হাঁটার সময় সাপটিকে দেখতে পেয়ে অবহিত করেন। পরে সাপটি উদ্ধার করে আবারও বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক আবু হাসনাইন পারভেজ বলেন, কুয়াকাটা সৈকতে বিভিন্ন সময় সমুদ্রের বিষধর সাপের আনাগোনা দেখা যায়। এ ব্যাপারে পর্যটকদের মাঝে সচেতনতা ছড়ানোর পাশাপাশি সাপসহ উপকূলের বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করছি। পর্যটকদের সুবিধার্থে কুয়াকাটা এন্টি বেনাম রাখা খুবই জরুরি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন