নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রীতে চলছে বীর নিবাস নির্মাণ
গোপালগঞ্জে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান (বীর নিবাস) নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করায় ক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। শিডিউল অনুযায়ী কাজ করার দাবি মুক্তিযোদ্ধা নেতাদের। মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সারা দেশে ৩০ হাজার বাসস্থান নির্মাণ চলছে। জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪ অর্থবছরে ৩০৩টি বীর নিবাসের বরাদ্দ পায় উপজেলা প্রশাসন। পরে ৩০৩ ঘর থেকে সাতটি ঘরের বরাদ্দ স্থগিত হয়। পরে ২৯৬টি বীর নিবাসের মধ্যে ৪৭টি ঘরের অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় ২৪৯টি বীর নিবাসের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ১২টি বীর নিবাস হস্তান্তর করেছে উপজেলা প্রশাসন। বর্তমানে ২৩৭টি বীর নিবাসের কাজ চলমান। টেন্ডারের মাধ্যমে ২৮টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ চলমান রয়েছে। কিছু অসাধু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নিম্নমানের ইট, বালু ও খোয়া দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস নির্মাণ করছেন। সুবিধাভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা নিম্নমানের কাজে বাধা দিলেও কর্ণপাত করছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সরেজমিন সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মুন্সী, অহিদ মুন্সী, নিচু পাড়ার কে এম মনিরুজ্জামান, ঘোসগাতীর সামাদ মোল্লা, ডুমদিয়া ফারুক খানের বাড়িতে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। নিম্নমানের ইট, বালু ও খোয়া দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আশিক বিল্ডার্স। এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আশিক বিল্ডার্সের মালিক আশিককে বারবার এসব নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কাজ না করার জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি আমাদের কোনো কথা শুনছেন না। তিনি তার মতো কাজ করছেন। তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য মুজিববর্ষে বীর নিবাস নামক বাসস্থান নির্মাণ করে দিচ্ছেন। কিন্তু কিছু অসাধু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রী সুনাম নষ্ট করছে। তারা দেশ ও জাতির শত্রু। প্রধানমন্ত্রীর সুনাম নষ্টকারী প্রতিষ্ঠানের বিচার চাই। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাবেক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সবেদ আলী ভূঁইয়া জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস নামক বাসস্থান নির্মাণে ভালো বাজেট থাকা সত্ত্বেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের কাজ করছে। এভাবে কাজ হলে ওই বীর নিবাসে আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করতে হবে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের। আক্ষেপ করে সুবিধাভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী শেখ জানান, কিছু অসাধু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরকারের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে বীর নিবাস নির্মাণ করছে। বাধা দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। আমরা কি দেশ স্বাধীন করেছিলাম এসব দেখার জন্য? প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আশিক বিল্ডার্স মালিক আশিকুজ্জামানের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে রিপোর্টটি প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্ন মানুষের মাধ্যমে অনুরোধ করছেন তিনি। এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস নির্মাণাধীন বাসস্থান দেখাশোনার দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আশিক বিল্ডার্সের মালিক আশিকুজ্জামানকে নিম্নমানের সামগ্রী সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী সরিয়ে নিতে বলা হলেও কেন নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কাজ চলমান রয়েছে—এমন প্রশ্ন করা হলে ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল কোনো উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহসিন উদ্দিন জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আশিক বিল্ডার্সকে উরফি ইউনিয়নের বীর নিবাস নির্মাণের নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে নিয়ে শিডিউল অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম জানান, বীর নিবাস নির্মাণে কোনো অনিয়ম হলে সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নে টেন্ডারের মাধ্যমে বীর নিবাস নামক প্রতিটি বাসস্থান নির্মাণে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
৩০ মার্চ, ২০২৪

দুই বছরেও সম্পন্ন হয়নি পাঁচ মুক্তিযোদ্ধার বীর নিবাস
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় পাঁচ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বসতবাড়িতে পাকা দালান নির্মাণকাজ প্রায় দুই বছরেও সম্পন্ন হয়নি। ঠিকাদারদের গাফলতির কারণে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের এ কাজ আটকে আছে বলে জানা গেছে। এতে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা চরম বিপাকে পড়েছে । এ অবস্থায় তারা এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব আবাসন নির্মাণকাজের ঠিকাদার উপজেলার ‘জয় ট্রেডার্সে’র স্বত্বাধিকারী আ. কুদ্দুস ওরফে ভিপি কুদ্দুস। প্রায় দুই বছর আগে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের বসতবাড়িতে পাকা দালান নির্মাণের নামে প্রকল্পের অর্ধেক কাজ করেই সরকারি বিল উঠিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো হলো- উপজেলা সদর ইউনিয়নের কে.এম ডাঙ্গী গ্রামের শেখ আ. মান্নান, একই গ্রামের মৃত আ. জলিল মাষ্টার, আ. জলিল খান, চরহরিরামপুর ইউনিয়নের জাকেরের সুরা গ্রামর মোসলেম উদ্দিন খান ও বি এস ডাঙ্গী গ্রামের আমিন উদ্দিন মোল্যা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তর ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ১৬টি অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে আবাসন নির্মাণের জন্য একতলা পাকা দালানের কাজ শুরু হয়। প্রতিটি পরিবারে সরকারিভাবে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরমধ্যে ভিন্ন ভিন্ন ঠিকাদারের মাধ্যমে ১১টি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের আবাসন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ঠিকাদার ভিপি কুদ্দুস টেন্ডারের আওতায় পাঁচটি আবাসন নির্মাণের কাজ প্রায় দুই বছরেও শেষ হয়নি। এ ব্যাপারে ঠিকাদার আ. কুদ্দুস ওরফে ভিপি কুদ্দুস জানান, ‘বর্তমানে আমি আর্থিক সংকট রয়েছি। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ কাজটি সম্পন্ন করতে পারিনি। ২৭ লাখ টাকা বিল উঠালেও তা আমার পার্টনার নিয়ে গেছে। ফলে বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করতে আরও কিছুদিন সময় দিতে হবে।’ ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো জানায়, প্রতিটি ঘরের ফ্লোর, দরজা, জানালা, গোসলখানা, বাথরুম, টাইলস, বিদ্যুৎ ওয়ারিং কাজ, চুনকাম ও স্যানিটেশন কাজগুলো এখনো শেষ হয়নি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. মান্নান (৭০) জানান, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সাতটি মেয়েসহ আমরা নয়জন। দিনের বেলায় বসতবাড়িতে ঘোরাঘুরি করে সময় কাটাই। কিন্তু রাত হলেই এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে রাত্রীযাপন করতে হচ্ছে। ঠিকাদার ভিপি কুদ্দুসের জন্য প্রায় দুই বছর ধরে আমরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি।’  তিনি জানান, ‘প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরও কেউ আমাদের খবর রাখেনি।’  এ ব্যাপারে উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা (পিআইও) মাহমুদুল হাসান টিটু বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের আবাস নির্মাণে বিড়ম্বনার দায় উল্লেখ করে ঠিকাদার ভিপি কুদ্দুসকে তিন দফায় নোটিশ/চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরপরও সে সজাগ না হলে ঠিকাদারের লাইসেন্স বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’ এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেহেদী মোর্শেদ বলেন, ‘আমি এ উপজেলায় আসার অনেক আগেই বীর নিবাসের টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু পরে জানতে পারি, মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। ওই ঠিকাদার কিছু বিল এখনো না পাওয়ায় কাজ শেষ করতে পারেননি। তারপরও ওই ৫ বীর নিবাসের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে কাজ করছি আমরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন এ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

নীলফামারীর জলঢাকা / বীর নিবাস নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নীলফামারীর জলঢাকায় নির্মাণ করা হয়েছে বীর নিবাস। এ উপজেলায় এরই মধ্যে প্রথম ধাপে তালিকাভুক্ত ১২টি বীর নিবাস নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এসব বীর নিবাসে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ও উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। সঠিক তদারকির অভাব ও প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন এবং সময়মতো কাজ না হওয়ায় এ নিয়ে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি বীর নিবাস নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৮ টাকা। প্রাক্কলন অনুযায়ী প্রতিটি বীর নিবাস হবে দৃষ্টিনন্দন ও ঢালাইয়ের পাকা ছাদ। এতে থাকবে তিনটি বেডরুম, একটি গেস্টরুম, দুটি বাথরুম ও একটি কিচেন রুম। এ ছাড়া থাকবে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের সুব্যবস্থা। সরেজমিন দেখা গেছে, এ উপজেলায় বীর নিবাস নির্মাণকাজে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের ইট, বালু, সিমেন্ট ও অন্যান্য উপকরণ। প্রাক্কলন অনুযায়ী টয়লেট ও রান্নাঘর নির্মাণ করা হয়নি। নিম্নমানের পানির ট্যাঙ্কি ও পাইপ লাগানো হয়েছে। বৈদ্যুতিক সামগ্রীও নিম্নমানের। বীর নিবাস বরাদ্দ পাওয়া একাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের দাবি, শুরু থেকেই প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ করার তাগিদ দিলেও, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার তাদের কথা আমলে নেননি। এ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে এসব অনিয়মের বিষয়ে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের আলসিয়া পাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম কালবেলাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে বীর নিবাস দিয়েছেন। ঘরগুলো নির্মাণের শুরু থেকেই ঠিকাদার নিম্নমানের ইট, সিমেন্ট, রড ব্যবহার করেছেন। ছাদের রড ভালো দেননি। বিদ্যুৎ সংযোগ ও সুইচ বোর্ড ব্যবহারের অনুপযোগী। বৈদ্যুতিক মিটার দেননি। আমার পুরোনো মিটার লাগিয়ে দিয়েছেন। এসব বিষয় বারবার ঠিকাদারকে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। একই ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বিশ্বনাথ রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘর দিয়েছেন, কিন্তু এ ঘরে শান্তিতে ঘুমাতে পারব কি না জানি না। ঠিকাদার সব মালপত্র খুব নিম্নমানের দিয়েছেন। বীর নিবাস নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স স্বচ্ছ এন্টারপ্রাইজের নামে থাকলেও দায়িত্বে রয়েছেন হেদায়েতুল্লাহ হেদ্দা নামে এক ব্যক্তি। তার সঙ্গে এ প্রতিবেদকের যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, আমি এখনো ঘর বুঝিয়ে দিইনি। তাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) ঘরে কে উঠতে বলেছে? কিন্তু মন্ত্রণালয়ের নথিতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ভালোভাবে দেখেশুনে এবং বুঝে ঘর নেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ময়নুল হক কালবেলাকে বলেন, প্রথম ধাপের ১২টি বীর নিবাস নির্মাণের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অনিয়মের বিষয়ে সরেজমিন দেখব। যদি সমস্যা থাকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা ঠিক করে দেবে। যেসব ঘরের কাজে সমস্যা রয়েছে তা সমাধান করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলা হবে। এ ছাড়া বীর নিবাস নির্মাণে অনিয়ম হয়ে থাকলে সরেজমিন তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ময়নুল ইসলাম।
০১ আগস্ট, ২০২৩
X