বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
বৃষ্টি থাকবে আরও কয়েকদিন, কমবে তাপমাত্রা
সারা দেশে আজ বুধবার (০৮ মে) থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। রাজশাহী, নোয়াখালী, রাঙ্গামাটি, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, সন্দ্বীপ, লক্ষ্মীপুর, গাইবান্ধাসহ অনেক জায়গায় সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়াও আগামী পাঁচদিনেও বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই বৃষ্টির ফলে কমতে পারে তাপপ্রবাহ। কমে আসবে দিনের তাপমাত্রাও। মঙ্গলবার পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টির পরও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চট্টগ্রামের হাতিয়ায় ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ দিন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ বুধবার রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শুক্রবার ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। কালবৈশাখীর সতর্কতা : আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে। পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা ঝড়ের গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার। নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোতে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। 
১০ ঘণ্টা আগে

বৃষ্টি ভেজা ঢাকার বাতাসের খবর কী?
তীব্র দাবদাহ, বায়ুদূষণ আর শব্দদূষণে অতিষ্ঠ ঢাকার নগরজীবন। দীর্ঘ দাবদাহ শেষে কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। রাজধানী ঢাকাতেও হচ্ছে বৃষ্টি। আর এতেই কিছুটা উন্নতি হয়েছে বায়ুদূষণে। বুধবার (৮ মে) শহরটির বাতাস কয়েক দিনের তুলনায় বেশ উন্নতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ৮৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২০ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা দূষণের দিক থেকে মাঝারি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৭১ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। আর ১৬০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীনের রাজধানী বেইজিং, ১৫৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা, ১৫৮ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয় এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ভারতের দিল্লির স্কোর ১৫৫। আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে দিনের পর দিন ঢাকায় বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। এর ৩টি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বিশ্বে বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ছে।
১৫ ঘণ্টা আগে

টানা ৩৭ দিন পর তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি, ১৪ মে পর্যন্ত ঝরবে বৃষ্টি
টানা ৩৭ দিন পর তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেয়েছে দেশবাসী। এখন দেশজুড়ে ঝরছে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশে ১৪ মে পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখীর পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালবেলাকে বলেন, এখন যেমন বৃষ্টি হচ্ছে একইরকম বৃষ্টি থাকবে কয়েকদিন। আগামী ১১ মের পর বৃষ্টি বাড়তে পারে। সেই বৃষ্টি ১৩-১৪ মে পর্যন্ত থাকবে। এরপর কমলেও বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিপাত থাকবে। আগামী ১৪ মের পর থেকে তাপমাত্রা একটু বাড়বে।  মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীতে ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুর বিভাগে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৩০ দশমিক ৫, ময়মনসিংহে ৩২ দশমিক ৬, সিলেট বিভাগে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৩৩, চট্টগ্রামে বিভাগে সীতাকুণ্ডে ৩৪, খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ৭৭ মিলিমিটার। ঢাকায় ২, ফরিদপুরে ৪, মাদারীপুরে ২৮, গোপালগঞ্জে ৫৫, রংপুর, সৈয়দপুর, রাজারহাট ও তেঁতুলিয়ায় ১, ডিমলায় ৬, চট্টগ্রামে ২১, সন্দ্বীপে ১৪, সীতাকুণ্ডে ১৩, রাঙামাটি ৬, কুমিল্লা ৮, চাঁদপুর ২৮,  নোয়াখালীর মাইজিকোর্টে ৪৯, ফেনী ২০, হাতিয়ায় ২৪, কক্সবাজারে ২৯, টেকনাফে ১১, বান্দরবানে ৯, খুলনায় ৭৫, মোংলায় ২৯, সাতক্ষীরায় ৬৭, যশোরে ২৫, চুয়াডাঙ্গায় ২, কুষ্টিয়ায় ১, বরিশালে ৫৮, পটুয়াখালীতে ৪১, খেপুপাড়ায় ৭৫ এবং ভোলায় সর্বোচ্চ ৪৩  মিলিমটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বগুড়া ও নেত্রকোনায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।  আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।  বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়া অফিস জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। গত ৩১ মার্চ থেকে টানা ৩৭ দিন ধরে দেশে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, যা ৭৬ বছরের মধ্যে রেকর্ড। এপ্রিলজুড়ে তীব্র, কখনো অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এতে অসহনীয় হয়ে উঠেছিল জনজীবন।  আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, যে তাপপ্রবাহ বয়ে গেল, তা অস্বাভাবিক ছিল। দেশের ৮০ শতাংশ এলাকাজুড়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। সাধারণত এপ্রিলে দেশের বিভিন্ন স্থানে কমবেশি বৃষ্টি হয়। কিন্তু এবার এপ্রিলে শুধু সিলেটে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ তাপপ্রবাহের পর ২ মে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়। এই বৃষ্টি সঠিক সময়ে আসেনি। এই বৃষ্টি অনেকটা অস্বাভাবিক। তিনি বলেন, বৃষ্টির এই যে অস্বাভাবিক প্রবণতা, তা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেরই প্রতিফলন। দীর্ঘদিন বৃষ্টি হয়নি। সময়মতো বৃষ্টি হয়নি। আবার বৃষ্টির ধরনে ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে, যখন বৃষ্টি হচ্ছে, তখন বেশি বেশি হচ্ছে। এই প্রবণতাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের পরিবেশে বড় ধরনের পরিবর্তন আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের আরও নানামুখী প্রভাব ভবিষ্যতে হয়তো দেখা যাবে। গত ৩০ এপ্রিলে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যশোরে, যা গত পাঁচ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এদিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৯৫ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল আগের নয় বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ঈশ্বরদীতে, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২০১৪ সালের মে মাসে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯৭২ সালের ১৮ মে, ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৯ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল তার আগের ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ, ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ১৯৬৫ সালে থার্মোমিটারের পারদ উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
০৭ মে, ২০২৪

টানা বৃষ্টি হতে পারে যেসব বিভাগে 
টানা তিনদিন সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির খবর জানিয়েছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সংস্থাটি জানায়, বুধবার (৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়াগায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে,পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।  
০৭ মে, ২০২৪

তীব্র দাবদাহের পর লালমনিরহাটে স্বস্তির বৃষ্টি
সন্ধ্যা থেকেই লালমনিরহাটের পাটগ্রামের আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। উপজেলার কয়েকটি এলাকায় শুরু হয় বৃষ্টি। দাবদাহের মধ্যে বাড়তি স্বস্তি নিয়ে এসেছে মধ্য বৈশাখের এ হালকা বৃষ্টি। সোমবার (৬ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। বৃষ্টি না হলেও অন্যান্য এলাকায় আকাশ মেঘলা অবস্থায় দেখা গেছে। বৃষ্টি হওয়ায় গরমের নাভিশ্বাস থেকে একটু হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস এসেছে জনজীবনে। অনেকেই বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তির কথা জানিয়েছেন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। শহরের এক বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টির জন্য দীর্ঘ যে প্রতীক্ষা, সেটির অবসান হলো। বৃষ্টির পর রোদে গা জ্বলা যে ভাবটি ছিল এতদিন, সেটি আর নেই। খুব ভালো লাগছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে আরেক বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টির পর এখন অনেকটা স্বস্তি পাচ্ছে মানুষ। আল্লাহর কাছে লাখো শোকর। এর আগে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর সোমবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল। এই পূর্বাভাস অনুযায়ী জেলার পাটগ্রাম উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাবপ্রবাহ। সূর্যের প্রখরতায় দিনে-রাতে প্রায় একই তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে সূর্য অস্ত গেলেও মানুষের ভোগান্তি কমছে না। রাতের বেলায়ও প্রচণ্ড গরমে সবাইকে হাঁসফাঁস করতে দেখা যায়।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

তীব্র দাবদাহের পর লালমনিরহাটে স্বস্তির বৃষ্টি
সন্ধ্যা থেকেই লালমনিরহাটের পাটগ্রামের আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। উপজেলার কয়েকটি এলাকায় শুরু হয় বৃষ্টি। দাবদাহের মধ্যে বাড়তি স্বস্তি নিয়ে এসেছে মধ্য বৈশাখের এ হালকা বৃষ্টি। সোমবার (৬ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। বৃষ্টি না হলেও অন্যান্য এলাকায় আকাশ মেঘলা অবস্থায় দেখা গেছে। বৃষ্টি হওয়ায় গরমের নাভিশ্বাস থেকে একটু হলেও স্বস্তির নিশ্বাস এসেছে জনজীবনে। অনেকেই বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তির কথা জানিয়েছেন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। শহরের এক বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টির জন্য দীর্ঘ যে প্রতীক্ষা, সেটির অবসান হলো। বৃষ্টির পর রোদে গা জ্বলা যে ভাবটি ছিল এতদিন, সেটি আর নেই। খুব ভালো লাগছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে আরেক বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টির পর এখন অনেকটা স্বস্তি পাচ্ছে মানুষ। আল্লাহর কাছে লাখো শোকর। এর আগে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর সোমবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল। এই পূর্বাভাস অনুযায়ী জেলার পাটগ্রাম উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাবপ্রবাহ। সূর্যের প্রখরতায় দিনে-রাতে প্রায় একই তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে সূর্য অস্ত গেলেও মানুষের ভোগান্তি কমছে না। রাতের বেলায়ও প্রচণ্ড গরমে সবাইকে হাঁসফাঁস করতে দেখা যায়।
০৬ মে, ২০২৪

রাজধানীতে ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড
রাজধানীতে বৃষ্টি ঝরল। বৃষ্টির সঙ্গে ছিল প্রবল হাওয়া। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, হওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫৯ কিলোমিটারের মতো। আর বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ মিলিমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ তরিফুল নেওয়াজ কবির গণমাধ্যমকে বলেন, রাজধানীতে ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় ৫৯ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় বাতাস শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ঝোড়ো বাতাসের পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নামে স্বস্তির বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে ঝরছে শিলাও। এদিকে আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে দেশের আট বিভাগেই টানা তিন দিন বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তামপাত্রা কমারও পূর্বাভাস মিলেছে। পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তাপপ্রবাহ: ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অধিকাংশ জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। তাপমাত্রা: সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা (১-৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। দ্বিতীয় দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তাপমাত্রা: সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। তৃতীয় দিনের অবস্থায় বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় জানানো হয়, এই সময়ে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
০৬ মে, ২০২৪

জয়পুরহাটে স্বস্তির বৃষ্টি
দীর্ঘ তাপপ্রবাহের পর জয়পুরহাটে নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। এ বৃষ্টিতে মানুষের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি নেমে আসে।  শনিবার (৪ মে) বেলা ৩টা ৫৮ মিনিট থেকে শুরু হয়ে আধা ঘণ্টা ধরে চলে এ বৃষ্টিপাত। তবে জেলার সব জায়গায় বৃষ্টি হয়নি। শহরে বৃষ্টির সময় আকাশ কিছুটা কালো মেঘে ঢাকা ছিল।  শহরের রিকশাচালক বেলাল হোসেন বলেন, প্রচণ্ড গরমের পর যতটুকুই হোক বৃষ্টি হয়েছে তাতেই ভালো লাগছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাহেলা পারভীন জানান, জেলায় আজ শনিবার বিকেলে সদর উপজেলায় ৫ ক্ষেতলাল ১২ এবং কালাই উপজেলায় ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
০৪ মে, ২০২৪

বৃষ্টি বাড়বে যেদিন থেকে
তপ্ত এপ্রিলের পর মে মাস শুরু হয়েছে। এ মাসের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি দেখা দেয়। কিন্তু থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় সাময়িক স্বস্তি এলেও গরমের তীব্রতা রয়ে গেছে।  এমন পরিস্থিতিতে সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (৪ মে) সকালে ব্রিফিংয়ে আবুল কালাম মল্লিক জানান, আগামী ৬ তারিখের পর সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এত গরমও কিছুটা কমবে।  তিনি বলেন, মে মাসে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় সবাইকে নিরাপদে থাকার পরামর্শও দেন তিনি। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি হলে মে মাসে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে।  এদিকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে দেশের পশিচমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়াও রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
০৪ মে, ২০২৪

ঢাকাসহ যেসব অঞ্চলে রাতে বৃষ্টি নামতে পারে
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে আজ রাতে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে আগামী ৬ তারিখের পর সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।  শনিবার (৪ মে) সকালে সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।  তিনি বলেন, মে মাসে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় সবাইকে নিরাপদে থাকার পরামর্শও দেন তিনি। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি হলে মে মাসে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে।  এদিকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে দেশের পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়াও রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
০৪ মে, ২০২৪
X