ই-মেইলে বোমা হামলার হুমকিতে তুলকালাম, বন্ধ ১০০ স্কুল
ই-মেইলে পাঠানো হয়েছে বার্তা। আর তাতেই ঘটে গেছে তুলকালাম। মেইল পাঠানোর ফলে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে প্রায় ১০০ স্কুল। আর এসব স্কুলের শিক্ষার্থীদের বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বুধবার (০১ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ১০০ স্কুলে ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। এতে সেখানে বোমা ও বিস্ফোরক পুঁতে রাখা হয়েছে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এরপরই ঘটে তুলকালাম। এসব স্কুলের সব শিক্ষার্থীকে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই খালি করা হয়েছে এসব স্কুল প্রতিষ্ঠান। আর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে।  দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, হুমকির পর স্কুলগুলোতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে এতে কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।  দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে প্রায় ১০০ স্কুলে এ মেইল পাঠানো হয়েছে। মেইল পাঠানোর পর অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছাড়িয়ে পড়ে। এরপর স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।  দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি নিছক প্রতারণা।  দিল্লির গভর্নর লেফটেন্যান্ট ভি কে সাক্সেনা বলেন, পুলিশ হামলার হুমকির ই-মেইলের উৎস খুঁজে পেয়েছে। এটি একটি প্রতারণা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের বিভিন্ন টেলিভিশনে দেখা গেছে, দিল্লি ও নয়ডাজুড়ে স্কুলগুলোর সামনে অভিভাবকরা সন্তানদের বাড়ি ফেরাতে অপেক্ষা করছেন। পুলিশের স্পেশাল টিম, ডগ স্কোয়াড  এবং বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতিশী জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রয়োজন অনুযায়ী স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।  দিল্লিতে ই-মেইলে এ ধরনের বোমা হামলার হুমকি নতুন নয়। এর আগেও এ ধরনের হুমকি রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলে দেওয়া হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে তল্লাশি চালিয়ে এসব ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। 
০১ মে, ২০২৪

পরমাণু বোমা থেকে সপ্তাহ খানেক দূরে ইরান!
ইরানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে যেন কৌতূহলের শেষ নেই পশ্চিমা দেশগুলোর। চলমান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ইসরায়েলও। এর মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির পরমাণু অস্ত্র লাভের সম্ভাবনা নিয়ে জোরালো আলোচনা শুরু করেছে পশ্চিমা সংস্থাগুলো। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের পরমাণু বোমা তৈরির সময়সূচি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা তথা আইএইএ’র প্রধান রাফায়েল গ্রোসি জানান, পরমাণু বোমা তৈরির উপযুক্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে ইরানের আর মাত্র এক সপ্তাহ লাগবে। তবে এ সময়ের মধ্যে ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে ফেলবে বা এরই মধ্যে দেশটির কাছে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে- এমনটা সত্যি নয় বলে মন্তব্য করেন গ্রোসি। আইএইএ প্রধান জানান, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য উপযুক্ত হওয়ার কাছাকাছি হওয়াটা বিশ্বের জন্য আশঙ্কার কারণ হতে পারে। তবে তেহরানের কাছে এখন পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে এমন কোনো সরাসরি প্রমাণ নেই। গ্রোসি জানান, একটি কার্যকর পরমাণু ওয়ারহেড তৈরি করতে বহু জিনিসের প্রয়োজন হয়। ইরানের পরমাণু কার্যক্রম তাই অনেকটাই অনুমানমূলক। যদিও ইরান বলে আসছে, তাদের পরমাণু কার্যক্রমের লক্ষ্য সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি জানান, তেহরানের পরমাণু নীতিমালায় অস্ত্র উৎপাদনের মতো কোনো বিষয়ের স্থান নেই। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির পরমাণু প্রকল্পে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের প্রবেশাধিকার বাড়ানোর অনুরোধ জানান রাফায়েল গ্রোসি। এতে করে তেহরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনার অবসান হবে বলে মনে করেন তিনি। সম্প্রতি ইরানের পরমাণু অস্ত্র সক্ষমতা নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে একটি নিবন্ধ লিখেছেন মার্কিন সাংবাদিক জবি ওয়ারিক। যেখানে তিনি দাবি করেন, ইরান পরমাণু বোমা তৈরির একেবারে দ্বারপ্রান্তে। সাংবাদিক জবি ওয়ারি লেখেন, ইরানের সাথে করা পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে বিরাট ভুল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যার আড়ালে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নজর এড়িয়ে পরমাণু অস্ত্র তৈরির পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশটি। নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে নিজেদের নাতাঞ্জ ও ফোরদো পরমাণু প্রকল্পে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে ইরান। পরমাণু অস্ত্র বা বোমা তৈরি করতে প্রয়োজন ন্যূনতম ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধকরণ। ইরান যে গতিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, তাতে শিগগিরই পরমাণু অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন করবে বলে দাবি করেন জবি ওয়ারিক।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ওপর হামলা, বোমা বিস্ফোরণ
শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হযরত রহমান মাদবরের ফেসবুক আইডি থেকে ‘বাপের জন্মের হইয়া থাকলে সামনে আইসা মারামারি কর, কাল সকালে শুরু খেলা’ এমন স্ট্যাটাস দিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারীর সমর্থকরা বলে অভিযোগ উঠেছে।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের সারেংকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কমপক্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিলাসপুর ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর কুদ্দুস বেপারীর সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবরের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।  এর আগে গত ২৭ মার্চ বুধবার দুপক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে সজীব মুন্সী নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়। পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে ঘটনার সূত্র ধরে বুধবার সকালে আবারও দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় তারা ফসলি জমিতে নেমে একে অপরপকে লক্ষ্য করে হামবোমা ছুড়তে থাকে। বোমার শব্দে ভারী হয়ে উঠে আশপাশ। এই ঘটনায় ৪ জন গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আব্দুল জলিল মাদবর অভিযোগ করেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কুদ্দুস বেপারীর সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলার প্রস্তুতি নেয়। তারা আজ সকালে শাহাবুদ্দিন সারেং নামে আমার এক সমর্থকের হাত-পা ভেঙে দেয়। পরে আমাদের লোকজন খবর পেয়ে তাদের প্রতিরোধ করে। তারা এক ব্যক্তির মৃত্যুর মিথ্যা গুজব রটিয়ে আমাদের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করে। আমি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। অভিযোগ অস্বীকার করে বিলাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারী বলেন, জলিল মাদবর আমাদের লোকজনকে মারার জন্য অন্য এলাকা থেকে লোক ভাড়া করে এনেছে। পরে আজ সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমার এক লোক গুরুতর আহত হয়েছে। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  জাজিরা থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

ফ্রান্সের ইরানি দূতাবাসে বোমা আতঙ্ক, আটক ১
ফ্রান্সের প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে এক ব্যক্তি বোমা নিয়ে ঢুকে পড়েছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ফরাসি সশস্ত্র পুলিশ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি এক ব্যক্তিকে ইরানি কনস্যুলেটে গ্রেনেড বা বিস্ফোরকভর্তি বেল্ট নিয়ে ঢুকতে দেখেন। ইরানি এই দূতাবাসটি প্যারিসের বিশ্বখ্যাত আইফেল টাওয়ারের কাছেই অবস্থিত। তাই এমন খবরে পেয়ে ফ্রান্সের বিআরআই ইন্টারভেনশন ব্রিগেডের এলিট ফোর্সের সদস্যরা দূতাবাস ভবনটি ঘেরাও করে ফেলে। তবে তার আগেই ওই ব্যক্তি দূতাবাস ভবন থেকে বের হয়ে যান। অবশ্য স্থানীয় সময় ৩টার দিকে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবির বরাতে বিবিসি জানায়, পুলিশ ওই ব্যক্তিকে ইরানি কনস্যুলেটের কাছ থেকে আটক করেছে। এরপর বিআরআই কর্মকর্তারা তাকে তল্লাশি করে। তবে তার কাছে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায়নি। তার আগে ফরাসি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এক ব্যক্তি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি ঘোষণা দেন যে তিনি ভাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে চান। এই ঘটনার পর দূতাবাসমুখী সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে বর্তমানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই দেশের উত্তেজনার উত্তাপ ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্য ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে শ্বশুরবাড়িতে বোমা হামলা
স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি নিত্যদিনের। দাম্পত্য কলহ এমনই পর্যায়ে পৌঁছয় যে, স্বামী-স্ত্রীর চিৎকারে অতিষ্ঠ প্রতিবেশীরাও। সেই পারিবারিক অশান্তিতে বোমা হামলার অভিযোগ উঠছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।  প্রতিবেদনে বলা হয়, মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া করার জন্য জামাইয়ের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলার   অভিযোগ উঠছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বোমার আঘাতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে চার জন। আহতদের প্রত্যেককে ভর্তি করানো হয়েছে স্থানীয় একটি হাসপাতালে। স্থানীয় সূত্রে আনন্দবাজার জানায়, মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ ব্লকের তিন পাকুরিয়া অঞ্চলের গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা রেহেনা খাতুন ও মেহেদী হাসানের বিয়ে হয় বছরখানেক আগে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সাংসারিক অশান্তি শুরু হয় তাদের। মাঝেমধ্যেই সাংসারিক অশান্তি মাত্রা ছাড়িয়ে যেত। মঙ্গলবার মাঝরাতেই হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়েও পড়েন স্থানীয়েরা। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, রেহানার পরিবারের লোকজনই জামাইয়ের বাড়িতে বোমা হামলা করেছেন। বোমার আঘাতে রেহানার পরিবারের চার সদস্য জখম হন। যাঁদের মধ্যে তিন জনের আঘাত গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। মেহেদীর পরিবারের সদস্য দিলরুবা বেওয়ার বলেন,  রাত ১২টার দিকে হঠাৎ বোমার শব্দে ঘুম ভেঙে যায় আমাদের। আমাদের বাড়ির লোকজনকে খুন করার উদ্দেশে বোমা হামলা হয়। বৌয়ের বাপের বাড়ির লোকজন এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এদিকে, সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন রেহানার বাপের বাড়ির লোকেরা।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

পরমাণু বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে ইরান
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শত্রু ইরান। তাই দেশটির পরমাণু প্রকল্প নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ তেল আবিবের। বিশ্লেষকরা বলছেন, পরমাণু বোমা তৈরির একেবারে দ্বারপ্রান্তে ইরান। দেশ দুটির মধ্যে অব্যাহত উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে একাধিকবার ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠ ইসরায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলারও হুমকি দিয়েছে খামেনির দেশ। গত শনিবার ইসরায়েলের অভ্যন্তরে সরাসরি হামলা চালায় ইরান। এরপর থেকেই নতুন করে প্রশ্ন ওঠে— ইরান কীভাবে এতটা সাহস করে হামলা চালাল, তবে কি পরমাণু অস্ত্র বানানোর দৌড়ে সফল হয়েছে দেশটি? সম্প্রতি ইরানের পরমাণু অস্ত্র সক্ষমতা নিয়ে সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে একটি নিবন্ধ লিখেছেন মার্কিন সাংবাদিক জবি ওয়ারিক। যেখানে তিনি দাবি করেন, ইরান পরমাণু বোমা তৈরির একেবারে দ্বারপ্রান্তে। সাংবাদিক জবি ওয়ারি লেখেন, ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে বড় ভুল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নজর এড়িয়ে পরমাণু অস্ত্র তৈরির পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশটি।  নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়— বর্তমানে নিজেদের নাতাঞ্জ ও ফোরদো পরমাণু প্রকল্পে ৬০ শতাংশ হারে ইউরোনিয়াম সমৃদ্ধ করছে ইরান। পরমাণু অস্ত্র বা বোমা তৈরি করতে প্রয়োজন ৯০ শতাংশ বা তার বেশি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম। ইরান যে গতিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, তাতে শিগগিরই পরমাণু অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন করবে।  জবি ওয়ারিক লেখেন, পশ্চিমা বিশ্ব দীর্ঘদিন ধরেই ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। জবাবে ইরান বলে আসছিল—তাদের এই প্রকল্প শান্তিপূর্ণ এবং বেসামরিক উদ্দেশ্যে নির্মিত। তবে, সম্প্রতি ইরানি কর্মকর্তরা বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করতে শুরু করেছেন। দেশটির পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ এসলামির একটি বক্তব্য ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। প্রথমবারের মতো ইরানের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে তিনি বলেন,আগ্রাসন রুখতে ইরান এই অস্ত্র ব্যবহার করবে।  এমনিতেই গাজা যুদ্ধের কারণে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। তার ওপর ইরানের পরমাণু প্রকল্প ইসরায়েলের কপালে চিন্তার নতুন ভাঁজ ফেলে দিচ্ছে। যদিও তেহরানকে থামাকে সম্ভাব্য কিছুই করে যাচ্ছে তেল আবিব। ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা, প্রকল্পের অভ্যন্তরে নাশকতা এবং আমেরিকাকে নিয়ে ‘স্টাক্সনেট' নামের ভাইরাস দিয়ে সাইবার হামলাও চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে পরমাণু প্রকল্পের কাজ ধীর হলেও থামানো যায়নি উপসাগরীয় দেশটিকে।  নিবন্ধে বলা হয়— পরমাণু অস্ত্র বানানোর আগেই ইরানকে যদি থামানো না যায়, তাহলে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে গণবিধ্বংসী এই অস্ত্র বানানোর হিড়িক পড়ে যাবে। এই দৌড়ে সবার আগে নাম লিখাবে সৌদি আরব। দেশটির কার্যত শাসক মোহাম্মদ বিন সালমান এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন— ইরান পরমাণু বোমা বানালে বসে থাকবে না সৌদিও। অন্যদিকে আঞ্চলিক শক্তিধর তুরস্ককেও তখন থামিয়ে রাখা যাবে না। ভয়াবহ সেই প্রতিযোগিতার ফলে আবারও বিস্তার ঘটবে পরমাণু অস্ত্রের, যা গোটা বিশ্বের জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।   
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

ইসরায়েলে ইরানের হামলা / সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়াতে তোড়জোড়
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই পাল্টা হামলা করেছে তেহরান। ইসরায়েল ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি দুই চিরশত্রু দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ পর্যন্ত বেধে যেতে পারে বলে সতর্ক করছেন তারা। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন যুদ্ধ ঠেকাতে কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা-তদবির করে চলেছে আরব উপসাগরীয় দেশগুলো। এক্ষেত্রে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দুই পরাশক্তি সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। বিশেষ করে ইরান, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার মতভেদ দূর করে তাদের আলোচনার টেবিলে বসাতে কাজ করছে দেশ দুটি। এই বিষয়ের সঙ্গে জানাশোনা আছে এমন কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গত কয়েক বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশের রাজা-বাদশারা ইরান ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে মনোনিবেশ করেছে। দীর্ঘদিনের বিরোধ কাটিয়ে নিজ নিজ স্বার্থে কাজ করতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছে এসব দেশ। এরই অংশ হিসেবে ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে চুক্তি স্বাক্ষর করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের সুন্নি প্রধান দেশ সৌদি আরবও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় অনেক দূর এগিয়ে যায়। তবে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে বাধ্য হয়ে এই প্রচেষ্টা থেকে সরে আসে রিয়াদ। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ বাধলে তা দ্রুত গতিতে উপসাগরীয় অন্য দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কেননা এই দুই চিরশত্রু দেশের মধ্যে ইরাক, সিরিয়া ও জর্ডানের মতো দেশ অবস্থিত। এসব দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। আর ইসরায়েলকে রক্ষায় ইস্পাত-দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে প্রধান মিত্র ওয়াশিংটন। এ বিষয়ের সঙ্গে জানাশোনা রয়েছে এমন একটি উপসাগরীয় সূত্র বলেছে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার উত্তেজনা আর বাড়ুক তা কেউ চায় না। সবাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায়। এ জন্য বড় ধরনের টেলিফোন কূটনীতি জারি রয়েছে। তিনি বলেন, চাপ শুধু ইরানের ওপর নয়। পাল্টা হামলা না করতে ইসরায়েলের ওপরও চাপ আছে। ইরানের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে প্রভাবিত করবে। আরেকটি উপসাগরীয় সূত্র জানিয়েছে, ইরান ও ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে উত্তেজনা না বাড়াতে চাপ দিচ্ছে ইরাক ও জর্ডান। ইতোমধ্যে ইসরায়েলকে সংযম দেখাতে বলেছে ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে উপসাগরীয় দেশগুলোর মাধ্যমে উত্তেজনা আর না বাড়াতে ইরানে বার্তা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্রটি আরও বলেছে, এটা স্পষ্ট, ইরান ও আমেরিকানদের মধ্যে বার্তা পাঠাতে উপসাগরীয় আরব মিত্রদের ব্যবহার করছে আমেরিকা। ইরানের সঙ্গে সৌদি আরব যোগাযোগ বজায় রাখছে। এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাদের মাঝে একটি বোঝাপড়া রয়েছে। কীভাবে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এই সংকট সামাল দিচ্ছে তা জানতে দেশ দুটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে রয়টার্স। উপসাগরীয় সূত্র ও বিশ্লেষকরা বলছেন, সবচেয়ে বিপজ্জনক মুহূর্ত কেটে গেছে। উপসাগরীয় দেশগুলোর সরকারপন্থি গাল্ফ রিসার্চ সেন্টারের প্রধান আব্দুল আজিজ আল-সাগর বলেছেন, ইরানিরা তাদের প্রতিশোধ নিয়েছে। উত্তেজনা বৃদ্ধির সময় পার হয়ে গেছে। এখন ইসরায়েলের তরফ থেকেও আর কোনো উসকানি চাইছে না যুক্তরাষ্ট্র।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

ইরান-ইসরায়েল ছাড়িয়ে হামলার উত্তাপ ইউরোপ-আমেরিকায়
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই পাল্টা হামলা করেছে তেহরান। ইসরায়েল ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি দুই চিরশত্রু দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ পর্যন্ত বেঁধে যেতে পারে বলে সতর্ক করছেন তারা। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা বিবৃতিতে দিয়েছেন। তারা যেমন দুই দেশের মাঝে উত্তেজনা প্রশমনের কথা বলেছেন তেমনি ইসরায়েলের প্রতি ইস্পাত-দৃঢ় সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছন। ফলে ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলার উত্তাপ মধ্যপ্রাচ্য ছাড়িয়ে এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনই কয়েকজন বিশ্বনেতার বিবৃতি এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে, বিশেষ করে সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তহে ইরানের সরাসরি আক্রমণের বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে ইসরায়েল। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত— সেটা হতে পারে প্রতিরক্ষামূলক বা আক্রমণাত্মক। তিনি বলেন, আমরা ইসরায়েলের পাশে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ব্রিটেন, ফ্রান্স ও অন্যান্য অনেক দেশের সমর্থনের প্রশংসা করি। আমরা একটি স্পষ্ট নীতি নির্ধারণ করেছি : যারা আমাদের ক্ষতি করবে, আমরা তাদের ক্ষতি করব। আমরা যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষা করব। জো বাইডেন : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের হামলার হালনাগাদ তথ্যের জন্য আমি আমার জাতীয় নিরাপত্তা দলের সাথে দেখা করেছি। ইরান ও এর প্রক্সিদের হুমকি মোকাবিলা ও ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি ইস্পাত-দৃঢ়। আন্তোনিও গুতেরেস : জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আমি ইসরায়েলের ওপর ইরানের বড় ধরনের আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাই। আমি এই ধরনের শত্রুতা অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, আমি পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন একটি ধ্বংসাত্মক উত্তেজনার সত্যিকারের বিপদ সম্পর্কে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। মধ্যপ্রাচ্যে একাধিক ফ্রন্টে বড় সামরিক সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ এড়াতে আমি সবাইকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানাই। ঋষি সুনক : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক বলেছেন, আমি ইসরায়েলে ইরানের বেপরোয়া আক্রমণের কড়া ভাষায় নিন্দা জানাই। এই হামলা এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি তৈরি করে। ইরান আবারও প্রমাণ করল যে নিজের উঠোনে অশান্তির বীজ রোপনের ইচ্ছা রয়েছে তাদের। তিনি বলেন, ইসরায়েল এবং জর্ডান ও ইরাকসহ আমাদের সব আঞ্চলিক অংশীদারদের নিরাপত্তা জন্য যুক্তরাজ্য তাদের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখবে। আমাদের মিত্রদের পাশাপাশি আমরা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে এবং উত্তেজনা রোধে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করছি। কেউ আর রক্তপাত দেখতে চায় না। জোসেপ বোরেল : ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের অগ্রহণযোগ্য হামলার তীব্র নিন্দা জানায় ইইউ। এটি নজিরবিহীন উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি। তবে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি মিশন বলেছে, সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কূটনৈতিক প্রাঙ্গণের ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় এই সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ইসরায়েলি শাসক গোষ্ঠী যদি আরেকটি ভুল করে তাহলে ইরানের জবাব আরও যথেষ্ট গুরুতর হবে। এটি ইরান ও দুর্বৃত্ত ইসরায়েলি সরকারের মধ্যে সংঘাত। এই সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে দূরে থাকতে হবে। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও দাবি করা হয়, ইসরায়েলে হামলায় ব্যবহারের জন্য শতাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। যে কোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

ইসরায়েলে হামলায় যেসব ভয়ংকর অস্ত্র ব্যবহার করল ইরান
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করেছে ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে এই পাল্টা হামলা শুরু করেছে তেহরান। হামলার পরপর তেল আবিব ও পশ্চিম জেরুজালেমসহ ইসরায়েলি শহরগুলোতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের ৭২০টির বেশি জায়গায় বিমান হামলার সাইরেন বাজানোর শব্দ শোনা গেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে ইসরায়েলের দিকে লক্ষ্য করে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলি সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম করপোরেশন জানিয়েছে, শনিবারের হামলায় ইরান ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র, ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ১৬০টি সুইসাইড ড্রোন ব্যবহার করেছে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ইরানের ছোড়া অধিকাংশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশসীমার বাইরেই ভূপাতিত করা হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ক্রুজ মিসাইলসহ বেশ কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। তাদের হামলায় ২০০টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগ ইসরায়েলি সীমার বাইরে প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরানের এই সমন্বিত আক্রমণে একটি ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনার সামান্য ক্ষতি হয়েছে। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও দাবি করা হয়, ইসরায়েলে হামলায় ব্যবহারের জন্য শতাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। যে কোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

যেভাবে ইরান থেকে ছোড়া মিসাইল ধ্বংস করছে আয়রন ডোম
ইসরায়েলে হামলা শুরু করেছে ইরান। শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে দেশটি। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে এই পাল্টা হামলা শুরু করেছে তেহরান। খবর রয়টার্স ও এনডিটিভির। ইরানের হামলার পরপর ইসরায়েলি ভূখণ্ডের ভেতের ব্যাপক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। সারা দেশজুড়ে বিমান হামলার সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হচ্ছে। ইরানি হামলায় সাত বছর বয়সী একটি মেয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। যদিও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ইরানের ছোড়া অধিকাংশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশসীমার বাইরেই ভূপাতিত করা হয়েছে। Israelis reality in the last hours: pic.twitter.com/VXeHM8WqJi — Israel Defense Forces (@IDF) April 14, 2024 ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ক্রুজ মিসাইলসহ বেশ কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। তাদের হামলায় ২০০টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগ ইসরায়েলি সীমার বাইরে প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরানের এই সমন্বিত আক্রমণে একটি ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনার সামান্য ক্ষতি হয়েছে। এদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আয়রন ডোম তাদের আকাশসীমায় শত শত ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রকে রুখে দিচ্ছে। ইসরায়েলের আয়রন ডোম মূলত ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপ করা একটি স্বল্পপাল্লার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। মিসাইল বা রকেট প্রতিরোধক এই আয়রন ডোম মূলত তিনটি কাজ করে। রাডারের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করা, দ্রুত সেই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য তৎপর হওয়া এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে রুখে দেওয়া। ইসরায়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার অন্যতম এটি। হিব্রু ভাষায় এর নাম কিপাট বারলজেল। কার্যকারিতার কারণেই ইসরায়েলের কাছে এটি গুরুত্বপূর্ণ। এর সাফল্যের হার ৯৫ শতাংশেরও বেশি। ২০১১ সাল থেকে প্রতিরক্ষায় এটি ইসরায়েলের অন্যতম ভরসা। এটি অনেকবার নতুন করে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ইসরায়েলের দিকে ছোড়া স্বল্প-পাল্লার মিসাইল ও রকেটকে মাঝপথে নাস্তানাবুদ করে ইসরায়েলি নাগরিকদের বাঁচাতে এটি তৈরি করা হয়েছে। ইসরায়েলেই রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমের আওতায় তৈরি করা হয়েছে আয়রন ডোম। এতে সাহায্য করেছে ওয়াশিংটন। এখনো মার্কিনিরা এ আয়রন ডোম চালানোর খরচ বহনে সহায়তা করে চলেছে।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪
X