রাশিয়াকে ৪০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে ইরান
দুদেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতাকে আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাশিয়াকে অন্তত ৪০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে ইরান। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ৩০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। গত বছরের শেষদিকে তেহরান ও মস্কোতে অনুষ্ঠিত বৈঠকের চুক্তি অনুযায়ী ক্ষেপণাস্ত্রের এই চালান পাঠানো হয়েছে। খবর রয়টার্স ২০২৩ সালের শেষের দিকে তেহরান ও মস্কোয় পৃথক বৈঠকে এই অস্ত্রচুক্তি হয় বলে একটি সূত্র রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে। পরে চুক্তি অনুযায়ী জানুয়ারির শুরুতে ওই অস্ত্রের চালান শুরু হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইরানের এক সেনা কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, এখন পর্যন্ত অন্তত ৪টি ক্ষেপণাস্ত্রের চালান পাঠানো হয়েছে, যা আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও বেশি হবে। ঊর্ধ্বতন অপর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু চালান বিমানের মাধ্যমে পরিবহন করা হয়েছিল, বাকিগুলো জাহাজে করে ক্যাস্পিয়ান সাগর দিয়ে পাঠানো হয়। তিনি জানান, ‘এটি লুকানোর কোনো কারণ নেই। স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে আমরা যে কোনো দেশে অস্ত্র রপ্তানি করতে পারি।’ তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। অন্যদিকে, পেন্টাগনও এখন পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে অস্ত্র সহযোগিতা জোরদার করেছে ইরান ও রাশিয়া। তেহরান ও মস্কোতে অনুষ্ঠিত বৈঠকের চুক্তি অনুযায়ী জানুয়ারির শুরু থেকে পাঠানো এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ফাতেহ-১১০ গোত্রের। যেগুলো ৩০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইসরায়েলে এবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় ইলাত শহরের কয়েকটি সামরিক চৌকিতে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি। বুধবার হুতির সামরিক মুখপাত্রের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে হামলায় ইসরায়েলে কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহত হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি। এদিকে ইরান সমর্থিত হুতিদের হামলার জবাবে পাল্টা হামলা না চালাতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর রয়টার্সের। ইসরায়েলের ইলাত শহরে যে কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, এর মধ্যে দুটি ভূপাতিত করে ইসরায়েলি বাহিনী। একটি ইলাতের সীমান্তে গিয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেন, বুধবার ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে ছোড়া একটি ড্রোন গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আরলে বার্ক ডেস্ট্রয়ার। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহত হয়নি। এ ছাড়া ড্রোনটির লক্ষ্যবস্তুও পরিষ্কার নয়। গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ লোহিত সাগরে ষষ্ঠবারের মতো ড্রোনে গুলি চালিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায় ইসরায়েলি কয়েকটি বাণিজ্যিক জাহাজে সাম্প্রতিক একের পর এক হামলার মধ্যেই বুধবার এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। হুতিদের বিবৃতিতে বলা হয়ে, ‘ইসরায়েলি শত্রুদের বিরুদ্ধে তাদের সামরিক অভিযান চলবে। একই সঙ্গে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে ইসরায়েলি সব জাহাজকে আরব ও লোহিত সাগরে চলাচলে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।’ তেহরানের মিত্র হুতিরা গাজা উপত্যকায় যুদ্ধরত ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে লোহিত সাগরে ইসরায়েল এবং ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করছে। এর আগে বুধবার ব্রিটেনের সমুদ্র নিরাপত্তাবিষয়ক দুই সংস্থা মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন এজেন্সি (ইউকেএমটিও) এবং অ্যামব্রে ইয়েমেনের হোদাইদাহ বন্দরের পশ্চিমে লোহিত সাগরে সন্দেহভাজন ড্রোন হামলার একটি ঘটনা ঘটেছে বলে জানায়। ওই অঞ্চলে চলাচলকারী সব জাহাজকে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য সতর্ক করে দিয়েছে ইউকেএমটিও। গত রোববার মার্কিন সামরিক বাহিনী জানায়, দক্ষিণ লোহিত সাগরে তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজ হামলার শিকার হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে পেন্টাগন বলেছে, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ক্রমবর্ধমান হামলায় মার্কিন যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্যবস্তু নাও করা হতে পারে। যদিও মার্কিন নৌবাহিনী ড্রোন ভূপাতিত করে ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে হামলার জবাব দিয়েছে। রোববার ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী ওই অঞ্চলে দুটি ইসরায়েলি জাহাজে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করে। ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে মুসলিম বিশ্বকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তারা এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে। এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরান সমর্থিত হুতিদের হামলার জবাবে পাল্টা হামলা না চালাতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, তাদের আশঙ্কা, যদি ইসরায়েল হামলার জবাব দিতে হুতিদের লক্ষ্য করে ইয়েমেনে হামলা চালায়, তাহলে বর্তমান যুদ্ধ এই অঞ্চলের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে যেতে পারে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
এবার ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। দেশটির দক্ষিণের এলাকা এইলাতে এ হামলা হয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, তারা ইসরায়েলের সেনাদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছে, বুধবার সকালে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ আরলে বার্ক ক্লাস ডেস্ট্রয়ার একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এ ড্রোনটি ইয়েমেনের হুতিদের এলাকা থেকে ছোড়া হয়েছিল। হুতিদের ছোড়া এ ড্রোনে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এ ছাড়া এটি কাদের উদ্দেশ্যে ছোড়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।  এ নিয়ে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ৬ বার লোহিত সাগরে হামরলার মুখে পড়েছে। ফিলিস্তিন ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যে দেশটির যুদ্ধজাহাজে হামলা হয়েছে। এমনকি এ সময়ে ভূমধ্যসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ হামলার মুখে পড়েছে।  হুতিরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি সেনাদের ওপর সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে। এমনকি আবর সাগর ও লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজ চলাচল করতে দেওয়া হবে না। ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিদ্রোহীরা এমন পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে।  এর আগে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা দাবি করে, তারা দুটি ইসরায়েলি জাহাজে হামলা করেছে। সশস্ত্র ড্রোন এবং একটি নৌ-ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এ হামলা চালানো হয়। সংগঠনটির সামরিক অংশের এক মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স রোববার জানায়, হুতি মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ইউনিটি এক্সপ্লোরার’ এবং ‘নম্বর নাইন’ নামের দুটি জাহাজ হুতি নৌবাহিনীর সতর্কতা প্রত্যাখ্যান করার পর তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়। ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি কোম্পানি অ্যামব্রে বলেছে, লোহিত সাগরে যাত্রা করার সময় একটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ অন্তত দুটি ড্রোনের সাথে ধাক্কা খেয়েছে। অন্য একটি কন্টেইনার জাহাজ উত্তর ইয়েমেনি বন্দর হোদেইদা থেকে প্রায় ১০১ কিলোমিটার (৬৩ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। পেন্টাগন জানায়, একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ এবং একাধিক বাণিজ্যিক জাহাজ লোহিত সাগরে হামলার শিকার হয়েছে। ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যেসব সামুদ্রিক হামলা চলে তারই অংশ এটি।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
X