কলার কাঁদি নিয়ে ঝগড়ায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
কলার কাঁদি নিয়ে ঝগড়ায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডী ইউনিয়নের অবিলের বাজারে ঘটেছে। শুক্রবার (১৭ মে) রাত ২টার দিকে বড় ভাই শফিকুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।   বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ থানার ওসি পলাশ চন্দ্র মন্ডল জানায়- এ ঘটনায় চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো- হেলালী বেগম (২০), আলিফা বেগম (৪০), মাসুম (২৫), আশরাফুল (১৭)। মৃত বড় ভাইয়ের নাম শফিকুল ইসলাম। ছোট ভাইয়ের নাম দুলু মিয়া (৪৫)। তারা উভয়েই রনচন্ডী ইউনিয়নের অবিলের বাজার গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে।  পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- শুক্রবার দুপুরে কলাগাছ কেটে একটি কলার কাঁদি বাড়িতে নিয়ে যায় ছোট ভাই দুলু মিয়া। এ সময় বড় ভাই শফিকুল কলার কাঁদিটি তাদের তিন ভাইয়ের মধ্যে ভাগ করে দিতে বলেন। ছোট ভাই দুলু কলার ভাগ কাউকে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় দুই ভাইয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হলে একপর্যায়ে ছোট ভাই দুলু লাঠি দিয়ে বড় ভাই শফিকুলর মাথায় আঘাত করেন। এতে শফিকুল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান। তার স্ত্রী মহছিনা বেগম স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন দুলু। এলাকাবাসী ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই দিন (শুক্রবার) রাত ২টার সময় শফিকুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার স্ত্রী মহছিনার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।  কিশোরগঞ্জ থানার ওসি পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, কলার কাঁদি নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে ছোট ভাই বড় ভাইয়ের মাথায় আঘাত করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
১৮ মে, ২০২৪

ভাইকে বিদেশে পাঠিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না বড় ভাইয়ের
ছোট ভাই আকাশ যাচ্ছেন মালয়েশিয়ায়। তাকে এগিয়ে দিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলেন বড় ভাই ফিরোজ হোসেন ও মোহাম্মদ হোসেন। ছোট ভাইকে বিদেশে পাঠিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। কিন্তু বাড়ি ফেরা হলো না বড় ভাই মোহাম্মদ হোসেনের। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মোহাম্মদ হোসেনসহ পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহত মোহাম্মদ হোসেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা। শুক্রবার (১৭ মে) ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বসন্তপুর এলাকায় রিলাক্স পরিবহন নামের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় পাঁচজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে চারজনের অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত অন্য চারজন হলেন- নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার শাহাপুর গ্রামের নাছির উদ্দিন পলাশ ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী চট্টগ্রামের বাশখালীর বাহারছড়া গ্রামের বদরুল হাসান রিয়াদ। অপর দুজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার ফিরোজ, একই এলাকার মোক্তার হোসেন, ফজলুর রহমান, আরাফাত, আজান, নাাবিল হোসেন, কামরুন নাহার, স্বপন শিকদার, রফিকুল ইসলাম, আরজ হেসেন। নিহত মোহাম্মদ হোসেনের বড় ভাই ফিরোজ হোসেন বলেন, ছয় ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে মোহাম্মদ হোসেন তৃতীয়। আমাদের সবার ছোট ভাই আকাশের মালয়েশিয়ার ফ্লাইট ছিল রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ভাইকে বিমানবন্দরে এগিয়ে দিয়ে আসার জন্য আমি ও আরেক ভাই মোহাম্মদ হোসেন সঙ্গে যাই। ভাইয়ের বিমান ছাড়ার পরে রাত ২টায় ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাড়িতে ফেরার জন্য দুই ভাই মিলে রিলাক্স পরিবহন বাসে রওনা করি। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বসন্তপুর এলাকায় পৌঁছালে ভোরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় আমার ভাই হোসেনসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আমার ভাই আর বাড়িতে ফিরতে পারল না।  স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল সোয়া ৬টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রিলাক্স পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস উপজেলার বসন্তপুর নামক এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। বাসের ভেতরে যাত্রীরা আটকে পড়ে। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও অপর দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নর্থ সাউথ ইউনিভাসিটির শিক্ষার্থী রাঙ্গামাটির বাসিন্দা আরজ হোসেন সুমন বলেন, রাত সাড়ে ১২টায় বাসটি ছাড়ার কথা থাকলেও ২৮ জন যাত্রী নিয়ে রাত ২টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে রওনা করে। শুক্রবার ফজরের নামাজের আগে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকায় একটি হোটেলে যাত্রাবিরতি করে বাসটি। যাত্রাবিরতির আগে গাড়িটির বেপরোয়া গতি ছিল। বিরতি শেষে গাড়িটি আবারও বেপরোয়া গতিতে চলে। এ কারণে চৌদ্দগ্রামের বসন্তপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে। এ সময় বাসের অধিকাংশ যাত্রী ঘুমে ছিল। বেপরোয়া গতির কারণেই বাসটি দুর্ঘটনায় পড়েছে। অপর বাসযাত্রী চট্টগ্রামের আজান হোসেন বলেন, গাড়িটি উল্টে যাওয়ার পর আমিসহ আরও কয়েকজন মিলে গাড়িটির সামনের গ্লাস ভেঙে আহতদের উদ্ধারে চেষ্টা করি। আহতদের কয়েকজনকে টেনে বের করি। অপরদিকে নিহত অপরযাত্রী নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার শাহাপুর গ্রামের নাছির উদ্দিন পলাশের ভগ্নিপতি আফতাব উদ্দিন তুহিন বলেন, নাসির উদ্দিন পাইপ ফিটিংসের কাজ করেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বাসযোগে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন। হাইওয়ে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি তিনি চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক গোলাম কিবরিযা টিপু বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১৫ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছি। মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ওসি এস এম লোকমান হোসাইন বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী রিলাক্স পরিবহনের বাসটি সকালে উপজেলার বসন্তপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে  খাদে পড়ে যায়। এ সময় পাঁচ যাত্রী নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত নিহত তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সাব ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, আমরা ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তা গাড়ির ভেতর থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করি। আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
১৭ মে, ২০২৪

পানি নিয়ে দ্বন্দ্বে ভাইকে পিটিয়ে মারলেন ভাই
ময়মনসিংহের ফুলপুরে বাড়ির পুকুরে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের বেধড়ক মারধরে উপজেলার গোয়াতলা রঘুরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ মে) সকালে উপজেলার বওলা ইউনিয়নের পুরাননগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফুলপুর থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানান, সকালে ১০টার দিকে বাড়ির পুকুরে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাই জাকারিয়ার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কামাল উদ্দিনকে মারধর করা হয়।  এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক নিহতের খবর পেয়ে ফুলপুরের সার্কেল এএসপি মো. আতাহারুল ইসলাম তালুকদার ও আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের চাচাতো ভাই জাকারিয়া, মুহিবুল্লাহ ও তাদের মাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।  তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
১৭ মে, ২০২৪

হেলিকপ্টার প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারে হেলিকপ্টারে এলেন প্রার্থীর ভাই
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে হেলিকপ্টার প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মহসিন আলী রুবেলের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে হেলিকপ্টারে এলেন ছোট ভাই মোজাফফর হোসেন টিপু। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাপানি ব্যবসায়ী মিস্টার ইতো। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর ১২টায় সৈয়দপুর শহরের রেলওয়ে মাঠে হেলিকপ্টারে আসেন তিনি। এ সময় রেলওয়ে মাঠে চেয়ারম্যান প্রার্থী মহসিন আলী রুবেল, কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিকো আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।  এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাই হেলিকপ্টারে আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক দর্শনার্থীরা ভিড় জমায় রেলওয়ে মাঠে। এ সময় প্রার্থীর প্রতীক নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন কর্মী ও সমর্থকরা। সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। ফলে নির্বাচনকে ঘিরে চলছে জমজমাট প্রচার। নির্বাচনী মাঠে প্রচার-প্রচারণায় দিনরাত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রার্থী, সমর্থক ও কর্মীরা। 
১৬ মে, ২০২৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টান্টবাজি করে অতিরিক্ত পপুলার হতে নাই : হিল্লোল
দেশের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লোল। অভিনয় বাদ দিয়ে তিনি এখন ফুল টাইম ফুড ব্লগিং করেন। ঘুরে বেড়ান দেশ বিদেশে। খেয়ে দেখান বিভিন্ন দেশের ঐতিহাসিক সব খাবার। এবার তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত জনপ্রিয়তা পাওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন।    বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টান্টবাজি করে অতিরিক্ত পপুলার হতে নাই, আমি খেয়াল করে দেখছি, তাতে করে পরবর্তীতে গজব নাজিল হয়! এমন উদাহরণ বাংলাদেশে অনেকগুলো আছে।’ তবে উপদেশটি কাউকে উল্লেখ করে দেননি এই অভিনেতা। তবে অনেকেই মনে করছেন কথাগুলো তিনি আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইফতেখার রাফসান রাফসানকে নিয়ে দিয়েছেন। কারণ কিছুদিন আগেই এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর তার বাবা মো. জাকারিয়া এবং তার মা কাজী নুরুন্নেছা সেহেলিকে একটি দামি গাড়ি উপহার দেন। যার ভিডিও সামাজিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শেয়ার করেন তিনি। এরপরই শুরু হয় আলোচনা। বেরিয়ে আসে তাদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ পরিশোধ না করার অভিযোগ। এরপরই সমালোচনার মুখে পরেন রাফসান।
১৪ মে, ২০২৪

ফুফাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মামাতো ভাই খুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দেরকোটা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে  ছুরিকাঘাতে সালেহ আহম্মেদ (৩৭) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় তার বাবা ও ছোট ভাই গুরুতর আহত হন। সালেহ আহম্মেদ ওই গ্রামের আবুল কাশেম ও নাসিমা দম্পত্তির ছেলে। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি ত্রিনাথ সাহা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের দেরকোটা পূর্বপাড়া ব্যাপারী বাড়ির আবুল কাশেমের সঙ্গে তার ভাগিনা জামাল ও মহিন উদ্দিনের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে সোমবার সন্ধ্যায় উঠান ঝাড়ু দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ সৃষ্টি হলে সালেহ আহম্মেদকে প্রতিপক্ষরা ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তার বাবা আবুল কাশেম ও ছোট ভাই আব্দুল মতিনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সালেহ আহম্মেদকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সালেহ আহম্মেদের বাবা আবুল কাশেম বলেন, জামাল ও মহিন উদ্দিন সম্পর্কে আমার ভাগিনা হয়। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আমার পূর্ব বিরোধ চলে আসছে। সন্ধ্যায় আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস উঠান ঝাড়ু দেওয়ার সময় জামাল মহিন উদ্দিন ও মনোয়ারা বেগম আমার মেয়েকে মারধর করে। এ সময় সালেহ আহম্মেদ বাধা দিতে গেলে তারা তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আমি এবং আমার ছোট ছেলে আব্দুল মতিন এগিয়ে গেলে আমাদেরও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। মা নাসিমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার চোখের সামনেই জামাল, মহিউদ্দিন ও মনোয়ারা আমার ছেলেকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবুল হাসেম সবুজ বলেন, সালেহ আহম্মেদের তলপেটে এবং হাতে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ত্রিনাথ সাহা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
১৩ মে, ২০২৪

মারা গেলেন খাদ্যমন্ত্রীর বড় ভাই
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।  কর্মজীবনে ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি নিয়ামতপুর উপজেলার কাপাস্টিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। শুক্রবার (১০ মে) সকালে শিবপুর শ্মশান ঘাটে তার সৎকার অনুষ্ঠিত হবে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। এদিকে ভাই ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার।  এক শোকবার্তায় খাদ্যমন্ত্রী ধীরেশ চন্দ্র মজুমদারের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস‍্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
০৯ মে, ২০২৪

সুজনকে পিটিয়ে হত্যা ঘটনায় বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার
ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে সুজন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বাবা ও ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে রাজধানী ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিহতের ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বাবাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গ্রেপ্তার দুজন হলেন নিহতের ছোট ভাই প্রধান আসামি স্বপন তালুকদার ও দ্বিতীয় আসামি বাবা আফজাল তালুকদার। শনিবার (৪ মে) বরিশাল র‌্যাব-৮ এর উপপরিচালক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মুহতাসিম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাদের দুজনকে ঝালকাঠি সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নের গোবিন্দধবল গ্রামে পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুজন তালুকদারকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বাবা ও ভাই। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠায়।  অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় সুজনের স্ত্রী রিয়া বেগম বুধবার (১ মে) ঝালকাঠি থানায় দেবর, শ্বশুর-শাশুড়িসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করে। ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, হত্যা মামলার দুই আসামিকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করে রাতে থানায় হস্তান্তর করেছে। শনিবার সকালে তাদের ঝালকাঠি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
০৪ মে, ২০২৪

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে মন্ত্রীর ছোট ভাই
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোটভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে তার এই থেকে যাওয়া সুষ্ঠু বা প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। তাদের আশা, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার আগেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন তিনি। নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। তিনি শিল্পমন্ত্রীর মেজভাই।  নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন ছাড়াও মনোহরদী উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আরও চারজন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু ও রাজধানী ঢাকায় আইন পেশায় যুক্ত মো. মাসুদুর রহমান।  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলায় টানা পাঁচবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল ইসলাম খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নাম বাদ দিয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদের নাম একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাকে না দিয়ে সাইফুল ইসলাম খানকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাইফুল ইসলাম খান। সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এবার আর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি।  চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ এখনো সরে না দাঁড়ানোয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ছেন সবাই। শিল্পমন্ত্রী নীরব থাকা সত্ত্বেও তার ভাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন। মন্ত্রীর পরিবারেই যদি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদও চলে যায়, তাহলে আর অন্যদের রাজনীতি করে লাভ কী? শেষ পর্যন্ত নজরুল মজিদ মাহমুদ যদি ভোটের মাঠে থেকেই যান, তবে জোর করেই ভোট নিয়ে নেবেন তিনি, এমন ভীতি কাজ করছে ভোটারদের মধ্যে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে মন্ত্রীর ভাই যদি উপজেলা নির্বাচন করেন, তবে খামোখা আমাদের নির্বাচন করে লাভ কী? তিনি ভোটারদের বলে বেড়াচ্ছেন, ভোট দিলেও আমি, না দিলেও আমিই উপজেলা চেয়ারম্যান। ভোট চাইতে গেলে ভোটাররা বলেন, ‘কেরে ঘুরেন, কষ্ট করেন? ভোট তো কেটেই নেবে। তা দিতে পারব এমন গ্যারান্টি দিতে পারবেন?’ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অমান্য করার সাহস দলীয় কোনো নেতার আছে বলে আমি মনে করি না। আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ তারিখের মধ্যেই শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন। এরই মধ্যে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে, ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন কি না। দলের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার শুভবুদ্ধির উদয় হওয়ার আশায় আছি।  উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। শিল্পমন্ত্রীর ছোটভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখনো ভোটের মাঠে আছেন। আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি দ্রুতই সরে দাঁড়াবেন। এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করব বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি। মন্ত্রীর ভাই হিসেবে নয়, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি করে আসছি। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন না করার ব্যাপারে দলীয় কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। সে কারণে আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেন তিনি। এ ছাড়াও শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিয়েও ফোন রিসিভ হয়নি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেন জানান, এ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কোনো চিঠি এখনো আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। ৩০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিংয়েই পরবর্তী করণীয় নির্ধারিত হবে। যারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করবেন, তাদের বিরুদ্ধে ওই অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আগামী ৯ মে ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আলী আহমেদ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এদিন ধার্য করেন। এ মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- আদনান সিদ্দিকী, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী। ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এ হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথাকাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান। আসামিদের মধ্যে আদনান খুনের পরপরই ধরা পড়েছিলেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই বছরই আসামিদের মধ্যে একজন হাইকোর্টে আপিল করেন। আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল। সর্বশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে ফের মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৮ বছর আগে ঢাকা মহানগরের পিপি দপ্তর থেকে সোহেল হত্যা মামলার তদন্তে নথিপত্র কেস ডকেট (সিডি) নিয়ে যান পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার সন্ধান মেলে। তিনি আগেই অবসরে গেছেন। তবে হত্যা মামলার সিডি আজও আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪
X