কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে

নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আগামী ৯ মে ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আলী আহমেদ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এদিন ধার্য করেন।

এ মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- আদনান সিদ্দিকী, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।

সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এ হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথাকাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান। আসামিদের মধ্যে আদনান খুনের পরপরই ধরা পড়েছিলেন।

মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

ওই বছরই আসামিদের মধ্যে একজন হাইকোর্টে আপিল করেন। আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল। সর্বশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে ফের মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

১৮ বছর আগে ঢাকা মহানগরের পিপি দপ্তর থেকে সোহেল হত্যা মামলার তদন্তে নথিপত্র কেস ডকেট (সিডি) নিয়ে যান পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার সন্ধান মেলে। তিনি আগেই অবসরে গেছেন। তবে হত্যা মামলার সিডি আজও আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লিফট ছিঁড়ে নিহত ১, আটকা ১৪

এসএসসি পাসেই ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চাকরির সুযোগ

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পে দুদকের হানা

কুরকুরে চিপস না আনায় ডিভোর্স চাইলেন স্ত্রী

মাতৃমৃত্যু রোধে বাংলাদেশের উন্নতি অকল্পনীয় : ইউএনএফপিএ

আবারও চমক দেখিয়ে প্রযুক্তির এলিট ক্লাবে ঢুকল ইরান

আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই : প্রধানমন্ত্রী

ভোটারকে চড় মেরে পাল্টা চড় খেলেন এমপি

কনকা ও হাইকোর ক্যাম্পেইন, ঘষা দিলেই গোল্ড অফার শুরু

ইউরোপকে যেভাবে দুই ভাগ করছে চীন

১০

জয়পুরহাটে কৃষক হত্যায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

১১

ব্যাংক খাতে আড়তদার তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক : সাংবাদিক নেতারা

১২

কেন বন্ধু শি’র সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন পুতিন?

১৩

পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে ডোনাল্ড লু

১৪

ওয়ার্ল্ড ভিশনে চাকরি, মাসিক বেতন ৯০ হাজার

১৫

এবার ক্রিকেট খেলে আলোচনায় ১০২ বছরের করম

১৬

জলবায়ু মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

১৭

লুর সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা করলেন পরিবেশমন্ত্রী?

১৮

হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে দেশের মানুষের প্রতি হুইপ স্বপনের বার্তা

১৯

তাপপ্রবাহ নিয়ে ফের দুঃসংবাদ

২০
X