কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দেরকোটা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে ছুরিকাঘাতে সালেহ আহম্মেদ (৩৭) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় তার বাবা ও ছোট ভাই গুরুতর আহত হন। সালেহ আহম্মেদ ওই গ্রামের আবুল কাশেম ও নাসিমা দম্পত্তির ছেলে। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি ত্রিনাথ সাহা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের দেরকোটা পূর্বপাড়া ব্যাপারী বাড়ির আবুল কাশেমের সঙ্গে তার ভাগিনা জামাল ও মহিন উদ্দিনের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে সোমবার সন্ধ্যায় উঠান ঝাড়ু দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ সৃষ্টি হলে সালেহ আহম্মেদকে প্রতিপক্ষরা ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তার বাবা আবুল কাশেম ও ছোট ভাই আব্দুল মতিনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সালেহ আহম্মেদকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সালেহ আহম্মেদের বাবা আবুল কাশেম বলেন, জামাল ও মহিন উদ্দিন সম্পর্কে আমার ভাগিনা হয়। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আমার পূর্ব বিরোধ চলে আসছে। সন্ধ্যায় আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস উঠান ঝাড়ু দেওয়ার সময় জামাল মহিন উদ্দিন ও মনোয়ারা বেগম আমার মেয়েকে মারধর করে। এ সময় সালেহ আহম্মেদ বাধা দিতে গেলে তারা তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আমি এবং আমার ছোট ছেলে আব্দুল মতিন এগিয়ে গেলে আমাদেরও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
মা নাসিমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার চোখের সামনেই জামাল, মহিউদ্দিন ও মনোয়ারা আমার ছেলেকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবুল হাসেম সবুজ বলেন, সালেহ আহম্মেদের তলপেটে এবং হাতে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ত্রিনাথ সাহা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
মন্তব্য করুন