গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিসহ তিন দফা দাবিতে সংহতি সমাবেশ ও মানব পতাকা প্রদর্শনের আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।  বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা এই আয়োজন করেন।  মানব পতাকা প্রদর্শনের পাশাপাশি সমাবেশে তারা ৩টি দাবি জানান। সেগুলো হলো- গাজায় গণহত্যা বন্ধ করা; বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দমননীতি বন্ধ করা এবং ইসরায়েলে সামরিক সহায়তা বন্ধ করা। এসময় সমাবেশে যুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে আজকে যা হচ্ছে তা মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বর ঘটনা। গাজায় ইতোমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে ৬৭ শতাংশ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা একটি নির্দিষ্ট এলাকায় সবচেয়ে বড় ধ্বংসযজ্ঞের রেকর্ড ভেঙেও অনেক উপরে চলে গেছে। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েলিরা। যার মধ্যে ৭০ শতাংশ হচ্ছে নারী-শিশু এবং ৮০ শতাংশ সাধারণ নাগরিক। যাদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।  তিনি আরও বলেন, গতকাল ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক মিসর সীমান্তে অবস্থিত রাফা দখলের মাধ্যমে আরও খারাপ অবস্থায় পড়বে গাজাবাসী। রাফা দখলের মাধ্যমে ইসরায়েলীরা মিসর-ইসরায়েলের যে ডেভিড চুক্তি সেটি ভঙ্গ করেছে। এটিই একমাত্র সীমানা যেখান দিয়ে আহত ফিলিস্তিনি নাগরিকদের জন্য এইড আসতো, ক্ষুধার্ত লোকদের জন্য খাবার আসত। আজ সেই রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। আমরা আশা করবো ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে এবং জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য হবে। মানবাধিকারকর্মী শারমিন মুরশিদ বলেন, ইসরায়েলকে সুস্পষ্ট মদদদাতা হল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিনিদের রক্তে-রন্ধ্রে জমে আছে গণহত্যা ও  দখলদারিত্ব। তারা একটার পর একটা দেশ ও জাতিকে শেষ করে আসছে। ইরাক, লিবিয়া  আফগানিস্তানের মতো দেশকে কতগুলো মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে তারা নিধন করেছে। তাদের হাতে রয়েছে মিডিয়া, তাদের হাতে তথ্যের শক্তি এবং তাদের হাতে রয়েছে অর্থ। আর তারা সেটাকে অপব্যবহার করে প্রতিবার মিথ্যের দোহাই দিয়ে মানুষ খুন করেছে। লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট রাখাল রাহা বলেন, এই আগ্রাসন শুরু হয়েছে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই। তারপর থেকেই নানা চড়াই উতরাই পার করে আজকের এই অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ফিলিস্তিনকে জাতিগত উচ্ছেদ বা জাতিগত নির্মূলের অবস্থায় নিয়ে গেছে ইসরায়েল। এই উচ্ছেদ আয়োজন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এই হামলায় সরাসরি মদদদাতা যুক্তরাষ্ট্রকে এটার প্রতি সমর্থন থেকে ফিরে আসতে হবে।  ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন বলেন, আজকের এই আয়োজনে আমরা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী জনতার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। বিশ্ব পরিমণ্ডলে আমাদের কয়েকটি দাবি থাকবে। তা হল- গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে করতে হবে; আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও দমননীতি বন্ধ করতে হবে এবং ইসরায়েলকে সব প্রকার সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে হবে। উল্লেখ্য, সমাবেশ শেষে ফিলিস্তিনের একটি মানব পতাকা প্রদর্শনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের আপামর জনতার সঙ্গে সংহতি প্রদর্শন এবং নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।  
০৯ মে, ২০২৪

ছিলেন ভাস্কর্য শিল্পী হলেন অস্ত্রের কারিগর
ভাস্কর্য শিল্পী হিসেবে প্রায়ই ভারতের কলকাতা, আসাম ও শিলিগুড়িতে কাজের ডাক পেতেন মো. মোখলেছুর রহমান সাগর। সে সময় সুকুমার নামে এক অস্ত্র তৈরির কারিগরের সঙ্গে সখ্য হয়। ঘনিষ্ঠতার সুযোগে তার কাছে রপ্ত করেন আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কৌশল। এরপর দেশে ফিরে কম সময়ে কোটিপতি হওয়ার আশায় নিজেই গড়ে তোলেন অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি ও বিক্রির চক্র। তবে সে স্বপ্ন পূরণের আগেই পাঁচ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হন সাগর। গত সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গ্রেপ্তাররা হলেন মূলহোতা মো. মোখলেছুর রহমান সাগর (৪২), মো. তানভির আহম্মেদ (৩২), অনিক হাসান (২৮), মো. আবু ইউসুফ সৈকত (২৮), রাজু হোসেন (৩৮) ও মো. আমির হোসেন (৪০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে অবৈধ পিস্তল, গুলি ও অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১০-এর অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, কিছু অস্ত্র ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পিস্তলসহ বিভিন্ন অস্ত্র তৈরি করে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার অপরাধীদের টাকার বিনিময়ে অস্ত্র সরবরাহ করছে বলে তথ্য পাই। এরপর তাদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে র‌্যাব। ফরিদ উদ্দিন আরও বলেন, অবৈধ অস্ত্র তৈরি ও বিক্রি চক্রের মূলহোতা সাগর পেশায় ভাস্কর্য শিল্পী। এর সুবাধে প্রায় এক যুগ ধরে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতে যান। সেখানে অস্ত্র তৈরির কারিগর সুকুমারের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেন। এরপর অল্পদিনে কোটিপতি হওয়ার আশায় অস্ত্র তৈরি করে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে সরবরাহের পরিকল্পনা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তানভির, অনিক ও সৈকতকে নিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার তানভির পেশায় লেজার সিএনসি ডিজাইনার। যে কোনো কিছু কম্পিউটারে টু-ডি নকশা অনুযায়ী অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে কাটিং করার দক্ষতা আছে তার। সাগরের দেওয়া নকশা অনুযায়ী বিভিন্ন অস্ত্রের যন্ত্রাংশ তৈরির মাধ্যমে প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। সাগর ও তানভির অস্ত্র তৈরি করে অনিক ও সৈকতের কাছে বিক্রির জন্য। প্রতিটি পিস্তল বিক্রি করতেন ৩ লাখ টাকায়। দ্রুত টাকা উপার্জনের প্রলোভনে তারা এই অপরাধে জড়ান। র‌্যাব-১০-এর অধিনায়ক আরও বলেন, গ্রেপ্তার আমির ও রাজু তাদের অন্যতম অস্ত্রের ক্রেতা। অস্ত্র ক্রয় করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদককারবারি ও বিভিন্ন নাশকতাকারীর কাছে বেশি মূল্যে বিক্রি করতেন। অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয় করার সময় সবাই হাতেনাতে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন।
১৩ মার্চ, ২০২৪

দৃষ্টি কাড়বে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য
বিদেশি পর্যটক ও বিনিয়োগকারীরা চট্টগ্রামে আসবেন বিমানবন্দর হয়ে। সেখান থেকে বের হতেই সবার চোখে পড়বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণিল ভাস্কর্য। জাতির পিতার ছবি বিদেশিদের নজরে আনতেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এমন পরিকল্পনা করেছে বলে জানা যায়। নগরীর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথের গোলচত্বরে ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করে চসিক। গোলচত্বরে নির্মাণ করা হয়েছে গ্রাম-বাংলার স্মারক নৌকা। এক ধরনের বিশেষায়িত ফাইবার দিয়ে নির্মিত নৌকাটির দৈর্ঘ্য ২৪ ফুট। গোলচত্বরের মাঝখানে স্থাপিত ভাস্কর্যটির ব্যাস ৩২ ফুট। নৌকাটি গ্লাস ফাইবার দিয়ে তৈরি এবং ভাস্কর্যটি স্টিল পাইপ দিয়ে। প্রধানমন্ত্রী গত ২৮ অক্টোবর এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। চসিক সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধুর ৩৩ ফুট উচ্চতার একটি প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়েছে, যার প্রস্থ ১৭ ফুট। কাঠামোটি তৈরি করা হয়েছে ৫৭টি ধাতব পাইপ দিয়ে। এর মধ্যে ১৩টি পাইপ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে ১৩ বছর জেলবাসের বিষয়কে নির্দেশ করে এবং ৪৭টি পাইপ দিয়ে তার শরীরকে উপজীব্য করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার ২৭ বছর কারাভোগকে উপজীব্য করে বিশ্বের ভার্টিক্যাল ভাস্কর্য নির্মিত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাধিত নেতা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন নিয়েও বিশ্বে দ্বিতীয় এবং দেশে প্রথম ভার্টিক্যাল ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথের গোলচত্বর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। বিমানবন্দরে অবতরণকারী দেশি-বিদেশি যাত্রীরা যাতে প্রথমেই দেশের স্বাধীনতার প্রতীক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানেন, তাই এ ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়। একই সঙ্গে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের স্মারক ও নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রতীক হিসেবে নৌকা রাখা হয়েছে।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

স্থাপিত হলো শাকিরার ভাস্কর্য
কলম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরা। নাচে ও গানে সংগীতাঙ্গনে রেখেছেন নিজস্ব স্বাক্ষর। বেশ কিছু জনপ্রিয় গান রয়েছে তার। বিশ্বব্যাপী তার খ্যাতি। এবার তার সম্মানে স্থাপন করা হয়েছে ভাস্কর্য। গায়িকার জন্মস্থান ব্যারানকুইলায় সেটি বসানো হয়েছে। খবর আলজাজিরার। শাকিরার ভাস্কর্য তৈরি করেছেন শিল্পী ইয়িনো মার্কেজ। ২০০৫ সালে প্রকাশিত গায়িকার মিউজিক ভিডিও ‘হিপস ডোন্ট লাই’র নাচের একটি দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তাতে। ভাস্কর্যে বিকিনি পরে কোমর দুলিয়ে নাচের ভঙ্গিতে দেখা গেছে শাকিরাকে। স্থাপিত ভাস্কর্যটি ব্রোঞ্জ ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি। উচ্চতা সাড়ে ৬ মিটার। এর গোড়ায় লেখা হয়েছে, একটি অনন্য প্রতিভা ও কণ্ঠ, যা জনসাধারণকে নাড়া দেয়। ম্যাগডালেনা নদীর তীরে গত ২৬ ডিসেম্বর একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উন্মোচন করা হয় ভাস্কর্যটি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গায়িকার বাবা উইলিয়াম মেবারাক ও মা নিদিয়া রিপোল। ভাস্কর্যটি স্থাপন করায় ধন্যবাদ জানিয়ে টুইটারে শাকিরা লিখেছেন, আমার দেশের মানুষের বিশাল শৈল্পিক প্রতিভার এই উদাহরণের জন্য ধন্যবাদ। ইনস্টাগ্রামে শাকিরা লিখেছেন, ভাস্কর্যটির পাশে আমার বাবা-মাকে দেখে আমি আনন্দিত। আমার এ ছোট হৃদয়ের জন্য এটি বিশাল এক প্রাপ্তি।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

নিজ দেশে শাকিরার ভাস্কর্য স্থাপন
কলম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরা। নাচে ও গানে সংগীতাঙ্গনে রেখেছেন নিজস্ব স্বাক্ষর। বেশ কিছু জনপ্রিয় গান রয়েছে তার। বিশ্বব্যাপী তার খ্যাতি। এবার তার সম্মানে স্থাপন করা হয়েছে ভাস্কর্য। গায়িকার জন্মস্থান ব্যারানকুইলাতে সেটি বাসানো করা হয়েছে। খবর আলজাজিরার। শাকিরার ভাস্কর্য তৈরি করেছেন শিল্পী ইয়িনো মার্কেস। ২০০৫ সালে প্রকাশিত গায়িকার মিউজিক ভিডিও ‘হিপস ডোন্ট লাই’ এর নাচের একটি দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তাতে। ভাস্কর্যে বিকিনি পরে কোমর দুলিয়ে নাচের ভঙ্গিতে দেখা গেছে শাকিরাকে। স্থাপিত ভাস্কর্যটি ব্রোঞ্জ ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি। উচ্চতা সাড়ে ৬ মিটার। এর গোড়ায় লেখা হয়েছে, একটি অনন্য প্রতিভা ও কণ্ঠ, যা জনসাধারণকে নাড়া দেয়। ম্যাগডালেনা নদীর তীরে গত ২৬ ডিসেম্বর একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উন্মোচন করা হয় ভাস্কর্যটি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গায়িকার বাবা উইলিয়াম মেবারাক ও মা নিদিয়া রিপোল। ভাস্কর্যটি স্থাপন করায় ধন্যবাদ জানিয়ে টুইটারে শাকিরা লিখেছেন, আমার দেশের মানুষের বিশাল শৈল্পিক প্রতিভার এই উদাহরণের জন্য ধন্যবাদ। ইনস্টাগ্রামে শাকিরা লিখেছেন, ভাস্কর্যটির পাশে আমার বাবা মাকে দেখে আমি আনন্দিত। আমার এ ছোট হৃদয়ের জন্য এটি বিশাল এক প্রাপ্তি।
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

ছাত্র ইউনিয়ন রাজু ভাস্কর্য থেকে কালো কাপড় সরিয়ে দিল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য থেকে কালো কাপড় সরিয়ে দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত বিলবোর্ড ভাঙচুরের অভিযোগে ১২ ডিসেম্বর ভাস্কর্যটি কালো কাপড়ে ঢেকে দিয়েছিল ছাত্রলীগ। গতকাল শনিবার বিকেলে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি দীপক শীলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা গিয়ে কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। পরে বিবৃতি দিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন জানায়, পাহাড়ে চার ছাত্রনেতা হত্যার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার মশাল মিছিলে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা করে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ছাত্র ইউনিয়নকে সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে রাজু ভাস্কর্য কালো কাপড়ে ঢেকে দেয় তারা। বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা বলেন, আজ মহান বিজয়ের দিনে রাজু ভাস্কর্যের কালো কাপড় সরিয়ে আমরা ঘোষণা করছি, শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত সন্ত্রাস-মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। নেতারা অভিযোগ করেন, এর আগেও হাকিম চত্বরে শহীদ রাজুর স্মরণে আঁকা প্রতিকৃতি মুছে দিয়েছে ছাত্রলীগ। তারা বলেন, মূলত আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, লড়াইকে ভয় পায় বলেই তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ছাত্র ইউনিয়নের নাম মুছে দিতে চায়।
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

ভাস্কর্য ঘিরে ব্রিটিশ ও গ্রিক সরকারের দ্বন্দ্ব
একটি ঐতিহাসিক ভাস্কর্য ঘিরে যুক্তরাজ্য ও গ্রিস সরকারের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। অবস্থা এমনই দাঁড়িয়ে যে, গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিসের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত একটি বৈঠক বাতিল করে দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। পার্থেনন ভাস্কর্য বিতর্কে শেষ মুহূর্তে এই বৈঠকটি বাতিল করে দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুই নেতার মধ্যে এ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। খবর বিবিসির। এ ছাড়া সুনাক বৈঠক বাতিল করার পর যুক্তরাজ্যের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিকল্প বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হলেও মিৎসোটাকিস সেটিও প্রত্যাখ্যান করেন। এলগিন মার্বেল নামে পরিচিত পার্থেনন ভাস্কর্য নিয়ে ব্রিটিশ ও গ্রিক সরকারের মধ্যে এ কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিসের লন্ডনে ঋষি সুনাকের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল, কিন্তু যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট শেষ মুহূর্তে সেই বৈঠকটি বাতিল করে দেয়। প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকটি আচমকা বাতিল হওয়ায় তিনি গভীরভাবে হতাশ। মিৎসোটাকিস এর আগে বিবিসির লরা কুয়েনসবার্গকে বলেছিলেন, এই মার্বেলগুলো যুক্তরাজ্যের ফেরত দেওয়া উচিত। তার মতে, লন্ডনে কিছুটা রাখার পাশাপাশি বাকিগুলো এথেন্সে থাকা মানে মোনালিসাকে অর্ধেক কেটে ফেলার মতো। মূলত তার এই মন্তব্যের এক দিন পরই প্রধানমন্ত্রী সুনাকের পক্ষ থেকে বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত সামনে এলো। গ্রিক প্রধানমন্ত্রী সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, যারা দৃঢ়ভাবে তাদের ন্যায্য অবস্থানে বিশ্বাস করে তারা কখনোই গঠনমূলক তর্ক ও বিতর্ক করতে দ্বিধাবোধ করে না। প্রধানমন্ত্রী মিৎসোটাকিস আরও বলেন, গ্রিস এবং ব্রিটেনের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে এবং আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পরিধি অনেক বিস্তৃত। পার্থেনন ভাস্কর্যের বিষয়ে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত সুপরিচিত। আমি এ বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। এর পাশাপাশি গাজা এবং ইউক্রেনের পরিস্থিতি, জলবায়ু সংকট এবং অভিবাসনের মতো উল্লেখযোগ্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনার প্রত্যাশা করেছিলাম। উল্লেখ্য, বৈঠকটি মঙ্গলবার দুপুরের খাবারের সময় হওয়ার কথা ছিল এবং এটির দৈর্ঘ্য হওয়ার কথা ছিল ৪৫ মিনিট। কিন্তু রোববার বিবিসির লরা কুয়েনসবার্গের অনুষ্ঠানে গ্রিক প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে বিরক্ত করে। পরে ব্রিটিশ সরকার বৈঠক বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে এবং সুনাকের পরিবর্তে গ্রিক প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিটেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী অলিভার ডাউডেনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেয়। ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বলেন, ‘এলগিন মার্বেল সম্পর্কিত মন্তব্যের পরে গ্রিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত ওই বৈঠকটি এগিয়ে নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।’ তার দাবি, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। এলগিন মার্বেলগুলো ব্রিটিশ মিউজিয়ামের স্থায়ী সংগ্রহের অংশ এবং এখানেই রয়েছে। এটি নিয়ে আলোচনা করা যে কোনো ব্রিটিশ রাজনীতিকের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ।’
২৯ নভেম্বর, ২০২৩

ফেনীতে দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক ভাস্কর্য উদ্বোধন
ফেনী শহরের মিজান রোডে আল্লাহু ও মোহাম্মদ নামে ইসলামিক ভাস্কর্যের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাতে সুসজ্জিত দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক ভাস্কর্যটির উদ্ধোধন করেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী হাজারী। উদ্বোধনকালে সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের কওমি মাদ্রাসাকে একটি উচ্চতর ডিগ্রি দেওয়ার মাধ্যমে স্বীকৃতি দিয়েছেন। যার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে আপনারা কওমের জননী হিসেবে উপাধি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ধর্মভীরু বলে আজকে সারা বাংলাদেশের মধ্যে ৫৬০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেছেন। এটা পৃথিবীর কোথাও সম্ভব কিনা আমি জানি না।’ এ সময় নিজাম হাজারী আরও বলেন, ‘অতীতে যত জঙ্গি ধরা পড়েছে তাতে দেখা গেছে তাদের সবাই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। মাদ্রাসা ছাত্র অথবা ইমাম-মোয়াজ্জেম কেউ এগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা নয়। এ সময় ফেনী পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি, ফেনী আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদ উল হাসান, হেফাজতে ইসলামের ফেনী জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ফেনী পৌরসভার অর্থায়নে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ফেনী আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদ উল হাসান।
১৬ নভেম্বর, ২০২৩

জাদুঘরের প্রাচীন ভাস্কর্য ভেঙে মার্কিন পর্যটক আটক
জাদুঘরে ঘুরতে গিয়ে প্রাচীন ভাস্কর্য ভেঙে চুরমার করার অভিযোগে এক আমেরিকান নাগরিককে আটক করেছে ইসরায়েল। জেরুজালেমের একটি জাদুঘরে ঘুরতে গিয়ে তিনি এ ভাস্কর্য ভাঙচুর করেন। খবর বিবিসি।  ইসরায়েলের পুলিশ জানিয়েছে, প্রাচীন এ ভাস্কর্যগুলো রোমান সভ্যতার সময়কার। এটির গায়ের তালিকা অনুসারে ভাস্কর্যগুলো দ্বিতীয় শতকের। এ ভাস্কর্য ভাঙার ছবিও শেয়ার করেছে পুলিশ। যেখানে মেঝেতে ভাস্কর্যের ভাঙা খণ্ডগুলোকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে।  পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত ও আমেরিকান নাগরিকের দাবি, এ ভাস্কর্যগুলো তাওরাতের বিরুদ্ধে যায়। এ জন্য তিনি এগুলো ভাঙচুর করেছেন। যদিও তার আইনজীবীর দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি ধর্মীয় গোড়ামি থেকে এমন কাজ করেননি।  জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে জাদুঘরের একজন স্টাফ দুটি ভাস্কর্য ভাঙচুর করতে দেখেন। এ সময় তিনি পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন।  ভাঙা ওই ভাস্কর্যের একটি গ্রিক দেবতা জিউসের কন্যা এথেনার এবং অন্যটি রোমানদের প্রতিশোধের দেবতা নেমেসিসের। তবে টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে একটি ভাস্কর্য ভাঙার কথা বলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আটক ওই আমেরিকান পর্যটককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।  এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েলের অপর এক শহরে এক আমেরিকান পর্যটক হাতুড়ি দিয়ে যিশুখ্রিস্টের একটি মূর্তি ভাঙচুর করেন। এ সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় মূর্তিটি। এ ছাড়া দেশটি এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায়।   
০৭ অক্টোবর, ২০২৩

ইংল্যান্ডে হিজাব উদ্বুদ্ধকরণে অনন্য ভাস্কর্য
ইংল্যান্ডের সড়কে দেখা স্থাপন করা হতে যাচ্ছে হিজাব উদ্বুদ্ধকরণে এক অনন্য ভাস্কর্য। ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের কেন্দ্রস্থলে স্মেথউইকের রাস্তায় এ ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হবে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্ট্রেংথ অফ দ্য হিজাব’। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ভাস্কর্যটি একটি মাস্টারপিস। বিশ্বের হিজাব উদ্বুদ্ধকরণে এটিই প্রথম কোনো ভাস্কর্য। এটি হিজাব পরিধানকারী মহিলাদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং পছন্দের পোশাক নির্বাচনে সবার প্রতি ভালোবাসা এবং সম্মানের অধিকারের প্রতীক হিসেবে চিত্রায়িত হবে।  অনন্য এ ভাস্কর্যটি ডিজাইন করেছেন লুক পেরি নামের এক চিত্রশিল্পী। এ ভাস্কর্যটি পাঁচ মিটার লস্বা ও এক টনের মতো ওজন হতে পারে। এটিকে বিভিন্ন শিলালিপি দিয়ে সাজানো হয়েছে। এর এসব শিলালিপি ও আর্টওয়ার্কের মূল বার্তা হলো একজন নারীর অধিকার হলো- সে যা পরতে পছন্দ করে তাতেই তাকে ভালোবাসা ও সম্মান করা।   আগামী অক্টোবর বা নভেম্বরে এ ভাস্কর্যটি ব্রাসহাউস লেনে স্থাপন করা হতে পারে। এ বিশাল উদ্যোগটি নিয়েছে ওয়েস্ট মিডল্যান্ড লিগেসি। বার্মিংহামে যুদ্ধ-পরবর্তী অভিবাসী কমিউনিটির ঐতিহ্য উদযাপনে একটি চ্যারিটি ফার্ম এ উদ্যোগটি নিয়েছে।  লুকা পেরি বিবিসিকে জানান, স্ট্রেংথ অফ দ্য হিজাব মূলত ইসলামের ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী নারীদের হিজার পরিধানকে প্রতিনিধিত্ব করবে। এ ছাড়া এটি আমাদের সামজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশকেও প্রতিনিধিত্ব করবে। এ সময় তিনি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও বাস্তবিক অবস্থাও তুলে ধরেন।  এর আগে পেরি কানান ব্রাউন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ‘ব্ল্যাক ব্রিটিশ হিস্ট্রি ইজ ব্রিটিশ হিস্ট্রি’ নামের একটি ভাস্কর্য নিয়ে কাজ করেছিলেন। এটি মে মাসে উইনসন গ্রিনে স্থাপন করা হয়েছিল। যদিও পরে এটি বিকৃতির মুখে পড়েছিল।  এই প্রকল্পটি পেরির পূর্বের কাজ অনুসরণ করে, ‘ব্ল্যাক ব্রিটিশ হিস্ট্রি ইজ ব্রিটিশ হিস্ট্রি’ ভাস্কর্য, যা তিনি কানান ব্রাউনের সাথে সহপরিকল্পিত করেছিলেন এবং এটি মে মাসে উইনসন গ্রিনে ইনস্টল করা হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত, এই টুকরোটি ইনস্টলেশনের পরপরই বিকৃতির সম্মুখীন হয়েছিল।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X