মেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপ ভুল সিদ্ধান্ত : কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের এনবিআর মেট্রোরেলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে, এটা হতে পারে না। রং ডিসিশন। ভারতে মেট্রোরেলে কি ভ্যাট আছে? ভারতে ভ্যাট নেই, আমরা কেন করব? আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি বিবেচনা করবেন। রোববার (১৯ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা মেট্রোরেলের ব্রান্ডিং সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ভ্যাট বসলে মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হবে। আমি মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি তুলে ধরেছি। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের মেট্রোরেল অনেক সুন্দর, শব্দদূষণ নেই। অথচ পিলারগুলো পোস্টার দিয়ে ভরা। অপরিচ্ছন্ন নোংরা। মেট্রোরেল আমাদের সম্পদ। ২০৩০ সালে আমাদের টার্গেট ছিল ৬টি এমআরটি লাইনের কাজ শেষ করা। ১ ও ৫ এর গ্রাউন্ড ম্যাপিং হয়ে গেছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাইকা বাংলাদেশে প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহোদি।
১৯ মে, ২০২৪

সম্পাদকীয় / ভুল সংশোধনে উদাসীনতা
মানসম্মত ও নির্ভুল পাঠ্যবই প্রণয়ন যেন একটি অসাধ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এত আলোচনা-সমালোচনার পরও পাঠ্যবইয়ে ভুল ও অসংগতি দূর হচ্ছে না। পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের পুরো প্রক্রিয়ায় হযবরল অবস্থা সৃষ্টি হবে, বইয়ে ভুল তথ্য ছাপা হবে, সংশ্লিষ্টরা ভুল স্বীকার করে বিবৃতি দেন, দুঃখ প্রকাশ করেন—এটাই যেন স্বাভাবিক নিয়ম। পাঠ্যবই প্রণয়নে কেন হযবরল অবস্থার অবসান হচ্ছে না? তাহলে কি সরষের ভেতরই রয়েছে ভূত? অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্টদের অবহেলা ও সঠিক তদারকির অভাবে পাঠ্যপুস্তক থেকে ভুল ও অসংগতি দূর হচ্ছে না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চার বছরের মাঝামাঝি এসে নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবইয়ে ভুলত্রুটির সংশোধনী দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ৩১টি বইয়ে ১৪৭টি সংশোধনী এরই মধ্যে স্কুল পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। এর পরও সব ভুলের সংশোধনী দিতে পারেনি এনসিটিবি। চার মাস পেরোলেও সংশোধনকারীদের চোখ এড়িয়ে গেছে অনেক দৃশ্যমান ভুল। বিষয়টি সংস্থাটির ‘অবহেলা’ হিসেবে দেখছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা। নতুন বছরের প্রথম দিনেই বিনামূল্যের পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয় সরকার। এরপর ভুল ও অসংগতি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক ও সমালোচনা। একপর্যায়ে নতুন বইয়ের ভুলত্রুটি ইমেইলে জানানোর অনুরোধ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনসিটিবি। এরপরই পাঠ্যবইয়ের ভুল অনুসন্ধানে নামে বিশেষজ্ঞ কমিটি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো সংশোধনী পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নবম শ্রেণির ১১ বইয়ে ভুল রয়েছে ৭৭টি; অষ্টম শ্রেণির ১০ বইয়ে ৪৯টি; সপ্তম শ্রেণির ৫ বইয়ে ১১টি; ষষ্ঠ শ্রেণির ৫ বইয়ে ১০টি। ভুলগুলোর মধ্যে বানান ভুলের পরিমাণই বেশি। এ ছাড়া কোনো কোনো বাক্য পুরোপুরি সংশোধন করা হয়েছে। আবার অপ্রয়োজনীয় শব্দ ও বাক্য বাদ দেওয়া হয়েছে। যেসব ভুল এখনো সংশোধন হয়নি—নবম শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি বইয়ে ‘পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়’ বাক্যটি ১৫ বারের মধ্যে ভুল করে ১৩ বারই ‘পৃখিবী’ লেখা হলেও সেটি চোখে পড়েনি সংশোধনকারীদের। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিকের পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানিক, পাকিস্তানকে ‘পাস্কিস্তান’ ‘ভাতখণ্ড’কে ‘ভাতখন্ড’, উদ্দেশ্যকে ‘উদ্দেশ’ লেখা হলেও সেগুলো সংশোধনী তালিকায় নেই। রয়ে গেছে বাক্য গঠনের ভুলও। নতুন প্রজন্মকে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এবং আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য মানসম্মত ও নির্ভুল পাঠ্যবই প্রণয়ন ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি। মানসম্মত ও ত্রুটিমুক্ত বই সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব না হলে তাদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের কাজে জটিলতা সৃষ্টি হবে। আগামী দিনেও যদি এনসিটিবির পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন প্রকল্পে অযোগ্য ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত হন, তাহলে মানসম্মত ও ত্রুটিমুক্ত বই প্রণয়নে অনিশ্চয়তা সৃষ্টির আশঙ্কা থেকেই যাবে। ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুল কিছু শেখানোকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে—এমন অপরাধে জড়িতদের শাস্তি হওয়া উচিত। এ প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লেখক-সম্পাদক সবার কাজে সমন্বয়ের জন্যও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। এনসিটিবি কর্তৃপক্ষের উচিত পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও সংশোধনের জন্য পর্যাপ্ত সময় বরাদ্দ করা। সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের হাতে মানসম্মত ও নির্ভুল পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়ার সক্ষমতা এতদিনেও কেন অর্জন করতে পারেনি, তা খতিয়ে দেখা দরকার। আমরা মনে করি, আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে মানসম্মত ও নির্ভুল পাঠ্যবই প্রণয়নের পাশাপাশি সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় মানসম্মত গবেষণাগার, লাইব্রেরি, খেলার মাঠসহ পর্যাপ্ত শিক্ষা সরঞ্জামের সরবরাহ নিশ্চিত করা দরকার। সর্বোপরি সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করা দরকার।
১৬ মে, ২০২৪

সম্পাদকীয় / ভুল সংশোধনে উদাসীনতা
মানসম্মত ও নির্ভুল পাঠ্যবই প্রণয়ন যেন একটি অসাধ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এত আলোচনা-সমালোচনার পরও পাঠ্যবইয়ে ভুল ও অসংগতি দূর হচ্ছে না। পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের পুরো প্রক্রিয়ায় হযবরল অবস্থা সৃষ্টি হবে, বইয়ে ভুল তথ্য ছাপা হবে, সংশ্লিষ্টরা ভুল স্বীকার করে বিবৃতি দেন, দুঃখ প্রকাশ করেন—এটাই যেন স্বাভাবিক নিয়ম। পাঠ্যবই প্রণয়নে কেন হযবরল অবস্থার অবসান হচ্ছে না? তাহলে কি সরষের ভেতরই রয়েছে ভূত? অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্টদের অবহেলা ও সঠিক তদারকির অভাবে পাঠ্যপুস্তক থেকে ভুল ও অসংগতি দূর হচ্ছে না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চার বছরের মাঝামাঝি এসে নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবইয়ে ভুলত্রুটির সংশোধনী দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ৩১টি বইয়ে ১৪৭টি সংশোধনী এরই মধ্যে স্কুল পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। এর পরও সব ভুলের সংশোধনী দিতে পারেনি এনসিটিবি। চার মাস পেরোলেও সংশোধনকারীদের চোখ এড়িয়ে গেছে অনেক দৃশ্যমান ভুল। বিষয়টি সংস্থাটির ‘অবহেলা’ হিসেবে দেখছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা। নতুন বছরের প্রথম দিনেই বিনামূল্যের পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয় সরকার। এরপর ভুল ও অসংগতি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক ও সমালোচনা। একপর্যায়ে নতুন বইয়ের ভুলত্রুটি ইমেইলে জানানোর অনুরোধ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনসিটিবি। এরপরই পাঠ্যবইয়ের ভুল অনুসন্ধানে নামে বিশেষজ্ঞ কমিটি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো সংশোধনী পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নবম শ্রেণির ১১ বইয়ে ভুল রয়েছে ৭৭টি; অষ্টম শ্রেণির ১০ বইয়ে ৪৯টি; সপ্তম শ্রেণির ৫ বইয়ে ১১টি; ষষ্ঠ শ্রেণির ৫ বইয়ে ১০টি। ভুলগুলোর মধ্যে বানান ভুলের পরিমাণই বেশি। এ ছাড়া কোনো কোনো বাক্য পুরোপুরি সংশোধন করা হয়েছে। আবার অপ্রয়োজনীয় শব্দ ও বাক্য বাদ দেওয়া হয়েছে। যেসব ভুল এখনো সংশোধন হয়নি—নবম শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি বইয়ে ‘পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়’ বাক্যটি ১৫ বারের মধ্যে ভুল করে ১৩ বারই ‘পৃখিবী’ লেখা হলেও সেটি চোখে পড়েনি সংশোধনকারীদের। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিকের পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানিক, পাকিস্তানকে ‘পাস্কিস্তান’ ‘ভাতখণ্ড’কে ‘ভাতখন্ড’, উদ্দেশ্যকে ‘উদ্দেশ’ লেখা হলেও সেগুলো সংশোধনী তালিকায় নেই। রয়ে গেছে বাক্য গঠনের ভুলও। নতুন প্রজন্মকে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এবং আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য মানসম্মত ও নির্ভুল পাঠ্যবই প্রণয়ন ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি। মানসম্মত ও ত্রুটিমুক্ত বই সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব না হলে তাদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের কাজে জটিলতা সৃষ্টি হবে। আগামী দিনেও যদি এনসিটিবির পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন প্রকল্পে অযোগ্য ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত হন, তাহলে মানসম্মত ও ত্রুটিমুক্ত বই প্রণয়নে অনিশ্চয়তা সৃষ্টির আশঙ্কা থেকেই যাবে। ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুল কিছু শেখানোকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে—এমন অপরাধে জড়িতদের শাস্তি হওয়া উচিত। এ প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লেখক-সম্পাদক সবার কাজে সমন্বয়ের জন্যও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। এনসিটিবি কর্তৃপক্ষের উচিত পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও সংশোধনের জন্য পর্যাপ্ত সময় বরাদ্দ করা। সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের হাতে মানসম্মত ও নির্ভুল পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়ার সক্ষমতা এতদিনেও কেন অর্জন করতে পারেনি, তা খতিয়ে দেখা দরকার। আমরা মনে করি, আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে মানসম্মত ও নির্ভুল পাঠ্যবই প্রণয়নের পাশাপাশি সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় মানসম্মত গবেষণাগার, লাইব্রেরি, খেলার মাঠসহ পর্যাপ্ত শিক্ষা সরঞ্জামের সরবরাহ নিশ্চিত করা দরকার। সর্বোপরি সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করা দরকার।
১৬ মে, ২০২৪

সংশোধনের পরও ভুল রয়ে গেছে পাঠ্যবইয়ে
বছরের মাঝামাঝি এসে নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবইয়ে ভুলত্রুটির সংশোধনী দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ৩১টি বইয়ে ১৪৭টি সংশোধনী এরই মধ্যে স্কুল পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। এর পরও সব ভুলের সংশোধনী দিতে পারেনি এনসিটিবি। চার মাস পেরোলেও সংশোধনকারীদের চোখ এড়িয়ে গেছে অনেক দৃশ্যমান ভুল। বিষয়টিকে সংস্থাটির ‘অবহেলা’ হিসেবে দেখছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, নতুন বছরের প্রথম দিনেই বিনামূল্যের পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয় সরকার। তবে সব শিক্ষার্থীর সব বই পেতে ফেব্রুয়ারি মাস পার হয়ে যায়। এসব বইয়ে বেশকিছু ভুল তুলে ধরে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ‘পাঠ্যবইয়ে এবারও ভুলের ছড়াছড়ি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে কালবেলা। এরপর ভুল ও অসংগতি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক ও সমালোচনা। একপর্যায়ে নতুন বইয়ের ভুলত্রুটি ইমেইলে জানানোর অনুরোধ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনসিটিবি। এর পরই পাঠ্যবইয়ের ভুল অনুসন্ধানে নামে বিশেষজ্ঞ কমিটি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো সংশোধনী পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নবম শ্রেণির ১১ বইয়ে ভুল রয়েছে ৭৭টি; অষ্টম শ্রেণির ১০টি বইয়ে ৪৯টি; সপ্তম শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১১টি; ষষ্ঠ শ্রেণির ৫ বইয়ে ১০টি। ভুলগুলোর মধ্যে বানান ভুলের পরিমাণই বেশি। এ ছাড়া কোনো কোনো বাক্য পুরোপুরি সংশোধন করা হয়েছে। আবার অপ্রয়োজনীয় শব্দ ও বাক্য বাদ দেওয়া হয়েছে। যেসব ভুল এখনো সংশোধন হয়নি: নবম শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি বইয়ের ভূমিকায় সহযোগিতাকে ‘সহযোগিতা’ লেখা হয়েছে, যা সংশোধন করা হয়নি। ‘পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়’—বাক্যটি ১৫ বারের মধ্যে ভুল করে ১৩ বারই ‘পৃখিবী’ লেখা হলেও সেটি চোখে পড়েনি সংশোধনকারীদের। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিকের পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানিক, পাকিস্তানকে ‘পাস্কিস্তান’ ‘ভাতখণ্ড’কে ‘ভাতখন্ড’, উদ্দেশ্যকে ‘উদ্দেশ’ লেখা হলেও সেগুলো সংশোধনী তালিকায় নেই। রয়ে গেছে বাক্য গঠনের ভুলও। একই শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ২৮ নম্বর পৃষ্ঠার প্রথম অনুচ্ছেদে লড়াইয়ের-কে ‘লড়ায়ের’, ৩৫ নম্বর পৃষ্ঠায় লক্ষ্যকে ‘লক্ষ’, ৩৮ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’-এর গঠনকাল ১৯৬০ সাল লেখা হয়েছে; যদিও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী পরিষদের গঠন হয়েছে ১৯৬২ সালে। এই বইয়ের ৪৪ নম্বর পৃষ্ঠায় স্বাধীনতা লাভের পর যে সময়কালের ঘটনা বর্ণনা হয়েছে, সেখানে বঙ্গবন্ধুকে প্রধানমন্ত্রী/রাষ্ট্রপতি হিসেবে লেখা হয়েছে, তিনি কী ছিলেন তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। ১০০তম পৃষ্ঠায় সবার ওপর মানুষ সত্য তাহার ওপরে নাই—এটি মধ্যযুগের কবির লেখা উল্লেখ করা হলেও সেই কবি বড়ু চণ্ডীদাসের নাম উল্লেখ নেই। অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ৮২ নম্বর পৃষ্ঠায় কিলোমিটারকে ‘কীলোমিটার’ লেখা হয়েছে। ১৫৭ ও ১৫৯ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘ঝুঁকী’ সংশোধন করে ‘ঝুঁকি’ লেখা হলেও ১৩০ নম্বর পৃষ্ঠায় সেটি সংশোধন করা হয়নি। বইয়ের ১০৪ নম্বর পৃষ্ঠায় নারীরা এখন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ও শ্রমমন্ত্রী বলা হয়েছে। বইটি গত বছর যখন লেখা হয়েছে, তখনকার সময়ের জন্য ভুল না হলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভায় রদবদলের কারণে তথ্যটি এখন আর সঠিক নয়। একই শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ে ‘সুস্থ’ বানানকে লেখা হয়েছে ‘সুস্থ্য’। গত বছর ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন পাঠ বইয়ের ‘চাঁদ সূর্যের পালা’ অধ্যায়ে অভিশপ্ত চাঁদ বাদ দিয়ে ‘চাঁদের গল্প’ নাম দেওয়ার সুপারিশ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি। কিন্তু এ বছরও সেটি একই রাখা হয়েছে। মাদ্রাসা স্তরের ষষ্ঠ, সপ্তম, নবম ও দশম শ্রেণির ‘কাওয়াইদুল লুগাতুল আরাবিয়্যাহ’ বইয়ের মলাটে এসব শ্রেণির আরবি নামের ক্ষেত্রে ব্যাকরণগত ভুল করা হয়েছে; কিন্তু সেগুলো পরিবর্তন করা হয়নি। এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান কালবেলাকে বলেন, তথ্যগত ও বানানগত বড় ভুলগুলোর সংশোধনী দেওয়া হয়েছে। তবে একই শব্দ কয়েক জায়গায় ভুল হয়েছে, সেগুলো বারবার উল্লেখ করতে হবে বলে সংশোধনী দেওয়া হয়নি। শিক্ষকরা সেটি সংশোধন করে পড়াবেন। শিক্ষামন্ত্রী ও শ্রম প্রতিমন্ত্রীর বিষয়টিও একই, শিক্ষক ক্লাসে সঠিকটি পড়াবেন। এর পরও কোনো ভুল চোখে পড়লে আমরা সেগুলোর সংশোধনী পাঠিয়ে দেব। তিনি বলেন, শরীফার গল্পের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় সেটি সংশোধনীতে উল্লেখ করা হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, বছরের মাঝামাঝি এসে সংশোধন করার পরও ভুল থাকা দায়িত্বহীন কাজ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা বছরের শুরুতে কোনো তথ্য একবার শিখে ফেললে পরবর্তী সময়ে অনেক পরে যদি সংশোধনী দেওয়া হয়, তাতে লাভ হয় না।
১৫ মে, ২০২৪

ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বারবার নীতি পরিবর্তন
ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বারবার নীতি পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমনটাই জানিয়েছেন ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যানরা। তারা বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশেই সুদহার ধরে রাখার নজির নেই। আমাদের দেশেও সেটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। গতকাল সোমবার গভর্নরের আমন্ত্রণে বৈঠকে বসেন ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা। কিন্তু গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার অর্থ মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠকে অংশ নিতে চলে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকে পূর্ব নির্ধারিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার। জানা গেছে, সভায় ব্যাংক একীভূতকরণ, ডলারের বিনিময় হার, ঋণের সুদহার, সুশাসনসহ দেশের অর্থনীতির নানা বিষয়ে আলোচনার কথা থাকলেও কেবল বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে হাসপাতাল নির্মাণ প্রসঙ্গেই আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকের (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, চাহিদা ও জোগানের ওপর নির্ভর করে ঋণের সুদহার। ফলে এটি আটকে রাখার ক্ষমতা কারও নেই। পৃথিবীর কোনো দেশেই সুদহার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় না। সুদহার আপন গতিতে চলবে। পরে এক জায়গায় থেমে যাবে। নামবে, আবার উঠবে। এটাই অর্থনীতির নিয়ম। ফলে সুদহার নির্ধারণ করে দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ নয়। অবশেষে বাংলাদেশ ব্যাংকও এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। আমরা এটাকে সাধুবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করার বিকল্প নেই। অন্য দেশেও ডলারের দাম বেশি। আমাদের এখানে এতদিন জোর করে চাপিয়ে রাখা হয়েছিল, যা এখন বাজারের কাছাকাছি চলে এসেছে। বৈঠকে ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, হয়নি। তবে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, তা আমি নিশ্চিত করতে পারি। পদ্মা ও এক্সিম— দুই ব্যাংকই এ বিষয়ে একমত। ডলারের দাম বাড়ানো এবং সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে পূবালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুরুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আগের নীতিগুলো ব্যর্থ হয়েছে। ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বারবার নীতি পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ২০২০ সালের এপ্রিলে ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশে বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সেইসঙ্গে আমানতের সুদও যেন ৬ শতাংশের নিচে না নামে সে বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে গত বছরের জুলাইয়ে মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় ঋণের সুদহারের এই সীমা তুলে দিয়ে ‘স্মার্ট’ (সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর গত বুধবার এ পদ্ধতি উঠিয়ে দিয়ে পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নীতি সুদহারও বাড়ানো হয়েছে। আর ডলারের দর পুরোপুরি না হলেও অনেকটাই বাজারভিত্তিক করা হয়েছে।
১৪ মে, ২০২৪

ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বারবার নীতি পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক
ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বারবার নীতি পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংক চেয়ারম্যানদের অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এমন কথা জানিয়েছেন তারা।  তারা বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশেই সুদহার ধরে রাখার নজির নেই। আমাদের দেশেও সেটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। এভাবে ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই বারবার নীতি পরিবর্তন করতে হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংককে।  সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের আমন্ত্রণে বৈঠকে আসেন ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা। কিন্তু গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার অর্থ মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠকে নিতে চলে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ব নির্ধারিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার।  জানা গেছে, সভায় ব্যাংক একীভূতকরণ, ডলারের বিনিময় হার, ঋণের সুদহার, সুশাসনসহ দেশের অর্থনীতির নানা বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও কেবল বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে হাসপাতাল নির্মাণ প্রসঙ্গেই আলোচনা হয়েছে।  বৈঠক শেষে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকের (বিএবি) চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ঋণের সুদহার চাহিদা এবং জোগানের ওপর নির্ভর করে। ফলে এটিকে আটকে রাখার কারও কোনো ক্ষমতা নাই। পৃথিবীর কোনো দেশেই সুদহার নির্দিষ্ট করে দেওয়ার নজির নেই। সুদহার আপন গতিতে চলবে। চলতে চলতে এক জায়গায় থেমে যাবে। আবার নামবে, আবার উঠবে। এটাই অর্থনীতির নিয়ম। ফলে সুদহার নির্ধারণ করে দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ নয়। সেটা বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। অবশেষে বাংলাদেশ ব্যাংকও আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। আমরা এটাকে সাধুবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করার বিকল্প নেই। অন্য দেশেও ডলারের দাম অনেক বেশি। আমাদের এখানে এতদিন জোর করে চাপিয়ে রাখা হয়েছিল। যা এখন বাজারের কাছাকাছি চলে এসেছে। বৈঠকে ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে এক্সিম ব্যাংকের মিলন হচ্ছে- এই বিষয়ে আমি নিশ্চিত করতে পারি। পদ্মা এবং এক্সিম উভয় ব্যাংকই এই বিষয়ে সম্মত আছে। ডলারের দাম বাড়ানো এবং সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে পূবালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুরুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আগের নীতিগুলোগুলো ফেল করেছে। ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বারবার নীতি পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।  এর আগে, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশে বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সেইসঙ্গে আমানতের সুদও যেন ৬ শতাংশের নিচে না নামে সেই বিষয়েও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে গত বছরের জুলাই মাসে মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় ঋণের সুদহারের এই সীমা তুলে দিয়ে ‘স্মার্ট’ (সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর গত বুধবার স্মার্ট পদ্ধতি থেকেও সরে এসে পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেইসঙ্গে নীতি সুদহারও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া, ডলারের দর পুরোপুরি বাজারে না ছাড়লেও অনেকটাই বাজারভিত্তিক করা হয়েছে।
১৩ মে, ২০২৪

৩১ বইয়ে ১৪৭ ভুল
পরমাণু ঋণাত্মক চার্জবিশিষ্ট ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক চার্জে চার্জিত হয়। আবার যারা ইলেকট্রন গ্রহণ করে, তারা ঋণাত্মক বা নেগেটিভ চার্জে চার্জিত হয়। কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে রচিত চলতি বছরের অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ) বইয়ের ৩৬ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, ‘তারা ঋণাত্মক বা পজিটিভ চার্জে চার্জিত হয়।’ হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় পানি উৎপন্ন হলেও একই বইয়ের ৯৩ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে ‘হাইড্রোজন ও পানির বিক্রিয়ায় পানি উৎপন্ন হয়।’ প্লাটিপাস স্তন্যপায়ী প্রাণী হলেও ডিম পাড়ে। অথচ এই বইয়ের ১২৫ নম্বর পৃষ্ঠায় দ্বিতীয় ছবির ক্যাপশনে লেখা আছে, ‘প্লাটিপাস মেরুদণ্ডী প্রাণী হলেও ডিম পাড়ে।’ ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১ বইয়ের এমন ১৪৭টি ভুল রয়েছে। এসব ভুল সংশোধনের সুপারিশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। পাঠ্যবইয়ের ভুল-ত্রুটি নিয়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ‘পাঠ্যবইয়ে এবারও ভুলের ছড়াছড়ি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে কালবেলা। এরপর ভুল ও অসংগতি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক ও সমালোচনা। একপর্যায়ে নতুন বইয়ের ভুলত্রুটি ই-মেইলে জানানোর অনুরোধ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনসিটিবি। তারপরই পাঠ্যবইয়ের ভুল অনুসন্ধানে নামে এনসিটিবির গঠন করা কমিটি। তারা ঈদুল ফিতরের পরে সংশোধনী পাঠাবে বলে জানায়। সে অনুযায়ী ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে একটি তালিকা করা হয়েছে। এর আগে গত বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির চার বইয়ে ১৮৮ ভুল ও ৫৮টি অসংগতি চিহ্নিত করে। পরে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব বইয়ের ভুল বা অসংগতিগুলোর সংশোধনী দেয় এনসিটিবি। গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। আর চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হয় দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। এরপর ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে। তবে চলতি বছরও পাঠ্যবই পরীক্ষামূলকভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তে উপযোগিতা যাচাই শেষে আগামী বছর থেকে এই শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবই স্থায়ী করার কথা রয়েছে। এনসিটিবি সূত্র জানায়, পাঠ্যবইয়ের ভুল-ত্রুটি সংশোধনের জন্য প্রতিটি বইয়ের জন্য একজন বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা ভুলগুলো চিহ্নিত করে এনসিটিবির উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে জমা দেন। সম্প্রতি এই কমিটি ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১ বইয়ের ভুল ও সংশোধনীগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ভুলগুলোর সংশোধনী দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নবম শ্রেণির ১১ বইয়ে ভুল রয়েছে ৭৭টি; অষ্টম শ্রেণির ১০টি বইয়ে ৪৯টি; সপ্তম শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১১টি; ষষ্ঠ শ্রেণির ৫ বইয়ে ১০টি। ভুলগুলোর মধ্যে বানান ভুলের পরিমাণই বেশি। এ ছাড়া কোনো কোনো বাক্য পুরোপুরি সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে। এনসিটিবি থেকে জানা গেছে, এবার পাঁচটি পদ্ধতিতে বইগুলোর ভুল-ত্রুটি ও অসংগতি বের করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই সেটি শিক্ষার্থী পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। জানতে চাইলে এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান কালবেলাকে বলেন, পাঠ্যপুস্তকের ভুল-ত্রুটিগুলোর সংশোধনী দিয়ে একটি তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি মন্ত্রণালয় থেকে অধিদপ্তরগুলোতে যাবে। এর পরপরই অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেটি স্কুলগুলোতে পাঠিয়ে দেবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ সেসব সংশোধনী সংশ্লিষ্ট শ্রেণি শিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেবেন। যেসব সংশোধনী আনা হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ) বইয়ে আছে ৫৫০০ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা হবে ৫৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ের ১২ পৃষ্ঠায় আছে টাইসেপস ডিপস, যা হবে ট্রাইসেপস ডিপস। ২৬ পৃষ্ঠায় বায়ু দূষণের ফলে চর্মরোগ হয় বলা হলেও সংশোধনীতে সেটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এই শ্রেণির বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা বইয়ের ২৪ ও ৭২ পৃষ্ঠা থেকে ‘পৃথিবীতে যত মহাপুরুষ আছেন তাঁরা সকলেই শীলবান’ ও ‘রাজা বিম্বিসার বুদ্ধের চেয়ে পাঁচ বছরের ছোট ছিলেন’ লাইন দুটি বাদ দেওয়া হয়েছে। অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান (অনুসন্ধানী পাঠ) বইয়ের ১৩৬ নম্বর পৃষ্ঠায় ছবির ক্যাপশনে ৯০ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমারেখার উল্লেখ থাকলেও এটি হবে পূর্ব দ্রাঘিমারেখা। একই শ্রেণির বিজ্ঞান (অনুশীলন বই)-এর কচ্ছপ ও খরগোশের দৌড় প্রতিযোগিতার গল্পে ৩ কিলোমিটার দৌড়ের কথা বলা হয়েছে। এর ফলে দৌড় প্রতিযোগিতার ফলাফলে সমস্যা দেখা দেয়। যে কারণে এটি সংশোধন করে ২৩ কিলোমিটার করা হয়েছে। অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ২৩ নম্বর পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে প্রকৌশলী ফজলুর রহমান খান ১৯৮৩ সালের ২৭ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। পরে সেটি সংশোধন করে ১৯৮২ লেখা হয়েছে। একই বইয়ের ৫৩ ও ৫৭ পৃষ্ঠায় আঞ্চলিক বাংলায় ত্রয়োদশ সাল লেখা হয়েছে। সংশোধন করে সেখানে ১৩০০ সাল লেখা হয়েছে। বইয়ের ১২১ নম্বর পৃষ্ঠায় ভুলবশত বাঁয়ে ভিঞ্চির আঁকা বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘মোনালিসা’ লেখা হয়েছে। এটি সংশোধন করে ডানে লেখা হয়েছে। নবম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বইয়ে ১৭৯ নম্বর পৃষ্ঠায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে ‘প্রগতিশীলতা’ বৃদ্ধির লক্ষ্যে লেখা হয়েছে, এটি সংশোধন করে ‘গতিশীলতা’ লেখা হয়েছে।
০৭ মে, ২০২৪

ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে ভাঙচুর
নোয়াখালীর মাইজদীতে সিজার অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতক সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত সীমা আক্তার (২১) বেগমগঞ্জের কাদিরপুর ইউনিয়নের লন্ডন মার্কেট এলাকার জহির উদ্দিনের স্ত্রী ও নোয়াখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ সওদাগর বাড়ির মো.হারুনের মেয়ে। শনিবার (৪ মে) বিকেলের দিকে মাসহ নবজাতকের এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এর আগে, গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর হাউজিং রোডের মাইজদী আধুনিক হসপিটালে ভুল চিকিৎসার এ অভিযোগ উঠে। পরে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনায় হসপিটালে ভাংচুর চালিয়ে নিহতের স্বজনরা। নিহতের চাচাতো ভাই মো.নাঈমুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সীমার স্বজনরা তাকে মাইজদী আধুনিক হসপিটালে নিয়ে যান। এ সময় দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসক আশিকা কবির তাকে সিজার করেন। সিজার করার সময় তার ভুল অপারেশনে জরায়ুর রক্তনালী কেটে যায়। এতে তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। কিন্ত ডাক্তার তাৎক্ষণিক বিষয়টি গোপন রাখে। পরে একই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে রোগীকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছলে বিকেল পৌনে ৬টার টার মা ও বিকেল ৪ টা ১০ মিনিটের দিকে চট্রগ্রামের একটি হসপিটালে নবজাতককে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী মাইজদী আধুনিক হসপিটালে ভাঙচুর চালায়। মাইজদী আধুনিক হসপিটালের চেয়ারম্যান রফিকুল বারী আলমগীর অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, এটা নিয়ে আমরা রোগীর স্বজনদের সাথে বসেছি। কোনো ডাক্তারই ইচ্ছাকৃত ভাবে কাউকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়না।   সুধারাম থানার ওসি মো.আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা.মাসুম ইফতেখার বলেন, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুসরাত নাঈম জাবিনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
০৫ মে, ২০২৪

ভুল চিকিৎসার অজুহাতে আক্রমণ ন্যক্কারজনক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী 
ভুল চিকিৎসার অজুহাতে যে আক্রমণ হয় তা ন্যক্কারজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।   বুধবার (১ মে) সকালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে অনুষ্ঠিত ১২তম আন্তর্জাতিক এবং দ্বিতীয় এসিএনএস-বিএসএনএস হাইব্রিড কনফারেন্স ও ক্যাডাভেরিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।  স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারও নাই, আমারও নাই। বাংলাদেশে একমাত্র ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার রাখে বিএমডিসি (বাংলাদেশ মেডিকেল ডেন্টাল কাউন্সিল)। ভুল চিকিৎসার অজুহাতে চিকিৎসকদের ওপর যে আক্রমণ হয় তা ন্যক্কারজনক, খুবই বাজে। ভুল চিকিৎসার নাম করে চিকিৎসকদের মারধর, বিশেষ করে মেয়ে চিকিৎসকদের ওপর আক্রমণ মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, আমাদের চিকিৎসকদের মেধা ও দক্ষতা বিশ্বের যে কোনো দেশের চিকিৎসকদের চেয়ে কম না। আমরা যে জোড়া মাথার জমজ শিশু রোকেয়া- রাবেয়ার অপারেশন করলাম, যদিও সেখানে হাঙ্গেরির চিকিৎসকরা ছিলেন কিন্তু সেই অপারেশনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে আমাদের দেশের নিউরোসার্জনরা। প্রথম যখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে বাচ্চা দুটির এন্ড্রোভাস্কুলার সেপারেশন হয়, সেই রাতের ৩টা-৪টায় আমি নিজের চোখে দেখেছি আমাদের এনেস্থেটিক এবং নিউরোসার্জনদের ইচ্ছা, দক্ষতা এবং সামর্থ্য। যা আমাকে বিস্মিত করেছে। তরুণ চিকিৎসকদের আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এমন এক জায়গায় নিয়ে যেতে চাই, যেখানে দেশের মানুষ চিকিৎসক সমাজকে সম্মান করে। আমরা যদি সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে সার্ভিস দিই। রোগীদের সেবা দিই। মানুষ সম্মান করবে। আমাদের তো কোনো কিছুর অভাব নেই। আমাদের মেধা আছে। সেই মেধা দিয়ে তোমরা সর্বোচ্চ সেবা দাও, তোমাদের সুরক্ষা আমি দেব। ডাক্তার হিসেবে তোমাদের প্রতি এটাই আমার প্রতিশ্রুতি। বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জন্স প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসাইনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, নিনস্ এর যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম প্রমুখ। 
০১ মে, ২০২৪

বিএমডিসি ছাড়া ভুল চিকিৎসা দাবির অধিকার কারও নেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ছাড়া ভুল চিকিৎসা নির্ণয় ও দাবি করার অধিকার কারও নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারো নেই এমনকি আমারও। এটা বলার অধিকার আছে শুধু বিএমডিসির। এই ভুল চিকিৎসা অজুহাতে চিকিৎসকদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয় এটা খুবই নেক্কারজনক। ভুল চিকিৎসার নামে চিকিৎসককে মারধর এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। বুধবার (০১ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নিউরো সার্জন সোসাইটির ১২তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক শফিউল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন। চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন পাস করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চিকিৎসক সুরক্ষা আইন পাশ করাবো। আমাদের দ্বায়িত্ব চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেওয়া। তেমনি চিকিৎসকদেরও দ্বায়িত্ব রোগীকে সুরক্ষা দেওয়া। তাই চিকিৎসকদের কোনো অবহেলাও আমি সহ্য করবো না। আপনাদের কাছে আমার একটাই দাবি, আপনারা সেবা দেন আমি আপনাদের জন্য সব কিছু করবো। এর আগে গতকালও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে ডা. সামন্ত লাল একই কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি প্রায়ই পত্র-পত্রিকা ও টিভিতে দেখি ভুল চিকিৎসার কথা। ভুল চিকিৎসা বলে কিছু নাই৷ এটা আমি-আমরা বলতে পারি না। ভুল চিকিৎসার ব্যাপার যদি থেকেও থাকে, সেটা বলার অধিকার একমাত্র বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের আছে। আমরা বললে চিকিৎসার অবহেলার কথা বলতে পারি।
০১ মে, ২০২৪
X